একাকি শিশুর অনেক সমস্যা !
‘বাসায় থাকলে সারা দিন টিভি দেখি আর কম্পিউটারে গেমস খেলি। কিন্তু এসব ভালো লাগে না। সব সময় ইচ্ছে করে মায়ের সঙ্গে থাকতে! একা একা খুব খারাপ লাগে।’ কথাগুলো বলছিল শামা। সে রাজধানীর একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওর মা-বাবা দুজনই কর্মজীবী। মা পেশায় সাংবাদিক। কথা হলো শামার মা আফরোজা ইসলামের (ছদ্মনাম) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শামা যখন ছোট ছিল, তখন বেশি সমস্যা হয়েছে। আমি আর আমার স্বামী দুজনেই চাকরি করি। দুজনেই যখন বেরিয়ে যেতাম, তখন ও কার কাছে থাকবে, এই নিয়ে ভীষণ চিন্তা হতো। প্রথম প্রথম বুয়ার কাছে রেখে যেতাম। শামার তখন আড়াই বছর বয়স। একদিন ওর জন্য দুধ বানিয়ে ফ্রিজে রেখে এসেছিলাম। বুয়াকে বলেছিলাম তিন ঘণ্টা পর গরম করে খাওয়াতে। আট ঘণ্টা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে দেখি, ফ্রিজে দুধ ওই রকমই আছে। বুয়াকে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, ‘‘কান্দে নাই, তাই খাইতে দিই নাই।’’ বুয়ার কাছে মেয়েকে রেখে যেতে আর ভরসা পেলাম না। আমার মায়ের বাসায় রেখে আসতাম। অফিস শেষে আবার সেখান থেকেই নিয়ে আসতাম! কী করব! আমার অফিসে তো কোনো শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র নেই। তাহলে হয়তো এত সমস্যায় পড়তে হতো না।’ সিমিন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ওর মা-বাবা দুজনই বাইরে কাজ করেন। ফলে দিনের বেশির ভাগ সময়ই ওকে একা থাকতে হয়। একা থাকার ফলে তার কিছু মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সিমিন বলে, ‘একা একা থাকতে ভালো লাগে না। বাইরে যাওয়াও বারণ । তখন আর কী করব! কল্পনায় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলি। মনের মধ্যেই বন্ধুদের ডাকি। ওদের সঙ্গে খেলি।’ সিমিনের মা জানান, ‘মেয়ে হয়তো অনেক দিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছে। তবে আমরা এটা বুঝতে পেরেছি মাত্র কিছুদিন আগে। দেখতাম, মেয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলে। আর একা থাকতে পছন্দ করে। আমরাও কিছু বললে খুব বিরক্ত হতো। তারপর ডাক্তার দেখালাম। এখন নিয়মিত ওর কাউন্সেলিং চলছে।’ শামা ও সিমিন একক পরিবারে বাস করে। আবার তাদের দুজনেরই মা-বাবা চাকরিজীবী। ফলে তারা মা-বাবার পরিচর্যা তেমন পাচ্ছে না। ফলে দুই শিশুরই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে গড়ে উঠছে একক পরিবার। সংসারের প্রয়োজনে সেই পরিবারের মা-বাবা দুজনকেই চাকরি করতে হচ্ছে। নগরজীবনের এই বাস্তবতায় এসব পরিবারের শিশুরা দীর্ঘ সময় একা একা সময় কাটাচ্ছে। মুখোমুখি হচ্ছে নানা সমস্যার। অনেক সময় দেখা যায়, শিশুদের দেখাশোনা করার মতো কাউকে পাওয়া যায় না বলে অনেক মাকেই চাকরি ছেড়ে দিতে হচ্ছে। তেমনই একজন টুটুল আর মিতুলের মা ইয়াসমিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যাংকার হতে চেয়েছিলাম। স্বপ্নপূরণও হয়েছিল। একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতাম। তার কিছুদির পর ছেলে টুটুল হলো। প্রথম দিকে ওকে রেখে অফিসে যেতাম। সকাল ছয়টা থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আটটায় অফিসে ছুটতাম। ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যেত। আর এদিকে ছেলেকে দেখাশোনার কেউ ছিল না। কাজের লোকের ওপর ভরসা করতে পারছিলাম না। তাই একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম, চাকরি ছেড়ে দেব। দিলামও। সে-ও ১০ বছর আগের কথা। আমরা কয়েকজন একসঙ্গে নিয়োগ পেয়েছিলাম। সেই সহকর্মীদের বেতন এখন প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এখন ভাবি, চাকরিটা না ছাড়লে মাস শেষে এতগুলো টাকা আমার হাতে আসত। এসব টাকা সংসারের কাজে লাগানোর পাশাপাশি নিজের অনেক শখও পূরণ করতে পারতাম।’ বর্তমানে অনেক নারী বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত আছেন। তাই ইচ্ছে থাকলেও তাঁরা সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারছেন না। কর্মজীবী মায়েরা শিশুদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাছে রেখে যান। ফলে দীর্ঘ সময় শিশুটি গৃহকর্মীর সঙ্গে বাস করে। গৃহকর্মীর গুণগত মান কম হওয়ার ফলে শিশটিরও গুণগত মান কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে শিশুদের পরিচর্যার অনিয়ম, নির্যাতন ঘটছে এই গৃহকর্মীদের দ্বারাই। আবার অনেক সময় দেখা যায়, গৃহকর্মীর সহায়তায় শিশু চুরির ঘটনাও ঘটছে। আর এর ফলে যাঁরা বাসায় সন্তানকে একা বা পরিচারিকার কাছে রেখে যান, তিনি কর্মস্থলে গিয়েও কাজে মন দিতে পারেন না। আর এই একা একা বড় হওয়া শিশুরাও বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে। একক পরিবারের শিশুরা, যৌথ পরিবারের শিশুদের চেয়ে ভিন্ন মানসিকতার হয় এমনটাই বললেন ভিকারুননিছা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার সহকারী শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমি লক্ষ করেছি, একক পরিবারের বাচ্চারা কারও সঙ্গে মিশতে চায় না। বেশি মানুষ দেখলে ঘাবড়ে যায়। নিজের আনা টিফিন অন্যের সঙ্গে ভাগ করে খেতে পছন্দ করে না। প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রায়ই দেখা যায়, শিশুরা খুব কাঁদে। কারণ, তারা একা একা বড় হয়ে অভ্যস্ত। একক পরিবারের এই শিশুরা শুরুতে স্কুলেও আসতে চায় না। কিন্তু কিছুদিন পরই ঠিক হয়ে যায়। এই শিশুদের খুব বেশি শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্বও হয় না। তাদের এক বা দুজন বন্ধু থাকে। আর যৌথ পরিবারে বড় হওয়া শিশুরা ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে। তারা অনেক মানুষের সঙ্গে মেশে। অন্যের সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নিতে পছন্দ করে।’ কিছু ছোট ছোট উদ্যোগ এই শিশুদের শৈশবকে সুন্দর করতে পারে, এমনটাই জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরীন। তিনি বলেন, ‘একক পরিবারের শিশুদের জন্য সমাধান হতে পারে কয়েকটি। যেমন, যৌথ পরিবার ভেঙে গেলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে হবে। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে হবে। যাতে শিশুটি প্রতিবেশীর কাছ থেকে সাহচর্য পায়। শিশুকে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে। শিশুকে সময় দেওয়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ তাকেই দিতে হবে। অন্যদিকে যেসব একক পরিবারের মায়েরা কর্মজীবী, তাদের প্রতিষ্ঠানে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র থাকা প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানে দিবাযত্নকেন্দ্র থাকলে, শিশুরা যেমন নিরাপদ থাকে, মায়েদের কাজের গুণগত মানও ভালো হয়।’ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০০৬ সালে দিবাযত্নকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানে বর্তমানে ৬৮টি শিশু সেবা পায়। ব্যাংকে কর্মরত মায়েরা খাবার বিরতির সময় সন্তানকে দেখে যেতে পারেন। আর বুকের দুধ খাওয়াতে হলে আরও বেশিবার দেখা করার সুযোগ পান। এখানে বাচ্চাদের পড়ালেখা, খেলাধুলা, খাওয়া ও ঘুমানোর ব্যবস্থা আছে। আর প্রতিষ্ঠানে শুধু নারী কর্মীই নন, পুরুষ কর্মীরাও তাঁদের সন্তানকে এখানে রাখতে পারেন। ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘এটা আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল। আমি যখন এই প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করি, তখন থেকেই এখানে একটি দিবাযত্নকেন্দ্র খোলার ব্যাপারে কাজ করছিলাম। পরবর্তী সময়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা প্রতিটি শিশুর খরচের মাত্র ৩৫ ভাগ অর্থ অভিভাবকের কাছ থেকে নিয়ে থাকি। বাকি অর্থ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভর্তুকি দেয়। এই ব্যবস্থার ফলে প্রতিষ্ঠানের মায়েরা খুব স্বস্তিতে কাজ করেন। যেটা প্রতিষ্ঠানের জন্যও লাভজনক। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই উদ্যোগ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উৎসাহিত করতে পারে।’
যেভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা চোখ ভালো রাখবেন
