Posts

কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর প্রতিমাসের ন্যায় হাসপাতাল মনিটরিং অনুষ্ঠিত এবং অন্যন্য সাফল্য।

গত ১১ ই এপ্রিল এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলার কার্যনিবাহী কমিটির শিশু গবেষকের নেতৃত্বে সকাল ১০.৩০ টায় হাসপতাল মনিটরিং অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবারের সদর হাপসাতালের শিশু ওয়ার্ডের অবর্জাহভেশন রুমের চিত্র ছিলো অন্যান্য মাসের চেয়ে অনেক ভিন্ন। কারণ আগে শিশু ওয়ার্ডে অবর্জাহভেশন রুমে সবাই জুতা সেন্ডেল পড়ে প্রবেশ করতো। যার ফলে শিশুদের অনেক জিবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতো।

এদিকে এই সমস্যার বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেনের ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়াকে অবহিত করায় কুষ্টিয়ার জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেfinal-01-sobujbartaন এই বিষয়টি নজরে নিয়ে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট প্রেরণ করে উল্লেখিত সমস্যাটি সমাধান করে থাকেন। গতকাল হাসপাতাল মনিটরিং এর শেষে এন.সি.টি.এফ. এর শিশুরা ডাঃ জমির উদ্দিন ,(শিশু কনসালটেন্ট এবং বিভাগীয় প্রধান শিশু বিভাগ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ) সাক্ষাতকার করার সময় জানতে চাওয়া হয় যে, বর্তমানে আবহাওয়ার প্রবাহরে জন্য শিশুদের ওপর কিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে এ বিষয়ে তিনি বলেন বর্তমান আবহাওয়া শিশুদের জন্য খারাপ এর মূল কারণ হচ্ছে রোদ্রের তাপ বেশি যার ফলে শিশুরা জ্বর, এআরআই এর মত রোগে আক্রান্ত হতে পারে । এছাড়া তিনি আরও বলেন এই সময়ে ডায়রিয়ার মত খারাপ রোগেও আক্রান্ত হতে পারে ।

এই জন্য শিশুদের সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে এবং খাবারের সময় ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং পচা বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। আর এদিকে এআরআই রোগ সম্পর্কে ডাঃ জমির উদ্দিন বলেন শিশুদের ফিডার খাওয়ানো যাবে না এর ফলে শ্বাস কষ্ট হয় । এবং বুকের দুধ উঁচু করে খাওয়াতে হবে ।

আর এ সকল সমস্যা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অসুস্থ শিশুদের অসুস্থা বেড়ে যাওয়া সহ মৃত্যুর কারণ হতে পারে । আর অন্যদিকে সদর হাসপাতালের অবর্জাভেশন রুমটির বর্তমান চিত্রে আনার জন্য সাহায্য করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষতে শিশুদের নিয়ে আরো ভালো ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। এবং এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়া জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাথে এক সাক্ষাতকারে তারা বলেন আমরা সবার সহোযগীতা নিয়ে আরো ভালো কাজ করতে চাই । এবং কুষ্টিয়া জেলাকে শিশুবাদ্ধব জেলা হিসেবে দেখতে চাই ।

এই বিষয়ে পূর্বের নিউটি দেখুন

http://bit.ly/1Fk5Q4X

কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ও এনসিটিএফ এর উদ্যেগে নিরাপদ হল অবজারভেশন রুম

সাজিদ হাসান (কুষ্টিয়া): গত ২৫ তারিখে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি মুসাব্বির হোসেন কুষ্টিয়া জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড এর অবজারভেশন রুমের সমস্যা নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল  হোসেন মহোদয় কর্তৃক পরিচালিত জেলা প্রশাসন এর ফেসবুক পেজে একটি পোষ্ট প্রদান করলে জেলা প্রশাসন থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়।

এনসিটিএফ কুষ্টিয়ার স্বউদ্যোগী কাজের অংশ হিসেবে প্রতি মাসে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করা হয়। শিশু ওয়ার্ডে জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও শিশু ওয়ার্ডে ডাক্তার এবং নার্সরা শিশুদের সুন্দরভাবে সেবা দিয়ে যচ্ছে। বেশীরভাগ মনিটরিং এ রোগীর স্বজনরা সেবাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কিন্তু শিশু ওয়ার্ডে অবজারভেশন রুমে রোগীর স্বজনদের জুতা সেন্ডেল পড়ে ঢুকার বন্ধ করা যাচ্ছিল না।

