ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রতিদিন ক্লাস করছে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পৌরসভা গেইট সংলগ্ন কোকিল সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও গত ১৩ মার্চ বিকাল ৩ টায় পরিদর্শনকালে উঠে আসে স্কুল ভবনের করুণ দশা। এর আগে ভূমিকম্পে বিদ্যালয়ের দেয়ালে ফাটল এবং টয়লেটে ফাটল ধরলেও কর্তৃপক্ষের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। শুধু দেয়াল নয় বিদ্যালয়ের ছাদ বেহাল দশায় বলে দিচ্ছে কতটা ঝুঁকিতে আছে উক্ত স্কুলের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকমন্ডলীরা। ছাদ এবং ভিমের সিমেন্ট খসে পরছে। যা যেকোন সময় ঘটাতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনার। এছাড়া শহরতলী থেকে ঠাকুরগাঁও রোড পর্যন্ত রাস্তা প্রস্ততকরণের কারণে স্কুলের সামনের কিছু জায়গা রাস্তার মধ্যে চলে যাওয়ার প্রতিদিনের প্রত্যাহিক সমাবেশ করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এছাড়া রাস্তা প্রস্ততকরণে নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিশুরা। একদম রাস্তার পার্শে স্কুলের অবস্থান হওয়ার ইতিপূর্বে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে বেশ কিছু শিশু। গত ২০ জানুয়ারী ৩য় শ্রেণীর ছাত্র রমজার রাস্তা পার হতে গিয়ে অটো রিক্সার নিচে পরে গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে নিতে হয়েছিল হাসপাতালে। নিরাপত্তা প্রাচীর, ব্যস্ততম রাস্তা এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আতঙ্কের মধ্যে থেকে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শিশুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তার পার্শে স্কুল হওয়ার ধূলাবালিতে সমস্যা হয় পড়াশোনা করতে। এছাড়া উচ্চ হর্ণে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। ক্লাসরুমে নেই পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা। গরমে ক্লাস করতে কষ্ট হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন“ জায়গা কম থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস নিতে হচ্ছে”। শহরতলীর মধ্যে অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলটির জন্য দ্রুত কৃর্তপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটায় মনে করছেন সবাই। পরিদর্শনকালে এনসিটিএফ জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ, মোহাঃ জবেদ আলী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, ঠাকুরগাঁও, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, চাইল্ড রাইট’স প্রমোটর (সিআরপি) সেভ দ্য চিলড্রেন এবং জেলা ভলান্টিয়ার উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধায় এনসিটিএফ এর সরকারি শিশু পরিবার বালক ও বালিকা পরিদর্শন

জাতীয় পর্যায়ের শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে সরকারি শিশু পরিবার বালক ও বালিকা পরিদর্শন করা হয়েছে।

গত (১৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি শিশু পরিবার বালিকা ও বিকালে সরকারি শিশু পরিবার বালক  এতিমখানার নিবাসী শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। 
পরিদর্শনকালে লক্ষ্য করা যায় যে শিশু পরিবার বালিকার খেলার মাঠ এখনো সমতল করা হয়নি। এতে করে তারা খেলাধুলা করতে পারছে না শিশুরা। 
এ বিষয়ে শিশু পরিবার বালিকার সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন জানান, জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ দেয়ার কথা ছিলো তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।
অন্যদিকে, শিশু পরিবার বালকের নৈশ্য প্রহরী নেই, পর্যাপ্ত পড়ার টেবিল নেই, উত্তর পার্শ্বের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে শিশু পরিবার বালকের উপতত্ত্বাবধায়ক মানিক চন্দ্র রায় জানান দ্রুত সমস্যা গুলো সমাধান করা হবে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ গাইবান্ধা জেলা কমিটির  সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরা ফেরদৌস, শিশু গবেষক জান্নাতুল জ্যোতি, শিশু সাংসদ সদস্য মো. মেহেদী হাসান, সুমাইয়া আক্তার মিম, সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মুছা, জেলা ভলান্টিয়ার মনির হোসেন ও শ্রাবনী রহমান প্রমুখ।

