এনসিটিএফ রাজশাহীর সাথে ইয়ুথ গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত
গত ৩১ মে সকাল ১০ ইনসিডেন্ট বাংলাদেশ এর আয়োজনে এনসিটিএফ রাজশাহী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুথ গ্রুপের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভায় ইয়ুথ গ্রুপ এবং এনসিটিএফ তাদের কাজের ক্ষেত্রে একে অপরের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে এনসিটিএফ শিশু গবেষনায় এখন থেকে ইয়ুথ গ্রুপ তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানায়। সভায় এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির ১১ সদস্য উপস্থিত ছিল। এছাড়া সভায় উপস্থিতি ছিলেন উমা রানী দাস, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, রাজশাহী, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ফোকাল পার্সন, ইনসিডেন্ট বাংলাদেশ, মোঃ হেলাল শান্ত, যোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তা, ইনসিডেন্ট বাংলাদেশ, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার, এনসিটিএফ প্রকল্প, সেভ দ্য চিলড্রেন। ইয়ুথ গ্রুপ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পরিচালিত শিশু নিকেতন এর শিশুদের নিয়ে একটি এনসিটিএফ স্কুল কমিটি গঠন করার প্রস্তাব রাখেন। আগামী ৪ মে এনসিটিএফ রাজশাহী শিশু নিকেতন পরিদর্শন এবং স্কুল কমিটি গঠন করবে বলে জানায়। এছাড়া এখন থেকে এনসিটিএফ এর সকল কর্মকান্ডে ইয়ুথ গ্রুপকে জানানো হবে। আনন্দমুখর বিনোদনের মাধ্যমে সভার শেষ হয়।
Actions against schools without toilets: Nahid
DHAKA, May 31, 2016 (BSS) – Education Minister Nurul Islam Nahid today said actions will be taken against education institutions having no toilet facilities.
“A healthy environment is essential for quality education. Toilets and arrangements for safe water are prime components of healthy environment,” he said speaking as the chief guest at ‘child parliament session’ at Gulshan Spectra Convention Centre in the city, said an official release.
The minister said students’ cabinets have been formed with direct votes of the students to create democratic values in the new generation.
The responsibility of the cabinets is to help the teachers and maintain a nice and sound environment in schools, he said.
“If they cannot do these tasks, they need not to stay in leadership,” he added.
Nurul Islam Nahid said one hostel will be constructed with every school in the hill and coastal areas of the country.
“The government is thinking over this as the students of remote areas do not get enough facilities for their studies,” he added.
Nurjahan Begum Mukta, MP, addressed the session as the special guest.
Save the Children Bangladesh, Plan International Bangladesh and Bangladesh Shishu Academy jointly organized the 13th Child parliament.
শিশু হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে : ডেপুটি স্পিকার
ঢাকা, ৩১ মে ২০১৬ (বাসস) : ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, শিশু হত্যার সাথে জড়িত সকল ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
আজ রাজধানীর গুলশানন্থ স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে সেভ দ্য চিল্ড্রেন বাংলাদেশ, প্লান ইন্টারন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির যৌথ আয়োজনে ‘চাইল্ড পার্লামেন্ট’ এর ১৩ তম অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
শিশু সংসদ সদস্যদের উদ্দ্যেশে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আমাদের পুরো পৃথিবীকে যদি একটি উদ্যান মনে করি তাহলে তোমরা সেই উদ্যানের ফুল। আর সেই নিস্পাপ ফুল অঙ্কুরে বিনাশ হয়ে যাবে তা কোন মতেই কাম্য হতে পারেনা। যে কোন ধরনের শিশু নির্যাতন এবং যে কোন ধরনের হত্যার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, যারা এই ধরণের অমানুষিক কাজে নিজেদের জড়ায় তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশে আর কোন ধরনের নির্যাতন, নিপীড়নে কোন শিশুর মৃত্যু ঘটুক এটা সরকার চায় না।
