Sports help children to grow up properly
To keep in mind the proper mental growth of children a sports competition including football, Kabadi held On 4th, November 2015 in Noakhali organised by NCTF at Sisisu Academy premises. At the end of the competition NCTF members described the children about child right, UN child rights law to make them aware about their rights.
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা আয়োজনে এনসিটিএফ নোয়াখালী।
আবদুল্লাহ আল মুহাইমিনঃ ৪ নভেম্বর ২০১৫ নোয়াখালী শহরের প্রাণকেন্দ্র মাইজদীর সার্কিট হাউজ রোড সংলগ্ন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নোয়াখালীর প্রাংগ্নণে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মানসিক উৎকর্ষের জন্য তাদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স নোয়াখালী। ক্রীড়া প্রতিযূগীতার মূল আকর্ষণ ছিল ফুটবল খেলা। তার সংগে আরো ছিল হা-ডু-ডু, কানামাছি,বালিশ খেলা,রুমাল চুরি। উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালিত হয় জেলা ভলান্টিয়ার শিমুল মজুমদার ও দিবা রানী নাথ এর সঞ্চালনায়। এনসিটিএফ সভাপতি কাশপিয়া রহমান তনিমার অনুপস্থিতি তে শিশু সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মুহহাইমিন এর সভাপতিত্বে পরিচালিত হ্য়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোসলেহ উদ্দীন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের তাদের মৌলিক অধিকার ও জাতিসংঘ শিশু অধিকার আইন সম্পর্কে সচেতন করেন সহ-সভাপতি আবু নাছের মোঃ নাঈম। এবং সংসদ সদস্য মোঃ ইমরান এনসিটিএফ কি, এনসিটিএফ কাদের নিয়ে ও কি কি নিয়ে কাজ করে সে সম্পর্কে জানায়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল শিশু গবেষক নুসরাত, সাধারন সদস্য রুপাস, ইয়াসিন, ঐশী, তানহা।
চট্টগ্রামের শিুশুদের সমস্যা সমাধান এনসিটিএফ কে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জেলা প্রশাসক।
শাহরিয়ার তামিম সৌরভঃ গত ৪ই নভেম্বর বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলায়তনে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) চট্টগ্রাম জেলার আয়োজনে এবং বাংলাদেশের শিশু একাডেমী সেভ দ্যা চিলড্রেন, প্ল্যান বাংলাদেশের সহযোগিতায় শিশু অধিকার বিষয়ক জবাবদিহিতামূলক অধিবেশন অনুষ্টিত হয়।ইয়ুথ ভোলান্টিয়ার নার্গিস আক্তার রনির সঞ্চলনায় এবং সংগঠনের সভাপতি বাপ্পী দাশের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মেজবাহ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন অতিরিক্ত পুলিশ (উত্তর) এর ডেপুটি কমিশনার, এন সিটি এফ চট্টগ্রামের উপদেষ্টা ডাঃ এ. কিউ. এম সিরাজুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদ গোলাম হায়দার মিন্টু, গিয়াসউদ্দিন, আবিদা আজাদ, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ষ্টেশন ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, ডেইলি স্টার এর ব্যুারোচিফ দৈপায়ান বড়–য়া রনি, সাংবাদিক রনজিৎ কুমার শীল, এবং প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়া প্রতিনিধিবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, অভিবাবকবৃন্দ, এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভার উপস্থিত এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ চট্টগ্রামের শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। যেমনঃ স্কুল-মাদ্রাসার সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত ও রাস্তা দখল, ওভার ব্রীজ, ইভটিজিং, ফেসবুকে হয়রানি, স্কুলের সামনে ডাষ্টবিন, গৃহকর্মী শিশুদের নির্যাতন এবং ঝুকিপূর্ণ শ্রমের তালিকায় গৃহশ্রমকে অর্ন্তভুক্ত করণ এবং গার্মেন্টসে শিশুদের যেন শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা না হয়।
