জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে এনসিটিএফ কুষ্টিয়ার মত বিনিময় সভা

 

NCTF Dialogue DC Office 2

NCTF Dialogue DC Office

 

 

 

 

 

 

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩০ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল  এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলার মত বিনিময় সভা। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও ন্যাশনাল চিলড্রেন্’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), কুষ্টিয়ার এর আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন, সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় ৬৪ জেলার ন্যায় কুষ্টিয়াতেও অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের সেরা জেলা প্রশাসক ও কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব সৈয়দ বেলাল হোসেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বাল্য বিবাহ, শারিরিক শাস্তি, মাদক ও মাদকাসক্তি রোধের উপর শিশুদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা প্রশাসক সহ দায়িত্ববাহক কর্মকর্তা বৃন্দ।

জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মখলেছুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে শিশু অধিকার সনদ সহ আজকের আলোচ্য বিষয়ের গুরুত্ব সমূহ তুলে ধরেন এবং শিশুদের সমস্যাগুলো শিশুদেরকেই তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করেন তিনি তাঁর বক্তব্যে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, শারিরিক শাস্তি নির্মূল এবং মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে শিশুদেরও রক্ষায় চলমান কার্যকর ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে এনসিটিএফ এর লোকাল ফান্ড এর বিষয়ে যে কোন প্রয়োজনে তার নিকট যাওয়ার জন্য বলেন। তিনি বলেন যে কোন শিশুর প্রয়োজনে তিনি সবসময় এগিয়ে যান এবং এনসিটিএফ যদি এ বিষয়ে কোন সুপারিশ করে তিনি বিষয়টি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন। তিনি  আরো বলেন- ”জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ এ বাল্য বিবাহ, মাদক এর ব্যবহার সহ শিক্ষকদের জোর করে প্রাইভেট পড়ানো, শাস্তি প্রদান করার বিষয়ে যে কোন অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তিনি এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের মোবাইল নাম্বার উপস্থিত শিশুদেরকে দেন এবং বলেন শিশু অধিকার বাস্তবায়নে যে ক্ষেত্রেই সমস্যা হোক তোমরা ফোন দিয়ে আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিব”।

এছাড়া জেলা তথ্য অফিসার জনাব মোঃ তৌহিদুজ্জামান শিশুদেরকে বলেন তথ্য অফিস বাল্য বিবাহে রোধে আমরা ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে থাকি। যে সকল এলাকায় বাল্য বিবাহ বেশী সে সকল এলাকা এনসিটিএফ চিহ্নিত করে আমাদের কে বললে আমরা সে সকল এলাকায় যাব।

এদিকে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আল মামুন শিশুদের প্রশ্নের এবং তথ্যের প্রেক্ষিতে বলেন শিশুরা যে সকল স্থানে মাদক গ্রহন করছে সে সকল স্থানে আমরা নজরদারি বাড়াবো এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

এছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তরাও শিশুদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং এনসিটিএফকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) এর সভাপতি মোঃ মুসাব্বির হোসেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সায়েদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসেন আলী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কুমারখালী -আনিছা আফরোজ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অরটব (সিআরজি) এর জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ আসাদুজ্জামান ও লাইলাতুল আফিয়া।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী হিসেবে উপস্থিত ছিল এনসিটিএফ কুষ্টিয়ার সদস্য বৃন্দ।

