কুষ্টিয়ায় শিশু শ্রমিকের হার বাড়ছে ।
জান্নাত, কুষ্টিয়া: শিশু সনদ ও কারখানা আইনে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিদিনই বাড়ছে শিশু শ্রমিকের হার। বয়সের কোন পরোয়া না করেই শিশুদের নিয়োগ করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ সব কাজে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে সমাজের কিছু সুবিধাবাদী লোক। এ সকল শিশুরা কাজ করছে হোটেল, রেস্তোরা, সাইকেল মেরামত, মটরসাইকেল মেরামত, বাসের হেলপার, ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, ওয়েল্ডিং শপে, ছাপাখানায়, ইট-ভাটা ইত্যাদি ঝুকিপূর্ণ স্থানে। তাঁদের দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করিয়ে নিলেও তাদের মজুরী দেওয়া হচ্ছে অনেক কম। আর এ মজুরী কম দেওয়ার সুবিধার জন্যই বেশীরভাগ ব্যাক্তিই শিশু শ্রমিক নিয়োগের জন্য আগ্রহী হয়। এবং তারাও চেষ্টা করে কিভাবে শিশুদের কাজে লাগানো যায়। কিন্তু কারখানা আইন অনুযায়ী ১২ বছরের নিচে কোন শিশুকে নিয়োগ না দেওয়ার কথা বলা আছে। ১৮ বছরের নিচে সকলে শিশু ( যেটি আগে ১৬ বছর ছিল) এবং শিশুদের কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেওয়া যাবে না বলেও বলা হয়। এছাড়া শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বিড়ি তৈরির ফ্যাক্টরিতে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন গ্রামে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে তামাক শ্রমিক হিসেবে। এছাড়া অনেক শিশু সামান্য কিছু টাকার জন্য ধর্না দেয় বিভিন্ন তামাক ক্রয় কেন্দ্রে। দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পেয়াজের সময় সামান্য টাকা পাবার আশায় বেড়ে যাচ্ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। পিয়াজের মৌসুমে পড়া ছেড়ে দেয় বলে অনেকে আর স্কুলের গন্ডির নিকটেই জায়না। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি না করলে এ সংখ্যা আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করছেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট জনেরা।