এর উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিশুদের সমস্যা সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এনসিটিএফ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগরীর দেওয়ানহাটস্থ ডিটি রোড়ে অবৈধভাবে রাখা সরঞ্জাম জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় উচ্ছেদ করা হবে। ইভটিজিং প্রতিরোধের যে আইন রয়েছে সে আইনের প্রচারনার জন্য সকল স্কুলে লিফলেট বিতরণ করা হবে ও স্থানীয় টিভি চ্যানেল সিসিএল এ প্রচার করা হবে। আর গার্মেন্টস এ যাতে কোন শিশু শ্রমিক রাখা না হয় এ ব্যাপারে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (উত্তর) এর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার জনাব তারেক আহমেদ শিশুদের জন্য আলাদা হট লাইনের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
এনসিটিএফ শিশুদের বক্তব্যে শাহরিয়ার তামিম সৌরভ জানান, ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টার্সফোর্স (এনসিটিএফ) একটি জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন। যা ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে সারাদেশের শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করে সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরি।এরই ধারাবাহিকতায় আমার এই অধিবেশনের আয়োজন করি। আমরা আশা করব সম্মানিত অতিথিরারা আমাদের দায়িত্ববান অবিভাবক হিসেবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও শিশু সুরক্ষায় বলিষ্ট ভূমিকা রাখবে।
এনসিটিএফ কে জেলা প্রশাসকের সহোযোগীতার আশ্বাস
সাহরিয়ার তামীম সৌরভ:
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিশুদের সমস্যা সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এনসিটিএফ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগরীর দেওয়ানহাটস্থ ডিটি রোড়ে অবৈধভাবে রাখা সরঞ্জাম জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় উচ্ছেদ করা হবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধের যে আইন রয়েছে সে আইনের প্ররোচনার জন্য সকলে স্কুলে লিফলেট বিতরণ করা হবে ও স্থানীয় টিভি চ্যানেল সি সি এল এ প্রচার করা হবে।আর গার্মেন্টস এ যাতে কোন শিশু শ্রমিক রাখা না হয় এ ব্যাপারে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (উত্তর) এর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার জনাব তারেক আহমেদ শিশুদের জন্য আলাদা হট লাইনের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
গত ৪ই নভেম্বর বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলায়তনে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এন সিটি এফ) চট্টগ্রাম জেলার আয়োজনে এবং বাংলাদেশের শিশু একাডেমী সেভ দ্যা চিলড্রেন, প্ল্যান বাংলাদেশের সহযোগিতায় শিশু অধিকার বিষয়ক জবাবদিহিতামূলক অধিবেশন অনুষ্টিত হয়। ইয়ুথ ভোলান্টিয়ার নার্গিস আক্তার রনির সঞ্চলনায় এবং সংগঠনের সভাপতি বাপ্পী দাশের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মেজবাহ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন অতিরিক্ত পুলিশ (উত্তর) এর ডেপুটি কমিশনার, এন সিটি এফ চট্টগ্রামের উপদেষ্টা ডাঃ এ. কিউ. এম সিরাজুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদ গোলাম হায়দার মিন্টু, গিয়াসউদ্দিন, আবিদা আজাদ, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ষ্টেশন ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, ডেইলি স্টার এর ব্যুারোচিফ দৈপায়ান বড়–য়া রনি, সাংবাদিক রনজিৎ কুমার শীল, এবং প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়া প্রতিনিধিবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, অভিবাবকবৃন্দ, এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার উপস্থিত এনসিটিএফ সদস্যবৃন্দ চট্টগ্রামের শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। যেমনঃ স্কুল-মাদ্রাসার সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত ও রাস্তা দখল, ওভার ব্রীজ, ইভটিজিং, ফেসবুকে হয়রানি, স্কুলের সামনে ডাষ্টবিন, গৃহকর্মী শিশুদের নির্যাতন এবং ঝুকিপূর্ণ শ্রমের তালিকায় গৃহশ্রমকে অর্ন্তভুক্ত করণ এবং গার্মেন্টসে শিশুদের যেন শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা না হয়।
সংগঠনের শিশু সংসদ সদস্য শাহরিয়ার তামিম সৌরভ জানান, ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টার্সফোর্স (এনসিটিএফ) একটি জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন। যা ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে সারাদেশের শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করে সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরি। এরই ধারাবাহিকতায় আমার এই অধিবেশনের আয়োজন করি। আমরা আশা করব সম্মানিত অতিথিরারা আমাদের দায়িত্ববান অবিভাবক হিসেবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও শিশু সুরক্ষায় বলিষ্ট ভূমিকা রাখবে।
