মোঃ মেহেদী হাসান অন্তরঃ হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে সকলের সচেতনতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান।
জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স এনসিটিএফ সদস্যদের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড মনিটরিং এর সময় তিনি এ কথা বলেন।
গত ০৪ আগস্ট, রবিবার সকালে এনসিটিএফ সদস্যরা ২০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের শিশু ও ডাইরিয়া ওয়ার্ড পরিদর্শন করে। পরিদর্শনের সময় শিশু ওয়ার্ডের ২টি বেড ভাঙ্গা, সিলিং ফ্যান নষ্ট, শুকনো ময়লা ফেলার জন্য ঝুড়ি নাই, মেঝেতে ময়লাসহ বেশ কিছু সমস্যা খুঁজে পান এনসিটিএফ সদস্যরা।
হাসপাতালের তত্বাবধায়কের নিকট সমস্যা গুলো তুলে ধরেন এনসিটিএফ সদস্যরা। তিনি সমস্যা গুলো নোট করে নেন এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। এসময় এনসিটিএফ সদস্যরা শিশু রোগীর সর্বোত্তম সুরক্ষার স্বার্থে শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে জনসাধারণের জুতা ছাড়া প্রবেশের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানায়।
এসব দাবির প্রেক্ষিতে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান বলেন, এটি করতে পারলে অনেক ভালো হতো। তবে সবাইকে বিষয়টি মান্য করতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে বিষয়টি আমরা বিবেচনা করবো। এছাড়া তিনি এনসিটিএফ সদস্যদের নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে একদিন হাসপাতাল মনিটরিং করে পরামর্শ দেয়ার অনুরোধ জানায়।
পরিদর্শন কালীন, শিশু ওয়ার্ডে ১২ জন, নবজাতক ওয়ার্ডে ৫ জন ও ডাইরিয়া ওয়ার্ডে ১০ জন শিশুরোগি চিকিৎসাধীন আছে বলে জানায় কর্তব্যরত নার্স।
এছাড়াও হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ জন শিশু রোগি চিকিৎসা নেয় এবং যাদের অধিকাংশ জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে জানায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ স্বপ্না রানী।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ, গাইবান্ধা এর সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান অন্তর, সাংগঠনিক সম্পাদক পলক, শিশু গবেষক মিম, শিশু সাংবাদিক ছনিয়া, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার জান্নাতুল ও জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ তাওহীদ তুষার প্রমুখ।