বরিশাল তরুণ সাংবাদিক ফোরাম’র উদ্যোগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান !!

17062014013717pmCaptureবিপুল উত্‍সাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বরিশাল তরুণ সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে সমপ্রতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা থেকে পদক পাওয়া তিন জন সাংবাদিক এবং একজন বিশিষ্ট শিশু সাংবাদিক সংগঠক কে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে৷ নগরীর সমবায় ব্যাংকের ২য় তলাস্থ মাসিক তারম্নণ্যের বার্তা কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বরিশাল তরম্নণ সাংবাদিক ফোরামের আহ্ববায়ক মোঃ জুবায়ের হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐতিহ্যবাহী বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক শাহনামা’র সম্পাদক কাজী আবুল কালাম আজাদ৷ তিনি এসময় তরম্নণ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন,” তরুণ সাংবাদিকদের সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে স্বচ্ছতা আর নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে৷ তিনি বরিশালের ঐক্যবদ্ধ তরম্নণ সাংবাদিকদের পাশে থাকার জন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশকদের প্রতি আহ্বান জানান৷ বরিশালের তরম্নন সাংবাদিকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আরও বলেন বরিশালের পেশাদার সাংবাদিক সত্‍ এবং সাহসীকতার সাথে কাজ করছে৷ যার বড় প্রমাণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা থেকে তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পদকে ভূষিত হচ্ছেন৷” অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক পুলক চ্যাটার্জী,দৈনিক আজকের বরিশালের সম্পাদক ও প্রকাশক খলিলুর রহমান প্রমুখ৷ আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন সংস্থা থেকে পদক পাওয়া বিশিষ্ট সাংবাদিকদের ফুল এবং সম্মননা স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় অতিথিরা৷ সংবর্ধিতরা হলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও দৈনিক মতবাদ বার্তা সম্পাদক গোপাল সরকার,প্রেসক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক ও দৈনিক শাহনামা বার্তা সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নির্বাহী সদস্য ও আজকের বরিশাল স্টাফ রিপোর্টার মামুন অর রশীদ এবং শিশু সংসদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী,লাল সবুজ নির্বাহী সম্পাদক সোহানুর রহমান৷ তরম্নণ সাংবাদিক ফোরাম এর যুগ্ম আহবায়ক সাহিদ হাসান সোহাগ এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, তরুণ সাংবাদিক ফোরাম এর সদস্য সচিব আনিছুর রহমান হিমু৷ বক্তব্য রাখেন জার্নালিষ্ট এ্যাসোশিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ জহিরম্নল ইসলাম,তারম্নণ্যের বার্তার সম্পাদক ফিরোজ মোসত্মফা, তরুণ সাংবাদিক ফোরাম এর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মজিবর রহমান (নাহিদ), সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহির রায়হান,আহবায়ক কমিটির সদস্য এম.সাইফুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিন নাইম প্রমুখ৷ এ অনুষ্ঠানে বরিশালের বিভিন্ন মিডিয়ার শতাধিক তরম্নণ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন৷

যশোরে বড়দের সাথে সংলাপে শিশুবিষয়ক নানা সমস্যা তুলে ধরলো শিশুরা !

17062014103726amCaptureশামিম আহমেদ: যশোর জেলায় শিশু অধিকার বাসত্মবায়ন পরিস্থিতি বিষয়ক শিশুদের সাথে বড়দের সংলাপ রোববার স্থানীয় সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, যশোরের সহযোগিতায় ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) যশোর জেলা কমিটি এ সংলাপের আয়োজন করে৷ সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো.মোসত্মাফিজুর রহমান৷ চাইল্ড সেফটিনেট,ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিতে সংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ হোসেন পনির, যশোরের পৌর মেয়র মারম্নফুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন৷ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা শিৰা অফিসার, নাসির আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি হারম্নন অর রশিদ, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসিব নেওয়াজ, এনসিটিএফ যশোর সভাপতি সোনিয়া আফরিন সোমা, প্রমুখ৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী শামিম আহমেদ৷ সংলাপে শিশুদের ও শিশু বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সঙ্কটের কথা তুলে ধরেন এবং সংশিস্নষ্টরা তা সমাধানে কার্যকর পদৰেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন৷

ভান্ডারিয়ায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা !

আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গত ১২ই জুন বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ভান্ডারিয়ায় এডিপি এর উদ্যোগে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। পরে সংস্থার স্থানীয়16062014094536am11 হল রুমে এডিপি ম্যানেজার পলাশ রঞ্জন সরকার এর সভাপতিত্বে শিশু শ্রম প্রতিরোধ এর ওপর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভীন, এডিপি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, নেলসন প্রফুল্ল হাজরা, আশিষ কুমার অধিকারীসহ শিশু ও উন্নয়ন দলের সদস্যবৃন্দ। উল্লেখ্য সংস্থাটি শিশুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে।

শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভয়াবহতা !

সম্প্রতি সু্ইডেনের একটি গবেষনা থেকে বেড়িয়ে এসেছে যে, তরুণেরা যারা মোবাইলফোন ব্যবহার করে এবং যাদের বয়স ২০ বছরের কম, অন্যদের তুলনায় তাদের প্রায় ৫ গুন বেশি সম্ভাবনা থাকে ব্রেন ক্যানসারের৷ অন্যআরেকটি গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে একটি দুই মিনিট স্থায়ী মোবাইল কল শিশুদের মসত্মিস্কে হাইপার এ্যাকটিভিটি সৃষ্টি করে যা কিনা পরবর্তি এক ঘন্টা পর্যনত্ম তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে৷ ইউরোপিয়ান জার্নাল অব অনকোলজির এক রিপোর্টে কর্ডলেস ফোন ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, কর্ডলেস ফোন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর রেডিয়েশন ছড়ায় যার ফলে ব্যবহারকারীর হার্ট এ্যাটাক্ট এর সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুন , ব্যবহারকারীর স্নায়ূ দূর্বল হয়ে পড়ে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, রক্তের চাপ বেড়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লানত্ম এবং নিসত্মেজ হয়ে পড়ে এমনকি নিয়মিত ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটায়৷ শিশুদের জন্য যে কারনে ঝুঁকিপূর্ণ: ৰতিকর রেডিয়েশন প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর, শিশুদের জন্য তা আরো বেশি মারাত্নক ৰতিকর যা কিনা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশকে ব্যহত করে৷সারা পৃথিবীতেই এখন শিশুরা প্রায় বেশিরভাগ সময়েই মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করে থাকে৷ এ প্রসঙ্গে সানি’স স্কুল অব পাবলিক হেলথ্ এর ডিন ডেভিড কার্পেন্টার বলেছেন যে ” শিঘ্রই আমরা হয়তো একটি মহামারী রোগের শিকার হতে পারি এবং সেটি হবে মসত্মিস্ক ক্যানসার৷ গবেষনা থেকে আরো বেড়িয়ে এসেছে যে মোবাইল ফোন ব্যবহার শিশুদের শ্রবণ ক্ষমতাও হ্রাস করে দেয়৷ রেডিয়েশন গবেষক কেরি ক্রফটন বলেছেন যে ” তবে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই এখন ১৮ বছরের কম বয়সীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিরম্নত্‍সাহিত করা হচ্ছে, যা কিনা অন্যদের জন্য একটি ভালো নিদর্শন”৷ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়ঃ ডাক্তার কার্পেন্টার বিশ্বাস করেন যে শিশুদের প্রায় ৩০ ভাগ ক্যানসারই হয়ে থাকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি কর