সদর হসপাতাল পরিদর্শনে পিরোজপুর জেলা এনসিটিএফ।

NCTF৫-১১-১৪ইং রোজ বুধবার সকাল ১১ টায় পিরোজপুর সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যায় এন.সি.টি.এফ এর একটি টিম। পরিদর্শন কর্মসূচীতে ছিলো এন.সি.টি.এফ এর সাধারন সম্পাদক নাবিল খান,মাহবুবা গাজী,অহনা আশা,প্রিয়তা মন্ডল,আনিকা ও সিফাত। এবং সার্বিক তত্বাবধানে ছিলো এন.সি.টি.এফ পিরোজপুর জেলা শাখার ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টিয়ার অনন্যা। হাসপাতাল এর শিশু ওয়ার্ড টি আমরা এক ঘন্টার ও বেশি সময় ধরে ঘুরে দেখি। শিশু ওয়ার্ড এ বেশিরভাগ শিশুর বয়স ই ৪ বছর এর নিচে। কয়েকজন শিশু ছিলো ৪-৫ মাস বয়সের। তাদের মায়েদের সাথে কথা বলে আমরা শিশুদের তথা হাসপাতাল কতৃপক্ষ ব্যাপারে জানতে চেয়েছি।এবং প্রায় সকল মতামত আমরা অনুকূলে পেয়েছি। হাসপাতাল এর পরিবেশ,খাদ্য সরবারহ সব ই অনুকূলে রয়েছে। যেটুকু সামান্য অভিযোগ আম রা পেয়েছি তা ছিলো ঔষধ সরবারহ নিয়ে।
শিশু বিভাগের ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ অনুপস্থিত থাকায় আম রা কথা বলেছি হাসপাতাল এর আবাসিক ইনচার্জ ড. ননী গোপাল এর সাথে।
হাস পাতালের নার্সরাও ছিলেন যথেষ্ট সহযোগিতাপূর্ণ।হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমাদের সার্বিক সহায়তা করেছেন।

”জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ”এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক মত বিনিময় সভা করল এনসিটিএফ ঢাকা জেলা

“জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ”এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক মত বিনিময় সভা করল এনসিটিএফ ঢাকা জেলা।

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ঢাকা জেলার উদ্যোগে ২৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে “জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ”এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক জনাব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

এনসিটিএফ ঢাকা জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং সাধারণ সদস্যদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সদস্যরা এনসিটিএফ এবং শিশু অধিকার সনদ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট জিজ্ঞাসা রাখেন। সর্বশেষ জেলা প্রশাসক মহোদয় এনসিটিএফ ঢাকার কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং যে কোন প্রয়োজনে তাঁর সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
এছড়াও এনসিটিএফ ঢাকা জেলার সদস্যদের পত্রিকা প্রকাশনের জন্য একটি কম্পিউটার এবং প্রিন্টার উপহার দেয়ার আশ্বাস দেন।

এই মতবিনিময় সভার সার্বিক সহায়তায় ছিল শিশু একাডেমি ঢাকা জেলা, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্লান বাংলাদেশ।

শিশুদের আদর্শ মানুষ হতে হবে !

DSC_1323জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে র‌্যালি ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক, খুলনা শিশুদের হতে হবে আদর্শ মানুষ এবং আদর্শ নাগরিক কারন তারাই হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে সমাজের পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনা করে হতে হবে সচেতন। তারা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতন হলে সমাজে ও দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে। এমন কথাই বলেন জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আনিস মাহমুদ জেলা প্রশাসক, খুলনা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুলতান আলম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ), খুলনা, মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), খুলনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল কাইয়ূম, চেয়ারপার্সন নাগরিক ফোরাম, খুলনা, প্রভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, প্রজেক্ট ডিরেক্টর ওয়ার্ল্ড ভিশন (সিএসপি), স্বপন গুহ, নির্বাহী পরিচালক, রূপান্তর, শামিমা সুলতানা শিলু, প্রধান নির্বাহী মাসাস, মোঃ আবুল আলম জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা,বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, খুলনা, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন মোঃ রকিবুল ইসলাম, সভাপতি, এনসিটিএফ, খুলনা। ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), খুলনা এর আয়োজনে জেলা প্রশাসন, খুলনা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, প্লান বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় উক্ত অনুষ্ঠানটি। শিশুদের মাদক থেকে দুরে রাখা, রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে শিশুদের বিরত রাখার ক্ষেত্রে সকলকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং শিশুদের যে কোন সমস্যা হলে প্রশাসনের সকল ধরনের সহযোগিতা পাবে বলে অতিথিবৃন্দ আশ্বাস প্রদান করেন। সাথে সাথে শিশুদেরকেও এ সকল বিষয়ে সক্রিয় হওয়ার আহবান জানায় অতিথিবৃন্দ। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামানুজ চন্দ্র রায় ওয়ার্ল্ড ভিশন, প্রিন্স মাহমুদ অপরাজেয় বাংলাদেশ।

