শিশু অধিকার বাস্তবায়নে পাশে থাকব

মুনিরাঃ এনসিটিএফ এর উদ্যেগে ২ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১ ঘটিকার সময় মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান,মেম্বার স্কুল প্রধান শিক্ষকদের সাথে এনসিটিএফ সদস্যদের শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণ-শুনানি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন এর সব গ্রাম থেকে এনসিটিএফ সদস্য সহ ইমাম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।

IMG_20151102_121858

শিশু অধিকার সনদের ১২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে শিশুরা তাদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে দায়িত্ব বাহকের সাথে মতপ্রকাশ করতে পারবে। গণ-শুনানিতে শিশুদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো হচ্ছে ইভটিজিং,শিশুদের মাদকের প্রতি আসক্ততা,অল্প বয়সে বিবাহ, কিছু স্কুলে বাথরুম ব্যবহার অনপুযোগী, ইউনিয়ন পরিষদে এনসিটিএফ মিটিং রুম,বিশুদ্ধ পানির অভাব। এনসিটিএফ শিশুদের গত জানুয়ারী থেকে সেপ্টেমবর এর মধ্যে শিশু বিবাহের সংখ্যা ১৫ জন যাদের বয়স গড়ে ১০-১৪ বছর। তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নাজমুল হুদা বিশ্বাস এর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত গণশুনানীতে ৬নং ওয়ার্ডেরে ইউপি সদস্য বলেন শিশু বিবাহ বন্ধ করতে হলে সবার আগে অভিবাবকদের সচেতন করতে হবে। তাদের সচেতন করতে পারলে এটা রোধ করা সম্ভব হবে এবং আমাদের এলাকায় কোন জন্মসনদ পরিবর্তন হয়না। চেয়ারম্যান মহোদয় এক্ষেত্রে অনেক বেশী সজাগ। আমার এলাকার মধ্যে কোন মেয়ে ইভটিজিং স্বীকার হও আমাকে জানালে আমি পদক্ষেপ নিব।

তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অত্র অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, শিশু বিবাহ সর্ম্পকে বলেন বাল্য বিবাহ গোপনে হয়ে থাকলেও আমরা এক্ষেত্রে কঠোর ভূমিকা পালন করি। জন্মসনদ জাল করার কারণেও আমরা ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। তোমরা সবাই যদি নিজ নিজ এলাকা থেকে সজাগ থাকো তবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্ভব। তোমাদের এলাকার বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত তথ্য দিলে আমরা সেটি বন্ধ ‍করতে পারব। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত তাই এদের রক্ষা করতে হবে। আমরা তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে বাল্যবিবাহের হার আগামী বছরের মধ্যে ১০০% এর মধ্যে ২০% আনবো । এনসিটিএফ থেকে তোমরা যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছো সেগুলোর সাথে আমি একমত এগুলো প্রতিরোধ করতে আমার যেখানে যা সহযোগীতা লাগবে আমাকে বললে আমি সহযোগিতা করব।

এছাড়া শিশুদের উত্থাপিত বিষয় থেকে চেয়ারম্যান মহোদয় ভরাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে সহযোগিতা করবেন বলে শিশুদের বলেন। এছাড়া ভরাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়না জানালে চেয়ারম্যান মহোদয় বলেন আমি আজকের মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করবো। এছাড়া এনসিটিএফ এর অন্য এক শিশু তার এলাকার রাস্তার সমস্যা উত্থাপন করলে চেয়ারম্যান মহোদয় বলেন আগামী ডিসেম্বর এর মধ্যে তোমাদের এলাকার রাস্তার সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া শিশুদের অন্যান্য সমস্যা ও প্রস্তাবের পক্ষে তিনি একমত হন। আরো বলেন তোমাদের খবরগুলো আমাদের ইউনিয়ন র্পোটালে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যেক্তাকে দিলে তা প্রকাশ করা হবে এবং এমন সমস্যা আমার কাছে তুরে ধরলে আমরা সমাধান করতে পারি। পলাশি পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি ও সেভ দ্য চিলড্রেন সহযোগিতায় উক্ত শুনানিতে শিশু ও সুশীল সমাজের ৪৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এনসিটিএফ সদস্য আব্দুস সালাম এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস প্রতিনিধি আব্দুল ওহাব, রবি সহ সেভ দ্য চিলড্রেন প্রতিনিধি শান্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা ভলান্টিয়ার জসিম এবং ইসমোতারা প্রমুখ্।