এই রেডিয়েশনের কারনে এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষনায় তার প্রমানও মিলেছে৷ গবেষনা থেকে আরো বেড়িয়ে এসেছে যে শিশুরা যারা ম্যাগনেটিক (চুম্বক) ফিল্ডস এর কাছাকাছি অবস্থান করে ক্রমেই তাদের ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং যারা পাওয়ার লাইনের ( যা কিনা ইএমএফ উত্‍পন্ন করে) কাছাকাছি অবস্থান করে, এটা খুবই পরিষ্কার যে তারা লিওকেমিয়ায় (একটি রোগ) আক্রান্ত হয়ে পড়ে৷ এমনকি যারা মোবাইল অথবা রেডিও টাওয়ারের ১২০০ ফিট এর মধ্যে বসবাস করে তাদের মসত্মিস্কে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অধিক৷ আর বেশিরভাগ ৰেত্রেই টাওয়ারগুলো গড়ে উঠছে স্কুলের ছাদে, বাড়ির ছাদে এবং শপিংমলের উপরে৷ যেসকল স্থান গুলোতে হরহামেশাই আমরা যাতায়াত করে থাকি৷ অভিভাবকদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরীঃ বর্তমানে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে অভিভাবকদের ইতিবাচক মনোভাব তৈরির অন্যতম কারন হচ্ছে তারা জরম্নরী প্রয়োজনে সহজেই সনত্মানদের খোঁজ নিতে পারে৷ প্রকৃতপক্ষে একটি আদর্শ দেশে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহরের কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কি? মনে রাখা জরম্নরী যে শিশুরা শিশুই, তারা কখনোই বড়দের মতো শারীরিক সক্ষমতার অধিকারী নয়৷ তাই একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনার পরিবারে শিশু বান্ধব কিছু নিয়মনীতি আপনাকেই তৈরি করতে হবে৷ আপনি কি আপনার শিশুর মাথাটাকে একটি ওভেনের মধ্যে রাখতে চান? নিশ্চই না৷ কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে আপনার অজান্তেই আপনার শিশুর মাথাটি ওভেনে রেখে দেয়ার মতোই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মোবাইল ফোন থেকে ক্রমাগতভাবে নির্গত রেডিয়েশন দ্বারা৷ রেডিয়েশনের ভেতরে যে ইলেকট্রমেগনেটিক ফিল্ড (ইএমএফ) রয়েছে তা সহজেই শিশুর মস্তিষ্কে ঢুকে পড়তে সৰম৷ আর এই ইলেকট্রমেগনেটিক ফিল্ড বা সংৰেপে ইএমএফ শিশুর মসত্মিস্কে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়, যা কিনা শিশুদেরর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর৷ শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারনেই না, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক গেইম, বৈদ্যুতিক পাওয়ার লাইন এবং ওয়াই ফাই ব্যবহারও শিশুদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে৷ স্কুলে বৈদ্যুতিক দূষনের প্রভাব পড়ছে শ্রেনীকৰ শিশুটির পড়াশোনার উপরে৷ টরেন্টো স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ লার্নিং ডিসাবেলিটিস স্কুলে ইএমএফ হ্রাস করার জন্য ইএমএফ ফিল্টার স্থাপন করে, গোপনে এক গবেষনা করে দেখা গিয়েছে যে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি উদ্যমী এবং সতেজ৷ এ প্রসঙ্গে গবেষক মাগদা হাবাস পিএইচডি জানান ” প্রথমে আমি ভেবেছিলাম যে আমি একটা ভুল করেছিলাম৷ আমি ধরে নিয়েছিলাম যে ইএমএফ ফিল্টার স্থাপনে এ অবস্থার উন্নতি হবে সর্বোচ্চ ৩-৫ ভাগ৷ কিন্তু পরবর্তীতে আমি ফলাফল দেখে চমকে উঠি যা ছিলো প্রায় ৫৫ ভাগ! এমনকি যারা এই ফিল্টার