A team from Save the Children UK visited NCTF Dhaka District office

 

10710533_570869563059107_2365680472580752037_n

NCTF Committee with SC UK visitors

A team from Save the Children UK visited NCTF Dhaka District office in 20th November at 2.00pm. The members of NCTF Dhaka District gave a brief presentation about the activities of NCTF. They also shared a video of a session of Child Parliament.

NCTF গোপালগঞ্জের নবান্ন উৎসব।

10399451_805171796213063_8493107072865497794_nগত ১৫ই নভেম্বর রোজ শনিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমী গোপালগঞ্জ জেলা শাখা এক বর্ণাঢ্য নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছিল যেমন- হাড়ি ভাঙ্গা, বিস্কুট দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজ ইত্যাদি। প্রতিযোগীতায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিল।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং আরও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়। অনুষ্টানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা শিশু কর্মকর্তা জনাব শেখ ফজলুল করিম।

এবোলা একটি মারাত্মক ভাইরাস !

এবোলা26102014125247pm0,,16120985_303,00 ভাইরাসে সংক্রমিত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যই অবধারিত৷ এই অসুখের ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি এখন পর্যন্ত৷ তবে একটা ভাল খবর হলো খুব সংক্রামক নয় রোগটি৷ এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না৷ মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে কঙ্গো, সুদান, গাবন ও আইভরিকোস্টে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি৷ দেহের তরল পদার্থের মাধ্যমে সংক্রমণ সাধারণত এবোলা ভাইরাস বাতাসে নয়, দেহের তরল পদার্থ রক্ত, লালা ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়৷ সরাসরি শারীরিক সংযোগের মাধ্যমে ঘটে থাকে সংক্রমণ৷ যেমন ভাইরাসে আক্রান্ত কারো সেবা করলে৷ এ কারণে হাসপাতালগুলিতে এর বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মরদেহ স্পর্শ করলেও সংক্রমণ হতে পারে৷ ভাইরাসরা বাহকের প্রতিটি সেলেই বিস্তৃত হতে পারে৷ এছাড়া জীবজন্তু বিশেষ করে বাঁদুড় এই ভাইরাস ছড়াতে পারে৷ অসুস্থ বা মৃত জন্তুর সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে৷ মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে এই ভাইরাসকে লম্বা ও পাতলা সুতার মতো মনে হয়৷ এগুলির অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ বিশেষ কয়েকটি মানুষকে অসুস্থ করতে পারে৷ আর এরকম হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়৷ আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হতে থাকে দুই থেকে একুশ দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হতে থাকে৷ মাথাব্যথা, পেশিব্যথা ও কাঁপুনি দেখা দেয়৷ রুচি নষ্ট হয়ে যায়৷ বমি ও পেটখারাপ হয়৷ পেটের শিরায় টান খায়৷ এক ধরনের জ্বর হয়ে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়৷ বিশেষ করে পেট ও অন্ত্রের নালী এবং প্লীহা ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়৷ যা ভুক্তভোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়৷ টিকা বা ওষুষ বের হয়নি এই ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা বের হয়নি৷ বের হয়নি ওষুধ বা থেরাপিও৷ এবোলার সংক্রমণ ও মহামারির হাত থেকে উদ্ধার পাওয়ার একমাত্র উপায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া৷ হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে৷ কাজ করতে হবে গ্লাভস পরে৷ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ বাঁচিয়ে চলতে হবে৷ প্রথম ১৯৭৬ সালে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে রোগটি লক্ষ্য করা যায়৷ বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তখন থেকে আফ্রিকার দেশগুলিতে ১৫টি মহামারি দেখা গিয়েছে৷ মারা গিয়েছে ১৩০০-এর বেশি মানুষ ৷ ইদানীং গিনি ও সম্ভবত লাইবেরিয়া এই ভাইরাসের কবলে পড়েছে৷ এর আগে ২০১২ সালে উগান্ডা ও কঙ্গো হয়েছিল এবোলার শিকার৷

একাকি শিশুর অনেক সমস্যা !

