এনসিটিএফ শরীয়তপুরের পক্ষ থেকে রাজন হত্যার বিচারের দাবিতে অতিরিক্ত জেলা প্রসাশকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) শরীয়তপুরের পক্ষ থেকে রাজন হত্যার দ্রুত এবং সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সাধারণ) ওহিদুজ্জামান কে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় । স্মারকলিপি প্রদানের সময় এনসিটিএফ-শরীয়তপুরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিল :  সভাপতি : তামজীদুল ইসলাম  সহ-সভাপতি : আফরিন সুলতানা সিথী  যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক : আমির হোসেন সবুজ  সাংগঠনিক সম্পাদক : সাইফুল ইসলাম রিমন  সাধারণ সম্পাদক : মিতু আক্তার  শিশু সাংবাদিক : সিরাজুল ইসলাম  চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য : আলীজা আলী জেরিন চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য : মাসুদ  জেলা ভলান্টিয়ার : বায়জিদ  সাবেক জেলা ভলান্টিয়ার : মিটুন খান  সাধারণ সদস্য : প্রান্ত , এমি

শিশুদের উদ্যোগে শিশুদের আনন্দ

শাহরিয়ার হৃদয়

১৪ জুলাই,মঙ্গলবার এনসিটিএফ-ফেনী জেলা কমিটি সুবিধাবঞ্চিত ২০জন শিশুর মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করে।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমী,ফেনী জেলা মিলনায়তনে“একটি নতুন জামা,একটি হাসিমুখ”-শিরনামে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আবছার ভূঁইয়া । উপস্থিত ছিল জেলা কমিটির সকল সদস্য।

যেসব শিশু দূরবর্তী স্থান থেকে আসতে পারেনি,তাদের ঈদ উপহার(জামা) তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।

 

৬৪ জেলার ন্যায় কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. এর পক্ষ থেকে স্বারকলিপি প্রদান

ন্যশানাল চিল্ড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে রাজন হত্যার দ্রুত এবং সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে আজ সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স, কুষ্টিয়া জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা ৬৪ জেলার ন্যায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মহাদয়কে স্বারকলিপি প্রদান করে। স্বারকলিপি প্রদান করা হয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও আইসিটি) জনাব মোঃ মুজিব-উল-ফেরদৌস মহদয়ের কাছে ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, কুষ্টিয়া জেলার শিশু বিষয়ক কর্মকতা মো: মখলেছুর রহমান, জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ তৌহিদুজ্জামান সহ সরকারী বিভিন্ন কমকর্তা কর্মচারী বৃন্দ । ন্যশানাল চিল্ড্রেন ট্রাস্ট ফোর্স (এনসিটিএফ) কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলো সভাপতি মোঃ মুসাব্বির হোসেন, শিশু সাংবাদিক সাজিদ হাসান, সাংগাঠনিক সম্পাদক রাকিব, শিশু গবেষক আসিফ ও তন্দ্রা এবং জেলা ভলান্টিয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তন্নী ।

মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে: সবুজ-বার্তা

১৪ ই জুলাই এন.সি.টি.এফ. এর উদ্যোগে সকল জেলা এনসিটিএফ এর পক্ষ থেকে রাজন হত্যার মামলায় মাননীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের জন্য আহ্বান

গত ৮ জুলাই বুধবার সিলেটে বর্বর হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শিশু রাজনকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের একজন ব্যাতিত এখনো কেউ গ্রেপ্তার করা  হয়নি। এনসিটিএফ বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় সক্রিয়ভাবে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।

তাই উক্ত হত্যার প্রতিবাদে এবং আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ রাজন হত্যার বিচারের দাবিতে আগামীকাল ১৪ই জুলাই ২০১৫ তারিখে সকল জেলা এনসিটিএফ মাননীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার জন্য আহুবান জানানো হয়েছে ।

৬৪ জেলার এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটি নিজ নিজ জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে  এবং নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে ।

* প্রদত্ত লিংকের মাধ্যমে স্মারকলিপি ডাউনলোড করে নিজ জেলার নাম, সভাপতির নাম লিখে স্মারকলিপি প্রস্তুত করার জন্য আহুবান জানানো হয়েছে  ।
* কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করার জন্য আহুবান জানানো হয়েছে   ।
* স্মারকলিপি প্রদানের ছবি যতদ্রুত সম্ভব নিজ জেলা পেজ ও এনসিটিএফ বাংলাদেশের গ্রুপে শেয়ার করবে করার জন্য আহব্বান জানানো হয়ে্ছে।
* বিকালের মধ্যে প্রেস রিলিজ বা সংবাদ তৈরী করে info@nctfbd.org তে প্রেরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়া প্রকাশে সহায়ক হিসেবে সবুজ বার্তা চিলড্রেন মিডিয়া সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে (sobujbarta@gmail.com)।
* সেন্ট্রাল এডিটোরিয়াল টিম সকল সংবাদ একত্রিতকরণ করে পূর্ণাঙ্গ সংবাদ ও রিপোর্ট তৈরীকরার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে  ।

বিস্ময় ব্যক্তিত্ব !

