অদ্বৈত মেলায় এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টল
অমর কথা শিল্পী “তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের জনক অদ্বৈত মল্ল বর্মণ এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনদিন ব্যাপি অদ্বৈত মেলার আয়োজন করা হয়। ১-৩ রা জানুয়ারী পর্যন্ত মেলা চলে।পাক্ষিক মত ও পথ এর সহযোগীতায় তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ভাষা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ
চত্ত্বরে অদ্বৈত মেলার আয়োজন করে। এ মেলার মিডিয়া পার্টনার ছিল একাত্তর.টিভি ও দৈনিক যুগান্তর।মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের তথ্য ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রী ভানুলাল সাহা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের এমপি র. আ. ম. ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, ব্র্াহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র হেলাল উদ্দীন, গণপরিষদ সদস্য ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী, ৭১ টেলিভিশনের ডিরেক্টর অফ নিউজ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা,পিআইবি এর মহাপরিচালক শাহ আলম, দেশবরেণ্য কথা সাহিত্যিক শান্তনু কায়সার , ত্রিপুরার বিখ্যাত কবি ও ছড়াকার বিমলেন্দ্র চμবর্ত্তী সহ বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরার অনেকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,“ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস
নদীর পাড়ে মালোপাড়ায় অদ্বৈত মল্ল বর্মণের জন্ম। বাংলা ভাষা-ভাষী সকল মানুষের কাছে তিতাস পাড় তাই খুবই গর্বিত জায়গা। রবীন্দ্রনাথ মানুষের জন্য কবিতা লিখলেও তার হয়তো ধারণা ছিল তিনি নিচুতলার মানুষের কথা সঠিক ভাবে বলতে পারেননি। তাই তিনি লিখেছেন, সেই কবির লাগি কান পেতে আছি যে আছে মাটির কাছাকাছি। আমরা দেখেছি রবীন্দ্রনাথের কাঙ্খিত সেই কবি পশ্চিম বাংলার সুকান্ত আর তিতাস পাড়ের মালোপাড়ার অদ্বৈত মল্লবর্মণ। অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর কথাশিল্পের মধ্যে দিয়ে বিশ্বকবির স্বপড়ব পূরণ হতে দেখেছি। অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর তিতাস একটি
নদীর নাম উপন্যাসে মালোপাড়ার মৎসজীবী সমাজের চিত্র,জেলে সম্প্রদায়ের করুণ কাহিনী সঠিকভাবে ফুটে উঠেছে।” মেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীরা কবিতা উপস্থাপন করে। মেলায় এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি প্রদর্শনী স্টল দেয়। এতে
করে জেলায় এনসিটিএফ এর পরিচিতি বেড়েছে। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক নতুন সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। তাছাড়া বিভিনড়ব স্থানীয় সংগঠনের সাথে এনসিিিটএফ এর সর্ম্পক আরো দৃঢ় হয়েছে। মেলা শেষে অতিথিরা মেলায় শিশুদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক ও রচনা প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ করে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল স্টলকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করে। অদ্বৈত মেলা আয়োজন কমিটির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম ভূঞা মেলার সমাপনী ঘোষণা করেন।