এনসিটিএফ পাবনার স্মারকলিপি প্রদান

১০-০৩-১৯ দুপুর ১২ টায় এনসিটিএফ পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট গত ছয়মাসের জেলার শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং এবং মিডিয়া মনিটরিং এর উপর ভিত্তি করে স্মারকলিপি প্রদান করে। জেলার গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ০৩ জন শিশু, শিশু হত্যা এবং আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটেছে ০৫ টি, শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে ০৩ জন শিশু, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর মত ঘটনা ছিল ০৫ টি। সব মিলিয়ে গত ছয়মাসে পাবনা জেলায় ১০ জন শিশুর মৃত্যু, শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে ০৬ জন শিশু। যা ছিল খুব উদ্বেগজনক। শিশু মৃত্যু এবং শিশু নির্যাতনের সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা এবং পুরনায় এই ধরনের ঘটনা যেন না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক এনসিটিএফ পাবনাকে আশ্বাস দেন উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

শরিয়তপুর জেলা এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত

এনসিটিএফ শরিয়তপুর জেলা আয়জিত ২০১৯ সালের বার্ষিক সাধারন সভা ও পরিকল্পনা তৈরি সভা অনুষ্ঠিত হয় আজ ৬ই মার্চ ২০১৯ এসডিএস শরিয়তপুর প্রধান কার্যালয় এর সম্মেলন কক্ষে। শিশু সাংবাদিক ঐশির সঞ্চালনায় জেলা এনসিটিএফ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহেদ এর সভাপতিত্বে সাধারন সভার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশুবন্ধু প্ল্যাটফর্ম এর সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি জনাব মিজানুর রহমান, সাংবাদিক প্রতিনিধি জনাব রোকনুজ্জামান পারভেজ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব সরল বাড়ই, চাইল্ড রাইটস প্রমোটার জনাব মমতাজুল ইসলাম রুমন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী ও সাধারন সদস্য সহ প্রায় অর্ধশতাধিক এনসিটিএফ  সদস্য। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শিশু সাংবাদিক শুভ ঘোষ। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে জেলা কমিটির বার্ষিক কার্য অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন শিশু গবেষক লামিয়া।
অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই মমতাজুল ইসলাম  রুমন এনসিটিএফ কার্যক্রম জাতীয় পর্যায়ে সংগঠনটির সফলতা সম্পর্কে অভহিত করেন। পরবর্তীতে শিশুবন্ধু প্ল্যাটফর্ম সদস্য জনাব মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এনসিটিএফ এর কার্যক্রম কে সাধুবাদ করেন। তিনি প্রত্যেক শিশু নিজেদের সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন এবং এনসিটিএফ  এর গৃহীত পরিকল্পনায় সহযোগীতার আশ্বাস দেন। শিশুবন্ধু  প্লার্টফর্ম এর অন্যতম সদস্য সাংবাদিক জনাব রোকনুজ্জামান পারভেজ তার বক্তব্য এ এনসিটিএফ শিশুদের অভিনন্দন জানান। তিনি এনসিটিএফ কে শরিয়তপুর জেলার প্রিন্ট মিডিয়া ও সাংবাদিক  পর্যায়ের সহযোগীতার আশ্বাস দেন। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব সরল বাড়ই শিশুদের আয়োজনে সফলতা কামনা করেন এবং আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব বার্ষিক  কর্মপরিকল্পনা তৈরির আহবান জানান।

আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে এনসিটিএফ সদস্যরা ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক পরিকল্পনা  তৈরি করে।  দলীয় উপস্থাপনা হতে ২০১৯ সালের এনসিটিএফ শরীয়তপুর এর স্ব-উদ্যোগী কার্যক্রম সহ প্রায় ২২টির অধিক কাজের তালিকা তৈরি করা হয়।
পরিকল্পিত কাজগুলো বাস্তবায়নে শিশুবন্ধু প্লার্টফর্ম সদস্য এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সর্বাত্মক সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আয়োজনের সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহেদ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং এসডিএস এর নির্বাহী প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়ে, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সেভ দ্য চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল সহ এনসিটিএফ এর শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