আবদুর রহমান সালেহ: বাজারে খুচরা বিক্রেতারা যখন পি,সি সরকারের জাদুবিদ্যা বই বিক্রি করছিলো আমার বন্ধু সোহাগ তখন মনোযোগ দিয়ে ভাবতো; কিভাবে পি,সি সরকারের মতো বিখ্যাত জাদুকর হওয়া যায়! মজার মজার জাদু দেখিয়ে সবার চোখ ধাঁধিয়ে দেয়া যায়। অসম্ভব অধ্যবসায়ী সোহাগ বাজারের ক্যানভাসারদের কাছে ধর্না দিয়ে পি,সি সরকার কিংবা জুয়েল আইচের মতো খ্যাতিমান জাদুকর হতে পারেনি বটে। তবে হাতের তালুতে আগুন জ্বালিয়ে একটি ভেল্কি দেখিয়েই আমাদের কয়েকজনের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল ও। অসাধারণ কোয়ালিটি না থাকলে অন্তত জাদুকর হওয়া যায় না। সোহাগের দৃঢ়চেতা পারফরমেন্স দেখে সেদিন মনে মনে এরকম ভাবনারই ঊদয় হয়েছিল।
আমার বন্ধু সোহাগের সেই ভেল্কিবাজির (মতান্তরে জাদুবিদ্যা!) সময়টা ছিল গত শতাব্দীর (১৯৯৯)। প্রাইমারীতে অধ্যয়নরত সময়ের ঘটনা হওয়ায় কিনা জানিনা। স্মৃতির অতল গহ্বর থেকে সেই ঘটনাটি আজকের ২০১৫-তে এসেও যেহেতু হারিয়ে যায়নি, সেহেতু বলাই যায় সোহাগের পারফরমেন্সে বিশেষ কিছু ছিল। সম্পূর্ণ অন্যরকম কিছু। তা না হলে এতদিন পরেও স্মৃতিভা-ার থেকে ঘটনাটি হারিয়ে গেলো না কেন?
প্রাইমারী থেকে মাধ্যমিক। মাধ্যমিক পেরিয়ে মহাবিদ্যালয়। মহাবিদ্যালয়কেও বিদায় জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকে এসে যখন পি,সি সরকারের জাদুবিদ্যার প্রতি আগ্রহ হারিয়েই যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে পরিচয় হলো অন্য এক জাদুকরের সাথে। আমি জুয়েল আইচের মতো বিখ্যাত জাদুকরের কথা বলছি না। এই জাদুকরের আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে তিনি হাতের তালুতে আগুন জ্বালানোর মতো ভেল্কিবাজিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। ছিলেন না কৌশলের আশ্রয় নিয়ে তাঁর ভক্তদের সাথে ভেল্কিবাজি করার। পি,সি সরকার, জুয়েল আইচের জাদুবিদ্যা মানুষকে ক্ষণিকের আনন্দ দেয়, বিস্ময়ের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ায়। সকলেই জানে যে, তাদের পারফরমেন্সের পুরোটাই কৌশলের উপর নির্ভরশীল। কৌশলের বাইরে একটুও শেখার নেই, নেই ভাবারও। আমি যে জাদুকরের কথা বলছি তিনি ছিলেন অক্ষরের জাদুকর। ‘অক্ষর’ দিয়েও যে জাদু দেখানো যায়, বিস্ময়ের সাগরে হাবুডুবু খেতে খেতে ডুবেও মারা যায়! এটা তাকে না দেখলে, তার শিল্পকর্মের সান্নিধ্যে না আসলে হয়তো উপলব্ধিই করা যেত না। অক্ষর থেকে শব্দ। শব্দ থেকে শব্দের সমাহার। তারপর শুরু জাদুকরের জাদুর প্রতিটি ধাপ। টানটান উত্তেজনাকর মুহূর্তের। ‘কথার জাদুকর’ হিসেবে তার উপাধিটাও বেশ মজার। অন্য কারো না, আমি যে হুমায়ূন আহমেদ নামের একজন অসাধারণ লেখক, মানুষ ও চলচ্চিত্রকার সম্পর্কে লিখছি এতে কি কারো সন্দেহ আছে? তাঁর সম্পর্কে তো এতো এতো বিশেষণের প্রয়োজন হয় না। তাহলে কেন কষ্ট করে তাঁর সম্পর্কে ‘অযথা’ অক্ষর, শব্দের অপচয় করবো। এর দরকার’ই বা কতটুকু?

১৯৯৯ সালের ঘটনা ২০১৫ পর্যন্ত মনে থাকাটা কতটুকু বিস্ময়ের জানিনা। তবে আপনার সম্মোহনী পারফরমেন্স আমার স্মৃতিবিভ্রমের পূর্ব পর্যন্ত যে মনে থাকবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত। ভালো থাকবেন প্রিয় বিস্ময় ব্যক্তিত্ব। শুভ কামনা আপনার জন্য।

গাজীপুর জেলা এনসিটিএফ এর আয়োজনে দুস্থ ও শ্রমজীবী শিশুদের সাথে ইফতার ও দুয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

গাজীপুর জেলা এনসিটিএফ এর আয়োজনে গত ৯জুন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে দুস্থ ও শ্রমজীবী শিশুদের সাথে ইফতার ও দুয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত ইফতার মাহফিলে দুস্থ ও শ্রমজীবীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি – আরিফ উজ জামান নেহাল , সহ সভাপতি – ফাহমিদা রহমান শর্মী , যুগ্ন সাধারন সম্পাদক – মেহেদি হাসান নুহাশ , চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার – রবিন ও রিয়া ,জেলা ভলান্টিয়ার – প্রমথ দাস সহ সকল সদস্য বৃন্দ ।।