কম্পিউটারে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে চোখের পলক ফেলা ভালো উপায়। এতে করে চোখে আদ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে এবং শুষ্কতা সৃষ্টি হয় না। অথচ কম্পিউটার স্ক্রিনের কারণে আমরা চোখের পলক কম ফেলি, এমনটি চোখের জন্য ক্ষতিকর। যথাযথ আলোর পরিবেশে কম্পিউটারে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দিনেরবেলায় কম্পিউটার ব্যবহারের সময় মনিটরের উল্টোদিকে মনিটরে আলো প্রতিফলিত হয় এমন দরজা জানালা বা লাইট বন্ধ রাখুন। কম্পিউটারটি এমন স্থানে ব্যবহার করুন যেখান থেকে মনিটরে আলোর প্রতিফলন না ঘটে। আবার পুরোপুরি অন্ধকার ঘরেও কম্পিউটার চালাবেন না। কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় পর্দার সঙ্গে আই-লেভেল উচ্চতার সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে। বিষয়টি চোখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারের উজ্জ্বলতা সহনীয় মাত্রায় রেখে কাজ করা উচিত। উজ্জ্বলতা বেশি হলে চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং অস্বস্তিকর অনুভূত হয়। চোখে শিথিল এবং আরামদায়ক অনুভূতির ক্ষেত্রে সেরা রং বিবেচনা করা হয় সবুজ রংকে। কাজের ফাঁকে জানালা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে তাকাতে পারেন। কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়া বা লেখার জন্য ছোট ফন্ট ব্যবহার করবেন না। চোখের জন্য আরামদায়ক ফন্ট নির্বাচন করুন। কারণ ছোট ছোট লেখা চোখের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে। দুই হাতের তালু একটি অপরটির সঙ্গে ঘর্ষণ করে গরম করে তুলুন। তারপর আপনার হাতের তালু চোখের ওপর রাখুন কমপক্ষে ১ মিনিট। এটি ক্লান্ত চোখে আরামের আবেশ আনতে সহায়তা করবে। কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করার সময় চোখ সুরক্ষার খুব উপযোগী একটি উপায় হচ্ছে, ২০-২০-২০। প্রতি ২০ মিনিট পর পর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর ওপর দৃষ্টিপাত করুন অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য। চোখের বিশ্রামের জন্য ২০-২০-২০ নিয়মটি মেনে চললে চোখে যথেষ্ট আদ্রতা থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে। মনিটর নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। মনিটরে জমা ধুলাবালি দৃষ্টিশক্তিকে ব্যাহত করে। ফলে মনিটরের অক্ষরগুলো পড়তে সমস্যা হয় এবং চোখের ওপর চাপ পড়ে। তাই কম্পিউটারে ধুলা-ময়লা কিংবা আঙ্গুলের ছাপ পড়তে দেবেন না।
সব শিশু সুস্থ থাকুক।
সব শিশু সুস্থ থাকুক। এমন আনন্দে থাকুক। এমনটাই চাই। টিয়ারা ও রাজেশ্বরীশিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে মা-বাবার চিন্তার শেষ নেই। শিশুর ভালোমন্দের ওপরই যেন নির্ভর করে তাঁদের পৃথিবী। শিশুর একটু অসুখ করলেই ভয় পেয়ে যান তাঁরা। এর মধ্যে কোনো কারণে শিশুর যদি হঠাৎ খিঁচুনি হয়, তাহলে তাঁরা পড়ে যান মারাত্মক দুশ্চিন্তায়। শিশুর শরীরে কাঁপুনি হলেই কি তা খিঁচুনি? নাকি অন্য কিছু? এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু স্নায়ুরোগ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে, তবে শরীরে কাঁপুনি উঠলেই তা খিঁচুনি নাও হতে পারে।’ কেন হয় শিশুর খিঁচুনি? জন্মের সময় বা জন্মের আগে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব, মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কে জন্মগত কোনো ত্রুটি, মৃগীরোগ, মস্তিষ্কের টিউমার অথবা মস্তিষ্ক বা এর আবরণীতে কোনো জীবাণুর সংক্রমণের কারণে শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। জ্বর হলেও অনেক সময় শিশুর খিঁচুনি হতে পারে। তবে জ্বরের কারণে শিশুর শরীরে কাঁপুনিও হতে পারে, আবার হঠাৎ কোনো কারণে ভয় পেলেও শিশুর শরীরে কাঁপুনি হতে পারে; কিন্তু কাঁপুনি হলেই সব সময় তা খিঁচুনি নয়। কী করে বুঝবেন শিশুর খিঁচুনি হচ্ছে? অস্বাভাবিক কাঁপুনির পাশাপাশি শিশুর হাত-পা শক্ত হয়ে যায়, চোখ উল্টে যায়, শরীরে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। অজ্ঞান হয়েও যেতে পারে। অনেক সময় শিশুর মুখ দিয়ে ফেনার মতো কিছু বের হতে পারে। শিশুর জিহ্বায় কামড় লেগেও যেতে পারে। আবার অনেক সময় এ অবস্থায় শিশুর প্রস্রাব বা পায়খানা হয়ে যেতে পারে। হঠাৎ শিশুর খিঁচুনি হলে কী করবেন? শিশুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। ধারালো কোনো জিনিস বা গরম পানি আশপাশে থাকলে সরিয়ে নিন। তাকে মাথা একদিকে কাত করে শুইয়ে দিন। পাঁচ মিনিট সময় ধরে খিঁচুনি হলে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে খিঁচুনি যত সময় ধরেই হোক না কেন, খিঁচুনি থেমে গেলে অবশ্যই তাকে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। খিঁচুনি হচ্ছে এ অবস্থায় যা করা যাবে না যখন শিশুর খিঁচুনি হচ্ছে, তখন শিশুর মাথায় পানি দেওয়া, তার হাত-পা টানা, তার মুখে কিছু ঢোকাতে চেষ্টা করা বা তার আশপাশে হইচই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হতে পারে জটিলতা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত ওষুধ খাওয়াতে হবে শিশুকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে খিঁচুনি ভালো হয়ে যাওয়ার পরও চিকিৎসক ওষুধ সেবন করতে বলতে পারেন। তাই মানতে হবে। কারণ চিকিৎসা সঠিকভাবে না হলে খিঁচুনির কারণে অনেক সময় শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় এনসিটিএফ’র জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি প্রদান