| শুভ ঘোষ |
শিশু সাংবাদিক (ছেলে)
এনসিটিএফ, শরিয়তপুর

গাইবান্ধা এনসিটিএফ এর মার্চ মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির মার্চ ২০১৯ মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৪ মার্চ, ২০১৯ সোমবার দুপুর ১২ টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনসিটিএফ এর সভাপতি মো. মেহেদী হাসান অন্তর এর সভাপতিত্বে জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ ও জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ মনির হোসেন মিলন ও শ্রাবনী রহমান, সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান শাওন উপস্থিত ছিলেন।
পরে সভায় উপস্থিত কার্যনির্বাহী সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১। সদর হাসপাতাল পরিদর্শন ও মনিটরিং। 
১৪ মার্চ, ২০১৯.
২। শিশু পরিবার বালিকা পরিদর্শন। 
১৪ মার্চ, ২০১৯.
৩। ৫নং বল্লমঝাড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ। 
২০ মার্চ, ২০২৯. (সম্ভাব্য)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিটিএফ এর মার্চ মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মার্চ, ২০১৯ মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অদ্য ১ ই মার্চ, ২০১৯ শুএবার সকাল ১০:৩০ টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিটিএফ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনসিটিএফ এর সভাপতি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, জেলা ভলান্টিয়ার অজিত চন্দ্র বিশ্বাস ও সেতারা সুলতানা সেতু উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচ্যসূচিঃ

১। পূর্ববর্তী মাসের কাজের পর্যালোচনা
২। সদস্য সংগ্রহ
৩। শিশুদের সংবর্ধনা প্রদান।
৪। পএিকা প্রকাশ
৫। ১৭ ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

সিদ্ধান্তসমূহঃ

১। প্রত্যেক এনসিটিএফ সদস্য আগামী একমাস এ ২ জন নতুন সদস্য নির্বাচন করবে।
২। ১৭ ই মার্চ শিশু দিবস উদযাপন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে
৩। মার্চ মাস এ শিশুদের সংবর্ধনা প্রদান
৪। মার্চ-এপ্রিল মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এনসিটিএফ এর বার্ষিক প্রকাশনা “তিতাস শিশু বার্তা” প্রকাশ করা।

# সভা শেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং আগামী মাসিক মিটিং এর তারিখ নির্ধারন করে সভার মূলতবি ঘোষণা করেন সভার সভাপতি। 

ধন্যবাদান্তে
এনসিটিএফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

গাইবান্ধায় শিশু সুরক্ষায় এনসিটিএফ এর স্কুল কমিটি গঠন

জাতীয় পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য সদস্য সংগ্রহ ও শিশু সুরক্ষায় কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী গাইবান্ধা, সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় গত (২৫ ফেব্রুয়ারি), সোমবার সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলা মডেল স্কুল এন্ড কলেজে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের শুরুতে এনসিটিএফ জেলা কমিটির সদস্যরা প্রত্যেক শ্রেণিতে এনসিটিএফ এর কার্যক্রম ও জেলার সর্বশেষ শিশু অধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে। পরে আগ্রহী ১৪৫ জন শিশু শিক্ষার্থী এনসিটিএফ এর সাধারণ সদস্য ফরম পূরণ করে। পরে আগ্রহী শিশুদের মধ্য হতে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে   ১১ সদস্যের শিশু সুরক্ষা স্কুল কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় সহযোগিতা করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আমজাদ হোসেন চৌধুরি।

নির্বাচিত সদস্যদেরকে এনসিটিএফ এ তাদের ভুমিকা ও কার্যক্রম, শিশু অধিকার সনদ সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ এর সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান অন্তর, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হাসান পলক, শিশু সাংবাদিক ছনিয়া, জেলা ভলান্টিয়ার মনির হোসেন মিলন, শ্রাবনী রহমান ও সাবেক সভাপতি, উপদেস্টা আশিকুর রহমান শাওন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো এনসিটিএফ সদস্য ও শিশুরা

২১শে ফেব্রুয়ারি, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে গাইবান্ধায় শহীদ মিনার বিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাতে তৈরি শহিদ মিনার স্থাপন করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতীয় পর্যায়ের শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা।

গত (২১শে ফেব্রুয়ারি), বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঝিনাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ শহিদ মিনার স্থাপন করে পূষ্পমাল্য অর্পণ করে এনসিটিএফ সদস্যসহ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

পরে মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্যের আলোকে সাধারণ জ্ঞান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সংগঠনটি। প্রতিযোগিতা শেষে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ১৫ জন বিজয়ী শিশুর হাতে পুরষ্কার তুলে দেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও এনসিটিএফ সদস্যরা।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সেভ দ্য চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় শহিদ দিবসের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান অন্তর, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মেহেদী হাসান, জেলা ভলান্টিয়ার শ্রাবনী আক্তার, সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান শাওন, মশিউর রহমান মুছাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

শহীদ মিনার স্থাপনের অনুভূতি জানিয়ে ৫ম শ্রেনির ছাত্র রাজু (১০) জানায়, আমাদের স্কুলে কোন শহীদ মিনার ছিলো না। আমরা নিজেরা শহীদ মিনার বানানো দেখেছি। আজ সেখানে ফুল দিয়ে আমরা সম্মান জানাই।