সত্যিকারের পরিবর্তন দরকার
আজকের যুগে শিশুদের নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যপক আয়োজনে মিছিল মিটিং হলেও প্রকৃতপক্ষে শিশুদের পাশে দাড়ানোর মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’ এ প্রবাদ বাক্যটি বর্তমান সময়ে প্রত্যেক মিছিল, মিটিং এর মূল কথা। তবে তা মুখের কথাই থেকে যাচ্ছে, বাস্তবে তার প্রয়োগ, প্রচার বা প্রসার কোনটিরই দেখা মেলে না।
বর্তমানে তার ভিন্ন চিত্র যা প্রতিটি জেলা শহরের সাধারণ দৃশ্যের একটি। প্রতিবছর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পালিত হয় বিশ্ব শিশু দিবস। তবে আমাদের সমাজে শিশু শ্রম বন্ধ হয় না কখনোই। বরং তা পর্যায়ক্রমিক ভাবে বেড়েই চলেছে। সেই সাথে অঙ্কুরে বিনষ্ট হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। বিভিন্ন কলকারখানা এবং গার্মেন্টসগুলোতে নামেমাত্র শিশু শ্রমবিরোধী সাইনবোর্ড দেখা গেলেও, তারাই অধিক লাভের আশায় শিশুদের এসব কাজে ব্যবহার করে। সমাজের উচ্চপদস্ত ব্যক্তিটি মিছিল, মিটিং এ শিশু শ্রমবিরোধী বক্তৃতার পর রাস্তায় পথশিশুকে দেখেন না। নিজের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে নিয়োজিত শিশুটির উপর অমানবিক নির্যাতন করেন দিনের পর দিন। বর্তমানে পুজি ছাড়া ভিক্ষাবৃত্তি ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেখানেও দেখা যায় শিশু শ্রমিকদের ঢল। অনেক শিশুদের লেখাপড়া করার ইচ্ছে থাকা সত্তেও পরিবারের চাপে নয়তো পরিবারহীন হওয়ায় মেনে নিতে হয় এই ভিক্ষাবৃত্তি নামক ব্যবসা। এসব শিশুর অসহায় চোখের দিকে তাকিয়েও কারও বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হয় না। এ কোন দেশে বাস করছি আমরা। যে দেশ লাখো মানুষের তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছে আজ এত বছর কোথায় সেই স্বাধীন দেশ। যে দেশে ছোট ছোট শিশুরা নিজেদের অধিকার পায় না, জীবীকার তাকিদে ভিক্ষাবৃত্তি আর কঠোর শ্রমকে মেনে নিচ্ছে সে দেশ কিভাবে উন্নতির শেখরে পৌঁছবে। যেখানে সরকার সুষ্ঠুভাবে এর কোন প্রতিকার করতে পারছে না সেখানে সাধারন মানুষের সামান্য সহায়তায় কিছুই সম্ভব নয়। পরিস্থিতি যেমন আছে তেমনই থেকে যাবে। পথশিশু আর শ্রমজীবী শিশুরা এভাবেই অনাদরে অবহেলায় পড়ে রবে। আর এভাবেই উপরমহলের বক্তব্যগুলো পুরোনো হতে থাকবে সেই সাথে প্রজন্মের পর প্রজন্ম শিক্ষাহীনতায় ভুগে পঙ্গুত্ব বরণ করে নেবে। আমাদের দেশে সফলভাবে শিশুদের জন্য কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। অবহেলিত শিশুরা তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রতিনিয়ত তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে অনৈতিক কার্যকলাপে। নির্যাতনে জর্জরিত করা হচ্ছে একের পর এক শিশুকে। এরকম শিশু নির্যাতনের এক একটি ঘটনার পর দেশময় তোলপাড় হয়ে যায় ঠিকই কিন্তুু প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কারও ভূমিকা বিশেষ লক্ষ্যনীয় নয়। তাহলে নিজের দেশে শিশুর নিরাপত্তা কোথায়। শিশুরা সুস্থ্য ও সুন্দরভাবে বড় হবে তেবেই তো তারা দেশ নেতৃত্ব দেবে। যেখানে তাদের বেঁচে থাকাই প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করা নেহায়েত কল্পনাতীত। দেশের বর্তমান পরিস্থতি বিবেচনায় সরকার সহ সকলের সজাগ দৃষ্টিই এসকল শিশুদের শূণ্য চোখে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ফোটাতে পারে।
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত
শিশুরা হচ্ছে জাতির ভবিষ্যত এবং একই সাথে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ । শিশুর প্রতি ব্যবহারে সর্তকতা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ।