গত ০৯ নভেম্বর’১৪ খ্রিঃ তারিখ রবিবার ৩.০০ মিনিটে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী শারীরিক শাস্তি বন্ধ করে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এবং পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মনিররুজ্জান পিপিএম (বার) কে পৃথক পৃথক ভাবে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ১৯/১০/২০১৪ তারিখ রবিবার দুপুরে জেএসসি মডেল টেষ্ট চলাকালে শিক্ষক সুব্রত সরকারের ছুড়ে মারা কলমে গোলাম রাব্বি নামের এক শিক্ষার্থীর বাম চোখ মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়। প্রথমে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঘটনা তদন্তে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিও তাকে দোষী করে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন । স্মারক লিপিতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্থবায়নসহ দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় দৃষ্টান্তমূূলক শাস্তির ব্যবস্থা ও “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি বন্ধে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন: ২০১০ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আদেশ: মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০০৮” প্রতিপালনে ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মো. সাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
এসময় এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জারিয়াতুল্লাহ খানম জারা, শিশু সাংবাদিক মাকসুদা চৌধুরী পলি, ফুয়াদ হাসান ওয়াসি, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার সাইদা সানজিদা লোপা। চাইল্ড পার্লামেন্টের সাবেক স্পীকার সাব্বির আহম্মেদ হিমু ও ডেপুটি স্পীকার এইচ এম মু’ছিম বিল্লাহ সীমান্ত ছাড়াও জেলা ইয়্যূথ ভলান্টিয়ার অজিত চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
এনসিটিএফ শিশুদের জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশুদের বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা করার পরামর্শ দেয়। এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিশুদের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাসদেন।
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নব নির্বাচিত পূর্নাংগ এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভা ।
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নব নির্বাচিত পূর্নাংগ এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সভা । গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর Sped-RRTC ট্রেনিং সেন্টার ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয় । এবারের সভায় সমসাময়িক এনসিটিএফ কার্যক্রম আলোচনা,চাইল্ড পার্লামেন্ট অধিবেশন আয়োজন, বিকল্প প্রতিবেদন পর্যালোচনা, কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও এনসিটিএফ সোস্যাল মিডিয়া গ্রুপের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা , দাপ্তরিক বিষয়ে আলোচনা সহ বিভিন্ন জেলার এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির আমন্ত্রনে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর প্রোগ্রাম অফিসার জনাব নাজমুল হক, সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপদেষ্টা কাঁকন, আসাদ,রুমন। সভাপতি আগামী সভায় সকলের আমন্ত্রন জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Ain-O-Shalish Kendra(ASK) was organized a sharing workshop with NCTF on preparing 25 years assessment on Expectation ,achievement and way forward of Bangladesh in line with UNCRC on 16 October 2014.
NCTF Dhaka Committee was attend The Workshop and participate with full effort. The guest
was Head of the faculty Social Science,University of Dhaka.