সুবিধা বঞ্চিত, দরিদ্র ও পথ শিশুদের মাঝে ঈদের পোষাক বিতরণ !
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর তত্বাবধানে পরিচালিত ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে ষাটটি (৬০) সুবিধা বঞ্চিত, দরিদ্র ও পথ শিশুদের মাঝে অদ্য ২৪ জুলাই, ২০১৪খ্রিঃ তারিখ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১০.০০ মিঃ ঈদের পোষাক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বেগম মাহ্ফুজা আখতার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অনুষ্ঠানে শিশু সভাপতি হিসেবে ছিলেন সায়েম খন্দকার, সভাপতি, ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কেন্দ্রীয় কমিটি। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মাকসুদা চৌধুরী পলি, সহ-সভাপতি এবং ফুহাদ হাসান ওয়াসি, শিশু সাংবাদিক, এনসিটিএফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শিশুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাইদা সানজিদা লোপা, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার ও তৌহিদুর রহমান আদিল, সাবেক সভাপতি, এনসিটিএফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ভলান্টিয়ারসহ এনসিটিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যবৃন্দ, সাব্বির আহম্মেদ হিমু, স্পীকার, চাইল্ড পার্লামেন্ট ও মুতাছিম বিল্লাহ সীমান্ত, সাবেক ডেপুটি স্পীকার, চাইল্ড পার্লামেন্ট। বার্তা প্রেরক- অজিত চন্দ্র বিশ্বাস এনসিটিএফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
কুষ্টিয়ায় শিশু শ্রমিকের হার বাড়ছে ।
জান্নাত, কুষ্টিয়া: শিশু সনদ ও কারখানা আইনে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিদিনই বাড়ছে শিশু শ্রমিকের হার। বয়সের কোন পরোয়া না করেই শিশুদের নিয়োগ করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ সব কাজে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে সমাজের কিছু সুবিধাবাদী লোক। এ সকল শিশুরা কাজ করছে হোটেল, রেস্তোরা, সাইকেল মেরামত, মটরসাইকেল মেরামত, বাসের হেলপার, ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, ওয়েল্ডিং শপে, ছাপাখানায়, ইট-ভাটা ইত্যাদি ঝুকিপূর্ণ স্থানে। তাঁদের দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করিয়ে নিলেও তাদের মজুরী দেওয়া হচ্ছে অনেক কম। আর এ মজুরী কম দেওয়ার সুবিধার জন্যই বেশীরভাগ ব্যাক্তিই শিশু শ্রমিক নিয়োগের জন্য আগ্রহী হয়। এবং তারাও চেষ্টা করে কিভাবে শিশুদের কাজে লাগানো যায়। কিন্তু কারখানা আইন অনুযায়ী ১২ বছরের নিচে কোন শিশুকে নিয়োগ না দেওয়ার কথা বলা আছে। ১৮ বছরের নিচে সকলে শিশু ( যেটি আগে ১৬ বছর ছিল) এবং শিশুদের কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে দেওয়া যাবে না বলেও বলা হয়। এছাড়া শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বিড়ি তৈরির ফ্যাক্টরিতে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন গ্রামে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে তামাক শ্রমিক হিসেবে। এছাড়া অনেক শিশু সামান্য কিছু টাকার জন্য ধর্না দেয় বিভিন্ন তামাক ক্রয় কেন্দ্রে। দৌলতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পেয়াজের সময় সামান্য টাকা পাবার আশায় বেড়ে যাচ্ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। পিয়াজের মৌসুমে পড়া ছেড়ে দেয় বলে অনেকে আর স্কুলের গন্ডির নিকটেই জায়না। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি না করলে এ সংখ্যা আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করছেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট জনেরা।
শিশুর জন্য ইউটিউব নয়।
মুসাব্বির হোসেন : কার্টুন বা মজার মজার ভিডিও দেখার জন্য অনেক বাবা – মা শিশুদের ইউটিউ বব্যবহারের সুযোগ দেন । তবে বাবা-মা’ র নির্দেশনা অনুযায়ী ভিডিও দেখতে গিয়ে শিশুদের সামনে চলে আসছে নানা রকম অশ্লীল ভিডিও। অনেকে অশ্লীল ভিডিও গুলো বন্ধ করার চেষ্টা করলেও সুফল পাননি । কারণ এখন পর্যন্ত এরকম কোন প্রযুক্তি বের হয়নি । সূত্র বলছে, ইউটিউব একটি উন্মুক্ত ভিডিও আদান-প্রদানের ওয়েব সাইট । এখানে যে কেউ যে কোন ধরণের ভিডিও আপলোড , ডাউনলোড, দেখা সহ নানা রকম কাজ করতে পারেন।এই সুযোগে একশ্রেণীর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অশ্লীলনানা রকম ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করেন।যা অনেক সময়ই উ ইউটিউব কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি র বাইরে থেকেই ইন্টারনেট বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনার উচিত শিশু কে ইউটিউব থেকে দূরে রাখুন । প্রয়োজনে আপনার কম্পিউটারে ইউটিউব ওয়েবসাইট ব্লক করুন।তবে একান্তই যদি আপনার শিশু কে ব্যবহার করতে দিতে হয় তবে তার পাশে বসে ইউটিউব ব্যবহারে নির্দেশনা দিন।
শরীয়তপুরের জাজিরায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মশালা ।
