মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন স্কুল ব্যাগ বিতরণ

স্থানীয় তরুনদের সংগঠন মাদারীপুর সোস্যাল সার্ভিস ক্লাব (এমএসএসসি) এর উদ্যোগে ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখ সকালে লেকের পাড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে প্রজেক্ট স্কুলিং কর্মসূচির মাধ্যমে জেলার মোট ২০টি স্কুলের ৩০০ জন দরিদ্র – মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন স্কুল ব্যাগ তুলে দেয়া হয়। এমএসএসসি ২০১৩ সালের রমজানের ঈদে প্রজেক্ট নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে আতœপ্রকাশ করে। যে কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র শিশুদেরকে ঈদের পূর্বে নতুন জামা কিনে দেয়া হয়। সামাজিক সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নে কাজ করাই এ সংগঠনের লক্ষ্য। ২০১৩ সালের দুটি ঈদে মোট ২০০ জন দরিদ্র পথশিশুকে নতুন জামা কিনে দেয় এমএসএসসি। শীত মৌসুমে শীতার্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় শীত বস্ত্র প্রজেক্ট উষ্ণতা কর্মসূচির মাধ্যমে। ২০১৪ সালের শুরুতে যাত্রা শুরু করে প্রজেক্ট স্কুলিং। জেলার রাস্তি ইউনিয়নের ৫টি স্কুলের মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে তুলে দেয়া হয় নতুন স্কুল ব্যাগ। একই বছর প্রজেক্ট নতুন জামা কর্মসূচির মাধ্যমে ৩০০ জন শিশুকে ঈদের পূর্বে নতুন জামা কিনে দেয় এমএসএসসি। সফলভাবে বাস্তবায়ন করে প্রজেক্ট উষ্ণতা কর্মসূচিও। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর ৩০০ জন শিশুর কাছে নতুন স্কুল ব্যাগ নিয়ে পৌঁছেছে এমএসএসসি। এমএসএসসি এর সদস্যরা জানান প্রজেক্ট নতুন জামা, প্রজেক্ট উষ্ণতা এবং প্রজেক্ট স্কুলিং নিয়ে প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে তারা কাজ করে যাবেন মাদারীপুরে।

ডিজিটাল মেলায় ডিজিটাল এন.সি.টি.এফ কুষ্টিয়া।

Photo 01 Photo 02 Photo 03

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি।’ আর প্রত্যেয়ে প্রতি বছর সারা বাংলাদেশে পালিত হয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী সপ্তাহ । প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও পালিত হয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী সপ্তাহ-২০১৫ ।

গত ২২ ই জানুয়রীতে কুষ্টিয়া জেলাতে ডিজিটাল মেলা শুরু হয়। এন.সি.টি.এফ কুষ্টিয়া জেলা প্রতি বারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী,কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাথে ষ্টল দেয় । ডিজিটাল যুগে চাই ডিজিটাল সব কিছু। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ এর শিশুরাও । ডিজিটাল সময়ে এন.সি.টি.এফ এর শিশুরাও নিয়েছে ডিজিটাল উদ্দ্যোগ। আর কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ এর ডিজিটাল কার্যক্রম শুরু হয় সোস্যাল মিডিয়া পেজ থেকে। আর এই পেজ তৈরী করা হয় ৯ই মার্চ ২০১২ সালে নবনির্বাচিত কমিটি ঐ দিন তৈরী করে ফেসবুক পেজ । আর তখন থেকেই শুরু ডিজিটাল কার্যক্রম এর আর এখনো ধরে রেখেছে তাদের ডিজিটাল কার্যক্রম। বর্তমানে ফেসবুক পেজ এ অন্যান্য জেলার তুলনায় সর্বোচ্চ বেশি লাইক নিয়ে আছে। এদিকে ডিজিটাল মেলায় এন.সি.টি.এফ কুষ্টিয়ার এর কার্যক্রম দেখে সবার কাছে প্রশংশিত হয়।শুধু ফেসবুক পেজই নয় এন.সি.টি.এফ এর কার্যক্রম বর্তমানে টুইটার( https://twitter.com/nctf_kushtia ) ও গুগোল প্লাসে (https://plus.google.com/+KushtiaNCTForce) প্রচার করে যাচ্ছে।

ডিজিটাল মেলা-২০১৫ তে ডিজিটাল ভাবে সদস্য ফরম পূরণ করা হয় । এর ফলে শিশুরা আরো বেশি আগ্রহ হয় । আর অন্য দিকে বাল্য বিবাহ বন্ধে হট লাইন নম্বর ও দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া জেলার অনেক সাফল্যর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য সাফল্য হলো ডিজিটাল ভাবে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ইতিমধ্যে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া অনেকগুলো বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে।

কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ এর ডিজিটাল ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে আসাদুজ্জামান আসাদ (সভাপতি: ২০১২-১৪) ও বর্তমানে জেলা ভলান্টিয়ার। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি কোটি কোটি মানুষকে ছোট্ট একটি জায়গায় আবদ্ধ করে এনেছে। মানুষের কাছে পৌছানোর সব চেয়ে সহজ মাধ্যম তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। আর শিশু অধিকার বাস্তবায়নে তথ্য প্রযুক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

আর অন্যদিকে বর্তমান কমিটির সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে, ডিজিটাল দিক দিয়ে আমরা বর্তমানে অন্যান্য জেলা থেকে অনেকটা খানিকটা এগিয়ে আছি ।

এদিকে সভাপতি মোঃ মুসাব্বির হোসেনেরকাছে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে আমাদের কার্যক্রম ডিজিটাল ভাবে আরো এগিয়ে যেতে হবে। সাধারণত এন.টি.টি.এফ এর কোন জেলাতেই কোন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কনেকশন নেই। এক্ষেত্রে আমাদের অনেক কাজ করতে সমস্যার সম্মুখী হতে হয় । কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু কাজ হয়নি। আমাদের আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ।

শিশু সাংবাদিক, আমাদের খবর খুলনা বিভাগীয় প্রধান ও কেন্দ্রীয় সোস্যাল মিডিয়া কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসানের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের কার্যক্রম গুলো শুধু এনসিটিএফ বিডি ডট ওআরজি এবং সবুজ-বার্তায় প্রকাশ করা হয়। আমাদের কার্যক্রম আরো প্রচার করার জন্য যদি আমাদের জেলার নিজস্ব ওয়েব সাইট অথবা এনসিটিএফ বিডিতে প্রত্যেক জেলার জন্য আলাদা পাতা থাকতো তাহলে আরো ভালো হতো।

সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের প্রয়োজনীয় মাধ্যম গুলো যদি পূরণ করা হয় তাহলে আমরা আরো এগিয়ে যাব।

অন্যদিকে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: মখলেছুর রহমানের কাছে সাক্ষাতকারে জানতে চাইলে তিনি বলেন তথ্য প্রযুক্তিতে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া বরাবরের মতো অনেক ভালো কিছু করে দেখাচ্ছে। এক্ষেত্রে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন করে যাবো।

NCTF ঢাকা জেলায় সেভ দ্য চিলড্রেনের সিআরজিএ ডিরেক্টর রাস হাগার

এনসিটিএফ ঢাকা জেলার কমিটির সাথে মতবিনিময় করলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড রাইটস গভরনেন্স এর ডিরেক্টর রাস হাগার এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের ইন্টারন্যাশনাল প্রতিনিধি লিনা। গত ২৩শে জানুয়ারী বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ঢাকা জেলা কার্যালয়ে শিশুদের সাথে তাদের এনসিটিএফ এর কর্মকাণ্ড বিষয়ক মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

শিশুদের কথা শুনছেন অতিথিরা।

শিশুদের কথা শুনছেন অতিথিরা।

FGD on Children’s View on Investment In Children (IIC)

A half day Focus Group Discussion (FGD) and consultation workshop on 19th January 2015 with NCTF Dhaka Executive committee & NCTF Media Group representatives .The session was on Children’s view on Investment In Children (IIC). Facilitated by Save the Children and CSID was conduct the session.

