এনসিটিএফ মেহেরপুর এর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন
১২ আগষ্ট ২০১৮ ন্যশনাল চিলড্রেন’স ট্রাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), মেহেরপুর পৌর কমিটির নেতৃত্বে ১৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি বিশেষ টিম মেহেরপুরের একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়” পরিদর্শন করে। পরিদর্শন কালে শিশুরা বিদ্যালয়ের প্রতিটা কক্ষ পরিদর্শন করে শিশুদের সাথে কথা বলে বিদ্যালয়ের অনেক গুলো ভালো দিক উঠে আসে।
১। ওখানে স্বাস্থ্য-সম্মত পানির ব্যাবস্থা আছে।
২। স্বাস্থ্য-সম্মত টয়লেটের ব্যাবস্থা আছে।
৩। ক্লাস রুমের বা বেঞ্চের কোনো সমস্যা নাই।
৪। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ভালো ছিল।
৫। অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা খুবই ভালো।
৬। শিক্ষক সংকট নাই।
৭। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ভালো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ শিশুরা ঘুরে দেখে। পরিদর্শন শেষে শিশুরা অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে। বিদ্যালয়টিতে এখনো বেত্রাঘাত করা নিয়ে শিশুরা অভিযোগ করলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি পৌর কমিটির সভাপতি ও মেহেরপুর এনসিটিএফ এর সকল সদস্যরা।
এনসিটিএফ মেহেরপুর পৌর কমিটির নেতৃত্বে স্কুল পরিদর্শন
৭ আগষ্ট ২০১৮ তারিখ ১৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি বিশেষ টিম মেহেরপুর সদরের উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “কবী কাজী নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল” মাধ্যমিক বিদ্যাল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন কালে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এবং প্রতিটি ক্লাসরুম ঘুরে বেশ কিছু সমস্যা চোখে পড়ে।
সমাধানযোগ্য সমস্যসমুহঃ-
১। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পানির সংকট।
২। স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নাই এবং মেয়েদের জন্য বিশেষ সুবিধা নাই।
৩। ক্লাসরুমগুলোও রয়েছে ঝুকির মধ্যে। ছাদে ফাটোল ধরেছে এবং ঝুকিপূর্ণ ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
৪। অত্র প্রতিষ্ঠানে ফ্রাস্ট এইট (প্রাথমিক চিকিৎসা) বক্স নাই।
৫। অভিযোগ/পরমর্শ বক্স আছে তবে তা ব্যবহার হচ্ছে না।
পরিদর্শনকালে শিশুরা বেশকিছু ভালো দিকও লক্ষ্য করেঃ-
১। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো ভালো।
২। নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে।
পরিদর্শন শেষে শিশুরা স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলে এবং স্কুলের সমস্যার কথা জানালে প্রধান শিক্ষিকা দ্রুত এ সকল সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। পরিদর্শনে পৌর কমিটির পাশাপাশি উপস্তিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ কমিটির সম্মানিত সভাপতি ও সকল সদস্যরা।
সম্পন্ন হলো মাদারীপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ভিজিট ও নতুন সদস্য সংগ্রহ
৬ আগষ্ট, এনসিটিএফ মাদারীপুর এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা মাদারীপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করে এবং তারা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীর সাথে এনসিটিএফ সর্ম্পকে কথা বলে যেমন:
এনসিটিএফ কি?
এনসিটিএফ এর উদ্দেশ্য কি?
এনসিটিএফ এর কাজ কি?