সেলিমুর রহমান: জেলার জাজিরা উপজেলায় ২০১৪ ইং সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫২ জন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাদিয়েছেজাজিরাগোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য বিজ্ঞান ক্লাব। পাশাপাশি তাদের নিয়ে দিনব্যাপী উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০ টায় জাজিরা অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক। জাজিরাউপজেলানির্বাহীকর্মকর্তাআব্দুল কাদের ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাম চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন। উপস্থিত অতিথিরা জাজিরা উপজেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫২ জন শিক্ষার্থীর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক ও সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন। পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আত্মশক্তি বৃদ্ধির উপর ২১ টি বিষয় নিয়ে দিনব্যাপী আলোচনা ও উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়
বগুড়ায় এন.সি.টি.এফ উদ্যোগে ছিন্নমূল পথ শিশুদের ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প।।
আজ বগুড়ার জুবলী হাইস্কুল মাঠে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ) এর উদ্যোগে দুস্থ ছিন্নমূল পথ শিশুদের নিয়ে ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়।এই ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন দৈনিক করতোয়ার প্রধান বার্তা সম্পাদক জনাব প্রদীপ ভট্টাচার্য শঙ্কর।প্রায় শতাধিক পথ শিশুদের দন্ত সেবা প্রদান করেন ডা.সুজিত কুমার তালুকদার ও ডা. ইসমাইল হোসেন শামীম।এই সময় ফ্রি ঔষধ ও বিতরন করা হয়।অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বগুড়া এন.সি.টি.এফ সভাপতি জাওয়াদুল করিম জীসান। এসময় এন.সি.টি.এফ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আফরোজা সরকার টিসা, পারমিতা ভট্টাচার্য স্বর্না, রাকিবুল হাসান,শামসিয়া সাবা, সামিউল ইসলাম, আবিদুর রহমান, নুর জাহান পুস্প।ডেন্টাল ক্যাম্পটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল সুমি ডেন্টাল কেয়ার। উল্লেখ্য যে, পথ শিশুদের নিয়ে এমন ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প বগুড়ায় এই প্রথম।
পরিবেশ দিবস উদযাপন !
আরিফুল ইসলাম : ৫ই জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস৷ বরাবরের ন্যায় এবারও কুষ্টিয়ায় পালিত হলো দিবসটি৷ এ উপলৰে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাষণ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্দোগে এক বিরাট র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত র্যালি ও আলোচনাসভায় উপসত্মিত ছিল ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কুষ্টিয়া ও সবুজ বার্তার সদস্যবৃন্দ৷ র্যালিটি সকাল ৯.০০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যলয় থেকে বের হয়ে ঝিনাইদাহ মহাসড়ক ঘুরে আবার জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে এসে শেষ হয়৷ পরে জেলা প্রশাসনের অডিটরিয়ামে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন “জনাব আবু হেনা মোঃ মোসত্মফা কামাল” অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কুষ্টিয়া৷ প্রধান অতিথি ছিলেন “জনাব সৈয়দ বেলাল হোসেন” জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া৷ তিনি বলেন “আমি ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে একটি ক্যাম্পিং হবে, যেখানে প্রত্যেকে তার বড়ি, অফিস-আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা পরিষ্কার করবে৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন “জনাব মোফিজ উদ্দিন আহমেদ” পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া৷ এ অনুষ্ঠানে একটি বিষয় সকলের নজর কাড়ে, তা হলো শিশুদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা৷ অর্থাৎ শিশুদের অংশগ্রহনে দিবসটি উজ্জাবিত হয়৷ কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্কুলের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীরা উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে৷ জরিপে জানা যায় মোট উপস্থিতির প্রায় ৪৫ শতাংশই শিশু৷ এৰেত্রে বলা যায় কুষ্টিয়ার শিশুরা পরিবেশ নিয়ে অনেক বেশী সচেতন৷ আর শিশুদের অংশগ্রহনই তা প্রমান করে৷ কারণ আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যত্ ৷ বক্তারা বলেন “আজ যে শিশুরা অংশগ্রহন করল, কাল তারাই পরিবেশ রৰার্থে অগ্রণী ভ্থমিকা পালন করবে৷ এ জন্য চাই তাদের যথা সময়ে সচেতন করা ও পরিবেশের প্রয়োজনীতা এবং ক্ষয়ক্ষতি পর্যাপ্ত জ্ঞান দান৷ যা তাদেরকে সোচ্চার করে গড়ে তুলবে৷ সেই সাথে মনুষত্ব মানবিকতা ও সবুজ-শ্যামল পরিবেশে বেচে থাকার আকাঙ্ক্ষাও থাকতে হবে৷