পাখি ও মানুষ !!

খুব ছোটবেলায় আমি বাবার হাত ধরে রমনা পার্কে ঘুরে বেড়াতাম৷ সবুজ গাছ, চমৎকার লেক, নরম ঘাস আর পাখিদের ওড়াউড়ি আমার খুব ভালো লাগত৷ বাবা হাঁটতেন আর গল্প বলতেন৷ অনেক মজার গল্প৷ রবীন্দ্রনাথের গল্প, বঙ্গবন্ধুর গল্প, বাংলাদেশের গল্প শোনাতেন৷ আমি তন্ময় হয়ে সেসব গল্প শুনতাম আর মনে মনে স্বপ্ন দেখতাম, বড় হয়ে আমিও দেশের সেবা করব৷ দেশের জন্য কাজ করব৷ বাবার হাত ধরে একদিন হাঁটতে হাঁটতে নাগালিঙ্গম গাছের কাছে এসে দাঁড়ালাম৷ বাবা গাছটার সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন৷ আমি তাকিয়ে দেখি, গাছের ওপরে অনেক পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে আর ডাকছে৷ বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘বাবা, পাখিদের কথা তুমি বুঝতে পারো?’ বাবা বললেন, ‘না৷’ ‘কারা বোঝে পাখিদের কথা?’ ‘পাখিরা আর গাছেরা৷’ ‘তুমি একটুও বোঝো না?’ ‘খানিকটা বুঝি৷’ ‘কী বোঝো?’ ‘পাখিরা বলে, ভালোবাসো৷ ভালো থেকো৷ বাবার হাত ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললাম, ‘পাখিরা তো ভালো কথাই বলে৷’ বাবা বললেন, ‘হুম্৷’ আমি বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘বাবা, তোমার কী হতে ইচ্ছে করে?’ বাবা হাসলেন৷ ‘মানুষ!’ আমি জবাব দিলাম ‘দূর বোকা! তুমি তো মানুষই৷ মানুষ হতে ইচ্ছা করবে কেন?’ ‘তোমার কী হতে ইচ্ছে করে?’ বাবার প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলাম, ‘পাখি৷’ গাছের ডালে ডালে তখন পাখিরা উড়ে যাচ্ছে৷ নানা রঙের পাখি৷ আমি শক্ত করে বাবার হাত ধরি৷ বাগানের সরু পথ বেয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই ৷

নিখোঁজ শিশুদের পেতে নতুন প্রযুক্তি ।।

হারানো শিশুদের খুঁজে বের করার কাজে সহায়তা করবে এমন ‘মুখাবয়ব শনাক্তকারী’ একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক৷ নিখোঁজ শিশু ও তাদের অভিভাবকদের ছবি অতি দ্রুততার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে প্রযুক্তিটি৷ এটি ব্যবহারের সুফল পাবে অভিভাবকদের পাশাপাশি পুলিশও৷ ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার গবেষক দল অনলাইনে ১০ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির ছবি ও তাঁদের শিশুসন্তানদের ছবি বিশ্লেষণ করে ওই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়টির অপরাধ বিচার বিভাগের শিক্ষক রস উলফ আশা করেন, বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া শিশুকে শনাক্ত করার কাজেও প্রযুক্তিটি কাজে আসবে৷ পিটিআই ৷

