ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি।’ আর প্রত্যেয়ে প্রতি বছর সারা বাংলাদেশে পালিত হয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী সপ্তাহ । প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও পালিত হয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী সপ্তাহ-২০১৫ ।
গত ২২ ই জানুয়রীতে কুষ্টিয়া জেলাতে ডিজিটাল মেলা শুরু হয়। এন.সি.টি.এফ কুষ্টিয়া জেলা প্রতি বারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী,কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাথে ষ্টল দেয় । ডিজিটাল যুগে চাই ডিজিটাল সব কিছু। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ এর শিশুরাও । ডিজিটাল সময়ে এন.সি.টি.এফ এর শিশুরাও নিয়েছে ডিজিটাল উদ্দ্যোগ। আর কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ এর ডিজিটাল কার্যক্রম শুরু হয় সোস্যাল মিডিয়া পেজ থেকে। আর এই পেজ তৈরী করা হয় ৯ই মার্চ ২০১২ সালে নবনির্বাচিত কমিটি ঐ দিন তৈরী করে ফেসবুক পেজ । আর তখন থেকেই শুরু ডিজিটাল কার্যক্রম এর আর এখনো ধরে রেখেছে তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম। বর্তমানে ফেসবুক পেজ এ অন্যান্য জেলার তুলনায় সর্বোচ্চ বেশি লাইক নিয়ে আছে। এদিকে ডিজিটাল মেলায় এন.সি.টি.এফ কুষ্টিয়ার এর কার্যক্রম দেখে সবার কাছে প্রশংশিত হয়।শুধু ফেসবুক পেজই নয় এন.সি.টি.এফ এর কার্যক্রম বর্তমানে টুইটার( https://twitter.com/nctf_kushtia ) ও গুগোল প্লাসে (https://plus.google.com/+KushtiaNCTForce) প্রচার করে যাচ্ছে।
ডিজিটাল মেলা-২০১৫ তে ডিজিটাল ভাবে সদস্য ফরম পূরণ করা হয় । এর ফলে শিশুরা আরো বেশি আগ্রহ হয় । আর অন্য দিকে বাল্য বিবাহ বন্ধে হট লাইন নম্বর ও দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া জেলার অনেক সাফল্যর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য সাফল্য হলো ডিজিটাল ভাবে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ইতিমধ্যে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া অনেকগুলো বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।
কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ এর ডিজিটাল ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে আসাদুজ্জামান আসাদ (সভাপতি: ২০১২-১৪) ও বর্তমানে জেলা ভলান্টিয়ার। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি কোটি কোটি মানুষকে ছোট্ট একটি জায়গায় আবদ্ধ করে এনেছে। মানুষের কাছে পৌছানোর সব চেয়ে সহজ মাধ্যম তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। আর শিশু অধিকার বাস্তবায়নে তথ্য প্রযুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আর অন্যদিকে বর্তমান কমিটির সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে, ডিজিটাল দিক দিয়ে আমরা বর্তমানে অন্যান্য জেলা থেকে অনেকটা খানিকটা এগিয়ে আছি ।
এদিকে সভাপতি মোঃ মুসাব্বির হোসেনেরকাছে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে আমাদের কার্যক্রম ডিজিটাল ভাবে আরো এগিয়ে যেতে হবে। সাধারণত এন.টি.টি.এফ এর কোন জেলাতেই কোন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কনেকশন নেই। এক্ষেত্রে আমাদের অনেক কাজ করতে সমস্যার সম্মুখী হতে হয় । কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু কাজ হয়নি। আমাদের আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ।
শিশু সাংবাদিক, আমাদের খবর খুলনা বিভাগীয় প্রধান ও কেন্দ্রীয় সোস্যাল মিডিয়া কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসানের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের কার্যক্রম গুলো শুধু এনসিটিএফ বিডি ডট ওআরজি এবং সবুজ-বার্তায় প্রকাশ করা হয়। আমাদের কার্যক্রম আরো প্রচার করার জন্য যদি আমাদের জেলার নিজস্ব ওয়েব সাইট অথবা এনসিটিএফ বিডিতে প্রত্যেক জেলার জন্য আলাদা পাতা থাকতো তাহলে আরো ভালো হতো।
সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের প্রয়োজনীয় মাধ্যম গুলো যদি পূরণ করা হয় তাহলে আমরা আরো এগিয়ে যাব।
অন্যদিকে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: মখলেছুর রহমানের কাছে সাক্ষাতকারে জানতে চাইলে তিনি বলেন তথ্য প্রযুক্তিতে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া বরাবরের মতো অনেক ভালো কিছু করে দেখাচ্ছে। এক্ষেত্রে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন করে যাবো।