আমার স্কুল জীবন
জীবনের একটা অধ্যায়ের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছি । তারপরও নিজেকে প্রশ্ন করি কোথায় পৌঁছেছি আমি! কি আমার পরিচয় ? সে কারনেই কিছুটা স্মৃতি চারণ।
মীরপুরের “লিটল ফ্লাওয়ার”নামক প্রতিষ্ঠানে ১/২ কেজি শ্রেনীতে ভর্তির মাধ্যমে আমার স্কুল জীবনের শুভ সুচনা ঘটে । এই স্কুলেই দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত আমার ঠাই হয় । বাবার সরকারী চাকরী, হটাৎ একদিন সন্ধ্যে বেলা জানতে পারলাম খুব শীঘ্রই আমরা ঢাকা ত্যাগ করে রাজশাহী চলে যাব । তখনো বন্ধু চিনতে শিখিনি। নতুন বাসস্থানে যাওয়ার আনন্দে ২দিন ঠিকমত ঘুম হলনা । আমার রাজশাহী জীবন ছমাস পার হয়ে গেলো। পড়াশোনা খেলাধুলা সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিলো শুধু উত্তরের আবহাওয়া ছিল মারাত্মক বৈরি । থাকা হলোনা রাজশাহী এবার রওনা হলাম খুলনার দিকে। ছমাস কিভাবে কেটে গেলো টের পেলাম না, সামনে তৃতীয় শ্রেণীর বিশাল এক ভর্তি পরীক্ষা ! যেকরেই হোক ভাল স্কুলে ভর্তি হতেই হবে।
প্রথম পরীক্ষা “খুলনা পাবলিক কলেজ ” এর । প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গেলাম এই স্কুলের , পরিক্ষার আগের রাতে স্বপ্নও দেখে ফেললাম এবং আল্লাহ্র অশেষ রহমতে ভরতিও হয়ে গেলাম এখানেই । স্কুল জীবনের প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যায়ের শুরু মূলত এখানেই, এখন আমি বন্ধু চিনতে শিখেছি , চিনতে শিখেছি নিজের পরিচয় । পাবলিক কলেজের কত আনন্দ কত ভালবাসা বন্ধুত্তের সম্পর্ক সব বুকে চেপে রেখে দুফটা চোখের জল সঙ্গী করে আবার রওনা হই ঢাকায়। “শেরে বাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়” হয় আমার নতুন পরিচয় । সামান্য দিনের পরিচয়ে , নতুন পরিবেশে কিছু নতুন স্বপ্ন ,কিছু নতুন বন্ধু সব আবার মোটামুটি স্বাভাবিক হয়েছিল । থাকা হলনা ঢাকায় আবার প্রত্যাবর্তন চিরচেনা খুলনায়, কিন্তু এবার আর আমি ভেঙ্গে পড়িনি । পরিবেশ পাল্টাতে পাল্টাতে মনটা পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছিলো, নতুন পরিবেশ আমাকে একটুও ভীত করতে পারেনি। পুরনো বন্ধুদের ফিরে পেলাম কিন্তু ফিরে পেলাম না প্রিয় প্রতিষ্ঠান। “খুলনা পাবলিক কলেজের” শ্রধ্যিও প্রিন্সিপাল মহোদয় আমাকে ভরতি নিতে অস্বীকার জানালেন । বাধ্য হয়ে আমাকে “খুলনা জিলা স্কুল” ভর্তি হতে হল। পরগাছার মতো হাজির হলাম ‘জিলা স্কুলে‘র মেধাবী ছাত্রদের মাঝে । হয়তো এটিই আমার শেষ স্কুল। জেলা স্কুলের মেধাবী ছাত্রদের মাঝ থেকে আমিও ২০১৬ সালের এস,এস,সি পরীক্ষার্থী।
কিন্তু খারাপ লাগার চেয়ে আনন্দের বিষয় এপর্যন্ত যেকটি পরিবেশে আমি মিশেছি, আমি মিশেই আছি । সবাই আমার বন্ধু । সুখে দুঃখে যাকেই কাছে চেয়েছি তাকেই পেয়েছি । এই অপদার্থকে কেউ পর করে দেয়নি। এক সময় খুব কষ্ট হত একটি স্কুলে পুরোটা স্কুল জীবন পার করতে না পারায়। কিন্তু এখন ভেবে গর্ব হয়, আমি ‘খুলনা পাবলিক কলেজে‘র ছাত্র। আমি ‘শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে‘র ছাত্র। আমি ‘খুলনা জিলা‘ স্কুলের ছাত্র।
