কৈশোর বয়স ও এ সময়ের লক্ষণীয় দিক ।
মুসাব্বির হোসেন : World Health Organization (WHO) এর মতে ১০ থেকে ১৯ পর্যন্ত বয়সকে টিনএজ বা কৈশোর বলে। এই বয়সটা নিয়ে বেশিরভাগ অভিভাবকই উদ্বিগ্ন থাকে যেন সন্তানের টিনএজ বা কৈশোর সময়টা ভালভাবে পার করা যায়। আসলে এ সময়টা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। কিছু বিষয় আয়ত্তে রাখলে এসব সমস্যা থেকে দূর রাখা যায়। এ সময় সন্তানের বিভিন্ন শারিরিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। ১.হঠাৎ করে শরীরের গঠনগত পরিবর্তন। ২.হরমোনের কারণের পরিবর্তন ৩.আবেগের ও চাওয়া-পাওয়া পরিবর্তন ইত্যাদি। এসময় সন্তান নিজের মত করে পৃথিবিকে দেখতে চায়,ব্যাখ্যা করতে চায়,ভাবতে চায়,নিজেকে মনে করে অথরিটি ফিগার। আবার অন্যের সমালোচনা গ্রহণ করতে চায় না,অন্যের ভুল ধরতে চায়,তাদের মধ্যে ভাবনা আসে সবাই যেন তাদের দিকে মনোযোগ দেয়। আবার তাদের ভেতরে এক ধরনের সামুদ্রিক ঝড়ের মত উদ্ভব হয় যাকে আমরা Inner turmoil বলি।এ বয়সে নিজেকে উপস্তাপন করা,প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেওয়া,আজানাকে জানাকে আগ্রহ কৌতূহল বেশি তাকে। এ বয়সে আরো অনেক সমস্যা হয়ে থাকে: *কৌতুহলের কারণে নেশায় আসক্ত হতে পারে। *কি করছে কি পরিণতি হতে পারে এসব নিয়ে হিতাহিত জ্ঞান না থাকা। *অনেক ছেলে মেয়ে প্রেমে পরে যায় *হঠাৎ আচার ব্যাবহার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় *নিজেকে বিভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে না *মোবাইলে রাত জেগে কথা বলা,ইন্টারনেট ফেসবুক ব্যাবহার অনেক গুণ বেড়ে যায়।