স্থাপনের পূর্বে এর বিরোধিতা করেছিলো তারাও পরে ভালো বোধ করছে বলে জানিয়েছে৷ সম্প্রতি সিকাগোর একটি শহরে এবং ইংল্যান্ডে অভিভাবক এবং সংশিস্নষ্ট অন্যরা এমনকি শিক্ষকেরা স্কুলে রেডিয়েশন ছড়ায় এমন যন্ত্র ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ তারা মনে করে এর ফলে তাদের শিৰার্থীদের নিওরোলোজিকাল সমস্যা হতে পারে৷ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে ঝুঁকির পরিমান কিছুটা কমিয়ে আনা যেতে পারেঃ মোবাইল/ কর্ডলেস ফোনের স্পিকার অন করে কথা বলা, শিশুদেরকেও এমনটি করতে উত্‍সাহিত করা৷ মোবাইলে কথা বলার চেয়ে টেঙ্ট/এসএমএস এর মাধ্যমে যোগাযোগ বেশি করা৷ শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনেই আপনার শিশুকে মোবাইল ব্যবহার করতে দিন অবশ্যই এবং তার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে ৷ রাতে ঘুমাবার সময় মোবাইলের মনিটর আপনার ঘুমান্ত শিশুর কাছ থেকে অন্তত ৬ ফিট দূরত্বে রাখুন৷ আপনার রান্নাঘরে যদি মাইক্রো ওভেন থেকে থাকে তাহলে শিশুদের কে রান্নার সময়/ওভেন ব্যবহারের সময় দূরে রাখুন৷এমনকি ইস্ত্রি ব্যবহারের সময়ও শিশুদেরকে দূরে রাখুন৷ কারন ওভেন এবং ইস্ত্রি উভয় থেকেই ব্যবহারের সময় ইএমএফ নির্গত হতে থাকে যা কিনা বড়দের চেয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অধিক ৰতিকর৷ গর্ভবতী মায়েদেরেকে অবশ্যই মোবাইল / কর্ডলেস ফোন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে, তার গর্ভের শিশুটির সঠিক ভাবে বেড়ে ওাঠার প্রয়োজনেই৷ গবেষনা প্রমান করেছে যে মাত্রারিক্তি বৈদ্যুতিক দূষনের ফলে আপনার গর্ভে থাকা সনত্মানটি বিকলঙ্গ হতে পারে এমনকি তার শ্রবন শক্তিও ব্যহত হতে পারে এবং শিশুর নার্ভ সিস্টেম গ্রোয়িংএ বাধা সৃস্টি করতে পারে সেই সাথে এটি মিস ক্যারেজ ও সনত্মান প্রসবের অসুবিধা হওয়ার মতো ভয়াবহ সব সম্ভাবনাকেও ডেকে আনতে সৰম৷ গবেষনায় এও প্রমানিত হয়েছে যে শিশুরা স্কুলে যাওয়ার আগ পর্যনত্ম তাদের উপরে গর্ভাবস্থায়ী মায়ের মোবাইল/কর্ডলেস ফোন ব্যবহারের প্রভাব থেকে যায়৷ নিজেকে এবং শিশুকে অদৃশ্য তবে স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর ইএমএফ থেকে রৰা করতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারেঃ দিনের শুরুতেই এক কাপ বুস্ন বেরী খেতে পারেন, যা কিনা আপনার দিনকে চমত্‍কারভাবে শুরু করতে সহায়ক হবে৷ নিয়ম করে মাঝে মাঝে শুকনো বড়ই খেতে পারেন৷ শুকনো বড়ই এ ইউনিক এন্টি অঙ্ডি্যান্ট থাকে, যা কিনা বৈদ্যুতিক দূষনের ফলে নির্গত স্বাস্থ্যের জন্য ৰতিকর রেডিয়েশনের বিরম্নদ্ধে লড়াই করে৷ প্রতিদিন ৪-৫ টি বাদাম খাওয়া যেতে পারে৷ খাবারে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান আলুবোখারা যোগ করা যেতে পারে৷ বাঁধা কপি এবং ফুল কপি খেতে পারেন৷ যা কিনা আপনার দেহকে রেডিয়েশনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহায্য করবে৷ নিয়মিত ২ চামচ মধু খেতে পারেন৷ সপ্তাহে ৩-৪ দিন নিয়ম করে প্রতিদিন একবার ঘোল খেতে পারেন৷ তহলে আজ থেকেই শুরম্ন হোক আপনার শিশুকে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে সুরৰার কাজটি৷ যার ফলে নিশ্চিত্‍ হবে তার সুস্বাস্থ্যবান আগামী৷

