গাইবান্ধায় শিশু সুরক্ষায় এনসিটিএফ এর স্কুল কমিটি গঠন

মোঃ মেহেদী হাসান, গাইবান্ধা:

জাতীয় পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য সদস্য সংগ্রহ ও শিশু সুরক্ষায় কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী গাইবান্ধা, সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় গত (২৭ মার্চ), বুধবার সকালে নিউটন প্রিপারেটরী স্কুলে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের শুরুতে এনসিটিএফ জেলা কমিটির সদস্যরা প্রত্যেক শ্রেণিতে এনসিটিএফ এর কার্যক্রম ও জেলার সর্বশেষ শিশু অধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে। পরে আগ্রহী ১২৫ জন শিশু শিক্ষার্থী এনসিটিএফ এর সাধারণ সদস্য ফরম পূরণ করে। পরে আগ্রহী শিশুদের মধ্য হতে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে ১১ সদস্যের শিশু সুরক্ষা স্কুল কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় সহযোগিতা করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও পরিচালক সুকমল সরকার লিটন।
নির্বাচিত সদস্যদেরকে এনসিটিএফ এ তাদের ভুমিকা ও কার্যক্রম, শিশু অধিকার সনদ সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ এর সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান অন্তর, সহ-সভাপতি তাকিনা জামান তমা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হাসান পলক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনিরা ফেরদৌস, শিশু গবেষক ফরুখ আহমেদ, শিশু সাংসদ সদস্য মো. মেহেদী হাসান, জেলা ভলান্টিয়ার মনির হোসেন মিলন ও শ্রাবনী রহমান প্রমুখ।

এনসিটিএফ মৌলভীবাজার জেলার বার্ষিক সাধারণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

২৩ই মার্চ ২০১৯  সকাল ১০:০০ ঘটিকায় ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) মৌলভীবাজার জেলার বার্ষিক সাধারণ ও কর্ম-পরিকল্পনা সভা বাংলাদেশ মৌলভীবাজার শিশু একাডেমির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা এনসিটিএফ সভাপতি দ্বীপ্র ধর অর্ঘ্য এর সভাপতিত্বে এবং জেলা ভলান্টিয়ার সমরিতা পাল ঐশী এর সঞ্চালনায় কার্যক্রমে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মুহিবুর রহিমান মুহিব, জেলা মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা ইয়াহিয়া মুজাহিদ, শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অপরাজিতা রায়। এসময় এনসিটিএফ জেলা কমিটি সদস্য সহ ৩৫ জন সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কোরান ও গীতা পাঠে মধ্য দিয়ে সভার কর্যক্রম শুরু হয়। সভার সূচনায় সভাপতি এনসিটিএফ সম্পর্কে ও এনসিটিএফ এর কাজ সম্পর্কে সকলে অবগত করেন। এর পর সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার গত এক বছরের এনসিটিএফ মৌলভবাজার জেলার কার্যক্রম বর্ণনা করেন, এছাড়াও শিশুদের কল্যানে নানামুখি কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এনসিটিএফ সদস্য পাবেল আহমদে ও শাহ হেলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মেহেদী হাসান। বক্তব্যের পর কৌতুক,কবিতা আবৃত্তি ও মাদকের কুফল সম্পর্কে অভিনয় করে দেখান মিলি ও ইমাদ।
এর পর শুরু হয় বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সভা। এতে সদস্যরা চারটি দলে ভাগ হয়ে আগামী এক বছরে শিশুদের জন্য কি কাজ করা যায় তা রংগিন কাগজে লিখে সকলের নিকট উপস্থাপন করে।সকলের মতামতের ভিত্তিতে আগামি এক বছরের জন্য কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। 
বার্ষিক সাধারণ ও কর্ম-পরিকল্পনা সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং মৌলভীবাজার জেলাকে একটি শিশু বান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভার সভাপতি দ্বীপ্রধর অর্ঘ্য।

এনসিটিএফ নওগাঁ জেলার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক সাধারণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা

২৮ মার্চ ২০১৯ তারিখে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নওগাঁর এনসিটিএফ কক্ষে নওগাঁ জেলা এনসিটিএফ সভাপতি কারিশমা আখতার কথা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক সাধারণ সভা ও বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ২০১৯। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলার মাননীয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান স্যার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম খান, এনসিটিএফ নওগাঁর উপদেষ্টা ও সাবেক অধ্যক্ষ নওগাঁ সরকারি কলেজ, জনাব মোঃ শরিফুর রহমান এনসিটিএফ নওগাঁর উপদেষ্টা ও অধ্যক্ষ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, নওগাঁ জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা এনসিটিএফ এর কার্যকরী কমিটির সদস্য, সাধারণ সদস্য, স্কুল কমিটির সকল সদস্যবৃদ ও মোঃ শরিফ সিকদার শাহিন, এনসিটিএফ নওগাঁ জেলার জেলা স্বেচ্ছাসেবক (ছেলে), মিফতাহুল জান্নাত খান তুলি, এনসিটিএফ নওগাঁ জেলার জেলা স্বেচ্ছাসেবক (মেয়ে)।
প্রধান অতিথি জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান স্যার এনসিটিএফ এর কার্যক্রম এর প্রশংসা করে এনসিটিএফ কে সবসময় সহযোগিতা করবেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন শিশুদের নতুন নতুন আইডিয়া ব্যবহার করে সংগঠনকে আরো বহুদূর এগিয়ে নিতে হবে এবং এর জন্য স্যার ও উপদেষ্টা সর্বদাই আমাদের পাশে থাকবেন। এনসিটিএফ নওগাঁ জেলা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমাদের সময় দেয়ার জন্য। দিনব্যাপী এনসিটিএফ সদস্যরা ৩ গ্রুপে এ ভাগ হয়ে অত্র বছরের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেন। এনসিটিএফ সিপিএম মহিমা খাতুন ও শিশু গবেষক সিয়াম সিদ্দিক নতুন বছর এর কর্মপরিকল্পনা পাঠ করেন।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রতিদিন ক্লাস করছে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পৌরসভা গেইট সংলগ্ন কোকিল সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও গত ১৩ মার্চ বিকাল ৩ টায় পরিদর্শনকালে উঠে আসে স্কুল ভবনের করুণ দশা। এর আগে ভূমিকম্পে বিদ্যালয়ের দেয়ালে ফাটল এবং টয়লেটে ফাটল ধরলেও কর্তৃপক্ষের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। শুধু দেয়াল নয় বিদ্যালয়ের ছাদ বেহাল দশায় বলে দিচ্ছে কতটা ঝুঁকিতে আছে উক্ত স্কুলের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকমন্ডলীরা। ছাদ এবং ভিমের সিমেন্ট খসে পরছে। যা যেকোন সময় ঘটাতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনার। এছাড়া শহরতলী থেকে ঠাকুরগাঁও রোড পর্যন্ত রাস্তা প্রস্ততকরণের কারণে স্কুলের সামনের কিছু জায়গা রাস্তার মধ্যে চলে যাওয়ার প্রতিদিনের প্রত্যাহিক সমাবেশ করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এছাড়া রাস্তা প্রস্ততকরণে নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিশুরা। একদম রাস্তার পার্শে স্কুলের অবস্থান হওয়ার ইতিপূর্বে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে বেশ কিছু শিশু। গত ২০ জানুয়ারী ৩য় শ্রেণীর ছাত্র রমজার রাস্তা পার হতে গিয়ে অটো রিক্সার নিচে পরে গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে নিতে হয়েছিল হাসপাতালে। নিরাপত্তা প্রাচীর, ব্যস্ততম রাস্তা এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আতঙ্কের মধ্যে থেকে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শিশুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তার পার্শে স্কুল হওয়ার ধূলাবালিতে সমস্যা হয় পড়াশোনা করতে। এছাড়া উচ্চ হর্ণে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। ক্লাসরুমে নেই পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা। গরমে ক্লাস করতে কষ্ট হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন“ জায়গা কম থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস নিতে হচ্ছে”। শহরতলীর মধ্যে অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলটির জন্য দ্রুত কৃর্তপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটায় মনে করছেন সবাই। পরিদর্শনকালে এনসিটিএফ জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ, মোহাঃ জবেদ আলী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, ঠাকুরগাঁও, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, চাইল্ড রাইট’স প্রমোটর (সিআরপি) সেভ দ্য চিলড্রেন এবং জেলা ভলান্টিয়ার উপস্থিত ছিলেন।

গাইবান্ধায় এনসিটিএফ এর সরকারি শিশু পরিবার বালক ও বালিকা পরিদর্শন

জাতীয় পর্যায়ের শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে সরকারি শিশু পরিবার বালক ও বালিকা পরিদর্শন করা হয়েছে।

গত (১৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি শিশু পরিবার বালিকা ও বিকালে সরকারি শিশু পরিবার বালক  এতিমখানার নিবাসী শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। 
পরিদর্শনকালে লক্ষ্য করা যায় যে শিশু পরিবার বালিকার খেলার মাঠ এখনো সমতল করা হয়নি। এতে করে তারা খেলাধুলা করতে পারছে না শিশুরা। 
এ বিষয়ে শিশু পরিবার বালিকার সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন জানান, জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ দেয়ার কথা ছিলো তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।
অন্যদিকে, শিশু পরিবার বালকের নৈশ্য প্রহরী নেই, পর্যাপ্ত পড়ার টেবিল নেই, উত্তর পার্শ্বের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে শিশু পরিবার বালকের উপতত্ত্বাবধায়ক মানিক চন্দ্র রায় জানান দ্রুত সমস্যা গুলো সমাধান করা হবে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ গাইবান্ধা জেলা কমিটির  সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরা ফেরদৌস, শিশু গবেষক জান্নাতুল জ্যোতি, শিশু সাংসদ সদস্য মো. মেহেদী হাসান, সুমাইয়া আক্তার মিম, সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান মুছা, জেলা ভলান্টিয়ার মনির হোসেন ও শ্রাবনী রহমান প্রমুখ।

এনসিটিএফ পাবনার স্মারকলিপি প্রদান

১০-০৩-১৯ দুপুর ১২ টায় এনসিটিএফ পাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট গত ছয়মাসের জেলার শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং এবং মিডিয়া মনিটরিং এর উপর ভিত্তি করে স্মারকলিপি প্রদান করে। জেলার গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ০৩ জন শিশু, শিশু হত্যা এবং আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটেছে ০৫ টি, শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে ০৩ জন শিশু, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর মত ঘটনা ছিল ০৫ টি। সব মিলিয়ে গত ছয়মাসে পাবনা জেলায় ১০ জন শিশুর মৃত্যু, শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে ০৬ জন শিশু। যা ছিল খুব উদ্বেগজনক। শিশু মৃত্যু এবং শিশু নির্যাতনের সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা এবং পুরনায় এই ধরনের ঘটনা যেন না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক এনসিটিএফ পাবনাকে আশ্বাস দেন উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।