Group Discussion

Group Discussion


ভোলায় এনসিটিএফএর বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত

 ভোলা প্রতিনিধি: ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ভোলা জেলা কমিটির বার্ষিক সাধারন সভা-২০১৪ ইং অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এনসিটিএফ ভোলা জেলা কমিটির সভাপতি জহির রাইহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম শওকাত ইকবাল শাহীন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক ও বিটিভির ভোলা জেলা এম এ তাহের, আজকের ভোলার সম্পাদক ও ভোলা রিপোর্টাস ইউনিটের সেক্রেটারী আলহাজ্ব মু. শওকাত হোসেন, শহীদ জিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ খালেদা খানম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক ও দক্ষিন প্রান্ত সম্পাদক এ্যাডভোকেট নজরুল হক অনু, ভোলা জেলা শিশু একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আখতার হোসেনসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনসিটিএফ ভোলা জেলা কমিটির সম্বনয়কারী আদিল হোসেন তপু। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার শারমীন আক্তার বর্ষা।
সভায় প্রধান অতিথি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এবিএম শওকাত ইকবাল শাহীন বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষৎত, তাই শিশুদের যোগ্য নাগরীক হিসাবে গড়ে তোলতে হবে। আর এইযোগ্য নাগরীর হিসাবে গড়ে তোলতে হলে পোড়াশুনার মধ্যে শিশুদের আবদ্ধ করে রাখলে হবে না শিশুদের সাংগঠনিক ভাবেও দক্ষ করে তুলতে হবে। আর শিশুদের এই সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ করে তোলার জন্য এনসিটিএফ একটি সময় উপযোগী প্লাটফোর্ম। এই সংগঠনটি ভোলার অবহেলিত শিশুদের কথা বলবে এবং তাদের পাশে থাকবে এটাই আমার প্রত্যাশা। আর এনসিটিএফএর পাশে আমরা আছি ভবিষৎতে ও থাকবো। এসময় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভোলায় দিন দিন বাল্য বিবাহ বেড়েই চলছে। আর এভাবে চলাতে থাকলেও ভোলার জন্য এটা হবে অসিন সংকেত। তাই বাল্য বিবাহ রোধ করার জন্য শিশুদের ও এগিয়ে এসে এর কুফল সংর্ম্পকে শিশুরাই শিশুদের মাঝে স্কুল ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে তুলে ধরার কথা বলেন। পরে তিনি এনসিটিএফ শিশুদের সাথে ফটোসেশনে অংশ গ্রহন করেন।
এদিকে এবছর ভোলা জেলা এনসিটিএফ ব্যাপক কার্যক্রম হতে নিয়েছে। এর মধ্যে হলো সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন করা, লেখাপড়ার সাংমগ্রী বিতরন করা, শিশুদেরকে সাংবাদিকতা ও শিশুর সুরক্ষার উপর প্রশিক্ষন দেয়া। স্কুল ভিত্তিক বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম রোধে ও শিশুর শারিরীক ও মানসিক শাস্তি বিষয়ক ক্যাম্পিং এর আয়োজন করা, হাসপাতাল পরিদর্শন করা, শিশু পরিবার পরিদর্শন করা, বেড়ি বাধের শিশুদের জীবন মান নিয়ে রির্পোটিং করাসহ আরো অনেক কিছু।

এনসিটিএফ ঢাকা জেলার বার্ষিক সাধারণ সভা ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৫ তৈরি।

110120152115

এনসিটিএফ ঢাকা জেলার বার্ষিক সাধারণ সভা ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৫ আজ ১১ জানুয়ারি, রবিবার, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ঢাকা জেলার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এনসিটিএফ ঢাকা জেলার বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ কার্যনির্বাহী কমিটি,সাধারণ সদস্য সহ ৪০ জনের অধিক শিশু সদস্য উপস্থিত ছিল। এজিএম এর প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম।
কুরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে সভা শুরু করে অতিথিদের বক্তব্য, কার্যনির্বাহী কমিটির বিগত বছরের কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা বা জবাবদিহিতা এবং দল ভিত্তিক কর্মশালার মাধ্যমে ২০১৫ সালের এনসিটিএফ ঢাকা জেলার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়। দল ভিত্তিক উপস্থাপনা এবং সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পর্কে ধারনা দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। সবশেষে ছোট্র বিনোদন পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।

