এনসিটিএফ এর অংশগ্রহনে শেরপুরে বাল্যবিয়ে নিরোধ ও নারীর নিরাপত্তা সুরক্ষায় সেমিনার অনুষ্ঠিত
অরিত্র্য চন্দ্র ঝলক : দেশে বাল্য বিয়ে ও নারী নির্যাতনের ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে। বাল্য বিয়ের কারণে বাড়ছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। ১২ বছর বয়স হওয়ার আগেই আড়াই শতাংশ কন্যা শিশুর বিয়ে হয়। এমনকি ১০ বছরের আগেও অনেক কন্যা শিশুকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাল্য বিয়ে নিয়ে ২৪ জেলায় পরিচালিত এক জরিপ প্রতিবেদনে এমন চিত্র পাওয়া গেছে যে – প্রায় ৬৫ শতাংশ শিশু ১৫ বছর বয়সে বা তার আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হয়।
এ পরিস্থিতিতে শেরপুরে বাল্য বিয়ে নিরোধ ও নারীর সুরক্ষায় সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘বাল্য বিয়ে ও নারীর নিরাপত্তা : আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার শহরের নিউমার্কেট পাতাবাহার খেলাঘর আসর মিলনায়তনে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ ও ওয়ার্ল্ডভিশন শেরপুর এডিপি যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। উক্ত আয়োজনে প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল -এনসিটিএফ শেরপুর।
সেমিনারে মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরপুর এডিপি’র প্রকল্প কর্মকর্তা সুজিত বানোয়ারি। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা শামীমা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম, সদর থানার এসআই রুহুল আমিন প্রমুখ। জনউদ্যোগ সদস্য সচিব হাকিম বাবুলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা পারভীন, জেলা কাজী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর মো. আলআমিন, পুরোহিত বিপুল ভট্টাচার্য, কমল চক্রবর্তী, ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি আতাউর রহমানসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের এনসিটিএফ টিম মেম্বার রাবেয়া তার এলাকায় এনসিটিএফ এর মাধ্যমে ৪ টি বাল্যবিয়ে ঠোকানোর অভিজ্ঞতা এবং শ্রীপুর বাজু চাইল্ড ফোরামের দশম শ্রেনী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী দুই বছর আগে নিজের বিয়ে নিজেই ঠেকানোর অভিজ্ঞতা বর্ননা করলে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা সকলেই তাদের সাহসের ভুয়সী প্রশংসা করে অভিনন্দিত করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ শেরপুর জেলার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন কার্্যকরি সদস্যবৃন্দ । স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের জেলার সেরা স্বর্ণকিশোরী তুষ্টি বেগম উপস্থিত সবাইকে বাল্যবিয়ে নিরোধে ভুমিকা রাখতে শপথ বাক্য পাঠ করান।সেমিনারে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধকারী কিশোরী, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী, কাজী, ইমাম, পুরোহিতসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।