অনুষ্ঠিত হল গাইবান্ধায় শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে দায়িত্ব বাহকদের সাথে শিশুদের মুখোমুখি সংলাপ
২৫ জুন সোমবার বিকাল ০৩টায় গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), গাইবান্ধা জেলার আয়োজন জেলার শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে জেলার দায়িত্ব বাহকদের সাথে শিশুদের অ মুখোমুখি সংলাপ-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। উক্ত সংলাপে এনসিটিএফ উপস্থিত দায়িত্ব বাহকদের নিকট জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও বিনোদন এই চারটি বিষয়ের উপর মোট ১০ মূল সমস্যার কথা ও সমস্যার সমাধানে মোট ১৫ টি সুপারিশ তুলে ধরেন। গত এক বছরে জেলা পর্যায়ে এনসিটিএফ এর মনিটরিং, জরিপ ও স্থানীয় প্রত্রিকার প্রতিবেদনের আলোকে উঠে আসা সমস্যা এবং সুপারিশেগুলো ইতিমধ্যে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন কাজ করছে বলে শিশুদের আবগত করেন জেলা প্রশাসক। এছাড়াও তিনি আরো বলেন জেলার সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে শিশুদের গুরুত্ব দেবার জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের কিছু টয়লেট করা হয়েছে। বাকিগুলোতেও দ্রুত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সকল শিশুকে সাইবার ক্রাইম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। এনসিটিএফ কে এই বিষয়ে শিশুদের সচেতন করার আহবান করেন। জেলার সরকারি শিশু সদন বালকের উপ-তত্বাবধায়ক মানিক চন্দ্র রায় েবলেন “ শিশু পরিবারের মূল ফটক মেরামতের জন্য আমরা আবেদন করেছি। সেখানে নিবাসী শিশুদের কথা চিন্তা করে আমি নিরাপত্তা পহরীর ব্যবস্থা করবো। এছাড়া পানির সমস্যা সমাধানে আমরা গাইবান্ধা পৌরসভাকে জানিয়েছি আশা করি খুব দ্রুত পানির সমস্যার সমাধান হবে। জেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার জিয়াসমিন আরা হক জানান, এনসিটিএফ থেকে আসা সমস্যাগুলো শুনে খুব ভাল লাগছে। শিশুরা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই তুলে ধরছে। যা আমরা চিন্তাই করতে পারতাম না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সমস্যার কথাগুলো শিশুরা বলেছে তা আসলেই সত্য। তবে গাইবান্ধায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস আছে । কিন্তু অনেক শিক্ষক মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে আগ্রহ দেখান না। এছাড়া যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টয়লেট এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নাই তাদের আমরা অফিসিয়ালি আবার বলবো। ডিআইও-১ মোঃ মঈনুর রহমান বলেন এনসিটিএফ এর সাথে আগে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তোমাদের ধন্যবাদ এই ধরনের একটি আয়োজনের জন্য। তোমরা যে স্থানগুলোর কথা বললে পুলিশ প্রশাসন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবে। সামনে এনসিটিএফ এর সাথে কাজ করার আরো ইচ্ছা রয়েছে। এনসিটিএফ গাইবান্ধা জেলার সভাপতি মো. মশিউর রহমান মুছার সভাপতিত্বে মুখোমুখি সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌতম চন্দ্র পাল, জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন প্রধান, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াসমিন আরা হক, সহকারী পরিচালক (জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস) মো. আব্দুল মজিদ, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি ডিআইও-১ মো. মঈনুর রহমান, সিভিল সার্জন এর প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার, সিএস ডা.আল মাহমুদুল আলম, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন শাহ, সরকারি শিশু পরিবার বালক এর উপ-তত্বাবধায়ক মানিক চন্দ্র রায়, সরকারি শিশু পরিবার বালিকা এর উপ-তত্বাবধায়ক মো. তমিজুল ইসলাম, বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি এস.এম বিপ্লব, রেডিও সারাবেলা ৯৮.৮ এফএম এর সহকারী নিউজ প্রডিউসার আফসানা আক্তার, সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিআরপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, গাইবান্ধা, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় উক্ত সংলাপ আয়োজনে এনসিটিএফ জেলা কমিটি এবং সাধারন সদস্যসহ মোট ২৭ জন শিশু এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহন করে।