সদর হসপাতাল পরিদর্শনে পিরোজপুর জেলা এনসিটিএফ।
৫-১১-১৪ইং রোজ বুধবার সকাল ১১ টায় পিরোজপুর সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যায় এন.সি.টি.এফ এর একটি টিম। পরিদর্শন কর্মসূচীতে ছিলো এন.সি.টি.এফ এর সাধারন সম্পাদক নাবিল খান,মাহবুবা গাজী,অহনা আশা,প্রিয়তা মন্ডল,আনিকা ও সিফাত। এবং সার্বিক তত্বাবধানে ছিলো এন.সি.টি.এফ পিরোজপুর জেলা শাখার ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টিয়ার অনন্যা। হাসপাতাল এর শিশু ওয়ার্ড টি আমরা এক ঘন্টার ও বেশি সময় ধরে ঘুরে দেখি। শিশু ওয়ার্ড এ বেশিরভাগ শিশুর বয়স ই ৪ বছর এর নিচে। কয়েকজন শিশু ছিলো ৪-৫ মাস বয়সের। তাদের মায়েদের সাথে কথা বলে আমরা শিশুদের তথা হাসপাতাল কতৃপক্ষ ব্যাপারে জানতে চেয়েছি।এবং প্রায় সকল মতামত আমরা অনুকূলে পেয়েছি। হাসপাতাল এর পরিবেশ,খাদ্য সরবারহ সব ই অনুকূলে রয়েছে। যেটুকু সামান্য অভিযোগ আম রা পেয়েছি তা ছিলো ঔষধ সরবারহ নিয়ে।
শিশু বিভাগের ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ অনুপস্থিত থাকায় আম রা কথা বলেছি হাসপাতাল এর আবাসিক ইনচার্জ ড. ননী গোপাল এর সাথে।
হাস পাতালের নার্সরাও ছিলেন যথেষ্ট সহযোগিতাপূর্ণ।হাসপাতাল কতৃপক্ষ আমাদের সার্বিক সহায়তা করেছেন।
”জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ”এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক মত বিনিময় সভা করল এনসিটিএফ ঢাকা জেলা
“জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ”এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক মত বিনিময় সভা করল এনসিটিএফ ঢাকা জেলা।
ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ঢাকা জেলার উদ্যোগে ২৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে “জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ”এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক জনাব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এনসিটিএফ ঢাকা জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং সাধারণ সদস্যদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সদস্যরা এনসিটিএফ এবং শিশু অধিকার সনদ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট জিজ্ঞাসা রাখেন। সর্বশেষ জেলা প্রশাসক মহোদয় এনসিটিএফ ঢাকার কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং যে কোন প্রয়োজনে তাঁর সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
এছড়াও এনসিটিএফ ঢাকা জেলার সদস্যদের পত্রিকা প্রকাশনের জন্য একটি কম্পিউটার এবং প্রিন্টার উপহার দেয়ার আশ্বাস দেন।
এই মতবিনিময় সভার সার্বিক সহায়তায় ছিল শিশু একাডেমি ঢাকা জেলা, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্লান বাংলাদেশ।
শিশুদের আদর্শ মানুষ হতে হবে !
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে র্যালি ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক, খুলনা শিশুদের হতে হবে আদর্শ মানুষ এবং আদর্শ নাগরিক কারন তারাই হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে সমাজের পারিপার্শিক অবস্থা বিবেচনা করে হতে হবে সচেতন। তারা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতন হলে সমাজে ও দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে। এমন কথাই বলেন জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আনিস মাহমুদ জেলা প্রশাসক, খুলনা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুলতান আলম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ), খুলনা, মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), খুলনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল কাইয়ূম, চেয়ারপার্সন নাগরিক ফোরাম, খুলনা, প্রভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, প্রজেক্ট ডিরেক্টর ওয়ার্ল্ড ভিশন (সিএসপি), স্বপন গুহ, নির্বাহী পরিচালক, রূপান্তর, শামিমা সুলতানা শিলু, প্রধান নির্বাহী মাসাস, মোঃ আবুল আলম জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা,বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, খুলনা, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন মোঃ রকিবুল ইসলাম, সভাপতি, এনসিটিএফ, খুলনা। ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), খুলনা এর আয়োজনে জেলা প্রশাসন, খুলনা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, প্লান বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় উক্ত অনুষ্ঠানটি। শিশুদের মাদক থেকে দুরে রাখা, রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে শিশুদের বিরত রাখার ক্ষেত্রে সকলকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং শিশুদের যে কোন সমস্যা হলে প্রশাসনের সকল ধরনের সহযোগিতা পাবে বলে অতিথিবৃন্দ আশ্বাস প্রদান করেন। সাথে সাথে শিশুদেরকেও এ সকল বিষয়ে সক্রিয় হওয়ার আহবান জানায় অতিথিবৃন্দ। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামানুজ চন্দ্র রায় ওয়ার্ল্ড ভিশন, প্রিন্স মাহমুদ অপরাজেয় বাংলাদেশ।
A team from Save the Children UK visited NCTF Dhaka District office
A team from Save the Children UK visited NCTF Dhaka District office in 20th November at 2.00pm. The members of NCTF Dhaka District gave a brief presentation about the activities of NCTF. They also shared a video of a session of Child Parliament.
