ভোলায় এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত।
ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ভোলা জেলা কমিটির বার্ষিক সাধারন সভা-২০১৪ ইং অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এনসিটিএফ ভোলা জেলা কমিটির সভাপতি জহির রাইহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম শওকাত ইকবাল শাহীন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক ও বিটিভির ভোলা জেলা এম এ তাহের, আজকের ভোলার সম্পাদক ও ভোলা রিপোর্টাস ইউনিটের সেক্রেটারী আলহাজ্ব মু. শওকাত হোসেন, শহীদ জিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ খালেদা খানম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক ও দক্ষিন প্রান্ত সম্পাদক এ্যাডভোকেট নজরুল হক অনু, ভোলা জেলা শিশু একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আখতার হোসেনসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনসিটিএফ ভোলা জেলা কমিটির সম্বনয়কারী আদিল হোসেন তপু। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার শারমীন আক্তার বর্ষা।
সভায় প্রধান অতিথি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এবিএম শওকাত ইকবাল শাহীন বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষৎত, তাই শিশুদের যোগ্য নাগরীক হিসাবে গড়ে তোলতে হবে। আর এইযোগ্য নাগরীর হিসাবে গড়ে তোলতে হলে পোড়াশুনার মধ্যে শিশুদের আবদ্ধ করে রাখলে হবে না শিশুদের সাংগঠনিক ভাবেও দক্ষ করে তুলতে হবে। আর শিশুদের এই সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ করে তোলার জন্য এনসিটিএফ একটি সময় উপযোগী প্লাটফোর্ম। এই সংগঠনটি ভোলার অবহেলিত শিশুদের কথা বলবে এবং তাদের পাশে থাকবে এটাই আমার প্রত্যাশা। আর এনসিটিএফএর পাশে আমরা আছি ভবিষৎতে ও থাকবো। এসময় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভোলায় দিন দিন বাল্য বিবাহ বেড়েই চলছে। আর এভাবে চলাতে থাকলেও ভোলার জন্য এটা হবে অসিন সংকেত। তাই বাল্য বিবাহ রোধ করার জন্য শিশুদের ও এগিয়ে এসে এর কুফল সংর্ম্পকে শিশুরাই শিশুদের মাঝে স্কুল ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে তুলে ধরার কথা বলেন। পরে তিনি এনসিটিএফ শিশুদের সাথে ফটোসেশনে অংশ গ্রহন করেন।
এদিকে এবছর ভোলা জেলা এনসিটিএফ ব্যাপক কার্যক্রম হতে নিয়েছে। এর মধ্যে হলো সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন করা, লেখাপড়ার সাংমগ্রী বিতরন করা, শিশুদেরকে সাংবাদিকতা ও শিশুর সুরক্ষার উপর প্রশিক্ষন দেয়া। স্কুল ভিত্তিক বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম রোধে ও শিশুর শারিরীক ও মানসিক শাস্তি বিষয়ক ক্যাম্পিং এর আয়োজন করা, হাসপাতাল পরিদর্শন করা, শিশু পরিবার পরিদর্শন করা, বেড়ি বাধের শিশুদের জীবন মান নিয়ে রির্পোটিং করাসহ আরো অনেক কিছু।