এনসিটিএফ শেরপুর এর উদ্যোগে ১০৯ ধারণকারী স্টিকারের প্রচার
১০৯ নম্বরের প্রচারে সারা শেরপুর শহর এমনকি প্রান্তীয় অঞ্চলেও স্টিকার ছড়িয়ে দিল এনসিটিএফ শেরপুর। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর সহায়তায় জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টারের নম্বর ১০৯২১ পরিবর্তন করে ১০৯ করা হয়েছে। যেকোনো মোবাইল ও অন্যান্য ফোন থেকে সরাসরি বিনা খরচে ১০৯ নম্বরে ফোন করে ২৪ ঘণ্টা সহায়তা নেওয়া যাবে। গত জানুয়ারি মাসে শেষ হলো স্টিকার লাগানোর কাজ। জেলা শহরের নিউমার্কেট, সদর হাসপাতাল রোড, মাধবপুর, খরমপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ও স্কুলে লাগানো হয় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জরুরি নম্বর ১০৯ ধারণকারী স্টিকার। এছাড়াও জেলা কমিটির সদস্যরা গ্রাম পর্যায়ে কুসুমহাটি, যোগিনীমুরা পর্যন্ত পৌঁছে দেয় স্টিকার। বহু রিক্সা ও অটোতেও দেখা মিলছে এনসিটিএফ শেরপুর এর সৌজন্যে ১০৯ নম্বর ধারণকারী স্টিকার।
গোপালগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ কমিটির বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাক্সফোর্স (এনসিটিএফ), গোপালগঞ্জ জেলা কার্যনির্বাহি কমিটির ১ম বর্ষ পূর্ণ উপলক্ষে “শিশু পেলে অধিকার, খুলবে নতুন বিশ্বদার” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ কমিটির বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিন উদ্দিন। জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি হাসানুর রহমান সিয়াম, জেলা ভলান্টিয়ার জুয়েল মাহামুদ ও ফারহানা মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক হাচিবুল হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকলে এবং আমন্ত্রিত এনসিটিএফ সদস্য বৃন্দ।
পরবর্তীতে সভাপতি হাসানুর রহমান সিয়াম – শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সহ সকলকে নিয়ে বর্ষপূর্তির কেক কাটেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ও বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এনসিটিএফ মেহেরপুর এর হাসপাতাল পরিদর্শন
অদ্য ০২-০২-২০১৯ তারিখ মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ এর একটি পরিদর্শক টিম, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তারা হাসপাতালে অনেক ভালো দিক নির্বাচন করেন তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য ১. রোগীরা সময় মতো ঔষধ পাচ্ছে ২. পর্যাপ্ত পরিমাণ নার্স আছে ৩.সময় মতো খাবার পাচ্ছে ৪.হাসপাতাল ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে ইত্যাদি এতো ভালো দিক আছে তবুও অনেক সমস্যা আছে হাসপাতালে তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য সমস্যা হচ্ছে ১. হাসপাতালের ভিতর এবং বাহির কোনোটাই স্বাস্থ্যসম্মত নয় অনেক ময়লা আবর্জনায় ভরা ২. পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই, পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় শিশুরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে না চিকিৎসা হীনতায় ভুগছে অনেক শিশু ৩. হাসপাতালে নার্স এবং ডাক্তারদের ব্যবহার খুবই খারাপ ৪. পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড নাই যার কারণে শিশুরা মেঝেতে অবস্থান করছে এছাড়াও আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি এস এম মেহেরাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া আফরিন এলিসা, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাফিজা রেজা, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার মাজশুনাত মিম নকশি, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার সাজু, শিশু গবেষক ইশিতা তাবাচ্ছুম লাবন্য, শিশু সাংবাদিক নোশিন তাবাচ্ছুম, শিশু সাংবাদিক আতিকুর রহমান, সদস্য নাজমুস সাকিব পপিন এবং জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ রাজন।
গাইবান্ধা জেলা এনসিটিএফ এর হাসপাতাল পরিদর্শন
গাইবান্ধায় চলতি শীত মৌসুমে বেড়ে চলেছে নিউমোনিয়া ও শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে, অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে। এমনই চিত্র পাওয়া গেছে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে।
গত বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে গাইবান্ধা ২০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা।
পরিদর্শনের সময় শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩৫ টি বেডের বিপরীতে ৪১ জন শিশু রোগী ভর্তি পাওয়া যায়। যাদের অধিকাংশই শীতজনিত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বেশ কিছু রোগী বেড না পাওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