আহনাফ রাহাত ইপ্তি
খুলনা
শূন্য চোখের স্বপ্ন
তনিমা রব তোড়া :
আজকের যুগে শিশুদের নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যপক আয়োজনে মিছিল মিটিং হলেও প্রকৃতপক্ষে শিশুদের পাশে দাড়ানোর মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’ এ প্রবাদ বাক্যটি বর্তমান সময়ে প্রত্যেক মিছিল, মিটিং এর মূল কথা। তবে তা মুখের কথাই থেকে যাচ্ছে, বাস্তবে তার প্রয়োগ, প্রচার বা প্রসার কোনটিরই দেখা মেলে না। বর্তমানে তার ভিন্ন চিত্র যা প্রতিটি জেলা শহরের সাধারণ দৃশ্যের একটি। প্রতিবছর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পালিত হয় বিশ্ব শিশু দিবস। তবে আমাদের সমাজে শিশু শ্রম বন্ধ হয় না কখনোই। বরং তা পর্যায়ক্রমিক ভাবে বেড়েই চলেছে। সেই সাথে অঙ্কুরে বিনষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।
বিভিন্ন কলকারখানা এবং গার্মেন্টসগুলোতে নামেমাত্র শিশু শ্রমবিরোধী সাইনবোর্ড দেখা গেলেও, তারাই অধিক লাভের আশায় শিশুদের এসব কাজে ব্যবহার করে। সমাজের উচ্চপদস্ত ব্যক্তিটি মিছিল, মিটিং এ শিশু শ্রমবিরোধী বক্তৃতার পর রাস্তায় পথশিশুকে দেখেন না। নিজের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে নিয়োজিত শিশুটির উপর অমানবিক নির্যাতন করেন দিনের পর দিন। বর্তমানে পুজি ছাড়া ভিক্ষাবৃত্তি ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেখানেও দেখা যায় শিশু শ্রমিকদের ঢল। অনেক শিশুদের লেখাপড়া করার ইচ্ছে থাকা সত্তেও পরিবারের চাপে নয়তো পরিবারহীন হওয়ায় মেনে নিতে হয় এই ভিক্ষাবৃত্তি নামক ব্যবসা। এসব শিশুর অসহায় চোখের দিকে তাকিয়েও কারও বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হয় না। এ কোন দেশে বাস করছি আমরা। যে দেশ লাখো মানুষের তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছে আজ এত বছর কোথায় সেই স্বাধীন দেশ। যে দেশে ছোট ছোট শিশুরা নিজেদের অধিকার পায় না, জীবীকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তি আরো কঠোর শ্রমকে মেনে নিচ্ছে সে দেশ কিভাবে উন্নতির শেখরে পৌঁছবে। যেখানে সরকার সুষ্ঠুভাবে এর কোন প্রতিকার করতে পারছে না সেখানে সাধারন মানুষের সামান্য সহায়তায় কিছুই সম্ভব নয়। পরিস্থিতি যেমন আছে তেমনই থেকে যাবে। পথশিশু আর শ্রমজীবী শিশুরা এভাবেই অনাদরে অবহেলায় পড়ে রবে। আর এভাবেই উপরমহলের বক্তব্যগুলো পুরোনো হতে থাকবে সেই সাথে প্রজন্মের পর প্রজন্ম শিক্ষাহীনতায় ভুগে পঙ্গুত্ব বরণ করে নেবে। আমাদের দেশে সফলভাবে শিশুদের জন্য কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। অবহেলিত শিশুরা তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে অনৈতিক কার্যকলাপে। নির্যাতনে জর্জরিত করা হচ্ছে একের পর এক শিশুকে। এরকম শিশু নির্যাতনের এক একটি ঘটনার পর দেশময় তোলপাড় হয়ে যায় ঠিকই কিন্তুু প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কারও ভূমিকা বিশেষ লক্ষ্যনীয় নয়। তাহলে নিজের দেশে শিশুর নিরাপত্তা কোথায় ?
