Posts

এনসিটিএফকে নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টরী

রাসেল আহমেদ: গত ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে খুব সুন্দর আর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে গেল ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স(এনসিটিএফ) রাজশাহী কে নিয়ে এক ভিডিও ডকুমেন্টারির কাজ । প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় দক্ষিন আফ্রিকা থেকে আগত Discovery Channel এর সাংবাদিক ক্রিস মরগান এর মূলত এই ডকুমেন্টারিটি বানানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের শিশুরা কিভাবে তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করে , এনসিটিএফ কিভাবে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে , শিশু গবেষকদের কাজ কি? কিভাবে তারা শিশু অধিকার সম্বলিত তথ্য সংগ্রহ করছে, শিশুরা তাদের অধিকারের বিষয়ে কতটা সচেতন ইত্যাদি ।
এন সি টি এফ রাজশাহীকে নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টরী তৈরি করার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান ,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ,রাজশাহী। অন্যান্যদের মধ্যে প্ল্যান বাংলাদেশ এর সিনিয়র ম্যানেজার অপারেশনস জনাব ফারুক আলম খান , মো: ববি এবং এন সি টি এফ এর সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার রাসেল আহমেদ , এনসিটিএফ রাজশাহীর জেলা ভলান্টিয়ার ও কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

সকালের নাস্তা শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ !

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষনায় প্রমানিত হয়েছে যে সকালে নাসত্মা খাওয়াটা প্রায় সব বয়সের লোকের জন্যই উপকারি বিশেষ করে শিশুদের জন্য৷ শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাসত্মা খেয়ে থাকে তারা স্কুলে অন্য শিশুদের চেয়ে অধিক সফল৷ মিশরের এঙ্টেনশস বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ লিন্ডা জনশন এর মতে পুষ্টিবান শিশুরা শেখার ৰেত্রে অধিক আগহী হয়ে থাকে, কাজের প্রতি আধিক মনোযোগী হয়ে থাকে , এবং শ্রেনী কৰে তাদের তাদের আচরণ থাকে অধিক ইতিবাচক এবং সেই সাথে তারা তাদের ফলাফল ভালো করার জন্য সবসময় উদ্যমি থাকে৷ এমনকি বিদ্যালয়ে তাদের উপস্থিতির হারও থাকে তুলনামুলকভাবে বেশি৷ অধিকন্তু যারা সকালে নাসত্মা খায় না তাদের ভেতরে উদ্যমতায় ভাটা থাকে এবং পাকস্থলি সংক্রানত্ম বিভিন্ন রোগে ভোগার সম্ভাবনা থাকে৷ শিৰকেরা জানিয়েছে যে যখন কোন শিশু না খেয়ে ক্লাসে আসে তখন তারা সেটা বুঝতে পারে শ্রেনীকৰে শিশুর মনোযোগের মাত্রা দেখে৷ এছাড়াও সকালের নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্‍ করতে সাহায্য করে৷ Dietary Guidelines for Americans Committee মতে শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাস্তা খায় না তাদের প্রয়োজনের চেয়ে কম অথবা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবার ঝুঁকি রয়েছে৷ বয়স্কদের জন্যও একই রকম ধারণা পোষণ করা হয়েছে৷ সাধারণত ধারণা করা হয়ে থাকে যে সকালের নাস্তা আমাদের শরীরের ওজনকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে৷ তাই আমরা অনেকেই সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকি শুধুমাত্র শরীরের ওজন কমানোর জন্য৷ সাধারণত যারা সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকে, পরবর্তিতে তারা হাই ক্যালোরির অন্য খাবার খেয়ে থাকে এমনকি দুপুরেও তারা তুলনামূলক অধিক খাবার খেয়ে থাকে৷ যার ফলে ফলাফল সম্পূর্নই বিপরীত হয়ে থাকে৷ যে সকল শিশুরা শিখতেছে (ছাত্র) সকালে নাসত্মা খাওয়ার অভ্যাস তাদের জন্য একটি গুরম্নত্বপূর্ন এবং তাত্‍পর্যপূর্ণ অভ্যাস৷ যার ফল তারা তাদের সমগ্র জীবনেই ভোগ করবে৷ গবেষনায় আরো প্রমানিত হয়েছে যে – যারা প্রায় ১ বছর মেইনটেনেন্স করে স্বাস্থ্যবান ওজনের অধিকারি হয়েছে, তারা নিয়মিত সকালে স্বাস্থ্যসম্মত নাস্তা খেয়েছে৷ সকালে একটি স্বাস্থ্যসম্মত নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্‍ করতে অপরিসিম ভূমিকা রাখে৷ এমনকি সকালের নাসত্মা নিজেই তৈরি করার মধ্য দিয়ে শিশুরা অধিক অত্নসচেতন এবং দায়িত্ববানও হয়ে ওঠে৷ ইন্টারনেট অবলম্বনে অনুবাদে –ইসতিয়াক আহমেদ শাওন