এক হাজার শিশুর অংশগ্রহণে এনসিটিএফ পাবনার বাল্যবিবাহ এবং মাদক বিরোধী লাল কার্ড ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন
ইমাম গাযযালী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজে সকাল ১০টায় ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) পাবনা জেলার আয়োজনে বাল্যবিবাহ এবং মাদক বিরোধী লাল কার্ড কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে উক্ত স্কুলের এক হাজার শিশু অংশগ্রহণ করে। শিক্ষায় প্রথম বাল্য বিবাহ এবং মাদককে লাল কার্ড এই শীর্ষক লাল কার্ড নিয়ে এক হাজার শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী এবং এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে শপথ বাক্য পাঠ করে। শিশুদের ডাকে সাড়া দিয়ে লাল কার্ড কর্মসূচির উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজাউল করিম লাল চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ পাবনা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুরাইয়া সুলতানা অধ্যক্ষ, ইমাম গাযযালী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ, মোঃ মতিউর রহমান শাহ জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা পাবনা, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত সিআরপি সেভ দ্য চিলড্রেন, জেলা ভলান্টিয়ার এবং এনসিটিএফ জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এনসিটিএফ কে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে জেলা পরিষদের সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বাস দেন। স্কুলের অধ্যক্ষ এনসিটিএফ কাজ কে স্বাগত জানিয়ে বলেন লাল কার্ড কর্মসূচি অবশ্যই শিশুদের মাদক এবং বাল্যবিবাহ থেকে দূরে রাখবে। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন এনসিটিএফ জাতীয় পর্যায়ে একটি সংগঠন যা শিশুদের নিয়ে কাজ করছে এছাড়া জেলা পর্যায়ে এনসিটিএফ কে সহযোগিতা করে আসছে শিশু একাডেমি ভবিষ্যতে সকল ধরনের সহযোগিতা করবে জেলা শিশু একাডেমি পাবনা ৷ লাল কার্ড কর্মসূচি শেষে এনসিটিএফ স্কুলে একটি স্কুল কমিটি গঠন করে। উক্ত স্কুল কমিটিতে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি এনসিটিএফ স্কুল কমিটি করে দেওয়া হয়। এনসিটিএফ পাবনা তাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভবিষ্যৎতে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু এবং বড়দের বাল্য বিবাহ এবং মাদক বিরোধী কর্মসূচিতে সচেতন করতে পারবে বলে আশা করে। লাল কার্ড কর্মসূচি এবং স্কুল কমিটি গঠনের সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি মুশফিক হাসান সামি। লাল কার্ড কর্মসূচির সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল। চলতি বছরে জেলার ১৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় পাঁচ হাজার শিশুর অংশগ্রহণে লাল কার্ড ক্যাম্পেইন করার ইচ্ছা আছে বলে জানাই এনসিটিএফ। ক্যাম্পেইন শেষে স্কুলে অধ্যক্ষের হাতে প্রশাসনিক নম্বর সম্বলিত ফেসটুন তুলে দেওয়া হয়।