Posts

খুলনা এনসিটিএফ এর মুখোমুখি অনুষ্ঠান

 

অদ্য সাকাল ১০.০০ টায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো খুলনা জেলা এনসিটিএফ এর মুখোমুখি গনজবারদিহিতা মূলক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ‍খুলনা জেলা কার্যালয়ে । উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), খুলনা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন – জনাব শেখ হারুনুর রশীদ, প্রশাসক, জেলা পরিষদ, খুলনা। জনাব শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, ভারপ্রাপ্ত মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা। জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), খুলনা। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাসুদ অধ্যাপক, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা। জনাব বিভূতি ভূষন ব্যানার্জি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, খুলনা। জনাব মোঃ জাফর ইমাম, বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ, খুলনা। জনাব মোঃ আবুল আলম, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, খুলনা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করে মোঃ লিটন হাওলাদার সভাপতি, খুলনা এনসিটিএফ। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সঞ্চালনা করে দীপন দে শিশু গবেষক, খুলনা এনসিটিএফ ও অনন্যা শীল সাধারন সদস্য খুলনা এনসিটিএফ এবং প্রশ্নোত্তর পর্বের সঞ্চালনা করে মৃদূল ইসলাম মিদুল । উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিল বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, সাংবাদিক, বিভিন্ন জিও , এনজিওর প্রতিনিধি সহ এলাকার সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ । অনুষ্ঠানে খুলনায় শিশুদের নানা সমস্যা শিশুরাই সকলের সামনে তুলে ধরে এবং উপস্থিত সুধি বৃন্দ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্ঠা করে । প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন তিনি সমস্যাগুলো সম্পর্কে মন্ত্রনালয়ে কথা বলবেন এবং সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন। অনুষ্ঠানটি বেলা ১টা নাগাদ শেষ হয় ।

দীপন দে,
সাবেক শিশু গবেষক,
খুলনা, এনসিটিএফ।

খুলনা এনসিটিএফ এর মুখোমুখি অনুষ্ঠান

খুলনা এনসিটিএফ এর মুখোমুখি অনুষ্ঠান

এনসিটিএফ খুলনার দ্বি বার্ষিক নির্বাচন ও বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৬

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রোজ শুক্রবার , এনসিটিএফ খুলনার দ্বি বার্ষিক নির্বাচন ও বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৬ সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে । নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি খুলনা জেলা কার্যলয় । বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টা হতে সকাল ১০ টা পর্যন্ত । অতপর শুরু হয় এনসিটিএফ খুলনার দ্ বিবার্ষিক নির্বাচন । উৎসব মুখোর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । ৩০০ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।  উক্ত নির্বাচনে পিজাইডিং  অফিসার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুজিত কুমার সাহা  জেলা কালচারাল অফিসার, খুলনা । প্রধান নির্বাচন  কমিশনার এর দায়িত্বে ছিলেন মারশাফি মহাম্মদ অর্ক এবং মোঃ রকিবুল ইসলাম । সকল প্রার্থীর ভোট গ্রহন শেষে পিজাইডিং  অফিসার।  জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মোঃ আবুল আলম সকল প্রার্থীদের সম্মুখে ভোট গননা করনে । ভোট গননা শেষে নির্বাচিত ১১ কমিটির নাম ঘোষনা করেন পিজাইডিং  অফিসার । নির্বাচনে বিজয়ী  ১১  সদস্যের নাম হল –

১. সভাপতি – লিটন হাওলাদার ।

২ .সহ- সভাপতি – পুূজা সাহা ।

৩ .সাধারণ সম্পাদক – জান্নাতুল ফেরদৌস রুবা ।

৪.যুগ্ন – সাধারণ সম্পাদক – হিমাদ্রি সরকার রাজন ।

৫ .সাংগঠনিক – সম্পাদক – রাফিয়া ইসলাম ।

৬ .চাইল্ড পার্লামেন্ট ছেলে – ইমাম আবু জুবায়ের ।

                           মেয়ে – নুসরাত জাহান সুমনা ।

৭. শিশু সাংবাদিক ছেলে- আরিয়ান নুহান ।

                        মেয়ে- জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু ।

৮. শিশু গবেষক ছেলে- সানজিদ হাসান সাজিন ।
মেয়ে- সানজিদা ইসলাম ।

উক্ত কমিটি আগামী ২ বছরের জন্য নির্বাচিত হল । নির্বাচনের সাার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন মো : মিদুল ইসলাম মৃদুল ।

এনসিটিএফ খুলনার দ্বি বার্ষিক নির্বাচন ও বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৬

এনসিটিএফ খুলনার দ্বি বার্ষিক নির্বাচন ও বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৬

