বাল্য বিবাহ বন্ধ করুন
মুসাব্বির হোসেনঃ অল্প বয়সে বিবাহ আর অল্প বয়সেই সন্তানের মা বাবা হওয়া খুবই চাঞল্যকর বিষয়। ১৯৮৪ সালের সংশোধনি বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে পরুষের বয়স ২১ বছর ও নারীর বয়স ১৮ বছর। এর ব্যাতিক্রম হলে দুই পক্ষের অভিভাবক ও স্থানীয় কাজীসহ শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবুও বর ও কনে পক্ষের সমোঝতার মাধ্যমে স্থানিয় প্রশাশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাল্য বিবাহ হচ্ছে। এসবের মূল কারণ দারিদ্রতা, পারিবারিক অসচেতনতা, কন্যা শিশুর প্রতি নিতিবাচক দৃষ্টিপাত ও সামাজিক মূল্যবোধ এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষার অভাব। তাছাড়াও রয়েছে ভূয়া জন্ম সনদের মাধ্যমে বয়স বাড়ানোর কৌশল।অল্প বয়সে বিয়ে কণ্যা শিশুর স্বাস্থ্যকে ঝুকির মুখে ফেলেছে। এর কারণে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুকি প্রচুর পরিমানে বেড়েছে। বাংলাদেশে কিশোর কিশোরিদের মধ্যে মাতৃ মৃত্যুর হার জাতীয় গড়ের প্রায় দিগুণ ও শিশু মৃত্যুর হার প্রায় ৩০ গুন।এছাড়া ইউনিসেফ এর হিসাব অনুযায়ী ২০ বছর বা এর বেশি বয়সের নারিদের তুলনায় ১৮ বছরের নিচের প্রসূতিদের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ২৫ গুন এবং মায়েরা ৫০ শতাংশ মৃত সন্তান জন্ম দেয়। তাছাড়া যে সব বাচ্চা জন্ম নেয় তাদের মধ্যে বেশির ভাগই হয় বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধি।তার সাথে মারও দেখা দেয় রক্ত শূন্যতা বা ঘাতক ব্যাধি। মূলত কণ্যা শিশুরা কিশোরী বয়সে সংসার করার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তত নন।ফলে অল্প বয়সে বিয়ের কারণে শিশু কিশোরীরা সোনালি শৈশব, সুখ স্বাচ্ছন্দময় ও সভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলে। এসব কারনে কন্যাশিশু কিছুটা মানসিক ভারসাম্যও হারায়।
তাদের সংসার জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। কিশোরী বধুরা নানা ভাবে নির্যাতিত হয়। পরিবারে কলহ বিবাদ সবসময় লেগেই থাকে। এর জন্য বহু বিবাহের হার বৃদ্ধি পায়। তাই বলা যায় যে বাল্য বিবাহ রোধের জন্যে শুধু দেশের সরকারকেই এগিয়ে আসলে হবে না, বরং দেশের প্রত্যেক পরিবার ও প্রত্যেক মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং এ নির্যাতন রোধে স্বচেষ্ট থাকতে হবে।তাহলইে বাল্য বিবাহ বন্ধ বা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে।