Posts

শিশু অধিকার নিশ্চিত এবং শিশুশ্রম হ্রাস করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে

ফরিদা চৌধুরী হ্যাপী: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায়, চাইল্ড রাইটস এ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন, বাংলাদেশ এর আয়োজনে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের শিশু শ্রম হ্রাসকরণ প্রকল্প ও কর্ণফুলি আরবান এডিপি এর সহযোগীতায় আজ চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি হোটেলে শিশু অধিকার সনদের ঐচ্ছিক চুক্তি (Optional Protocol 3) বিষয়ক মতবিনিময় কর্মশালায়IMG_2795 বক্তাগণ উপরোক্ত মতামত প্রদান করেন। উক্ত মত বিনিময় সভায় চট্টগ্রামে সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এন.সি.টি.এফ),  শিশু ফোরামর সদস্য, উন্নয়নকর্মী, অভিভাবক,  ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মী সহ মোট ৭২ জন  প্রতিনিধি আংশ গ্রহন করেন। বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তাহমিনা বেগম এনডিসি, যুগ্ম সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  জনাব  আব্দুল জলিল।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল চাইল্ড প্রোটেশশন কো অর্ডিনেটর তানজিনা আক্তার শুরুতেই এই কর্মশালার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। জনাব  আব্দুল জলিল তার বক্তব্যে বলেন “শিশুরাই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। শিশু অধিকার নিশ্চিত এবং শিশুশ্রম হ্রাস করতে হলে সকলকে এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে এবং সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে”।

IMG_2783

সেভ দ্যা চিল্ড্রেন এর ম্যানেজার মামুনুর রশিদ পরবর্তীতে অপশনাল প্রোটোকল, এর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, অপরাজেয় বাংলাদেশের শিশুশ্রম হ্রাসকরণ প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা জনাব মাহবুবুল আলম ও  চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার শাহরিয়ার তামিম সৌরভ জানান, জাতীয় শিশু আইন-২০১৩ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপশনাল প্রোটোকল-৩ এ স্বাক্ষর করার জন্য ইতিবাচক মতামত প্রদান করেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম ও তারেক সোলায়মান সেলিম শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য  আহবান করেন। বিশেষ অতিথি তাহমিনা বেগম তার বক্তব্যে জানান, সরকার অপশনাল প্রোটোকল-৩ এ স্বাক্ষর করবে কিনা এই বিষয়ে মতামত জানতে বিভাগীয় পর্যায়ে  এই ধরনের কর্মশালা হচ্ছে। সকলের মতামত নিয়ে সরকার অপশনাল প্রোটোকল-৩ এ স্বাক্ষর করার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তিনি আরো জানান, সরকার শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের কার্যক্রমে চলমান থাকবে।

ইউনিয়ন ভিত্তিক এনসিটিএফ শিশুদের মাঝে জীবন দক্ষতা বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ মেহেরপুরের বুড়িপোতা ইউনিয়নে সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দিন ব্যাপি ইউনিয়ন ভিত্তিক এনসিটিএফ এর শিশুদের মাঝে এক ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে ‘সেভ দ্য চিল্ড্রেন’। এ ওরিয়েন্টেশনে ‘জীবন দক্ষতা’ এনসিটিএফ এর পূর্ণ ধারনা, কর্মকাণ্ড এবং এনসিটিএফ কয়টি স্তরে কাজ করে এবং কিভাবে কাজ করে এ বিষয়ে ইউনিয়ন কমিটির সদস্যদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বস্তুত আগামী মাসের শিশু সপ্তাহ উপলক্ষে মেহেরপুর জেলার সকল ইউনিয়ন কমিটির সদস্যরা তাদের ইউনিয়নের নীতি নির্ধারনি পর্যায়ে যারা আছে যেমন, চেয়ার ম্যান মহোদয়,মেম্বারগণ,ইউনিয়নের স্কুল প্রধানগণদের সাথে বসে ঔ ইউনিয়নের শিশুদের পরিস্থিতি নিয়ে ‘মুখো মুখি’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করে তাদের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনাতে তারই পূর্ব প্রস্তুতির জন্য এ ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করা হয়। এ ওরিয়েন্টেশনকে আমরা ইউনিয়ন ভিত্তিক মিনি পার্লামেন্ট ও বলতে পারি। এ ওরিয়েন্টেশনে সার্বিক সহযোগিতা করেন সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলিন্টার ‘শাইদুল ইসলাম শান্ত’।

কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর প্রতিমাসের ন্যায় হাসপাতাল মনিটরিং অনুষ্ঠিত এবং অন্যন্য সাফল্য।

গত ১১ ই এপ্রিল এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলার কার্যনিবাহী কমিটির শিশু গবেষকের নেতৃত্বে সকাল ১০.৩০ টায় হাসপতাল মনিটরিং অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবারের সদর হাপসাতালের শিশু ওয়ার্ডের অবর্জাহভেশন রুমের চিত্র ছিলো অন্যান্য মাসের চেয়ে অনেক ভিন্ন। কারণ আগে শিশু ওয়ার্ডে অবর্জাহভেশন রুমে সবাই জুতা সেন্ডেল পড়ে প্রবেশ করতো। যার ফলে শিশুদের অনেক জিবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতো।

এদিকে এই সমস্যার বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেনের ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়াকে অবহিত করায় কুষ্টিয়ার জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেfinal-01-sobujbartaন এই বিষয়টি নজরে নিয়ে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট প্রেরণ করে উল্লেখিত সমস্যাটি সমাধান করে থাকেন। গতকাল হাসপাতাল মনিটরিং এর শেষে এন.সি.টি.এফ. এর শিশুরা ডাঃ জমির উদ্দিন ,(শিশু কনসালটেন্ট এবং বিভাগীয় প্রধান শিশু বিভাগ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ) সাক্ষাতকার করার সময় জানতে চাওয়া হয় যে, বর্তমানে আবহাওয়ার প্রবাহরে জন্য শিশুদের ওপর কিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে এ বিষয়ে তিনি বলেন বর্তমান আবহাওয়া শিশুদের জন্য খারাপ এর মূল কারণ হচ্ছে রোদ্রের তাপ বেশি যার ফলে শিশুরা জ্বর, এআরআই এর মত রোগে আক্রান্ত হতে পারে । এছাড়া তিনি আরও বলেন এই সময়ে ডায়রিয়ার মত খারাপ রোগেও আক্রান্ত হতে পারে ।

এই জন্য শিশুদের সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে এবং খাবারের সময় ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং পচা বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। আর এদিকে এআরআই রোগ সম্পর্কে ডাঃ জমির উদ্দিন বলেন শিশুদের ফিডার খাওয়ানো যাবে না এর ফলে শ্বাস কষ্ট হয় । এবং বুকের দুধ উঁচু করে খাওয়াতে হবে ।

আর এ সকল সমস্যা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অসুস্থ শিশুদের অসুস্থা বেড়ে যাওয়া সহ মৃত্যুর কারণ হতে পারে । আর অন্যদিকে সদর হাসপাতালের অবর্জাভেশন রুমটির বর্তমান চিত্রে আনার জন্য সাহায্য করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষতে শিশুদের নিয়ে আরো ভালো ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। এবং এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়া জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাথে এক সাক্ষাতকারে তারা বলেন আমরা সবার সহোযগীতা নিয়ে আরো ভালো কাজ করতে চাই । এবং কুষ্টিয়া জেলাকে শিশুবাদ্ধব জেলা হিসেবে দেখতে চাই ।

এই বিষয়ে পূর্বের নিউটি দেখুন

http://bit.ly/1Fk5Q4X

মেহেরপুরে কুতুবপুর ইউনিয়ন এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

বুধবার ১৩ই মে ২০১৫ মেহেরপুর জেলা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন এনসিটিএফ কমিটির বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমঝুপি ইউনিয়নে বর্তমানে এনসিটিএফ সদস্য সংখ্যা প্রায় ২০০ জন। এনসিটিএফ ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ পরিষদের প্রায় ৩০ জন সদস্য উপস্থিত হয়।

এনসিটিএফ কুতুবপুর ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এনসিটিএফ কুতুবপুর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি লাবনী গত বছরের সফলতা সমূহসহ প্রতিবেদন পেশ করেন। ইউনিয়ন কমিটির শিশুরা ৪ দলে ভাগ হয়ে দলীয়ভাবে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা

তৈরী করে। দলীয় কাজ শেষে প্রত্যেক দল থেকে ১জন ছেলে ও ১জন মেয়ে যৌথভাবে দলগত কর্মপরিকল্পনা সমূহ উপস্থিত এনসিটিএফ এর সাধারণ পরিষদের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথি বর্গের সামনে উপস্থাপন করে ও এনসিটিএফ সদস্যরা যেসব কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা দরকার তার জন্য আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দের নিকট তা আহ্বান করে। প্রত্যেক দলের উপস্থাপন শেষে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ, প্রধান শিক্ষক বৃন্দ এনসিটিএফ এর কাজের জন্য তাদের অন্তর্ভূক্ত করায় এনসিটিএফ ও সেভ দ্য চিলড্রেন কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এবং সুনির্দিষ্টভাবে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরে।

এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইদ্রিস আলী এনসিটিএফ এর ২ জন (১জন ছেলে ১জন মেয়ে) সদস্যকে সমন্বয় সভায় অন্তর্ভূক্তির ঘোষনা দেন। এছাড়া এনসিটিএফ এর আয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন এর ঘোষনা দেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসে এনসিটিএফ এর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন, ৬ মাস অন্তর অন্তর পৌরসভা পরিষদের সাথে এনসিটিএফ এর সভার আয়োজন সহ এনসিটিএফ এর সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে ঘোষনা দেন।এছাড়া এনসিটিএফ সদস্যদের গৃহিত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন শেষে এর সময়োপযোগী ও শিশু বান্ধব এ কর্মসূচীর পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব ইদ্রিস আলী । এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সিসিজি সদস্য, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর কেন্দ্রীয় ভলান্টিয়ার (এনসিটিএফ) মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা ভলান্টিয়ার মেরিনা পারভীন এবং এস.এম. আব্দুল মান্নাফ।

কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ও এনসিটিএফ এর উদ্যেগে নিরাপদ হল অবজারভেশন রুম

সাজিদ হাসান (কুষ্টিয়া): গত ২৫ তারিখে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি মুসাব্বির হোসেন কুষ্টিয়া জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড এর অবজারভেশন রুমের সমস্যা নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল  হোসেন মহোদয় কর্তৃক পরিচালিত জেলা প্রশাসন এর ফেসবুক পেজে একটি পোষ্ট প্রদান করলে জেলা প্রশাসন থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়।

এনসিটিএফ কুষ্টিয়ার স্বউদ্যোগী কাজের অংশ হিসেবে প্রতি মাসে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করা হয়। শিশু ওয়ার্ডে জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও শিশু ওয়ার্ডে ডাক্তার এবং নার্সরা শিশুদের সুন্দরভাবে সেবা দিয়ে যচ্ছে। বেশীরভাগ মনিটরিং এ রোগীর স্বজনরা সেবাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কিন্তু শিশু ওয়ার্ডে অবজারভেশন রুমে রোগীর স্বজনদের জুতা সেন্ডেল পড়ে ঢুকার বন্ধ করা যাচ্ছিল না।

তার পাশাপাশি অবজারভেশন রুমে জনসাধারণের প্রবেশ এ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রোগীর স্বজনরা সেখানে ভীড় করে থাকে। গত ২২ এপ্রিল এনসিটিএফ কুষ্টিয়া মনিটরিং এর সময় আবারো একই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে এবং এনসিটিএফ সদস্যরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করার জন্য ফেসবুক পেজ এ সমস্যা সংক্রান্ত পোস্ট প্রদান করা হয়। এবং কুষ্টিয়া জেলার   সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল  হোসেন  এই পোষ্টের ভিতিতে আজ নিজে একটি নোটিশ জারি করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ কুষ্টিযা জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের উপ-পচিালক  মহোদয় এর উপস্থিতিতে   শিশু ওয়ার্ড এর অভজারভেশন রুমের সামনে নোটিশটি লাগানো হয়। নোটিশে বলা হয় ভেতরে যদি কেও জুতা সেন্ডেল পরে প্রবেশ করে তাহলে তাকে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়ার প্রত্যেক সদস্য জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তারা আরো বলেন এনসিটিএফ সদস্যদের চেষ্টা সার্থক হয়েছে এবং জেলা প্রশাসন থেকে পরবর্তীতে আরো সহযোগিতা পাবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেন  এবং জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলার  হোসেন মহোদয়ের এর সাহায্য পেলে কুষ্টিয়া জেলাকে একদিন শিশু বান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তুলবে এটা কুষ্টিয়া জেলার এন.সি.টি.এফ এর প্রত্যাশা বলেও জানান।

এনসিটিএফ:

এনসিটিএফ জাতীয় পর্যায়ের একমাত্র শিশু সংগঠন যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত। এনসিটিএফ শিশুদের দ্বারাই গঠিত ও পরিচালিত। সংগঠনটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সাথে সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় কাজ করে চলেছে। এনসিটিএফ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে বাংলাদেশের শিশুদের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এনসিটিএফ শিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাতীয় সংগঠন হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও স্বীকৃত। শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে  ইতিমধ্যে এন.সি.টি.এফ চাইল্ড পার্লামেন্টের ১২টি সেশন আয়োজন করতে সফল হয়েছে। যেখানে মন্ত্রীপরিষদের বিভিন্ন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণ উপস্থিত ছিলেন। গত ২১ এ ডিসেম্বর ২০১৪ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার জনাব ফজলে রাব্বী মিয়া প্রধান অতিথিত্বে চাইল্ড পার্লামেন্টের ১২ তম অধিবেশন সম্পন্ন হয়েছে।  এছাড়া এনসিটিএফ এ প্রত্যেক জেলাতে চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য,  শিশু সাংবাদিক ও শিশু গবেষকবৃন্দ ও সদস্যদের নিবিড় কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু অধিকার সংরক্ষণ ও  বাস্তবায়নে সংগঠনটি কাজ করে আসছে। বাংলাদেশে শিশু অধিকার কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং তার অগ্রগতি কি তা (তৃণমূল, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে) নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ (মনিটরিং) করে থাকে সংগঠনটি। বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় মাননীয় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে গঠিত জেলা শিশু অধিকার ফোরাম কমিটিতে একজন করে এনসিটিএফ সদস্যকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

আরো জানতে: www.nctfbd.org


Children use social media for Advocacy.

On 25 April, 2015 Deputy Commissioner of Kushtia Sayed Balal Hossain announced a notice and on that basis the Deputy Magistrate and the assistant Director of Khustia City hospital (250 Bed) put a written notice in front of the child ward that whoever will break the rules of hospital (enter into the child ward with shoe and make noise in child ward) he or she must bring under the punishment through mobile court.

Nation Children’s Task Force (NCTF) took another self-initiative activity to secure the safety of the child patient in 250 bed city hospital Khustia .parents and relatives who often come to visit the sick children in observation hour, they enter the ward with their shoe and not only that they also make the child ward noisy and crowded as well. Treatment is a basic right of children and proper environment of a hospital especially into the ward more precisely in child ward is an obligatory issue. NCTF as a self-initiative task use to visit the City hospital child ward monthly. As a part of their monthly activities on 22April, 2015 NCTF Khustia visit the City Hospital (250 Bed) in Khustia and their findings about the service of the hospital is up to the mark though there is a lack of manpower. Mostly In term of monitoring the parents and relative of the child patient are satisfied with service of doctor and nurse as well as the hospital. But fact is that at the time of observation the relatives of the patient enter into the child ward with their shoe which is highly risky and unhygienic for the child patient and it could be dangerous for the sick child. Not only that a hospital should be a quiet and calm place but the visitors often make the ward noisy and highly crowded. Though the entry of the visitor with shoe and make noise in the observation room is highly restricted but people often break the rules. The President of Khustia district NCTF Musabbir Hossain gave a post on the district Facebook page and mentioned the serious problem to draw the attention of authority (Deputy Commissioner). After see the face book post the Deputy Commissioner of Khustia took initial step towards solving the problem and gave order to put a written notice. The District Magistrate and the assistant Director of Khustia City hospital were put a notice in front of the child ward. On the notice they mention that enter into the ward with shoe and make noise into the ward is a malpractice which is prohibited. If anyone further disobeys the rules he or she must be accountable for breaking the rules and would be bring under the mobile court for punishment.

NCTF members express cordial gratitude to the Deputy Commissioner and District Administration of Khustia for their initial and faster step. The Deputy Commissioner appreciates and encourages NCTF to carry one such kind of self-initiatives activities. He also added that if needed he is always ready to help NCTF and he has a long term goal that he wants to build Khustia as a child friendly district. This kind of self-initiatives activities of NCTF is obviously a huge achievement which will develop a required environment in hospital and also ensure better treatment for children.

কুষ্টিয়ায় শিশুর প্রতি সহিংসতা নিরসন শীর্ষক অবহিতকরণ ও প্রচারনা সভায় এন.সি.টি.এফ কুষ্টিয়া।