শিশুরা সুস্থ্য ও সুন্দরভাবে বড় হবে তেবেই তো তারা দেশ নেতৃত্ব দেবে। যেখানে তাদের বেঁচে থাকাই প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করা নেহায়েত কল্পনাতীত। দেশের বর্তমান পরিস্থতি বিবেচনায় সরকার সহ সকলের সজাগ দৃষ্টিই এসকল শিশুদের শূণ্য চোখে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ফোটাতে পারে । আর তা না হলে স্বপ্নগুলো শূন্য চোখেই রয়ে যাবে.
আমরাই পারি।
হাসান মাহমুদঃ এনসিটিএফ এর উদ্যেগে ২৬/১০/২০১৫ সকাল ১১ ঘটিকার সময় মেহেরপুর জেলার মটমুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের সাথে এনসিটিএফ সদস্যদের শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক গণ-শুনানি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এখানে মটমুরা ইউনিয়ন এর সব গ্রাম থেকে এনসিটিএফ সদস্য এবং স্কুল প্রদান শিক্ষক সহ ইমাম সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।
শিশু অধিকার সনদের ১২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে শিশুরা তাদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে দায়িত্ব বাহকের সাথে মতপ্রকাশ করতে পারবে। গণ-শুনানিতে শিশুদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত বিষয়গুলো হচ্ছে ইভটিজিং,শিশুদের মাদকের প্রতি আসক্ততা,অল্প বয়সে বিবাহ, দপ্তরি দিয়ে ক্লাস নেওয়া, কিছু স্কুলে বাথরুম ব্যবহার অনপুযোগী, ইউনিয়ন পরিষদে এনসিটিএফ মিটিং রুম এবং ফার্নিচার। এনসিটিএফ শিশুদের গত জানুয়ারী থেকে সেপ্টেমবর এর মধ্যে শিশু বিবাহের সংখ্যা ২৫ জন যাদের বয়স গড়ে ১১-১৪ বছর। বাওট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন শিশু বিবাহ বন্ধ করতে হলে সবার আগে অভিবাবকদের সচেতন করতে হবে। তাদের সচেতন করতে পারলে এটা রোধ করা সম্ভব হবে।
আমার স্কুল এলাকার মধ্যে কোন মেয়ে ইভটিজিং স্বীকার হও আমাকে জানালে আমি পদক্ষেপ নিব। মুটমুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অত্র অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিশু বিবাহ সর্ম্পকে বলেন আমাদের দেশ তথা সমাজের মারাত্বক ব্যাধি। যার ফলে বিশেষ করে নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা বা সমান অধিকার থেকে এর জন্য একা আন্দোলন করলে হবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরাই পারি শিশু বিবাহ প্রতিরোধ করতে, কারন সরকারের সব চাইতে নিম্ন পর্যায় আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ ।
এনসিটিএফ থেকে তোমরা যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছো সেগুলোর সাথে আমি একমত এগুলো প্রতিরোধ করতে আমার যেখানে যা সহযোগীতা লাগবে আমাকে বললে আমি সহযোগিতা করব। এনসিটিএফ আমার চোখ খুলে দিয়েছে আমি অনেক বিষয় জানলাম ভবিষতে তোমরা আমাদের এভাবে জানাবে। আমি এনসিটিএফ এর মিটিং করার জন্য এ রুমে তোমাদের চেয়ার টেবিল যা লাগে তা পরিষদ থেকে নিয়ে একটা তালা মেরে চাবি তোমাদের কাছে রাখবে।
তোমাদের খবরগুলো আমাদের ইউনিয়ন র্পোটালে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যেক্তাকে দিলে তা প্রকাশ করা হবে। পলাশি পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি ও সেভ দ্য চিলড্রেন সহযোগিতায় উক্ত শুনানিতে শিশু ও সুশীল সমাজের ৪৮ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এনসিটিএফ এর চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য জনি আহাম্মেদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস প্রতিনিধি সহ সেভ দ্য চিলড্রেন এর সেন্ট্রাল ভলান্টিয়ার শান্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম উপজেলা ভলান্টিয়ার জসিম উদ্দিন এবং ইসমোতারা প্রমুখ্য।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এনসিটিএফ এর সম্মাননা স্বারক।