ভোলায় এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত।

vholaaaন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ভোলা জেলা কমিটির বার্ষিক সাধারন সভা-২০১৪ ইং অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এনসিটিএফ ভোলা জেলা কমিটির সভাপতি জহির রাইহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম শওকাত ইকবাল শাহীন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক ও বিটিভির ভোলা জেলা এম এ তাহের, আজকের ভোলার সম্পাদক ও ভোলা রিপোর্টাস ইউনিটের সেক্রেটারী আলহাজ্ব মু. শওকাত হোসেন, শহীদ জিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ খালেদা খানম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক ও দক্ষিন প্রান্ত সম্পাদক এ্যাডভোকেট নজরুল হক অনু, ভোলা জেলা শিশু একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আখতার হোসেনসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনসিটিএফ ভোলা জেলা কমিটির সম্বনয়কারী আদিল হোসেন তপু। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার শারমীন আক্তার বর্ষা।bhola nctf pic-sobujbarta
সভায় প্রধান অতিথি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এবিএম শওকাত ইকবাল শাহীন বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষৎত, তাই শিশুদের যোগ্য নাগরীক হিসাবে গড়ে তোলতে হবে। আর এইযোগ্য নাগরীর হিসাবে গড়ে তোলতে হলে পোড়াশুনার মধ্যে শিশুদের আবদ্ধ করে রাখলে হবে না শিশুদের সাংগঠনিক ভাবেও দক্ষ করে তুলতে হবে। আর শিশুদের এই সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ করে তোলার জন্য এনসিটিএফ একটি সময় উপযোগী প্লাটফোর্ম। এই সংগঠনটি ভোলার অবহেলিত শিশুদের কথা বলবে এবং তাদের পাশে থাকবে এটাই আমার প্রত্যাশা। আর এনসিটিএফএর পাশে আমরা আছি ভবিষৎতে ও থাকবো। এসময় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভোলায় দিন দিন বাল্য বিবাহ বেড়েই চলছে। আর এভাবে চলাতে থাকলেও ভোলার জন্য এটা হবে অসিন সংকেত। তাই বাল্য বিবাহ রোধ করার জন্য শিশুদের ও এগিয়ে এসে এর কুফল সংর্ম্পকে শিশুরাই শিশুদের মাঝে স্কুল ক্যাম্পিং এর মাধ্যমে তুলে ধরার কথা বলেন। পরে তিনি এনসিটিএফ শিশুদের সাথে ফটোসেশনে অংশ গ্রহন করেন।
এদিকে এবছর ভোলা জেলা এনসিটিএফ ব্যাপক কার্যক্রম হতে নিয়েছে। এর মধ্যে হলো সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন করা, লেখাপড়ার সাংমগ্রী বিতরন করা, শিশুদেরকে সাংবাদিকতা ও শিশুর সুরক্ষার উপর প্রশিক্ষন দেয়া। স্কুল ভিত্তিক বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম রোধে ও শিশুর শারিরীক ও মানসিক শাস্তি বিষয়ক ক্যাম্পিং এর আয়োজন করা, হাসপাতাল পরিদর্শন করা, শিশু পরিবার পরিদর্শন করা, বেড়ি বাধের শিশুদের জীবন মান নিয়ে রির্পোটিং করাসহ আরো অনেক কিছু।

কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে “আমাদের খবর” মুখপত্র বিতরন

এনসিটিএফ ফেনী জেলার চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য শারিয়ার হৃদয় আহত

এনসিটিএফ ফেনী জেলার চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য শারিয়ার হৃদয় গত ৫ই জানুয়ারি রাজনৈতিক সহিংসতায় গুরুতর আহত হয়। জেলা এনসিটিএফ কমিটি, গতকাল এবং আজকের প্রথম আলো এবং একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এর রিপোর্ট এর সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এনসিটিএফ পরিবার এরূপ অনাকাঙ্খিত ঘটনায় স্তব্ধ এবং দুঃখিত। রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের আর কোন শিশুর জীবনে যেন এমন দূরাবস্থা না নেমে আসে তার জন্য এদেশের রাজনৈতিক দল গুলোর প্রতি আমাদের খোলা আবেদন। এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটি সকল এনসিটিএফ সদস্যদের সব সময় সাবধানে চলাচলের জন্য অনুরোধ করছে।

পিআইবি’র মহাপরিচালকে এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা।

গত ৩ রা জানুয়ারি এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য পিআইবি এ মহাপরিচালক শাহ আলমগীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যরা তখনতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুদ্দীন জামী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু,এনসিটিএফব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু সাংবাদিক ফুয়াদ হাসান, শিশু সাংবাদিক মাকসুদা চৌধুরী পলি, কার্যনির্বাহী সদস্য রুবায়াত জাহান ইমন, চাইল্ড পার্লামেন্টের সাবেক ডেপুটি স্পিকারএইচ এম মুতাচ্ছিম বিল্লাহ সীমান্ত, বতর্মান ডেপুটি স্পীকার সাইদা সানজিদা লোপা সহ আরো অনেকে। এনসিটিএফ সদস্যরা তাকে চ্যানেল ২৪ এর জেলা কার্যালয়ে বরণ কররনেয় এবং পিআইবি থেকে যেন তাদের কে সাংবাদিকতার একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় সে বিষয়ে একটি দাবি উত্থাপন করে।তিনি উপস্থিত সদস্যদের আশানরূতউত্তর দিয়ে বলেন তিনি এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গহণ করবেন।