শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত
শিশুরা হচ্ছে জাতির ভবিষ্যত এবং একই সাথে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ । শিশুর প্রতি ব্যবহারে সর্তকতা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ।
বিশ্বশিশু পরিস্থিতিতে পরস্পরবিরোধী একটি অবস্থা বিরাজমান থাকা সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্ববাসীদের মধ্যে এক জায়গায় একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যায়, যা হচ্ছে শিশু অধিকার সর্ম্পকে পূর্বেকার যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো অনেক বেশি সচেতন।আজ বিশ্ব শিশু দিবস। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী নানা আয়োজনে দিনটি পালন করে আসলেও সমাজে শিশুদের বড় একটি অংশ এখনও বঞ্চিত তাদের প্রাপ্য মৌলিক অধিকার থেকে। বেঁচে থাকার তাগিদে এ শিশুরা তাই বই-খাতার পরিবর্তে বেছে নিচ্ছে নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার তাগিদ বিশ্লেষকদের। যদিও সরকার বলছে, শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য হাতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প।
শিশু সুমন মিয়ার দিনের শুরুটা এমনই। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই লেগে পড়ো কাজে। টোকাই বা ভিক্ষা কিংবা আরো কোনো কাজ, পেটের দায়ে কি না করে তারা । নরসিংদী রেল-স্টেশনের ছিন্নমূল শিশুদের সবার জীবনের গল্পটা প্রায় একই ধরনের। প্রতিদিন হাজারও মানুষ ভাগ্য বদলের তাগিদে এক স্টেশন ছেড়ে অন্য স্টেশনে যায়। শুধু সুমনদের ভাগ্য যেন কখনোই বদল হয়না।
ইউনিসেফের জরিপে দেখা গেছে, দেশে ৫ থেকে ১৪ বছরের মোট শিশুর প্রায় ১৩ শতাংশই লেখা-পড়ার পরিবর্তে জড়িত বিভিন্ন পেশায়। এছাড়া ১৩ লাখ শিশু জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছে নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সুযোগে তাদের দিয়ে সমাজের একটি চক্র নানা ধরনের অপকর্ম করিয়ে নিচ্ছে। যদিও সরকার বলছে, পথশিশুদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বেসরকারি তথ্যমতে, দেশে এখন ১০ লাখেরও বেশি শিশু গৃহহীন। অভাবই যাদের নিত্যসঙ্গী