গত ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শিশুর প্রতি সহিংসতা নিরসন শীর্ষক অবহিতকরণ ও প্রচারনা সভা। অপরাজেয় বাংলাদেশ এর আয়োজনে, এসডিএফ এর আর্থিক সহায়তায় ও নিকুশিমাজ আয়োজন সহযোগিতায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভার মূল উদ্দেশ্য শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়গুলো সকলের সামনে তুলে ধরা এবং শিশু সহিংসতা প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করা। নিকুশিমাজ এর নির্বাহী পরিচালক সালমা সুলতানা এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন কুষ্টিয়ায় সম্প্রতি সময়ে আত্মহত্যা প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আত্মহত্যা প্রবনতা কমানোর জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। এছাড়া গৃহকর্মে শিশুদের নির্যাতনের বিষয়েও তিনি গুরুত্ব প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান সিভিল সার্জন, মোঃ আব্দুল গনি উপ-পরিচালক সমাজ সেবা কার্যালয়, সফুরা ফেরদৌস জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ও বিস্তারিত আলোচনা করেন অপরাজেয় বাংলাদেশের সাফিয়া শামিমা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নিকুশিমাজ এর সভাপতি অধ্যাপক আসাদুর রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে শিশুদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স, কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি মুসাব্বির হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ কুষ্টিয়ার সদস্যবৃন্দ, সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিওয়াইভি মোঃ আসাদুজ্জামান সহ বিভিন্ন সংগঠন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

NCTF accountability session on rights of the child holds in Rajshahi

An accountability session on the rights of the child held at Rajshahi at deputy commissioner’s conference room on September 29. National Children’s Task Force (NCTF) Rajshahi organised the session in association with district administration, Bangladesh Shishu Academy, Save the Children and Plan International Bangladesh.

Additional Deputy Commissioner SM Tuhinur Rahman, Police Super Mohammad Alangir Kabir, Districtt Education Officer Mohammad Ruhul Amin, Plan International Senior Manager Faroque Alam Khan were guests at the event. Children raised their demands on different issues on their rights to the district administration as well as civil society.

Children groups focused on some alerting issues like – early marriage, abusing in political violence, violence against  children at family and social level and abusing though drugs etc from their parts.

The guests and civil society representatives agreed with children demands and expressed their good will to stay besides children.

District Child Affairs Officer Mosharaf Hossen, NCTF President Tuhin Khan, Child Friend Committee President Sukhen Kumer Mukharji, National women award – Joyita winner Mosammat Rahima Begum, Rajshahi University academician Azmal Huda Mithu were attended while NCTF members Asma Islam and Asif Mahmood Emon hosted the accountability session. Save the Children Youth Volunteer Rasel Ahmed assisted the programme.

Prepared By Jannatul Islam Rahad, Ex NCTF Member

রাজশাহীতে শিশুদের অধিকার বিষয়ক জবাবদিহিতা অধিবেশন অনুষ্ঠিত

এনসিটিএফ এর উদ্যেগে জেলা প্রশাসন রাজশাহী,বাংলাদেশ শিশু একাডেমী রাজশাহী,সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ৩.০০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শিশুদের মুখোমুখি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জনাব এস এম তুহিনুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাজশাহী, জনাব মোঃ জনাব আলমগীর কবীর পুলিশ সুপার, রাজশাহী। জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব খো: রুহুল আমিন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জনাব ফারুক আলম খান। উক্ত অনুষ্ঠানে শিশুরা তাদের বিভিন্ন যোক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরে প্রশাসন ও সুশিল সমাজের সামনে। বিশেষ করে রাজনীতে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ, সারা বাংলাদেশ এই বাল্য বিবাহ বন্ধের লক্ষ্যে কি করনীয়, মাদকের নামকতা রোধে কি করনীয় , শিশুদের নিরাপত্তা, শিশুদের উপরে নির্যাতন সকল বিষয়ে প্রশ্ন উত্তর পর্বনিয়ে সাজানো হয় শিশুদের মুখোমুখি। উপস্থিত অতিথিদের উত্তরে এবং সুশীল সমাজের সম্পূরক প্রশ্নে অনুষ্ঠানটি অনেক প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এবং অতিথিদের উত্তর ছির শিশুদের জন্য সন্তোষজনক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোশাররফ হোসেন প্রধান জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, রাজশাহী। জনাব তুহিন খান, সভাপতি এন সি টি এফ, রাজশাহী,সুখেন কুমার মূখার্জীু-সভাপতি শিশু বন্ধু কমিটি, রাজশাহী,মোসা রহিমা বেগম-জাতিয় পুরুষ্কার প্রাপ্ত জয়িতা ও সদস্য শিশু বন্ধু কমিটি, রাজশাহী, আজমল হুদা মিঠু শিক্ষক, রাজশাহী বিম্ববিদ্যালয়। এছাড়া সরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্পীকারের দায়িত্ব পালন করেন আসমা ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ ইমন এনসিটিএফ, রাজশাহী। সার্বিক সহযোগিতা করেন রাসেল আহমেদ।