ওরাও পরিস্থিতির শিকার
একটা শিশু যখন মায়ের কোলে জন্ম নেয় তখন সে থাকে ফুলের মত নিস্পাপ । আস্তে আস্তে সে রড় হয়। এক এক শিশুর বড় হওয়ার ধরণ এক এক রকম। অধিকাংশ শিশু মা – বাবার আদরের ভেতর দিয়েই বড় হয় , আবার অনেক শিশু আছে, যাদের জন্ম হয় ঠিকই কিন্তু তাদের জন্ম পরিচয় তারা নিজেই জানেনা। জন্মই তার ভুল। এ ধরনের শিশুদের পথ শিশু বলা হয়। এদের বাড়ি ঘর বড়তে কোন জিনিস থাকেনা, এদের অবস্থা, যেখানে রাত সেখানে কাথ। সাধারনত রাস্তাই এদের বাড়ি – ঘর। বুঝতে শেখার পর পরই অর্থ উপার্জনে নেমে যায় এরা, ক্ষুধাটা নিবারন করার জন্য। অর্থ উপার্জনের জন্য টোকাইয়ের পেশাটাকে ওরা শ্রেয় বলে মনে করে । সারাদিন নানা জিনিসপত্র টোকায়, রাতে ওইগুলো বিক্রি করে কিছু টাকা পায় । উপার্জিত টাকা খাবারের পিছনে ব্যয় না করে নানা ধরনের নেশার দ্রব্যের পিছনে ওরা ব্যয় করে। নেশার দ্রব্যের ভিতর ডান্ডি, সিগারেট অন্যতম। যত বড় হতে থাকে নেশার দ্রব্যের পরিমানও বাড়তে থাকে। এদের মধ্যে অনেকে চুরিও করে। চুরি করতে গিয়ে ধরা পরলে মারও খায়, কিন্তু পরমুহুর্তে সব ভুলে আবার আগের মত সব শুরু করে। বড় হতে থাকলে চুরির ধরনও বাড়তে থাকে। অস্তে আস্তে এরা ছিনতাই কারিতে পরিনত হয় ।
ওদের জীবনটা মাদকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ওদের বোঝানোর মত কেউ নাই তাই ওরা নিজেরা যেটা ভাল মনে করে, নিজারা যেটা ভাল ভাবে সেটাই করে।
ওরাওতো পারতো ভালভাবে বাঁচতে, ভালভাবে থাকতে কিন্তু আমাদের সমাজ তাকে ভাল থাকতে দেয়নি, পরিস্থিতি ওদের আজ এ অবস্থায় এনে দাড় করিয়েছে। ওরাও পরিস্থিতিরর শিকার । আমরাই পারি ওদের ভাল পথে আনতে। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ ওদের অধিকারটা ওদের বুঝিয়ে দেওয়া।