–(ইন্টারনেট অবলম্বনে) ইসতিয়াক আহমেদ শাওন

শরীয়তপুরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মানববন্ধন !

10707972_1467252936849563_7866396yyyyyyyy91_nসেলিমুর রহমান সেলিম: শরীয়তপুরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মানববন্ধন করেছে শরীয়তপুর মহিলা সংস্থা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলা শহরের শরীয়তপুর- মাওয়া মহাসড়কে পালন করা হয় এই কর্মসূচী। এক ঘন্টাব্যাপীমানববন্ধনেজেলামহিলাসংস্থাও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ অংশ গ্রহণ করে। এ সময় জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাড. রওশন আরা ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জুবাইদা খাতুন বক্তব্য রাখেন। জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও শিশুদের ন্যায্য অধিকার সুরক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে মানববন্ধন ও গ্রামে গ্রামে উঠোন বৈঠক করা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে কোন কন্যা শিশুকে আর বাল্য বিবাহের শিকার হতে না হয়।

সকালের নাস্তা শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ !

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গবেষনায় প্রমানিত হয়েছে যে সকালে নাসত্মা খাওয়াটা প্রায় সব বয়সের লোকের জন্যই উপকারি বিশেষ করে শিশুদের জন্য৷ শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাসত্মা খেয়ে থাকে তারা স্কুলে অন্য শিশুদের চেয়ে অধিক সফল৷ মিশরের এঙ্টেনশস বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ লিন্ডা জনশন এর মতে পুষ্টিবান শিশুরা শেখার ৰেত্রে অধিক আগহী হয়ে থাকে, কাজের প্রতি আধিক মনোযোগী হয়ে থাকে , এবং শ্রেনী কৰে তাদের তাদের আচরণ থাকে অধিক ইতিবাচক এবং সেই সাথে তারা তাদের ফলাফল ভালো করার জন্য সবসময় উদ্যমি থাকে৷ এমনকি বিদ্যালয়ে তাদের উপস্থিতির হারও থাকে তুলনামুলকভাবে বেশি৷ অধিকন্তু যারা সকালে নাসত্মা খায় না তাদের ভেতরে উদ্যমতায় ভাটা থাকে এবং পাকস্থলি সংক্রানত্ম বিভিন্ন রোগে ভোগার সম্ভাবনা থাকে৷ শিৰকেরা জানিয়েছে যে যখন কোন শিশু না খেয়ে ক্লাসে আসে তখন তারা সেটা বুঝতে পারে শ্রেনীকৰে শিশুর মনোযোগের মাত্রা দেখে৷ এছাড়াও সকালের নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্‍ করতে সাহায্য করে৷ Dietary Guidelines for Americans Committee মতে শিশুরা যারা নিয়মিত সকালে নাস্তা খায় না তাদের প্রয়োজনের চেয়ে কম অথবা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবার ঝুঁকি রয়েছে৷ বয়স্কদের জন্যও একই রকম ধারণা পোষণ করা হয়েছে৷ সাধারণত ধারণা করা হয়ে থাকে যে সকালের নাস্তা আমাদের শরীরের ওজনকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে৷ তাই আমরা অনেকেই সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকি শুধুমাত্র শরীরের ওজন কমানোর জন্য৷ সাধারণত যারা সকালের নাসত্মা খাওয়া থেকে বিরত থাকে, পরবর্তিতে তারা হাই ক্যালোরির অন্য খাবার খেয়ে থাকে এমনকি দুপুরেও তারা তুলনামূলক অধিক খাবার খেয়ে থাকে৷ যার ফলে ফলাফল সম্পূর্নই বিপরীত হয়ে থাকে৷ যে সকল শিশুরা শিখতেছে (ছাত্র) সকালে নাসত্মা খাওয়ার অভ্যাস তাদের জন্য একটি গুরম্নত্বপূর্ন এবং তাত্‍পর্যপূর্ণ অভ্যাস৷ যার ফল তারা তাদের সমগ্র জীবনেই ভোগ করবে৷ গবেষনায় আরো প্রমানিত হয়েছে যে – যারা প্রায় ১ বছর মেইনটেনেন্স করে স্বাস্থ্যবান ওজনের অধিকারি হয়েছে, তারা নিয়মিত সকালে স্বাস্থ্যসম্মত নাস্তা খেয়েছে৷ সকালে একটি স্বাস্থ্যসম্মত নাসত্মা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন নিশ্চিত্‍ করতে অপরিসিম ভূমিকা রাখে৷ এমনকি সকালের নাসত্মা নিজেই তৈরি করার মধ্য দিয়ে শিশুরা অধিক অত্নসচেতন এবং দায়িত্ববানও হয়ে ওঠে৷ ইন্টারনেট অবলম্বনে অনুবাদে –ইসতিয়াক আহমেদ শাওন