তিনি বলেন, অতি সত্বর প্রতিরোধমূলক এবং একইসাথে বেশ কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যাবশ্যক, প্রয়োজন একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। কেন এ ধরণের ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে – রাষ্ট্রীয়ভাবে সেটির সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কারণসমূহ চিহ্নিত করা আবশ্যক। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে শিশুদের ব্যাপারে সংবেদনশীল করা প্রয়োজন।
ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, শিশুরা যে দেশের সম্পদ এবং তাদের নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করা কেবল রাষ্ট্রের নয়, সকলের দায়িত্ব – এ বোধ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শিশু রাকিব, রাজন হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে করা হচ্ছে। দৃষ্টিশক্তি হারানো শিক্ষার্থী শিশু শাহরিয়ার হৃদয় প্রমান করে দিয়েছে যে সকল বাধা অতিক্রম করে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় হৃদয়কে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয় । সে তার ডান চোখের দৃষ্টি ফিরে পায় এবং মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয় । হৃদয়ের ফলাফলে খুশি হয়ে গণ-মাধ্যমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানিয়েছেন । সবাই খবরের কাগজে শিশুদের সাফল্যের খবর দেখতে চায়। শিশু হত্যার খবর পত্রিকায় দেখতে চায় না। শিশুদের হাসিমাখা মুখ দেখতে চায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারে আমলেই জাতীয় শশু নীতি, ২০১১ এর আলোকে শিশু আইন, ২০১৩ পাশ করা হয়েছে যার পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন শিশু সুরক্ষায় একটি মাইলফলক।
তিনি বলেন, ৩৮ হাজার শিশু আজ তাদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। তারাই একদিন দেশের মান-মর্যাদা, সুনাম এবং দেশকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতেও সোচ্চার হবে। তখন হয়তো তোমাদের সাথে যোগ হবে আরো অনেক শিশু। তোমাদের আন্তরিক ভাবনা এবং সকলের চেষ্টায় একদিন বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হবে ।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই চাইল্ড পার্লামেন্ট এবং এনসিটিএফ এর বিস্তৃতি রয়েছে। প্রায় ৩৮ হাজার সচেতন শিশু রয়েছ যারা একদিন দেশের সচেতন নাগরিক হবে, লেখাপড়া করে বড় হবে, দেশের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে। এটা দেশের জন্য একটা বড় পাওয়া। শিশুরাই পারে দেশের চিত্র সুন্দর করতে।
এসময় তিনি শিশু বিষয়ক প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে আরো সংবেদনশীলতার পরিচয় দেয়ার, নির্যাতনের শিকার শিশুদের বিকৃত ছবি প্রচার করা থেকে বিরত থাকা এবং মিডিয়ায় শিশুদের নিয়ে আরও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করার আহবান জানান।
চাইল্ড পার্লামেন্টের ১৩তম অধিবেশন শুরু
পার্লামেন্টের ১৩ তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। সকাল ১০ টায় সমগ্র বাংলাদেশ থেকে আগত ৮৬ জন চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে স্পেক্ট্রা কনভেনশন সন্টোরে প্রবেশ করেন। এর পর একে একে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা বৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দের আগমণ ঘটে। সকাল ১০ টায় ১৩ তম চাইল্ড পার্লামেন্টের প্রধান অতিথি, মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার জনাব মোঃ ফজলে রাব্বি মিয়া, এমপি উপস্থিত হলে চাইল্ড পার্লামেন্টের ১৩ তম অধিবেশন এর উদ্ভোধন হয়।
শিশুদেরকে মৌসুমী ফলের স্বাদ দিল এনসিটিএফ বগুড়া
আবীদ শাহরিয়ারঃ
৩০ মে সোমবার এনসিটিএফ বগুড়ার কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিজস্ব উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে মৌসুমী ফল খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের করা হয় ।
অনুষ্ঠানটি বগুড়া জুবলী ইনস্টিটিউট (শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়) এর শিশুদের নিয়ে করা হয় । এখানে ১৫০ জন শিশুকে তরমুজ খাওয়ানো হয় । সব শিশুদের সহযোগিতায় সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় ।
এ সময় এনসিটিএফ বগুড়া এর সভাপতি নুরজাহান পুষ্প, সাধারণ সম্পাদক আবীদ শাহরিয়ার, শিশু গবেষক আফসানা সাদিয়া মরিয়ম ও মেহরাব হোসেন তানভীর সহ অন্যান্য সদস্যগণ এবং জেলা ভলান্টিয়ার উপস্থিত ছিলেন।