এনসিটিএফ চট্টগ্রাম জেলার ওয়ার্ড কমিটি নির্বাচন সম্পন্ন

শাহরিয়ার তামিম সৌরভ:  ২১ ই আগষ্ট, রোজ শুক্রবার, এনসিটিএফ, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আয়োজনে ওয়ার্ড কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) জাতীয় পর্যায়ের একটি শিশু সংগঠন যা শিশুদের দ্বারা গঠিত এবং পরিচালিত। সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ন্যায় এনসিটিএফ চট্টগ্রাম জেলা কমিটি শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে। সর্বস্তরের শিশুদের সংগঠিত করার মাধ্যমে এলাকা ভিত্তিক শিশু অধিকার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগষ্ট, ২০১৫ইং তারিখে চট্টগ্রাম শহরের ০৪ এবং ১৮ নং ওয়ার্ডে এনসিটিএফ এর সদস্যদের স্বতস্পূর্ত অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ওয়ার্ড কমিটি নির্বাচন। এতে ওয়ার্ডের যথাক্রমে ১৬৩জন এবং ১৬২জন সদস্য প্রত্যক্ষভাবে ভোটের মাধ্যমে ১১ জন সদস্য 20150821_112546-sobuj bartaবিশিষ্ট দুটি পৃথক কমিটি গঠন করে। ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচন নগরীর চান্দগাঁওস্থ “প্যারাডাইজ বলরুম কমিউনিটি সেন্টার” সম্মেলন কক্ষে এবং ১৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচন বাকলিয়ার “আল-মদিনা” কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি ২টি স্বতন্ত্র নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এতে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা

শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জি.এম আব্দুচ সালাম, ওয়ার্ড ভিশন বাংলাদেশের ম্যানেজার প্রবীর চিসিক ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের চিটাগাং আরবান এডিপি’র প্রোগ্রাম অফিসারগণ। উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ চট্টগ্রাম জেলার সাবেক এবং বর্তমান সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ওর্য়াল্ড ভিশন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সেভ দ্যা চিলড্রেন এবং প্ল্যান-বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভূমি ও ভবন সংরক্ষনের দাবীতে মানিকগঞ্জের স্থানীয় শিশুদের মানববন্ধন

আজ ২১ শে আগষ্ট ১৫, সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় মানিকগঞ্জের স্থানীয় শিশু ও অভিভাবকেরা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভূমি ও ভবন সংরক্ষনের দাবিতে, মানিকগঞ্জ শিশু একাডেমী সংলগ্ন শহীদ রফিক সড়কে মানববন্ধন করে।

আগষ্ট মাসের মাসিক সভা ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে বিশেষ আলোচনা সভা

আজ ২০ শে আগষ্ট ১৫, বিকাল ০৩:০০ ঘটিকার সময় আগষ্ট মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ও মাসিক সভা শেষে, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে এক বিশেষ আলোচনা সভা করে মানিকগঞ্জ জেলা এনসিটিএফ এর কার্যনির্বাহী সদস্যরা।

বাল্যবিবাহ রোধে নির্দিষ্ট হটলাইন

আমাদের সামজে অনেক সচেতন মানুষ থাকলেও সঠিক স্থানে তথ্য দিতে না পারায় বাল্য বিবাহের মত কাজ গুলো প্রতিনিয়ত ঘটেই চলছে। অনেকের বাড়ীর আশে পাশে বাল্য বিবাহ হয়ে থাকে।জানানোর বা প্রতিরোধের উপায় জানা না থাকার কারনে বাল্য বিবাহ তাদের সামনেই ঘটে চলছে।
বাল্যবিবাহ রোধে যোগাযোগ মাধ্যম সহজ করার লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া দুইটি নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বার হটলাইন হিসেবে চালু করে। যেখানে তথ্য প্রদানকারী পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। যার সফলতা স্বরুপ তার কিছুদিন পর বারখাদা ইউনিয়ন এ একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়।
এনসিটিএফ কুষ্টিয়ায় হটলাইন ব্যবহারের প্রক্রিয়াঃ
২০১২ সালে এনসিটিএফ কুষ্টিয়া উপলব্ধি করে যে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। যার ফলশ্রুতিতে ফেসবুক ক্যাম্পেইন শুরু করে। তখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় সাড়া কম পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সে সময়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মোবাইল নাম্বার হটলাইন হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয় এবং স্টিকার সহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
পরবর্তীতে কমিটির পরিবর্তনের ফলে সাময়িক স্থবিরতা আসে। কিন্তু গত জানুয়ারী ২০১৫ তে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মেলাতে কুষ্টিয়ায় আবার হটলাইন চালু করা হয়। এক্ষেত্রে কুষ্টিয়া এনসিটিএফ এর জেলা ভলান্টিয়ার এবং জেলা কমিটির সভাপতির মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে। এবং পরবর্তীতে দৌলতপুর উপজেলায় একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।
হটলাইন ব্যবহারে সফলতাঃ
কুষ্টিয়া সদর সহ আশে পাশের এলাকার বাল্যবিবাহ সমূহ বন্ধ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে (সীমান্তবর্তী) পুলিশ কন্যার বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
হটলাইন সংগ্রহে সকলের আগ্রহ অনেক বেশী পরিলক্ষিত হয়েছে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের পাশাপাশি এনসিটিএফ এর সদস্য সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এনসিটিএফ সম্পর্কে জানার আগ্রহে তারা সহজে হটলাইনে যোগাযোগ করছে।
হটলাইনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১০ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
হটলাইন ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসাধারণের ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
সহজ মাধ্যমে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে বলে অনেকে এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে তথ্য প্রদান করতে উৎসাহিত হয়।
বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ সমূহ সম্পর্কে খুব সহজে এনসিটিএফ অবহিত হতে পারে।
তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও ঝামেলামুক্ত।
অসুবিধাসমূহঃ
অনেক সময় অনেকেই ভুল তথ্য দিলে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। ফলে হয়রানির শিকার হতে হয়। এর ফলে প্রতিরোধকারীদের উপর অন্য রকম প্রভাব পড়ে। ফলে এক ধরনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
হয়রানিমূলক কল। ইত্যাদি

