নববর্ষে পথশিশুদের পাশে দাড়ালো কিশোরগঞ্জ এনসিটিএফ এর সদস্যরা
তনিমা রব তোড়া : নববর্ষকে অনেকেই অনেক রকমভাবে উদযাপন করে, কিন্তু কিছু পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে নববর্ষকে সবার জন্য আনন্দময় করে তোলার কাজটা হয়তো সবাই নেয় না। কিন্তু এ ধরনের ব্যাতিক্রমি চিন্তাই করেছে এবারের এনসিটিএফ কিশোরগঞ্জ এর সদস্যরা। বাংলা নববর্ষে শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছে একদল তরুণ, তরুণী যা উপস্থিত অনেকেই আপ্লুত করেছে, করেছে বিমুগ্ধ। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ বাঙালীর জীবনে আনন্দ নিয়ে আসলেও, প্রত্যেকের জীবনে তা সত্য নয়। এখনও আমাদের সমাজে হতদরিদ্ররা সংখ্যায় অনেক। তাদের মধ্যে তিনবেলা খেতে পারে এমন লোকের সংখ্যা নগন্য। জীবনের তাকিদে তারা সংগ্রাম করে যায় একবেলা খাবারের আশায়। বছরে তাদের সন্তানদের নতুন জামা দেয়ার মত ক্ষমতাটুকুও থাকে না। এসকল হতদরিদ্র শিশুদের নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করে আসা ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স ( এনসিটিএফ) জেলা কমিটি কিশোরগন্জ এবার শিশুদের মাঝে বস্র বিতরণ করে তাদের মুখে একটুকরো হাসি ফুটিয়ে তুলেছে।
এনসিটিএফ কিশোরগন্জ জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তনিমা রব তোড়া – র উদ্দোগে এবং জেলা কমিটির সকলের সহযোগীতায় বাংলা ১৪২৩ নববর্ষে বেলা ৩ ঘটিকায় শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে ৫০ জন হতদরিদ্র, পথশিশু এবং প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে বস্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ শিক্ষকা খালেদা ইসলাম, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল, প্রধান শিক্ষক আবদুর রব, শিশু একাডেমির গ্রন্থাগারিক আবুল কালাম আজাদ, জেলা কমিটির সকল সদস্য, অনেক সেচ্চাসেবক তরুণ – তরুণী সহ আরও অনেকে। নববর্ষের দিন বিকালে জেলা শিশু একাডেমি কার্যালয়ে এসব শিশুদের নিয়ে তাদের মা বাবারা এসেছিলেন। এসময় এনসিটিএফ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তনিমা রব তোড়া এবং নব নির্বাচিত সভাপতি সাদিয়া আক্তার কলি শিশুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। শেষে শিশুদের হাতে নতুন জামা কাপড় তুলে দেওয়া হয়। এসময় শিশুরা নতুন জামা পেয়ে গায়ের মলিন জামা রেখে তখনই নতুন জামা পরে নেয়। তখন সবার মুখেই জয়ের হাসি।