বিশ্বশিশু পরিস্থিতিতে পরস্পরবিরোধী একটি অবস্থা বিরাজমান থাকা সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্ববাসীদের মধ্যে এক জায়গায় একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যায়, যা হচ্ছে শিশু অধিকার সর্ম্পকে পূর্বেকার যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো অনেক বেশি সচেতন।আজ বিশ্ব শিশু দিবস। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী নানা আয়োজনে দিনটি পালন করে আসলেও সমাজে শিশুদের বড় একটি অংশ এখনও বঞ্চিত তাদের প্রাপ্য মৌলিক অধিকার থেকে। বেঁচে থাকার তাগিদে এ শিশুরা তাই বই-খাতার পরিবর্তে বেছে নিচ্ছে নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার তাগিদ বিশ্লেষকদের। যদিও সরকার বলছে, শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য হাতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প।
শিশু সুমন মিয়ার দিনের শুরুটা এমনই। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই লেগে পড়ো কাজে। টোকাই বা ভিক্ষা কিংবা আরো কোনো কাজ, পেটের দায়ে কি না করে তারা । নরসিংদী রেল-স্টেশনের ছিন্নমূল শিশুদের সবার জীবনের গল্পটা প্রায় একই ধরনের। প্রতিদিন হাজারও মানুষ ভাগ্য বদলের তাগিদে এক স্টেশন ছেড়ে অন্য স্টেশনে যায়। শুধু সুমনদের ভাগ্য যেন কখনোই বদল হয়না।
ইউনিসেফের জরিপে দেখা গেছে, দেশে ৫ থেকে ১৪ বছরের মোট শিশুর প্রায় ১৩ শতাংশই লেখা-পড়ার পরিবর্তে জড়িত বিভিন্ন পেশায়। এছাড়া ১৩ লাখ শিশু জীবিকার তাগিদে বেছে নিয়েছে নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সুযোগে তাদের দিয়ে সমাজের একটি চক্র নানা ধরনের অপকর্ম করিয়ে নিচ্ছে। যদিও সরকার বলছে, পথশিশুদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বেসরকারি তথ্যমতে, দেশে এখন ১০ লাখেরও বেশি শিশু গৃহহীন। অভাবই যাদের নিত্যসঙ্গী
অশিক্ষার অন্ধকারে অসহায় ও দরিদ্র শিশুরা
শিক্ষার আলো সমানভাবে ছড়াচ্ছে না আমাদের দেশের দরিদ্র শিশুদের মাঝে। ফলে তারা অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে। তাই এই শিক্ষা তাদের জীবনে সোনা হয়ে ফলছে না। অকালেই তাদের জীবন ঝরে পড়ছে। কিন্তু এই সমস্যার কোন প্রতিকার হচ্ছে না।
বর্তমানে বিভিন্ন শিশু উন্নয়ন সংস্থা এই সব পথ শিশু ও হতদরিদ্র শিশুদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করছে। কিন্তু এই সুবিধা পাচ্ছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন শিশু। কিন্তু বাকিরা সে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বগুড়া শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান স্থান ঘুরে কয়েকজন শিশুর সাথে সাক্ষাত করে জানা গেছে তারা কেন স্কুলে যেতে পারে না বা কেন যায় না।
বগুড়া রেল স্টেশনের জুয়েল (১২) সে স্টেশনে কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করে। তার বাবা বিয়ে করে অন্যত্র থাকে। আর সে এই ডিম বিক্রি করে মায়ের সংসারে অর্থ যোগান দেয়। তিন ভাই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। স্টেশনের আরেক শিশু হল জলিল। সে ট্রেনে ও প্লাটফর্মে চা বিস্কুট বিক্রি করে। তার বাবা নেই, পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সে ২য়। তাই বড় ভাইয়ের মত তাকেই সংসারের জন্য অর্থ উপার্জন করতে হয়।
এই রকম আর একটি শিশু নয়ন (১১)। জজকোর্ট মোড়ের এক চায়ের দোকানে কাজ করে। সে দিনে ২০/৩০ টাকা আয় করে। সে স্কুলে যায় না। তার বাবা ও মা দু’জনেই কাজ করে । তার ছোট এক বোন আছে। কিন্তু তারপরও তার মা বাবার অসচেতনতার জন্য সে স্কুলে যায় না।আরেক শিশু মলি,যে একজন ফুল বিক্রেতা।তার বাড়ি হাডিপট্টিরএক বস্তিতে। তার মা নেই বাবা আছে। কিন্তু সে প্রতিবন্ধী। তাই কোন কাজ করতে পারে না। এই রকম শাওন, ঝর্না, রহিমাসহ আরও অনেক শিশু তাদের স্কুলে না যাওয়ার নানা সমস্যার কথা জানায়। তার মধ্যে বেশি যে সমস্যা দু’টো গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হল পারিবারিক অস্বচ্ছলতা ও মালিক শ্রেণীর শ্রমজীবী শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের প্রতি অনীহা। তাদেরকে কেউ শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন করছে না। ফলে তারা শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছে না। এছাড়া এই সব শিশুদেরকে কেউ পড়ালেখার কথা বলে না বলেও তারা জানায়। তাই এই সব শিশুদের নিরর হয়ে বেড়ে ওঠার দোষ তাদের নয়।
এই দোষ দেশ ও সমাজের। তাদের মালিক ও পরিবারের এবং আমাদের শিথিল সমাজের। আমরা কি পারিনা এসব অসহায়,দরিদ্র শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছিয়ে দিতে???
জাওয়াদুল করিম জীসান, সভাপতি,এনসিটিএফ, বগুড়া।