শাস্তির দাবিতে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি
কেশবপুর উপজেলার কালিয়ারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দলিত শিক্ষার্থীদের প্রতি অস্পৃশ্যমূলক কটূক্তিকারী শিক্ষকদের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার শিশু অধিকার বাস্তবায়নের সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) যশোরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবর এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ূন কবীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতি আরাফাত শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম সুজন, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য সানজিদা আক্তার জ্যোতি, ভলেন্টিয়ার সেলিনা পারভীন, তানিয়া আফরিন, নয়ন কুমার গাইন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় কালিয়ারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন দলিত শিক্ষার্থী নিয়মিত লেখাপড়া করে থাকে।
গত ২০ জুলাই স্কুলের ক্লাস চলাকালীন সময়ে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস শিক্ষিকা আসমা খাতুন গণিত পড়া নেয়ার সময় এক সহকারি শিক্ষিকা পারভিনা খাতুন অপ্রত্যাশিতভাবে ক্লাসে ঢুকে দলিত শিক্ষার্থীদের কটূক্তি করেন ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান দলিত শিশুদের দিয়ে অমানবিক কাজ করিয়ে নেন। স্মারকলিপিতে যশোর জেলা এনসিটিএফ ওই শিক্ষকদের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও দলিত শিক্ষার্থীরা যাতে মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে সে ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করে তা যথাযথ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।