শিশু অধিদপ্তর করার দাবীতে কিশোরগঞ্জে স্মারকলিপি প্রদান
তনিমা রব তোড়া : গত ৮ সেপ্টেম্বর রোর বুধবার শিশু একাডেমীকে শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরে রুপান্তরের দাবীতে কিশোরগঞ্জে জেলা এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট শিশু ও অভিবাবকদের সম্মতি সরুপ শিশুদের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে ৷এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিল এনসিটিএফ কার্যকরী কমিটির শিশু সাংবাদিক, শিশু গবেষক, ভলান্টিয়ার এবং সদস্য সহ আরো অনেকে ৷ স্মারকলিপি প্রদানের পর জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য আলোচনা করা হয় ৷
শিশু একাডেমিকে শিশু অধিদপ্তর করার অনুরোধ জানিয়ে এনসিটিএফ মাদারীপুর কর্তৃক জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান
গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ শিশু একাডেমীকে “ শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর ” এ রুপান্তর করনের দাবী জানিয়ে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্র্রনালয় বরাবর জানিয়ে জনাব মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক মাদারীপুর মহোদয়ের কাছে শিশু ও অভিভাবকদের গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি করা হয়। স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে এনসিটিএফ মাদারীপুরের কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য ও জেলা ভলান্টিয়ার উপস্থিত থাকেন।
শিশু ও অভিভাবকদের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন-মানিকগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ
বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভবন ও ভূমি সংরক্ষনের দাবীতে ০৪- ই সেপ্টেম্বর ১৫- এ সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় মানিকগঞ্জের শহীদ রফিক সড়কে মানববন্ধন করে মানিকগঞ্জের সর্বস্তরের শিশু ও অভিভাবকবৃন্দ। একই দাবীতে এর আগেও মানিকগঞ্জে অনুরুপ কর্মসূচী পালন করে তারা।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমীকে শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরে রূপান্তর করার দাবীতে এনসিটিএফ নাটোর এর স্মারকলিপি পেশ
আমরা দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, র্বতমান শিশুবান্ধব গণতান্ত্রিক সরকার শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর গঠন করতে যাচ্ছনে। এ সংবাদটি দেশের প্রায় ৪৮ শতাংশ শশিুদরে জন্য কি যে আনন্দরে ও গৌরবরে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটি বাস্তবায়তি হলে আমরা মনে করি শিশু অধিকার বাস্তবায়নরে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আমাদরে প্রত্যাশা হলো বাংলাদশে শশিু একাডমেীকে ‘শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর’ এ রূপান্তরকরণ।
কারণ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সাথে শিশুদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাঁরা শিশুদের নিয়ে নানা আঙ্গিকে নানা বিষয়ে প্রায় চার দশক ধরে কাজ করছেন। তাঁরা দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং পরীক্ষিত। শিশু-অভিভাবকগণের সাথে একাডেমীর আন্তঃ সম্পর্কও চমৎকার। অপরপক্ষে, নতুন অবকাঠামো ও নতুন জনবল নিয়ে যদি অধিদপ্তর গঠিত হয়, তাহলে আমরা তথা শিশুরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হব। যেমন : সম্পর্কের উন্নয়ন, কাজ শেখা, দক্ষতা-অভিজ্ঞতা অর্জন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই অনেক সময় অপচয় হবে বলে আমরা মনে করি। সেই কারণে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীকে আইনের মাধ্যমে শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরে পরিণত করলে সব শিশু একই ছাতার নিচে আসবে, শিশুরা বেশি উপকৃত হবে এবং শিশুর সকল অধিকার বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এমতাবস্থায়, জাতীয় সম্পদ সুরক্ষা ও শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীকে ‘শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর’ এ রূপান্তরকরণের দাবিতে অদ্য ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ খ্রিঃ তারিখ রোজ বুধবার বেলা ১১.০০টায় বিষয়টি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী,মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়-কে অবহিত করার জন্য নাটোরের সকল শিশুর পক্ষ থেকে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাক্সফোস(এনসিটিএফ),নাটোর জেলা শাখা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট স্মারকলিপি পেশ করে।
এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও এর সরকারি বালিকা শিশু সদন পরিদর্শন
গত ৩ সেপ্টেম্বর এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও জেলার সরকারি বালিকা শিশু সদন পরিদর্শনে যায়। এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত মাসে শিশু সনদের পরিদর্শনের জন্য জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার সহযোগিতায় সরকারি বালিকা সদনে যায়। শিশুদের সাথে কথা বলে এনসিটিএফ। শিশুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানের পরিবেশ বেশ ভাল। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা কারো চোখে পড়ে নাই। এখানকার শিশুরা পড়াশুনা করে জীবনে অনেক বড় হতে চায়। পরিদর্শন সময়ে জেলা এনসিটিএফ এর কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্যবৃন্দ, জেলা ভলান্টিয়ার এবং জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকত
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী’র কেন্দ্রীয় ভবন স্থানান্তরের জন্য সুপ্রীম কোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে আজ নরসিংদীতে মানব-বন্ধন করেছেন শিশু অভিভাবক ও সংগঠক ফোরাম
শিমুল আহমেদ তরঙ্গ : বাংলাদেশ শিশু একাডেমী’র কেন্দ্রীয় ভবন স্থানান্তরের জন্য সুপ্রীম কোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে আজ ৪ঠা সেপ্টেম্বর নরসিংদীতে মানব-বন্ধন করেছেন শিশু অভিভাবক ও সংগঠক ফোরাম ; জেলা শিশু একাডেমী’র প্রশিক্ষনার্থী শিশুরা ও নরসিংদী এনসিটিএফ সদস্যগন। নরসিংদী প্রেস- ক্লাব এর সামনে এ মানব-বন্ধন করা হয়।
মানব-বন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা বলেন, শিশু একাডেমীকে বর্তমান স্থানটি ছেড়ে দিতে হলে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ শিশুদের এই বিচরন ক্ষেত্রটিকে নষ্ট করে দিবে। এনসিটিএফ এর শিশু গবেষক কেয়ারাম হোসেন পাপ্পু তার বক্তৃতায় বলে, শিশু – কিশোরদের সুস্থ ও শান্তি পূর্ন পরিবেশে সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ অবারিত রাখার জন্য এ স্থানের বিকল্প নেই।
জানা যায়, ১৯৭৬ সালে ৩দশমিক ৬৯ একর জায়গায় শিশুদের শিল্পকলার নানা বিষয়ে প্রশিক্ষনে দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় শিশু একাডেমী। প্রায় চার হাজার শিশু সপ্তাহের তিন দিন প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষন গ্রহন করে। ৪০ হাজার বইয়ের বিশাল গ্রন্থাগার সহ নিজস্ব প্রকাশনা সংস্থা ও জাদুঘর রয়েছে।
জানা যায়, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে শিশু একাডেমীর সম্পত্তি সুপ্রিম কোর্টের মর্মে রায় ঘোষনা করেন হাইকোর্ট। পরে এ রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। চলতি বছরের ৪ আগষ্ট হাইকোর্ট শিশু একাডেমী কর্তৃপক্ষের কাছে সুপ্রিম কোর্টের সম্পত্তি হস্তান্তরের কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চায়।
এদিকে, এ রায়ের প্রতিবাদে ৬৪ জেলা শিশু একাডেমী মানব-বন্ধনের আয়োজন করে ।