21092014115335ama‘বাসায় থাকলে সারা দিন টিভি দেখি আর কম্পিউটারে গেমস খেলি। কিন্তু এসব ভালো লাগে না। সব সময় ইচ্ছে করে মায়ের সঙ্গে থাকতে! একা একা খুব খারাপ লাগে।’ কথাগুলো বলছিল শামা। সে রাজধানীর একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওর মা-বাবা দুজনই কর্মজীবী। মা পেশায় সাংবাদিক। কথা হলো শামার মা আফরোজা ইসলামের (ছদ্মনাম) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শামা যখন ছোট ছিল, তখন বেশি সমস্যা হয়েছে। আমি আর আমার স্বামী দুজনেই চাকরি করি। দুজনেই যখন বেরিয়ে যেতাম, তখন ও কার কাছে থাকবে, এই নিয়ে ভীষণ চিন্তা হতো। প্রথম প্রথম বুয়ার কাছে রেখে যেতাম। শামার তখন আড়াই বছর বয়স। একদিন ওর জন্য দুধ বানিয়ে ফ্রিজে রেখে এসেছিলাম। বুয়াকে বলেছিলাম তিন ঘণ্টা পর গরম করে খাওয়াতে। আট ঘণ্টা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে দেখি, ফ্রিজে দুধ ওই রকমই আছে। বুয়াকে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, ‘‘কান্দে নাই, তাই খাইতে দিই নাই।’’ বুয়ার কাছে মেয়েকে রেখে যেতে আর ভরসা পেলাম না। আমার মায়ের বাসায় রেখে আসতাম। অফিস শেষে আবার সেখান থেকেই নিয়ে আসতাম! কী করব! আমার অফিসে তো কোনো শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র নেই। তাহলে হয়তো এত সমস্যায় পড়তে হতো না।’ সিমিন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ওর মা-বাবা দুজনই বাইরে কাজ করেন। ফলে দিনের বেশির ভাগ সময়ই ওকে একা থাকতে হয়। একা থাকার ফলে তার কিছু মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সিমিন বলে, ‘একা একা থাকতে ভালো লাগে না। বাইরে যাওয়াও বারণ । তখন আর কী করব! কল্পনায় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলি। মনের মধ্যেই বন্ধুদের ডাকি। ওদের সঙ্গে খেলি।’ সিমিনের মা জানান, ‘মেয়ে হয়তো অনেক দিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছে। তবে আমরা এটা বুঝতে পেরেছি মাত্র কিছুদিন আগে। দেখতাম, মেয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলে। আর একা থাকতে পছন্দ করে। আমরাও কিছু বললে খুব বিরক্ত হতো। তারপর ডাক্তার দেখালাম। এখন নিয়মিত ওর কাউন্সেলিং চলছে।’ শামা ও সিমিন একক পরিবারে বাস করে। আবার তাদের দুজনেরই মা-বাবা চাকরিজীবী। ফলে তারা মা-বাবার পরিচর্যা তেমন পাচ্ছে না। ফলে দুই শিশুরই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে গড়ে উঠছে একক পরিবার। সংসারের প্রয়োজনে সেই পরিবারের মা-বাবা দুজনকেই চাকরি করতে হচ্ছে। নগরজীবনের এই বাস্তবতায় এসব পরিবারের শিশুরা দীর্ঘ সময় একা একা সময় কাটাচ্ছে। মুখোমুখি হচ্ছে নানা সমস্যার। অনেক সময় দেখা যায়, শিশুদের দেখাশোনা করার মতো কাউকে পাওয়া যায় না বলে অনেক মাকেই চাকরি ছেড়ে দিতে হচ্ছে। তেমনই একজন টুটুল আর মিতুলের মা ইয়াসমিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যাংকার হতে চেয়েছিলাম। স্বপ্নপূরণও হয়েছিল। একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতাম। তার কিছুদির পর ছেলে টুটুল হলো। প্রথম দিকে ওকে রেখে অফিসে যেতাম। সকাল ছয়টা থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আটটায় অফিসে ছুটতাম। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যেত। আর এদিকে ছেলেকে দেখাশোনার কেউ ছিল না। কাজের লোকের ওপর ভরসা করতে পারছিলাম না। তাই একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম, চাকরি ছেড়ে দেব। দিলামও। সে-ও ১০ বছর আগের কথা। আমরা কয়েকজন একসঙ্গে নিয়োগ পেয়েছিলাম। সেই সহকর্মীদের বেতন এখন প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এখন ভাবি, চাকরিটা না ছাড়লে মাস শেষে এতগুলো টাকা আমার হাতে আসত। এসব টাকা সংসারের কাজে লাগানোর পাশাপাশি নিজের অনেক শখও পূরণ করতে পারতাম।’ বর্তমানে অনেক নারী বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত আছেন। তাই ইচ্ছে থাকলেও তাঁরা সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছেন না। কর্মজীবী মায়েরা শিশুদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাছে রেখে যান। ফলে দীর্ঘ সময় শিশুটি গৃহকর্মীর সঙ্গে বাস করে। গৃহকর্মীর গুণগত মান কম হওয়ার ফলে শিশটিরও গুণগত মান কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে শিশুদের পরিচর্যার অনিয়ম, নির্যাতন ঘটছে এই গৃহকর্মীদের দ্বারাই। আবার অনেক সময় দেখা যায়, গৃহকর্মীর সহায়তায় শিশু চুরির ঘটনাও ঘটছে। আর এর ফলে যাঁরা বাসায় সন্তানকে একা বা পরিচারিকার কাছে রেখে যান, তিনি কর্মস্থলে গিয়েও কাজে মন দিতে পারেন না। আর এই একা একা বড় হওয়া শিশুরাও বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে। একক পরিবারের শিশুরা, যৌথ পরিবারের শিশুদের চেয়ে ভিন্ন মানসিকতার হয় এমনটাই বললেন ভিকারুননিছা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার সহকারী শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমি লক্ষ করেছি, একক পরিবারের বাচ্চারা কারও সঙ্গে মিশতে চায় না। বেশি মানুষ দেখলে ঘাবড়ে যায়। নিজের আনা টিফিন অন্যের সঙ্গে ভাগ করে খেতে পছন্দ করে না। প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রায়ই দেখা যায়, শিশুরা খুব কাঁদে। কারণ, তারা একা একা বড় হয়ে অভ্যস্ত। একক পরিবারের এই শিশুরা শুরুতে স্কুলেও আসতে চায় না। কিন্তু কিছুদিন পরই ঠিক হয়ে যায়। এই শিশুদের খুব বেশি শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্বও হয় না। তাদের এক বা দুজন বন্ধু থাকে। আর যৌথ পরিবারে বড় হওয়া শিশুরা ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে। তারা অনেক মানুষের সঙ্গে মেশে। অন্যের সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নিতে পছন্দ করে।’ কিছু ছোট ছোট উদ্যোগ এই শিশুদের শৈশবকে সুন্দর করতে পারে, এমনটাই জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরীন। তিনি বলেন, ‘একক পরিবারের শিশুদের জন্য সমাধান হতে পারে কয়েকটি। যেমন, যৌথ পরিবার ভেঙে গেলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে হবে। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে হবে। যাতে শিশুটি প্রতিবেশীর কাছ থেকে সাহচর্য পায়। শিশুকে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে। শিশুকে সময় দেওয়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ তাকেই দিতে হবে। অন্যদিকে যেসব একক পরিবারের মায়েরা কর্মজীবী, তাদের প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র থাকা প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানে দিবাযত্নকেন্দ্র থাকলে, শিশুরা যেমন নিরাপদ থাকে, মায়েদের কাজের গুণগত মানও ভালো হয়।’ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০০৬ সালে দিবাযত্নকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানে বর্তমানে ৬৮টি শিশু সেবা পায়। ব্যাংকে কর্মরত মায়েরা খাবার বিরতির সময় সন্তানকে দেখে যেতে পারেন। আর বুকের দুধ খাওয়াতে হলে আরও বেশিবার দেখা করার সুযোগ পান। এখানে বাচ্চাদের পড়ালেখা, খেলাধুলা, খাওয়া ও ঘুমানোর ব্যবস্থা আছে। আর প্রতিষ্ঠানে শুধু নারী কর্মীই নন, পুরুষ কর্মীরাও তাঁদের সন্তানকে এখানে রাখতে পারেন। ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘এটা আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। আমি যখন এই প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করি, তখন থেকেই এখানে একটি দিবাযত্নকেন্দ্র খোলার ব্যাপারে কাজ করছিলাম। পরবর্তী সময়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা প্রতিটি শিশুর খরচের মাত্র ৩৫ ভাগ অর্থ অভিভাবকের কাছ থেকে নিয়ে থাকি। বাকি অর্থ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভর্তুকি দেয়। এই ব্যবস্থার ফলে প্রতিষ্ঠানের মায়েরা খুব স্বস্তিতে কাজ করেন। যেটা প্রতিষ্ঠানের জন্যও লাভজনক। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই উদ্যোগ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উৎসাহিত করতে পারে।’

যেভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা চোখ ভালো রাখবেন

কম্পিউটারে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে চোখের পলক ফেলা ভালো উপায়। এতে করে চোখে আদ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে এবং শুষ্কতা সৃষ্টি হয় না। অথচ কম্পিউটার স্ক্রিনের কারণে আমরা চোখের পলক কম ফেলি, এমনটি চোখের জন্য ক্ষতিকর। যথাযথ আলোর পরিবেশে কম্পিউটারে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দিনেরবেলায় কম্পিউটার ব্যবহারের সময় মনিটরের উল্টোদিকে মনিটরে আলো প্রতিফলিত হয় এমন দরজা জানালা বা লাইট বন্ধ রাখুন। কম্পিউটারটি এমন স্থানে ব্যবহার করুন যেখান থেকে মনিটরে আলোর প্রতিফলন না ঘটে। আবার পুরোপুরি অন্ধকার ঘরেও কম্পিউটার চালাবেন না। কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় পর্দার সঙ্গে আই-লেভেল উচ্চতার সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে। বিষয়টি চোখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারের উজ্জ্বলতা সহনীয় মাত্রায় রেখে কাজ করা উচিত। উজ্জ্বলতা বেশি হলে চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং অস্বস্তিকর অনুভূত হয়। চোখে শিথিল এবং আরামদায়ক অনুভূতির ক্ষেত্রে সেরা রং বিবেচনা করা হয় সবুজ রংকে। কাজের ফাঁকে জানালা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে তাকাতে পারেন। কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়া বা লেখার জন্য ছোট ফন্ট ব্যবহার করবেন না। চোখের জন্য আরামদায়ক ফন্ট নির্বাচন করুন। কারণ ছোট ছোট লেখা চোখের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে। দুই হাতের তালু একটি অপরটির সঙ্গে ঘর্ষণ করে গরম করে তুলুন। তারপর আপনার হাতের তালু চোখের ওপর রাখুন কমপক্ষে ১ মিনিট। এটি ক্লান্ত চোখে আরামের আবেশ আনতে সহায়তা করবে। কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করার সময় চোখ সুরক্ষার খুব উপযোগী একটি উপায় হচ্ছে, ২০-২০-২০। প্রতি ২০ মিনিট পর পর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর ওপর দৃষ্টিপাত করুন অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য। চোখের বিশ্রামের জন্য ২০-২০-২০ নিয়মটি মেনে চললে চোখে যথেষ্ট আদ্রতা থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে। মনিটর নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। মনিটরে জমা ধুলাবালি দৃষ্টিশক্তিকে ব্যাহত করে। ফলে মনিটরের অক্ষরগুলো পড়তে সমস্যা হয় এবং চোখের ওপর চাপ পড়ে। তাই কম্পিউটারে ধুলা-ময়লা কিংবা আঙ্গুলের ছাপ পড়তে দেবেন না।