চ্যালেজ্ঞসমূহঃ
নির্দিষ্ট এবং স্থায়ী মোবাইল নাম্বার।
পর্যাপ্ত পরিমান মোবাইল ক্রেডিট থাকা।
স্থানীয় প্রভাবে বাল্যবিবাহ সংঘটিত হওয়া।
যদিও বাল্য বিবাহ  পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্যে শিশুরাই বন্ধ করে থাকে।  আর প্রতিরোধের সময় শিশুরা সরাসরি প্রত্যক্ষ জড়িত থাকে। এর ফলে পরবর্তিতে ঐ শিশুর নিরাপত্তার ঘাটতি থাকে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
একটি স্থায়ী, নির্দিষ্ট এবং সহজ মোবাইল নাম্বার হটলাইন নাম্বার হিসেবে ব্যবহার করা।
কুষ্টিয়ায় ব্যাপকভাবে হটলাইনের প্রচার বাড়ানো।
হটলাইনের জন্য নির্দিষ্ট একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট বরাদ্দ।

 

মোঃ আসাদুজ্জামান
কেন্দ্রীয় ইয়ুথ ভলান্টিয়ার
এনসিটিএফ প্রজেক্ট
সেভ দ্য চিলড্রেন।

বগুড়ার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করল এনসিটিএফ বগুড়া

গত ১৮ই আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বগুড়ার মালতীনগরস্থ মা ও শিশু কন্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ) বগুড়ার প্রতিনিধি দল।এসময় তারা হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড, কেবিন এবং অপারেশন থিয়েটার ঘুরে দেখেন।

ওয়ার্ডের নবজাতক মা এবং রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় হাসপাতালের সেবার মান সন্তোষজনক।ডাক্তার এবং নার্সরা তাদের নিয়মিত খোঁজ নেন।তাদের কাছ থেকে তেমন কোন অভিযোগ না পাওয়া গেলেও স্বরেজমিনে দেখা যায় বাথরুম ও টয়লেট গুলো তেমন পরিস্কার নয়।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শামসুজ্জামান (মেডিকেল অফিসার) এর সাথে হাসপাতালের মা ও শিশুদের সেবার মান এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কথা  বললে তিনি জানান হাসপাতালে ২জন ডাক্তার এবং ৬জন নার্স সার্বক্ষণিক মা ও শিশুদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।আর বাথরুম-টয়লেটের অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ স্বীকার করে তিনি কথা দেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং সার্বক্ষণিক নজরদারীর ব্যবস্থা করবেন।

মনিটরিং টিমের নেতৃত্ব দেন এনসিটিএফ বগুড়ার সভাপতি জাওয়াদুল করিম জীসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিশু সাংবাদিক সামিউল ইসলাম,পারমিতা ভট্টাচার্য; শিশু গবেষক আবীদ শাহারিয়ার, আফসানা সাদিয়া এবং জেলা ভলান্টিয়ার  মোহনা আক্তার।

 

নরসিংদী তে আঞ্চলিক বিজ্ঞান জয়োৎসব উদযাপন

শিমুল আহমেদ তরঙ্গ : ব্যাপক উৎসাহের সাথে নরসিংদী তে ” আঞ্চলিক বিজ্ঞান জয়োৎসব ২০১৫ ” উদযাপিত হয়েছে। প্রথম আলো’র সহযোগিতায় এবং সিটি ব্যাংক এর অর্থায়নে প্রথমবারের মতন নরসিংদী তে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়।

বেলা ১০:০০ টায় অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গনিত অলিম্পিয়ার্ড এর মহাপরিচালক জনাব ড. মুনির হাসান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক জনাব আবু হেনা মোর্শেদ জামান।  আরও উপস্থিত ছিলেন ‘ সিটি ব্যাংক ‘ এর শাখা ব্যাবস্থাপক জনাব মো: নুরুজ্জামান চৌধুরী এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব খন্দকার নুরুল হক । প্রতিযোগিতায় নরসিংদীর প্রায় ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে। অংশগ্রহনকারীগন ২টি ক্যাটাগরিতে অংশ নেয়। প্রজেক্ট প্রদর্শন এবং কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রায় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয় ।পুরস্কার বিতরনের আগে ড. মুনির হাসান তার বক্তব্যে বলেন , বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে দক্ষিন এশিয়ায় বাংলাদেশের সাফল্যের পর এখন এশিয়া মহাদেশে প্রথম হবার স্বপ্ন দেখতে হবে আমাদের ।

দুপুর ১টায় প্রজেক্ট পরিদর্শন ও কুইজ এর উপর ভিত্তি করে ঢাকায় পরবর্তী রাউন্ডের জন্য প্রতিযোগীদের সিলেক্ট করা হয়। প্রজেক্ট পরিদর্শনের উপর ভিত্তি করে – ব্রাহ্মন্দী কে. কে. এম. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ; নরসিংদী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ; বেঙ্গল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ; এন. কে.এম হাই স্কুল এন্ড হোমস ; সাটিরপাড়া কে কে ইন্সটিটিউট। পড়ে প্রেজেন্টেশন বিজয়ী এবং কুইজে বিজয়ীদের মাঝে প্রশংসাপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়।