হাসান মাহমুদঃ মেহেরপুর জেলাস্থ গাংনী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আবুল আমিন মহোদয় খুলনা বিভাগের সেরা উপজেলা নির্বাহী নির্বাচিত হওয়ায় এনসিটিএফ জেলা কার্যনির্বাহি কমিটি ও গাংনী উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। মেহেরপুরের সকল এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ তাঁর এই সাফল্যের জন্য গর্বিত এবং আনন্দিত। ২৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে এনসিটিএফ এর পক্ষ থেকে শিশুরা ফুল এবং সম্মাননা স্বারক গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনসিটিএফ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন আমি এনসিটিএফ শিশুদের খুবই ¯েœহ করি এবং আমি সর্বদা তোমাদের পাশে আছি এবং থাকব। তিঁনি এও বলেন, এনসিটিএফ শিশুদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে আমি উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসে এনসিটিএফ গাংনী উপজেলা কমিটির সচিবালয় হিসাবে ব্যবহার করতেএকটি কক্ষ সরকারিভাবে বরাদ্দ দিয়েছি। অতি শীঘ্রই আমি তোমাদের নিয়ে কক্ষটির শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করব। উদ্বোধনকালে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ। উদ্বোধনি অনুষ্ঠানটি সকল টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ লাল মিয়া, সভাপতি, এনসিটিএফ মেহেরপুর জেলাকমিটি, হাসান মাহমুদ, স্পীকার, চাইল্ড পার্লামেন্ট, মোঃ রোকুনুজ্জামন রাকিব, সভাপতি ও জেমী খাতুন, সাধারণ সম্পাদক,এনসিটিএফ গাংনী উপজেলা কমিটি,জনাব মোঃ ইমরান হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজার, সেভ দ্য চিল্ড্রেন মেহেরপুর ও জনাবমোঃআবুজাফর মোহাম্মাদ হোসেন, প্রজেক্ট অফিসার, সেভ দ্য চিল্ড্রেন, জনাব মোঃ মোর্শারফ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি এবং সুনীল কুমার রায়, প্রকল্প পরিচালক, পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি।
Learning camp to develop children s skill
One hundred children got life skill training to protect them-selves from mental and physical unfavorable situation in life at Gangni in Meherpur . In the learning camp children got to know about the child convention and various skills for life . Beside that they took part in a drawing and quiz competition.The Chief guest appreciated NCTF for their participation in local level child budget, hot line introduction to stop child marriage and others advocacy activities. The training session held on 28 October 2015 with the support of Bangladesh Shisu Academy, Somaj Kollan Somiti and Save the Children.
গাংনী উপজলো লার্নিং ক্যাম্প।
জেমী আক্তারঃ গত ২৮ই অক্টোবর, শুক্রবার ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), মেহেরপুর এর আয়োজনে ১০০ শিশুর উপস্থিতিতে লার্নিং ক্যাম্প ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়। সেভ দ্য চিলড্রেন এর শিশুদের জন্য কর্মসূচী ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী এবং পলাশি পাড়া সমাজ কল্যাণ সমতিরি সহযোগিতায় উক্ত লার্নিং ক্যাম্পে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সকল ইউনিয়ন থেকে এনসিটিএফ প্রতিনিধি, এডি সেন্টার প্রতিনিধি, চাইল্ড প্রটেকশন প্রতিনিধিসহ অন্যান্য এলাকার শিশুরা অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯.৩০ মনিটিরে সময় প্রধান অতথিি জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা লার্নিং ক্যাম্প এর শুভ উদ্বোধন করেন।
পরবর্তীতে শিশুরা আনন্দের মধ্য দিয়ে শিশু অধিকার সনদ, জীবন দক্ষতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরে শিশুরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পর শিশুরা ঘুড়ি উড়ায়,সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের মধ্য দিয়ে শিশুরা পরিবেশকে আরো বেশী আনন্দঘন করে তোলে। সেভ দ্য চিলড্রেন এর শিশুদের জন্য কর্মসূচীর বিভিন্ন কর্মসুচি সম্পর্কে উপস্থিত শিশুদের অবহিত করেন ডেপুটি ম্যানেজার জনাব ইমরান চৌধুরী। এর পর শিশুরা কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, পলাশী পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি,শুনীল কুমার রায় প্রজক্টে ডরিক্টের পলাশী পাড়া সমাজ কল্যান সমিতি ,জনাব আবুজাফর মোহাম্মদ হোসেন, প্রজেক্ট অফিসার, সেভ দ্য চিলড্রেন,লালমিয়া, সভাপতি, এনসিটিএফ মেহেরপুর জেলা। অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় গাংনী উপজলো এনসটিএিফ সভাপতি রোকুনুজ্জামান রাকবি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে গাংনী উপজেলা এনসিটিএফ সাধারন সম্পাদক জমেী খাতুন,জনি আহাম্মদে,মোমনি এবং কাকলী আক্তার।