সব শিশু সুস্থ থাকুক।

সব শিশু সুস্থ থাকুক। এমন আনন্দে থাকুক। এমনটাই চাই।  টিয়ারা ও রাজেশ্বরীশিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে মা-বাবার চিন্তার শেষ নেই। শিশুর ভালোমন্দের ওপরই যেন নির্ভর করে তাঁদের পৃথিবী। শিশুর একটু অসুখ করলেই ভয় পেয়ে যান তাঁরা। এর মধ্যে কোনো কারণে শিশুর যদি হঠাৎ খিঁচুনি হয়, তাহলে তাঁরা পড়ে যান মারাত্মক দুশ্চিন্তায়। শিশুর শরীরে কাঁপুনি হলেই কি তা খিঁচুনি? নাকি অন্য কিছু? এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু স্নায়ুরোগ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে, তবে শরীরে কাঁপুনি উঠলেই তা খিঁচুনি নাও হতে পারে।’ কেন হয় শিশুর খিঁচুনি? জন্মের সময় বা জন্মের আগে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব, মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কে জন্মগত কোনো ত্রুটি, মৃগীরোগ, মস্তিষ্কের টিউমার অথবা মস্তিষ্ক বা এর আবরণীতে কোনো জীবাণুর সংক্রমণের কারণে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। জ্বর হলেও অনেক সময় শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। তবে জ্বরের কারণে শিশুর শরীরে কাঁপুনিও হতে পারে, আবার হঠাৎ কোনো কারণে ভয় পেলেও শিশুর শরীরে কাঁপুনি হতে পারে; কিন্তু কাঁপুনি হলেই সব সময় তা খিঁচুনি নয়। কী করে বুঝবেন শিশুর খিঁচুনি হচ্ছে? অস্বাভাবিক কাঁপুনির পাশাপাশি শিশুর হাত-পা শক্ত হয়ে যায়, চোখ উল্টে যায়, শরীরে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। অজ্ঞান হয়েও যেতে পারে। অনেক সময় শিশুর মুখ দিয়ে ফেনার মতো কিছু বের হতে পারে। শিশুর জিহ্বায় কামড় লেগেও যেতে পারে। আবার অনেক সময় এ অবস্থায় শিশুর প্রস্রাব বা পায়খানা হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ শিশুর খিঁচুনি হলে কী করবেন? শিশুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। ধারালো কোনো জিনিস বা গরম পানি আশপাশে থাকলে সরিয়ে নিন। তাকে মাথা একদিকে কাত করে শুইয়ে দিন। পাঁচ মিনিট সময় ধরে খিঁচুনি হলে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে খিঁচুনি যত সময় ধরেই হোক না কেন, খিঁচুনি থেমে গেলে অবশ্যই তাকে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। খিঁচুনি হচ্ছে এ অবস্থায় যা করা যাবে না যখন শিশুর খিঁচুনি হচ্ছে, তখন শিশুর মাথায় পানি দেওয়া, তার হাত-পা টানা, তার মুখে কিছু ঢোকাতে চেষ্টা করা বা তার আশপাশে হইচই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হতে পারে জটিলতা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত ওষুধ খাওয়াতে হবে শিশুকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে খিঁচুনি ভালো হয়ে যাওয়ার পরও চিকিৎসক ওষুধ সেবন করতে বলতে পারেন। তাই মানতে হবে। কারণ চিকিৎসা সঠিকভাবে না হলে খিঁচুনির কারণে অনেক সময় শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।