কীটনাশকে শিশুর অটিজমের ঝুঁকি।।

কীটনাশকের সঙ্গে শিশুর অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন একদল মার্কিন গবেষক। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণাটি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের24062014094531amchildren_cartoon ক্যালিফোর্নিয়ায়। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পারস্পেকটিভ’ সাময়িকীতে। গবেষকদের দাবি, কীটনাশক ব্যবহার করা হয়—এমন খামারের পাশে বসবাসকারী গর্ভবতী মায়ের সন্তানের অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দুই-তৃতীয়াংশ বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সারা বিশ্বে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের হার বেড়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় খামারে বাণিজ্যিকভাবে কীটনাশক ব্যবহারসংক্রান্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি করা হয়েছে। এর সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে অটিস্টিক শিশু রয়েছে—এমন পরিবারের এক হাজার মায়ের আবাসিক তথ্য। প্রধান গবেষক ইরভা হার্ত্জ-পিচ্চিওতো বলেন, ‘গবেষণায় অংশ নেওয়া মায়েরা তাঁদের গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন কোথায় বাস করেছিলেন, আমরা তা শনাক্ত করেছি। আমরা দেখতে পেয়েছি, যে মায়েদের সন্তান অটিজমে আক্রান্ত হয়েছে বা তাদের (সন্তান) অবধারণ ও অন্যান্য দক্ষতা বিলম্বিত হয়েছে, তাঁরা এমন এলাকার কাছে বাস করেছেন, যেখানে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে।’ গবেষকেরা বলেন, গর্ভধারণের দ্বিতীয় ও শেষ তিন মাসে কীটনাশক ব্যবহারে অটিজমের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

কৈশোর বয়স ও এ সময়ের লক্ষণীয় দিক ।

মুসাব্বির হোসেন : World Health Organization (WHO) এর মতে ১০ থেকে ১৯ পর্যন্ত বয়সকে টিনএজ বা কৈশোর বলে। এই বয়সটা নিয়ে বেশিরভাগ অভিভাবকই উদ্বিগ্ন থাকে যেন সন্তানের টিনএজ বা কৈশোর সময়টা ভালভাবে পার করা যায়। আসলে এ সময়টা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। কিছু বিষয় আয়ত্তে রাখলে এসব সমস্যা থেকে দূর রাখা যায়। এ সময় সন্তানের বিভিন্ন শারিরিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। ১.হঠাৎ করে শরীরের গঠনগত পরিবর্তন। ২.হরমোনের কারণের পরিবর্তন ৩.আবেগের ও চাওয়া-পাওয়া পরিবর্তন ইত্যাদি। এসময় সন্তান নিজের মত করে পৃথিবিকে দেখতে চায়,ব্যাখ্যা করতে চায়,ভাবতে চায়,নিজেকে মনে করে অথরিটি ফিগার। আবার অন্যের সমালোচনা গ্রহণ করতে চায় না,অন্যের ভুল ধরতে চায়,তাদের মধ্যে ভাবনা আসে সবাই যেন তাদের দিকে মনোযোগ দেয়। আবার তাদের ভেতরে এক ধরনের সামুদ্রিক ঝড়ের মত উদ্ভব হয় যাকে আমরা Inner turmoil বলি।এ বয়সে নিজেকে উপস্তাপন করা,প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দেওয়া,আজানাকে জানাকে আগ্রহ কৌতূহল বেশি তাকে। এ বয়সে আরো অনেক সমস্যা হয়ে থাকে: *কৌতুহলের কারণে নেশায় আসক্ত হতে পারে। *কি করছে কি পরিণতি হতে পারে এসব নিয়ে হিতাহিত জ্ঞান না থাকা। *অনেক ছেলে মেয়ে প্রেমে পরে যায় *হঠাৎ আচার ব্যাবহার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় *নিজেকে বিভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে না *মোবাইলে রাত জেগে কথা বলা,ইন্টারনেট ফেসবুক ব্যাবহার অনেক গুণ বেড়ে যায়।

মাদারীপুরে দরিদ্র,পথ শিশুদের ঈদে নতুন জামার জন্য ৩দিন ব্যাপি চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি।।