এনসিটিএফ কিভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে পরে ইত্যাদি।
উক্ত আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এনসিটিএফ সর্ম্পকিত বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করে এবং তাদের মনযোগ ছিল লক্ষনীয়।
সকল শিক্ষার্থীরা এনসিটিএফ এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
এনসিটিএফ সর্ম্পকে আলোচনা শেষে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখে। এ বিদ্যালয়ে বিশেষ কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী চেয়ার, টেবিল, লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার ল্যাব সবই ছিল ঠিকমত এবং পরিবেশ ও ক্লাসরুম ছিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
[ফাহমিদা মেহবুবা নয়না
এনসিটিএফ মাদারীপুর]
বাল্য বিবাহের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে রক্ষা পেলো একটি সুন্দর জীবন
গত ২-০৮-২০১৮ তারিখ ঢাকা জেলা এনসিটিএফ একটি বাল্য বিবাহের সংবাদ পায়। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সকাল ১১:০০ টায় এনসিটিএফ ঢাকা জেলা কমিটি একটি জরুরি মিটিং এর আয়োজন করে। মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা এবং ঢাকা জেলা এনসিটিএফ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।
মিটিং এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেলা ২:০০ টায় জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার সাহায্যে এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ রূপনগর থানায় যান। রুপনগর থানা পুলিশ সহ জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা নিজে মেয়েটির বাসায় যান। পরবর্তীতে এনসিটিএফ এর দক্ষতায় এবং সকলের সহযোগিতায় বাল্য বিবাহের থাবা থেকে রক্ষা পায় শিশুটি। মেয়েটির পরিবার লিখিত জবানবন্দি দেন তারা তাদের মেয়েকে ১৮ বছর বয়সের পূর্বে বিয়ে দিবেন না।
মেয়েটির বয়স ১৩ বছর এবং সে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
গাইবান্ধায় এনসিটিএফ সদস্যদের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন
ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছে।
গত ২৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার দুপুরে এনসিটিএফ সদস্যরা এ পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করে। পরিদর্শনকালে শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডের ২৬ টি বেডের বিপরীতে ১১ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। যাদের অধিকাংশই শিশু ডাইরিয়ায় আক্রান্ত।
এছাড়াও হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ১৫০-২০০ জন শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নেয় বলে জানান দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।
পরিদর্শনের সময় এনসিটিএফ সদস্যরা শিশু ওয়ার্ডের প্রতিটি কক্ষে যান এবং রোগির স্বজনদের সাথে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা জানতে চান।
পরিদর্শনের সময় শিশু ওয়ার্ডে কিছু ময়লা পাওয়া যায়। যা সকালে পরিষ্কারের পর রোগীর স্বজনদের কারনে হয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত নার্স। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডের টয়লেটের সমানে পানি জমে থাকে যার কারনে ঠিকভাবে টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না বলে জানান রোগীর স্বজনেরা। এনসিটিএফ সদস্যরা রোগীর স্বজনদেরকে নির্ধারিত জায়গায় ময়লা ফেলার জন্য অনুরোধ জানায়। পরে বহিঃ বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীদের অপেক্ষার স্থানে কোন ফ্যান না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান স্বজনেরা।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ অমল চন্দ্র সাহা এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, টয়লেট এর সামনের অংশ দ্রুত উঁচু করে টাইলস লাগানো হবে, এ বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এবং বহিঃ বিভাগে ফ্যান লাগানোর কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুততম সময়ে ফ্যান দৃশ্যমান হবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ এর সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান অন্তর, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হাসান পলক, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মেহেদী হাসান ও ফয়সাল সৃজন।
এনসিটিএফ পাবনা জেলায় শিশু গবেষকদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
০২ আগষ্ট সকাল ১১ বাংলাদেশ শিশু একাডেমী জেলা কার্যালয়ে এনসিটিএফ পাবনার শিশু গবেষক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির চারজন শিশু গবেষক ছাড়াও জেলা কমিটির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন। এই সময় শিশু গবেষক কাওছার ইসলাম সকলকে গল্প লিখা, পেপার কাটিং এবং শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে পেপার কাটিং করেন শিশু গবেষকবৃন্দ। এছাড়া আগামী ১১ আগষ্ট হাসপাতাল এবং স্কুল মনিটরিং নিয়ে শেষে সঠিক সময়ে রিপোর্ট করার বিষয়ে আলোকপাত করেন মাসফিক হাসান সাফি, সভাপতি, এনসিটিএফ, পাবনা।