তার পাশাপাশি অবজারভেশন রুমে জনসাধারণের প্রবেশ এ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রোগীর স্বজনরা সেখানে ভীড় করে থাকে। গত ২২ এপ্রিল এনসিটিএফ কুষ্টিয়া মনিটরিং এর সময় আবারো একই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে এবং এনসিটিএফ সদস্যরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করার জন্য ফেসবুক পেজ এ সমস্যা সংক্রান্ত পোস্ট প্রদান করা হয়। এবং কুষ্টিয়া জেলার   সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল  হোসেন  এই পোষ্টের ভিতিতে আজ নিজে একটি নোটিশ জারি করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ কুষ্টিযা জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের উপ-পচিালক  মহোদয় এর উপস্থিতিতে   শিশু ওয়ার্ড এর অভজারভেশন রুমের সামনে নোটিশটি লাগানো হয়। নোটিশে বলা হয় ভেতরে যদি কেও জুতা সেন্ডেল পরে প্রবেশ করে তাহলে তাকে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়ার প্রত্যেক সদস্য জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তারা আরো বলেন এনসিটিএফ সদস্যদের চেষ্টা সার্থক হয়েছে এবং জেলা প্রশাসন থেকে পরবর্তীতে আরো সহযোগিতা পাবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেন  এবং জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলার  হোসেন মহোদয়ের এর সাহায্য পেলে কুষ্টিয়া জেলাকে একদিন শিশু বান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তুলবে এটা কুষ্টিয়া জেলার এন.সি.টি.এফ এর প্রত্যাশা বলেও জানান।

এনসিটিএফ:

এনসিটিএফ জাতীয় পর্যায়ের একমাত্র শিশু সংগঠন যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত। এনসিটিএফ শিশুদের দ্বারাই গঠিত ও পরিচালিত। সংগঠনটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সাথে সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় কাজ করে চলেছে। এনসিটিএফ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে বাংলাদেশের শিশুদের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এনসিটিএফ শিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাতীয় সংগঠন হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও স্বীকৃত। শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে  ইতিমধ্যে এন.সি.টি.এফ চাইল্ড পার্লামেন্টের ১২টি সেশন আয়োজন করতে সফল হয়েছে। যেখানে মন্ত্রীপরিষদের বিভিন্ন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ উপস্থিত ছিলেন। গত ২১ এ ডিসেম্বর ২০১৪ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার জনাব ফজলে রাব্বী মিয়া প্রধান অতিথিত্বে চাইল্ড পার্লামেন্টের ১২ তম অধিবেশন সম্পন্ন হয়েছে।  এছাড়া এনসিটিএফ এ প্রত্যেক জেলাতে চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য,  শিশু সাংবাদিক ও শিশু গবেষকবৃন্দ ও সদস্যদের নিবিড় কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু অধিকার সংরক্ষণ ও  বাস্তবায়নে সংগঠনটি কাজ করে আসছে। বাংলাদেশে শিশু অধিকার কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং তার অগ্রগতি কি তা (তৃণমূল, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে) নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ (মনিটরিং) করে থাকে সংগঠনটি। বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় মাননীয় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে গঠিত জেলা শিশু অধিকার ফোরাম কমিটিতে একজন করে এনসিটিএফ সদস্যকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

আরো জানতে: www.nctfbd.org


Children use social media for Advocacy.

On 25 April, 2015 Deputy Commissioner of Kushtia Sayed Balal Hossain announced a notice and on that basis the Deputy Magistrate and the assistant Director of Khustia City hospital (250 Bed) put a written notice in front of the child ward that whoever will break the rules of hospital (enter into the child ward with shoe and make noise in child ward) he or she must bring under the punishment through mobile court.

Nation Children’s Task Force (NCTF) took another self-initiative activity to secure the safety of the child patient in 250 bed city hospital Khustia .parents and relatives who often come to visit the sick children in observation hour, they enter the ward with their shoe and not only that they also make the child ward noisy and crowded as well. Treatment is a basic right of children and proper environment of a hospital especially into the ward more precisely in child ward is an obligatory issue. NCTF as a self-initiative task use to visit the City hospital child ward monthly. As a part of their monthly activities on 22April, 2015 NCTF Khustia visit the City Hospital (250 Bed) in Khustia and their findings about the service of the hospital is up to the mark though there is a lack of manpower. Mostly In term of monitoring the parents and relative of the child patient are satisfied with service of doctor and nurse as well as the hospital. But fact is that at the time of observation the relatives of the patient enter into the child ward with their shoe which is highly risky and unhygienic for the child patient and it could be dangerous for the sick child. Not only that a hospital should be a quiet and calm place but the visitors often make the ward noisy and highly crowded. Though the entry of the visitor with shoe and make noise in the observation room is highly restricted but people often break the rules. The President of Khustia district NCTF Musabbir Hossain gave a post on the district Facebook page and mentioned the serious problem to draw the attention of authority (Deputy Commissioner). After see the face book post the Deputy Commissioner of Khustia took initial step towards solving the problem and gave order to put a written notice. The District Magistrate and the assistant Director of Khustia City hospital were put a notice in front of the child ward. On the notice they mention that enter into the ward with shoe and make noise into the ward is a malpractice which is prohibited. If anyone further disobeys the rules he or she must be accountable for breaking the rules and would be bring under the mobile court for punishment.