NCTF গোপালগঞ্জের নবান্ন উৎসব।
গত ১৫ই নভেম্বর রোজ শনিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমী গোপালগঞ্জ জেলা শাখা এক বর্ণাঢ্য নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছিল যেমন- হাড়ি ভাঙ্গা, বিস্কুট দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজ ইত্যাদি। প্রতিযোগীতায় প্রথম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিল।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং আরও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়। অনুষ্টানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা শিশু কর্মকর্তা জনাব শেখ ফজলুল করিম।
এবোলা একটি মারাত্মক ভাইরাস !
এবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যই অবধারিত৷ এই অসুখের ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি এখন পর্যন্ত৷ তবে একটা ভাল খবর হলো খুব সংক্রামক নয় রোগটি৷ এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না৷ মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে কঙ্গো, সুদান, গাবন ও আইভরিকোস্টে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি৷ দেহের তরল পদার্থের মাধ্যমে সংক্রমণ সাধারণত এবোলা ভাইরাস বাতাসে নয়, দেহের তরল পদার্থ রক্ত, লালা ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়৷ সরাসরি শারীরিক সংযোগের মাধ্যমে ঘটে থাকে সংক্রমণ৷ যেমন ভাইরাসে আক্রান্ত কারো সেবা করলে৷ এ কারণে হাসপাতালগুলিতে এর বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মরদেহ স্পর্শ করলেও সংক্রমণ হতে পারে৷ ভাইরাসরা বাহকের প্রতিটি সেলেই বিস্তৃত হতে পারে৷ এছাড়া জীবজন্তু বিশেষ করে বাঁদুড় এই ভাইরাস ছড়াতে পারে৷ অসুস্থ বা মৃত জন্তুর সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে৷ মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে এই ভাইরাসকে লম্বা ও পাতলা সুতার মতো মনে হয়৷ এগুলির অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ বিশেষ কয়েকটি মানুষকে অসুস্থ করতে পারে৷ আর এরকম হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়৷ আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হতে থাকে দুই থেকে একুশ দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হতে থাকে৷ মাথাব্যথা, পেশিব্যথা ও কাঁপুনি দেখা দেয়৷ রুচি নষ্ট হয়ে যায়৷ বমি ও পেটখারাপ হয়৷ পেটের শিরায় টান খায়৷ এক ধরনের জ্বর হয়ে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়৷ বিশেষ করে পেট ও অন্ত্রের নালী এবং প্লীহা ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়৷ যা ভুক্তভোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়৷ টিকা বা ওষুষ বের হয়নি এই ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা বের হয়নি৷ বের হয়নি ওষুধ বা থেরাপিও৷ এবোলার সংক্রমণ ও মহামারির হাত থেকে উদ্ধার পাওয়ার একমাত্র উপায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া৷ হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে৷ কাজ করতে হবে গ্লাভস পরে৷ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ বাঁচিয়ে চলতে হবে৷ প্রথম ১৯৭৬ সালে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে রোগটি লক্ষ্য করা যায়৷ বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তখন থেকে আফ্রিকার দেশগুলিতে ১৫টি মহামারি দেখা গিয়েছে৷ মারা গিয়েছে ১৩০০-এর বেশি মানুষ ৷ ইদানীং গিনি ও সম্ভবত লাইবেরিয়া এই ভাইরাসের কবলে পড়েছে৷ এর আগে ২০১২ সালে উগান্ডা ও কঙ্গো হয়েছিল এবোলার শিকার৷