আলোচনা সভায় জমেি খাতুনরে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এনসিটিএফ মেহেরপুরের বিভিন্ন সফলতা এবং প্রশাসনের দাবি তুলেধরে। এর মধ্যে উল্লেখ্য, তারা চলতি বছর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট পরিকল্পনা সভায় অংশগ্রহণ করে এবং তাদের সুপারিশে ইউনিয়ন পরিষদ শিশুদের জন্য সুনির্দিস্ট বাজেট বরাদ্দ করে। এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ প্রধান অতিথির নিকট আগামী বছর সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাজেট সভায় অংশগ্রহণ করতে একটি সরকারি নির্দেশনামূলক বিজ্ঞপ্তি জারির দাবি জানায় চায়। শিশুরা যাতে সরাসরি প্রশাসনের কাছে তাদের সমস্যা ও অভিযোগ সমূহ জানাতে পারে তার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার জন্য দাবি জানায়। এছাড়া সে তার বক্তব্যে জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান যে তাদের সরকারী ওয়েবসাইটে এনসিটিএফ এর সংবাদ ও তথ্য শেয়ার করার জন্য সুযোগ দিয়েছেন। সে তার বক্তব্যে উল্লেখ করে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে উপজলো প্রশাসনরে একটি নির্দিষ্ট হটলাইন চালু করলে তারা তৎক্ষনাত তথ্য জানাতে পারবে এবং আরো উল্লেখ করে তাদের মেহেরপুরের সকল গ্রামে এনসিটিএফ এর সদস্য আছে।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে এনসিটিএফ এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সকল কাজে এনসিটিএফকে সহযোগিতা করবে বলে জানান। তার পাশাপাশি প্রধানঅতিথি তার বক্তব্যে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে অঙ্গীকার তুলেধরেন এবং এনসিটিএফকে আরো বেশী কাজ করার জন্য বলেন। তিনি সব সময় এনসিটিএফকে সহযোগিতা করবেন বলে ও জানান এবং এনসিটিএফ এর কাজের প্রশংসা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে শশিু ছাড়া আরো উপস্থতি ছলিনে মৃদুল কুমার পএিসকএেস,মোঃ শহদিুল ইসলাম শান্ত, চাইল্ড র্পালামন্টে স্পীকার মোঃ হাসান মাহমুদ এবং জসমি, মুক্তা প্রমূখ্য।
শিশু পার্কের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করলো এনসিটিএফ কক্সবাজার।
তাহমিনা আলম : ২৮ অক্টোবর,কক্সবাজারে শিশু পার্ক স্থাপণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে জাতীয় শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলন্ড্রেন টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ),কক্সবাজার।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার এনসিটিএফ এর পত্রিকা ‘ দরিয়া নগর’ প্রথম সংখ্যায় ২০০৭ সালে শিশু পার্ক স্থাপণের গুরুর কথা তুলে ধরা হয়েছিলো।এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে এবং কক্সবাজারের সরকারি বেসরকারি সুধীজন শিশুদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন ।কিন্তু দুঃখের বিষয়,কক্সবাজারের শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের এই দাবিটি পূরণে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি ।কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলি হোসাইন বলেন,সীমাবদ্ধতা নয় বরং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে এতদিন কক্সবাজারে শিশু পার্ক নির্মাণে উদ্যোগ নেয়া হয় নি ।ইতোমধ্যে কক্সবাজারে শিশু পার্ক স্থাপণের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি ।গত ২৮ অক্টোবর, বিকাল ০৪ টায় এনসিটিএফ কক্সবাজার জেলা কমিটি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ কক্সবাজার সভাপতি বশির উল আলম ইয়ূথ ভলান্টিয়ার নার্গিস আকতার রনি এবং হালিমা বেগম,শাহিন,তাহমিনা আলম,সাঈদ হোসাইন হৃদয় প্রমুখ।