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কনফারেন্স

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কনফারেন্স

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কনফারেন্স

আদ্য সকাল ১০ টায়, জেলা প্রসাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো শিশু সহিংসতা প্রতিরোধ কল্পে বাল্য বিবাহ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিকরন কর্মসূচি।  উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির অনুপস্থিতিতে,  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবদুল সামাদ ( বিভাগীয় কমিশনার খুলনা ),  মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন – ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম ( কর্মসূচি পরিচালাক মহিলা ও শিশু মন্ত্রনালয়)  এবং অনুষ্ঠানে সভাপতি জেলা প্রসাসক মহদয়ের অনুপস্থিততে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রসাসক খুলনা।  উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষক,  কাজী,  পুরহিত,  নানা জিও, এনজিওর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিশুদের পক্ষ থেকে খুলনা এনসিটিএফ এর ছয়জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।  শিশুদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রতান করে – দীপন দে (শিশু গবেষক, খুলনা এনসিটিএফ)  এবং এইচ. এম লিটন হাওলাদার ( চাইল্ড পার্লামেন্ট খুলনা এনসিটিএফ)।
এখানে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে নানামুখি পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধক আইন সম্পর্কে বিশ্লেষন করা হয়।  সরকারের নানামুখি পদক্ষেপের কথাও বলা হয়।   বালিকা বধু নয়,  এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে।

দীপন দে, শিশু গবেষক -খুলনা এনসিটিএফ।

জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার ২০১৬

জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার ২০১৬ এর সনদ পত্র বিতরণ

জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার ২০১৬ এর সনদ পত্র বিতরণ

অদ্য সকাল ১০ টায় খুলনা জেলা শিশু একাডেমী প্রঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল  জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার ২০১৬ এর প্রতিযোগিতা ও সনদ পত্র বিতরণ।  উক্ত অনুষ্ঠানে খুলনা জেলার নানা প্রান্ত থেকে প্রতিযোগিরা অংশগ্রহন করে। উৎসব মুখোড় পরিবেশে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগীতা শেষে সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খুলনা শিশু একাডেমী। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার সুজগ্য জেলা প্রশাসক মহোদয় জনাব, মোস্তফা কামাল। তিনি বিজয়ীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। সনদপত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। জেলা পর্যায়ে বিজয়ী শিশুরা আগামী ১৬ জানুয়ারি যশোর শিল্পকলা একাডেমী যাবে বিভাগীয় পর্যায়ে    প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে।

দীপন দে, শিশু গবেশক,খুলনা এনসিটিএফ।

ওরাও পরিস্থিতির শিকার

একটা শিশু যখন মায়ের কোলে জন্ম নেয় তখন সে থাকে ফুলের মত নিস্পাপ ।  আস্তে আস্তে সে রড় হয়।  এক এক শিশুর বড় হওয়ার ধরণ এক এক রকম।  অধিকাংশ শিশু মা – বাবার আদরের ভেতর দিয়েই বড় হয় , আবার অনেক শিশু আছে,  যাদের জন্ম হয় ঠিকই কিন্তু  তাদের জন্ম পরিচয় তারা নিজেই জানেনা।  জন্মই তার ভুল।  এ ধরনের শিশুদের পথ শিশু বলা হয়।  এদের বাড়ি ঘর বড়তে কোন জিনিস থাকেনা, এদের অবস্থা, যেখানে রাত সেখানে কাথ।  সাধারনত রাস্তাই এদের বাড়ি – ঘর।  বুঝতে শেখার পর পরই অর্থ উপার্জনে নেমে যায় এরা,  ক্ষুধাটা নিবারন করার জন্য।  অর্থ উপার্জনের জন্য টোকাইয়ের পেশাটাকে ওরা শ্রেয় বলে মনে করে ।  সারাদিন নানা জিনিসপত্র টোকায়, রাতে ওইগুলো বিক্রি করে কিছু টাকা পায় ।  উপার্জিত টাকা খাবারের পিছনে ব্যয় না করে  নানা ধরনের নেশার দ্রব্যের পিছনে ওরা ব্যয় করে। নেশার দ্রব্যের ভিতর ডান্ডি, সিগারেট অন্যতম।  যত  বড় হতে থাকে নেশার দ্রব্যের পরিমানও বাড়তে থাকে।  এদের মধ্যে অনেকে চুরিও করে। চুরি করতে গিয়ে ধরা পরলে মারও খায়, কিন্তু পরমুহুর্তে সব ভুলে আবার আগের মত সব শুরু করে।  বড় হতে থাকলে চুরির ধরনও বাড়তে থাকে।  অস্তে আস্তে এরা ছিনতাই কারিতে পরিনত হয় ।

ওদের জীবনটা মাদকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।  ওদের বোঝানোর মত কেউ নাই তাই ওরা নিজেরা যেটা ভাল মনে করে,  নিজারা যেটা ভাল ভাবে সেটাই করে।

ওরাওতো পারতো ভালভাবে বাঁচতে,  ভালভাবে থাকতে কিন্তু আমাদের সমাজ তাকে ভাল থাকতে দেয়নি,  পরিস্থিতি ওদের আজ এ অবস্থায় এনে দাড় করিয়েছে।  ওরাও পরিস্থিতিরর শিকার ।  আমরাই পারি ওদের ভাল পথে আনতে।  আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ ওদের অধিকারটা ওদের বুঝিয়ে দেওয়া।

downloadদীপন দে,
শিশু গবেষক
খুলনা এনসিটিএফ।