সকালের নাস্তা শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ !
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষনায় প্রমানিত হয়েছে যে সকালে নাসত্মা খাওয়াটা প্রায় সব বয়সের লোকের জন্যই উপকারি বিশেষ করে শিশুদের জন্য৷ শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাসত্মা খেয়ে থাকে তারা স্কুলে অন্য শিশুদের চেয়ে অধিক সফল৷ মিশরের এঙ্টেনশস বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ লিন্ডা জনশন এর মতে পুষ্টিবান শিশুরা শেখার ৰেত্রে অধিক আগহী হয়ে থাকে, কাজের প্রতি আধিক মনোযোগী হয়ে থাকে , এবং শ্রেনী কৰে তাদের তাদের আচরণ থাকে অধিক ইতিবাচক এবং সেই সাথে তারা তাদের ফলাফল ভালো করার জন্য সবসময় উদ্যমি থাকে৷ এমনকি বিদ্যালয়ে তাদের উপস্থিতির হারও থাকে তুলনামুলকভাবে বেশি৷ অধিকন্তু যারা সকালে নাসত্মা খায় না তাদের ভেতরে উদ্যমতায় ভাটা থাকে এবং পাকস্থলি সংক্রানত্ম বিভিন্ন রোগে ভোগার সম্ভাবনা থাকে৷ শিৰকেরা জানিয়েছে যে যখন কোন শিশু না খেয়ে ক্লাসে আসে তখন তারা সেটা বুঝতে পারে শ্রেনীকৰে শিশুর মনোযোগের মাত্রা দেখে৷ এছাড়াও সকালের নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্ করতে সাহায্য করে৷ Dietary Guidelines for Americans Committee মতে শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাস্তা খায় না তাদের প্রয়োজনের চেয়ে কম অথবা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবার ঝুঁকি রয়েছে৷ বয়স্কদের জন্যও একই রকম ধারণা পোষণ করা হয়েছে৷ সাধারণত ধারণা করা হয়ে থাকে যে সকালের নাস্তা আমাদের শরীরের ওজনকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে৷ তাই আমরা অনেকেই সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকি শুধুমাত্র শরীরের ওজন কমানোর জন্য৷ সাধারণত যারা সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকে, পরবর্তিতে তারা হাই ক্যালোরির অন্য খাবার খেয়ে থাকে এমনকি দুপুরেও তারা তুলনামূলক অধিক খাবার খেয়ে থাকে৷ যার ফলে ফলাফল সম্পূর্নই বিপরীত হয়ে থাকে৷ যে সকল শিশুরা শিখতেছে (ছাত্র) সকালে নাসত্মা খাওয়ার অভ্যাস তাদের জন্য একটি গুরম্নত্বপূর্ন এবং তাত্পর্যপূর্ণ অভ্যাস৷ যার ফল তারা তাদের সমগ্র জীবনেই ভোগ করবে৷ গবেষনায় আরো প্রমানিত হয়েছে যে – যারা প্রায় ১ বছর মেইনটেনেন্স করে স্বাস্থ্যবান ওজনের অধিকারি হয়েছে, তারা নিয়মিত সকালে স্বাস্থ্যসম্মত নাস্তা খেয়েছে৷ সকালে একটি স্বাস্থ্যসম্মত নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্ করতে অপরিসিম ভূমিকা রাখে৷ এমনকি সকালের নাসত্মা নিজেই তৈরি করার মধ্য দিয়ে শিশুরা অধিক অত্নসচেতন এবং দায়িত্ববানও হয়ে ওঠে৷ ইন্টারনেট অবলম্বনে অনুবাদে –ইসতিয়াক আহমেদ শাওন