শিশু নির্যাতন ও হত্যার প্রতিরোধে মানববন্ধনে এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়া জেলার অংশগ্রহণ ।
মুসাব্বির হোসেন(কুষ্টিয়া)ঃ দেশব্যাপি শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আজ ১৬ই আগস্ট কুষ্টিয়া জেলাতে সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া থানা মোড়ে স্থানীয় ২০টি সংগঠনের পাশাপাশি জাতীয় পার্যায়ে শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এন.সি.টি.এফ.) মানববন্ধন অংশগ্রহন করে । উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠনের বক্তারা শিশু নির্যাতনের তিব্র নিন্দা জানান ।
এবং এ সময় কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেন তার সংক্ষিত বক্ত্যবে সরকারকে প্রতি আহ্বান জানায় শিশু নির্যাতনের বিপরীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত বাহিনীকে “জিরো টলারেন্স” প্রদানের জন্য এবং শিশু নির্যাতন সম্পর্কিত মামলা গুলো যাতে দ্রুততার সাথে নিস্পত্তি করা যায়, সে লক্ষ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে অধীনে বিচার করা এবং দৃষ্টান্ত করার জন্য আহ্বান জানান যেন ভবিষতে আর শিশুকে এভাবে হত্যা না করা হয় ।
ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এন.সি.টি.এফ.) জাতীয় পর্যায়ের একমাত্র শিশু সংগঠন যা বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত এবং শিশুদের দ্বারাই গঠিত ও পরিচালিত। সংগঠনটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সাথে সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় কাজ করে চলেছে। এনসিটিএফ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে বাংলাদেশের শিশুদের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
২০০৩ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এনসিটিএফ শিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাতীয় সংগঠন হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও স্বীকৃত এবং শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে আমরা ইতিমধ্যে ১৩ টি চাইল্ড পার্লামেন্ট সেশন আয়োজন করতে সফল হয়েছি। যেখানে মন্ত্রীপরিষদের সম্মানিত মন্ত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে অসংখ্য সফলতার পাশাপাশি জেলা এন.সি.টি.এফ. ও সফলতার ঝুড়িকে ভারি করেছে ।
উল্লেখ্য কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. জেলা প্রশাসক কে অবহিত করনের মাধ্যমে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের নবজাতক কক্ষটি জুতা সেন্ডেল পড়ে প্রবেশ না করা নিশ্চিত করেছে এবং এর পাশাপাশি কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. আরও সাফল্য রয়েছে ।
১৯৭১ সালে বর্বর পাকিস্তানি আর তাদের দোসররা মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে হত্যা করেছে শত শত শিশুকে। অগ্নিকুণ্ডে ছুড়ে ফেলেছে কাউকে, হাত-পা টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে কোনো কোনো শিশুর। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। ঢাকার কোনো কোনো এলাকায় বাঙালি মায়ের কোল থেকে শিশু কেড়ে নিয়েছে বিহারিরা।
সেই শিশুকে ছুড়ে দিয়েছে আকাশের দিকে, তারপর বর্শা কিংবা তলোয়ার উঁচিয়ে ধরেছে, শিশুটি গেঁথে গেছে তাতে। কোনো কোনো বাঙালি শিশু বর্শায় গেঁথে বীভত্স উত্সব করেছে নরকের ওই সব কীট।
আজ স্বাধীনতার এতকাল পর এ দেশের শিশু হত্যাকারীরা সেই বর্বরদেরও ছাড়িয়ে গেছে।