সম্পন্ন হলো মাদারীপুর এনসিটিএফ এর আল-জাবির হাই স্কুল পরিদর্শন

৪ ঠা সেপ্টেম্বর, এনসিটিএফ মাদারীপুর এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা আল-জাবির হাই স্কুল পরিদর্শন করে এবং তারা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীর সাথে এনসিটিএফ নিয়ে কথা বলে।

এনসিটিএফ এর কাজ কি, এনসিটিএফ কিভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে পরে, আমারা কেন শিশু হয়ে ‍শিশুদের পাশে দাড়াবো, এসব ছিল আলোচনার মুল বিষয়।
উক্ত আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এনসিটিএফ সর্ম্পকিত বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করে এবং তাদের মনযোগ ছিল লক্ষনীয়।
এনসিটিএফ সর্ম্পকে আলোচনা শেষে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখে। এমন সময় তাদের চোখে ধরা পরে শিক্ষকের করা শিক্ষার্থীদের সাথে কিছু অশ্লীল কথাবার্তা ও আচরণ, কিছু শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন ও দেখা যায়।

তবে বেশ কিছু ভালো দিক ছিল লক্ষণীয় তা হলো:

১। স্বাস্থ্য-সম্মত টয়লেটের ব্যাবস্থা আছে।
২। ক্লাস রুমের বা বেঞ্চের কোনো সমস্যা নেই।
৩। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ভালো ছিল।
৪। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ খুব ভালো এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
৫। প্রয়োজন অনুসারে বেশ কিছু রুম নির্মান হচ্ছে।

পরিদর্শন শেষে এনসিটিএফ মাদারীপুর এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে।

ফাহমিদা মেহবুবা নয়না, চাইল্ড পার্লামেন্ট (মেয়ে),
এনসিটিএফ, মাদারীপুর।

এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

একটু বৃষ্টি হলে ডুবে যায় স্কুলের মাঠ তারপরও স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। গত ০১ সেপ্টেম্বর এনসিটিএফ ঠাঁকুরগাও জেলা স্কুলটি পরিদর্শনে গেলে উঠে আসা নানান সমস্যা। স্কুলের শিশুদের সাথে কথা বলে জানা যায় স্কুলের শ্রেণীকক্ষে নেই পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা, নেই খেলার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, মাঠে একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি, জানালা ভাঙ্গা, নেই সাইকেল রাখার নিদিষ্ট স্থান, শ্রেণী কক্ষে কথা বলেন শিক্ষকরা, মাঝে মধ্যে মারধর থেকেও রেহাই পায় না শিশুরা, রাস্তার পাশে স্কুলের অবস্থান এবং পিয়ন থাকা সর্তেও শিক্ষকদের অনেক ব্যক্তিগত কাজ শিশুদের দিয়ে করানো হয়, সহ নানান সমস্যার কথা বলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের মধ্যে ছিল কিছু সাফল্যের কথা। গত জুন মাসে এনসিটিএফ এর আয়োজনে শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের সাথে বড়দের জবাবদিহিতামূলক কর্মশালায় উঠে আসা সমস্যাগুলোর মধ্যে মেরামত করা হয়েছে, টয়লেটে পানির ট্যাপ সংস্কার এবং দেওয়া হয়েছে সাবান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় স্কুলের সমস্যাগুলো নিয়ে অন্য কোন শিক্ষক কথা বলতে চাননি। স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতিকে ফোনে যোগযোগ করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের এই স্কুলটির সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কৃর্তপক্ষ এটায় প্রত্যাশা করছে এনসিটিএফ। পরিদর্শনকালে এনসিটিএফ জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলা ভলান্টিয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন।

এনসিটিএফ শরিয়তপুর এর পালং উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন

১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ন্যশনাল চিলড্রেন’স ট্রাস্কফোর্স-(এনসিটিএফ), শরীয়তপুর জেলা কমিটির নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম শরীয়তপুরের একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “পালং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়” পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে এনসিটিএফ সদস্যরা বিদ্যালয়ের প্রতিটা কক্ষ পরিদর্শন করে শিশুদের সাথে কথা বলে। কথা বলার মাধ্যমে উঠে আসে বিদ্যালয়ের অনেক গুলো ভালো দিক এগুলো হল –

১। ওখানে স্বাস্থ্য-সম্মত বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা আছে।
২। স্বাস্থ্য-সম্মত টয়লেটের ব্যাবস্থা আছে।
৩। ক্লাস রুমের বা বেঞ্চের কোনো সমস্যা নেই।
৪। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ভালো ছিল।
৫। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা খুবই ভালো।
৬। শিক্ষক সংকট।
৭। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ভাল তবে পরিচ্ছন্নতার অভাব।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ এনসিটিএফ এর বিশেষ টিম ঘুরে দেখে। পরিদর্শন শেষে শিশুরা অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে। তিনি এনসিটিএফ টিম কে উৎসাহিত করেন এবং বলেন শিশু রাই পারে শিশুদের অধিকার অর্জন করতে যদি আমরা শিশুদের পাশে থাকি। তবে তিনি আরো বলেন এনসিটিএফ পাশে তিনি সব সময় থাকবেন।

পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি ও সেন্টাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য ও জেলা ভলান্টিয়ার।

জামালপুর এনসিটিএফ এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

১৯ আগষ্ট ২০১৮ তারিখে জামালপুর জেলা এনসিটিএফ এর মাসিক সভা জেলা শিশু একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়। এই মাসিক সভায় স্মারকলিপি প্রদান, স্কুল কমিটি গঠন, সদস্য কো-অপ্ট, পত্রিকা প্রকাশ ও সদস্য সংগ্রহ নিয়ে আলোচনা হয়। উক্ত সভায় কমিটির সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সপ্না সুলতানা, কেন্দ্রীয় ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সুলতান ফাইজুল আহমেদ অরুপ, এনসিটিএফ জেলা কমিটির ভলান্টিয়ার নাফিস।
আলোচনা শেষে সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাসিক সভার সমাপ্ত ঘোষনা করেন।

এনসিটিএফ গাইবান্ধা এর হাসপাতাল পরিদর্শন

এনসিটিএফ ডেস্কঃ শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিংকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়মিত হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড মনিটরিং ও পরিদর্শনের পর দাবির প্রেক্ষিতে শিশু ওয়ার্ডের টয়লেট সংস্কার ও বহিঃ বিভাগে শিশু রোগীর অপেক্ষার স্থানে ফ্যান লাগিয়েছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও হচ্ছে নিয়মিত।
গত ৩০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
পরিদর্শনকালে শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডের ২৬ টি বেডের বিপরীতে ১৩ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। যাদের অধিকাংশই শিশুই ছিলো জ্বরে আক্রান্ত।
পরিদর্শনের সময় রোগীর স্বজনেরা জানান হাসপাতালের পরিবেশ ও কর্মচারীদের ব্যবহার আগের তুলনায় ভালো হয়েছে। তারা পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহের দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাসপাতালের  তত্বাবধায়ক ডা. অমল চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা হাসপাতালের অবস্থা উন্নয়নে কাজ করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেস্টায় পূর্বের অবস্থা হতে কিছুটা উন্নতি করেছি। নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে, এতে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত হাসপাতাল মনিটরিং এর জন্য তিনি এনসিটিএফ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হাসান পলক, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মেহেদী হাসান, সদস্য বিদ্রোহ সরকার ও জেলা ভলান্টিয়ার শ্রাবনী রহমান।
উল্লেখ্য যে, গত জুলাই মাসে এনসিটিএফ এর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় রোগীর স্বজনরা জানান,  শিশু ওয়ার্ডের টয়লেটের সামনে পানি জমে থাকে যার কারনে ঠিকভাবে টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না। পরে বহিঃ বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীদের অপেক্ষার স্থানে কোন ফ্যান না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান স্বজনেরা।

এনসিটিএফ মৌলভীবাজার কর্তৃক কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন

এনসিটিএফ মৌলভীবাজার জেলার বার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮তারিখে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের অন্তর্গত রায়শ্রী কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন, লাইব্রেরিয়ান মোঃ ফরিদ আহমেদ, জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ কামরুল ইসলাম, জেলা সভাপতি দ্বীপ্র ধর অর্ঘ্য, সহ-সভাপতি নুসাইবা ইবনাত রূপন্তী, সিপিএম ইমাম মোহাম্মদ বুখারী, অপি আক্তার, ফাহিম আহমেদ। মৌলভীবাজার জেলায় ৭২ টি কমিউনিটি ক্লিনিক পল্লী গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে। রায়শ্রী কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রভাইডার কুলসুমা ফেরদৌস জানান এখানে প্রতিমাসে গড়ে ২৭৭ জন মা, শিশু ও সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসে এবং প্রত্যেকের জন্য আলাদা রেজিষ্ট্রার রাখা হয়। চিকিৎসা সেবা প্রদানে রোগীদের ৩২ ধরনের ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। তবে এই ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের কোন ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় গর্ভবতী মায়েরা এই ক্লিনিকে প্রসব ও প্রসবত্তোর সেবা চালু করার দাবী জানান। রোগীদের সেবা প্রদানে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ৬ জন স্টাফ নিয়োজিত রয়েছে। এদের মধ্যে সিএইচসিপিএম একজন, এফডব্লিওএ একজন, হেলথ এসিস্টেন দুই জন, সুপারভাইজার একজন, ও একজন আয়া। মুমূর্ষু রোগীদেরকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মার্তৃমংগল অথবা সদর হাসপাতেলে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিক পরিক্ষা নিরিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা করার কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া এখানে একমাত্র যে চাপ কলটি রয়েছে সেটিতে আর্সেনিক রয়েছে। স্থানীয়রা মুমূর্ষু রোগীদের পরিবহনের জন্যে সরকারের কাছে একটি ভ্যানগাড়ি ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দেয়ার জোর দাবী জানান। 
উল্লেখ্য বর্তমানে সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৪০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক গরিব অসহায় ও অজপাড়া গাঁয়ের হতদরিদ্র মানুষকে সেবা প্রদান করে আসছে।