এনসিটিএফ এর সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, আমরা জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপনে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে কোমলমতি শিশুরা ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ স্বরণে রাখতে পারে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তি রানী মন্ডল বলেন, ককশীট দিয়ে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য এনসিটিএফকে ধন্যবাদ জানাই। আজ আমাদের বাচ্চারা ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের স্বরণ করতে পেরেছে। আমরা কতৃপক্ষের নিকট এখানে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের দাবি জানাই।

উল্লেখ্য যে, এই বিদ্যালয় দুটির আশেপাশে প্রায় ৪ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত থাকে এই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা। ভাষা শহীদদের স্বরণে এখানে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের জোর দাবি জানায় স্থানীয়রা।

এনসিটিএফ মাদারীপুরের ৯১ নং দরগাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরির্দশন

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), মাদারীপুর জেলা কমিটির নেতৃত্বে মাদারীপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “৯১ নং দরগাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” পরির্দশন করা হয়। পরিদর্শনকালে এনসিটিএফ সদস্যরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করে, প্রতিটা কক্ষ পরিদর্শন করে এবং শিশুদের নিয়ে একটি শিশু অধিকার সচেতনতা মূলক আলোচনা করে।

পরিদর্শন কালে প্রাপ্ত সমস্যা:

* বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বপ্লতা রয়েছে তাই দুটি শিফটে ভাগ করে ক্লাস করানো হয় স্বল্প সময়ে ।

* মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এর উপর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক আছে তবে প্রজেক্টর এখনও পায় নি।

* রাস্তার পাশে বিদ্যালয় হওয়া স্বত্ত্বেও দেয়াল নেই ফলে যেকোনো সময়ে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিদর্শন কালে প্রাপ্ত সুফল:

* স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট রয়েছে ছেলে মেয়ে আলাদা আলাদা।

* স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

* শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস নেয় এবং শিক্ষার্থীরাও সন্তুষ্ট।

* বিদ্যালয়ে খোলার মাঠ ও খেলার উপকরণ রয়েছে ঠিক মত।

* ক্লাস রুম, ফ্যান,লাইট পর‌্যাপ্ত রেয়েছে।

অদ্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাবা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বিদ্যালয়ের বার্ষিক ফলাফল ভালো তবে অভিবাবকদের সচেতনতা প্রয়োজন। আরও জানান বিদ্যালয়ের দেয়ালের জন্য কাজ শুরু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাই তিনি এসিটিএফ এর মাধ্যমে আবার কাজ শুরু হরে বলে প্রত্যাশা করছেন।

ফাহমিদা মেহবুব নয়না
সভাপতি,
মাদারীপুর জেলা এনসিটিএফ

মুন্সিগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ এর সদর হাসপাতাল পরিদর্শন

মুন্সিগঞ্জ জেলায় চলতি শীত মৌসুমে বেড়ে চলেছে নিউমোনিয়া ও শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে, অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে। এমনই চিত্র পাওয়া গেছে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে।
১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সকালে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্যরা।
পরিদর্শনের সময় শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩০টি বেডের বিপরীতে ২২ জন শিশু রোগী ভর্তি পাওয়া যায়। যাদের অধিকাংশই শীতজনিত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। শিশু ওয়ার্ড এর পরিবেশ ছিল অন্ধকার এবং স্যাতস্যতে। এসময় রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বললে তারা জানান যে, বেশিরভাগই শীত জনিত রোগে আক্রান্ত। এছাড়া দায়িত্বরত ডাক্তাররা রোগী দেখতে কম সময় দেয় বলে অভিযোগ দেন স্বজনেরা। পরিদর্শনের সময় ওয়ার্ডের মেঝেতে শুকনো ময়লা দেখতে পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আর এম সাখোয়াত এর সাথে সাক্ষাত এর সময় অভিযোগের ব্যাপারে জানালে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি এবং খুব শিঘ্রই নতুন ভবন চালু হবে যেখানে শিশু উপযোগী সুসজ্জিত শিশু ওয়ার্ড নির্মান করা হয়েছে। পরে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে এনসিটিএফ এর কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করা হয়। তিনি শিশুদের এরকম উদ্যোগে উৎসাহ প্রদান করেন। সর্বশেষে কমিটির সদস্যরা তত্ত্বাবধায়ককে ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নেয়।