এসময় রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বললে তারা জানান যে, বেশিরভাগই শীত জনিত রোগে আক্রান্ত। এছাড়া দায়িত্বরত ডাক্তাররা রোগী দেখতে কম সময় দেয় বলে অভিযোগ দেন স্বজনেরা। পরিদর্শনের সময় ওয়ার্ডের মেঝেতে শুকনো ময়লা দেখতে পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের নবাগত তত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডাঃ মাহফুজার রহমান এর সাথে সাক্ষাত ও অভিযোগের ব্যাপারে জানালে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি। শীতে রোগীর চাপ বাড়ছে, বেড সংকট কাটাতে আপাতত ফ্লোরে ফোমের বিছানা দেয়া হচ্ছে।
পরে নবাগত হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে এনসিটিএফ এর কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করা হয়। তিনি শিশুদের এরকম উদ্যোগে উৎসাহ প্রদান করেন।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরা ফেরদৌস, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার মেহেদী হাসান, শিশু সাংবাদিক সানজিনা আক্তার ছনিয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য তৃষা প্রামাণিক, কাজী আফসানা মিম ও জেলা ভলান্টিয়ার শ্রাবনী আক্তার।
ফেনী জেলা এনসিটিএফ এর জানুয়ারি মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
সভায় এনিসিটিএফ সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে জেলা এনসিটিএফ এর কার্যকরী কমিটির সদস্য, স্কুল কমিটির সদস্য, সাধারণ সদস্য সহ জেলা সেচ্ছাসেবক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এনসিটিএফ সদস্যরা এর অত্র বছর এর কাজ এর প্ল্যান উপস্থাপন করে, এছাড়াও ফেনী সরকারী পাইলট হাই স্কুল, ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফেনী জি এ একাডেমী স্কুল, ফেনী বালিকা বিদ্যানিকেতন, ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুল এ স্কুল কমিটি পুর্নগঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এনসিটিএফ এর সহ-উদ্যোগী কার্যক্রম কে আরো সুদৃঢ় করতে এনসিটিএফ ফান্ড গঠন, নতুন সদস্য সংগ্রহ সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
এছাড়াও কার্যকরী কমিটির ৩ জন সদস্য ফেনী জেলার বাইরে থাকায়, এনসিটিএফ কার্যক্রম থেকে স্বেচ্ছায় চলে জাওয়ায় তাদের পোষ্ট এ নতুন তিন জন কে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। এনসিটিএফ সদস্যদের মতামত এর ভিত্তিতে সহ-সভাপতি পদে সাদিয়া জান্নাত, শিশু গবেষক (ছেলে) – সাফকাত রাইয়ান সাবলিল, শিশু গবেষক (মেয়ে) – তানজিনা আলম মিথিলা কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এনসিটিএফ সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফেনী জেলা এনসিটিএফ এর পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানান।
এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
২৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রোজ শুক্রবার বেলা ৪ ঘটিকায় ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বার্ষিক পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা এনসিটিএফ সভাপতি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম প্রত্যাশা এর সভাপতিত্বে উক্ত কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, সাবেক এনসিটিএফ সভাপতি সাফায়েত জামিল নওশান, জেলা ভলান্টিয়ার সেতারা সুলতানা সেতু, অজিত চন্দ্র বিশ্বাস। এসময় এনসিটিএফ জেলা কমিটি এর কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টাগণ এবং বিভন্ন বিদ্যালয়ের উপ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার সূচনায় সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু গবেষক প্রীমা দাস,শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সুলতানা প্রীতি,২০১৮ সালের কাজের বিবরণী ও সাফল্য এবং ব্যার্থতা বিষয়ক বক্তব্য রাখেন সাইদ আলম জিনান, এসময় এনসিটিএফ এ কাজ করার অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন এহসান আহমেদ, আরো বক্তব্য পেশ করেন মেহেদী হাসান ও সিওয়াইভি অজিত চন্দ্র বিশ্বাস।
সকলের উদ্দেশ্যে বার্ষিক পরিকল্পনা উপস্থাপণ করেন জেলা এনসিটিএফ সভাপতি মোঃইফতেখারুল ইসলাম। সমাপনী পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক এনসিটিএফ সভাপতি সাফায়েত জামিল নওশান এবং জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার।
কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে একটি শিশু বান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তুলব এই প্রতিঙ্ওা ব্যাক্ত করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভার সভাপতি।
ধন্যবাদান্তে
এনসিটিএফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া