19062014103236amhhhhইসতিয়াক আহমেদ শাওন: গত বছরের শুরুতে মাদারীপুর সোস্যাল সার্ভিস ক্লাব (এমএসএসসি) নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে স্থানীয় কয়েকজন তরুণ সামাজিক উদ্যোক্তা । সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করাই এমএসএসসি এর প্রধান লক্ষ্য। গত বছর দুটি ঈদে ক্লাবের পক্ষ্য থেকে মাদারীপুরে ”প্রজেক্ট নতুন জামা” কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র এবং পথশিশুদের মাঝে (ঈদউল ফিতর এ ২৫ জন এবং ঈদউল আজহা এ ৪৫ জন শিশুর মাঝে) মোট ৭০ জন শিশুর মাঝে নতুন জামা বিতরণ করে ক্লাবটি। পাশাপাশি ক্লাবের পক্ষথেকে শীত মৌসুমে ‘প্রজেক্ট উষ্ণতা’ কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় বস্তিবাসিদের মাঝে পুরাতন শীতবস্ত্র বিতরণ করে তারা। এমএসএসসি’র আরেকটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের নাম হচ্ছে ‘প্রজেক্ট স্কুলিং’। প্রজেক্ট স্কুলিং’র মাধ্যমে এ বছরের শুরুতে জেলার রাস্তি ইউনিয়নের ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১০০ জন দরিদ্র তবে মেধাবী এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন স্কুল ব্যাগ বিতরণ করে ক্লাবটি। গত বছররের মতো এবছরও এমএসএসসি দরিদ্র,পথশিশুদের মাঝে নতুন কাপড় বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর প্রজেক্ট নতুন জামা কর্মসূচি আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে তারা আর্থিক তহবিল সংগহের জন্য স্থানীয় ভাবে ৩দিন ব্যাপি একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে। হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লইব্রেরিতে আয়োজিত ১৫-১৮জুন, ৩ দিন ব্যাপি এ চলচ্চিত্র উৎসবে দেশি এবং বিদেশী মোট ৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য এমএসএসসি এর এমন উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মাদারীপুরের সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। তিনদিন ব্যাপি এ চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি হয় ১৮ জুন সন্ধায়। মাদারীপুরে এই প্রথম কোন চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করেছে মাদারীপুর সোস্যাল সার্ভিস ক্লাব (এমএসএসসি) যার মাধ্যমে সংগৃহিত অর্থ ব্যয় হবে ঈদের পূর্বে স্থানীয় দরিদ্র ও পথ শিশুদের নতুন জামা কেনার উদ্যোগ প্রজেক্ট নতুন জামা কর্মসূচিতে। এ প্রসঙ্গে প্রজেক্ট নতুন জামা কর্মসূচির সমন্বয়ক ডা: খন্দকার রাসেদ আহমেদ রিফাত বলেন, “আমরা এবছর বিভিন্ন ভাবে প্রজেক্ট নতুন জামা কর্মসূচির জন্য অর্থ সংগ্রহ করছি। আমরা এবছর এই কর্মসূচি আরো বড় পরিসরে করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই অন্যরাও আমাদের সাথে এসে কাজ করুক। যে কেউ আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন। যে কেউ আর্থিক ভাবে প্রজেক্ট নতুন জামা কর্মসূচিতে সহায়তা করতে পারেন।” চলচ্চিত্র উৎসবের সমন্বয়ক মেহেদী শামীম বলেন , “ শিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ মাদারীপুরে এবারই প্রথম এবং ভবিষ্যতে এমএসএসসি এমন আরো ভিন্নধর্মী আয়োজন নিয়ে হাজির হবে।”

শরীয়তপুরে সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।।

সেলি18062014093947amCaptureমুর রহমান সেলিম: শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে গত ১৫ জুন তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণও বিতরণ করা হয়। বেসরকারী আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা নীহারিকা এর আয়োজনে শনিবার বিকাল ৫টায় বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সভা কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিনোদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সাকিদার, বেসরকারি সংগঠন নীহারিকা’র নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম, স্থানীয় এএসএস জিয়াউল হক রায়হান, সেলিম মিয়া, মজিদ মাদবর প্রমুখ। কর্মশালা শেষে সুবিধা বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাগ, খাতা, কলম, পেন্সিল ও রাবার বিতরণ করা হয়।