NCTF members express cordial gratitude to the Deputy Commissioner and District Administration of Khustia for their initial and faster step. The Deputy Commissioner appreciates and encourages NCTF to carry one such kind of self-initiatives activities. He also added that if needed he is always ready to help NCTF and he has a long term goal that he wants to build Khustia as a child friendly district. This kind of self-initiatives activities of NCTF is obviously a huge achievement which will develop a required environment in hospital and also ensure better treatment for children.

কুষ্টিয়ায় শিশু শ্রমিকের হার বাড়ছে ।

21072014020225pmWDACL2011_logoজান্নাত, কুষ্টিয়া:  শিশু সনদ ও কারখানা আইনে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিদিনই বাড়ছে শিশু শ্রমিকের হার। বয়সের কোন পরোয়া না করেই শিশুদের নিয়োগ করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ সব কাজে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে সমাজের কিছু সুবিধাবাদী লোক। এ সকল শিশুরা কাজ করছে হোটেল, রেস্তোরা, সাইকেল মেরামত, মটরসাইকেল মেরামত, বাসের হেলপার, ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, ওয়েল্ডিং শপে, ছাপাখানায়, ইট-ভাটা ইত্যাদি ঝুকিপূর্ণ স্থানে। তাঁদের দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করিয়ে নিলেও তাদের মজুরী দেওয়া হচ্ছে অনেক কম। আর এ মজুরী কম দেওয়ার সুবিধার জন্যই বেশীরভাগ ব্যাক্তিই শিশু শ্রমিক নিয়োগের জন্য আগ্রহী হয়। এবং তারাও চেষ্টা করে কিভাবে শিশুদের কাজে লাগানো যায়। কিন্তু কারখানা আইন অনুযায়ী ১২ বছরের নিচে কোন শিশুকে নিয়োগ না দেওয়ার কথা বলা আছে। ১৮ বছরের নিচে সকলে শিশু ( যেটি আগে ১৬ বছর ছিল) এবং শিশুদের কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেওয়া যাবে না বলেও বলা হয়। এছাড়া শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বিড়ি তৈরির ফ্যাক্টরিতে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন গ্রামে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে তামাক শ্রমিক হিসেবে। এছাড়া অনেক শিশু সামান্য কিছু টাকার জন্য ধর্না দেয় বিভিন্ন তামাক ক্রয় কেন্দ্রে। দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পেয়াজের সময় সামান্য টাকা পাবার আশায় বেড়ে যাচ্ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। পিয়াজের মৌসুমে পড়া ছেড়ে দেয় বলে অনেকে আর স্কুলের গন্ডির নিকটেই জায়না। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি না করলে এ সংখ্যা আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করছেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট জনেরা।

জেলা তথ্য অফিসারের সাথে কুষ্টিয়া জেলার এনসিটিএফ এর নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ।।

NCTFবৃহস্পতিবার ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স কুষ্টিয়া জেলা শাখা কমিটির সাথে কুষ্টিয়া জেলা তথ্য অফিস;সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ তৌহিদুজ্জামানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় এনসিটিএফ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার এন.সি.টি.এফ. এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আনিকা,চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার ইলমা,সাংগাঠনি সম্পাদক রাব্বি,শিশু সাংবাদিক সাজিদ হাসান,শিশু গবেষক শোভন ও অন্যান্য সদস্য বৃন্দ। এ সময় এন সি টি এফ সদস্য বৃন্দ জেলা তথ্য অফিসারের কাছে এন সি টি এফ কুষ্টিয়ার প্রকাশিত কুষ্টিয়া জেলার একমাত্র শিশু পত্রিকা “শিশু জগৎ” তুলে দেন এবং এনসিটিএফ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।তার সাথে কুষ্টিয়া জেলার শিশুদের পরিস্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া তিনি এনসিটিএফ কুষ্টিয়া কার্যক্রম দেখে প্রশংশা করেন।এবং এগিয়ে যওয়ার উৎসাহ দেন এবং বলেন তিনি কুষ্টিয়া জেলার এন.সি.টি.এফ. এর সাথে সব সময় সাথে থাকবেন।