ভিডিও কনফারেন্স বিষয়ক কর্মশালা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিশোর বাতায়ন প্রবর্তন, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ক্লাব গঠন এবং জেলা ব্র্যান্ডিং বিষয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এর উপর ভিডিও কনফারেন্স। এ প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব জনাব মরতুজা আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জনাব মৃনাল কান্তি দেব  এবং সিলেট এর জেলা প্রসাশক জনাব রাহাত আনোয়ার। আয়োজনে ছিল জেলা তথ্য অফিস সিলেট। সেখানে আরও উপস্থিত ছিল বিভিন্ন স্কুলের শিশুরা সহ তাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং সিলেট এনসিটিএফ কমিটিসহ আরো কয়েকটি জেলা সংগঠন। এনসিটিএফ কমিটির শিশু গবেষক তাসনিমুল ইজাজ শিশু বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
রিপোর্টে: শাহরিন জাহান উপমা, শিশু সাংবাদিক, এনসিটিএফ সিলেট।

এনসিটিএফ সদস্যদের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড পরিদর্শন করে।

গত ০৭ অক্টোবর শনিবার দুপুরে এনসিটিএফ সদস্যরা এ পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করে। পরিদর্শনকালে শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডের ২৬ টি বেডের বিপরীতে ১৫ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। যাদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।

এছাড়াও হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নেয় যাদের অধিকাংশই ARI রোগে আক্রান্ত।

পরিদর্শনের সময় এনসিটিএফ সদস্যরা শিশু ওয়ার্ডের প্রতিটি কক্ষে যান এবং রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা জানতে চান। এ সময় তারা জানান হাসপাতালের নার্সরা রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ করেন, অধিকাংশ ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয়। এছাড়া তারা আরও জানান দিনে দুইবার ডাক্তার ভিজিট করেন। 

পরিদর্শনের সময় শিশু ওয়ার্ডে পরিবেশ নোংরা পাওয়া যায়। এনসিটিএফ সদস্যরা রোগীর স্বজনদেরকে নির্ধারিত জায়গায় ময়লা ফেলার জন্য অনুরোধ জানায়। এসময় রোগির স্বজনেরা জানান ময়লা রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ঝুড়ি নেই।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ড. মোঃ শাহীনুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রতিটি রোগীর ময়লা ফেলার জন্য একটি করে গামলা রয়েছে। তারপরেও শুকনা ময়লা ফেলার জন্য ঝুড়ির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও প্রতিদিন দুইবার ওয়ার্ড ঝাড়ু দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, শিশু ওয়ার্ডের ব্যাপারে এনসিটিএফ সদস্যদের কোনো অভিযোগ, পরামর্শ বা সুপারিশ থাকলে আমরা তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করবো। 

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ সহ সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান মুছা, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান অন্তর, জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ তাওহীদ তুষার সহ এনসিটিএফ জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ।

গাইবান্ধায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৭ উদযাপন

মোঃ মেহেদী হাসান, গাইবান্ধাঃ

“শিশু পেলে অধিকার খুলবে নতুন বিশ্বদ্বার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাইবান্ধায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৭ এর শুভ উদ্বোধন করেন গাইবান্ধার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব গৌতম চন্দ্র পাল।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রধান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব গৌতম চন্দ্র পাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম সাদিকুর রহমান, সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস সাহানা বানু, সরকারি বালিকা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, বাসসের জেলা সংবাদদাতা সরকার মোঃ শহীদুজ্জামান।
প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিতা কেটে শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ৩০০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

14th session of Child Parliament today

Daily Sun; 16 October, 2017 : The 14th session of the Child Parliament (CP), a platform to make children literate with democratic culture, will be held at Bangladesh Shishu Academy (BSA) in the capital today.  
It will focus on impact of disaster on education sector.   
A total of 35 child representatives from 31 disaster-prone areas will take part in the session where Primary and Mass Education Minister Mostafizur Rahman is scheduled to attend the programme as the chief guest.
State Minister for Finance and Planning Mr. M.A. Mannan, and Director Anjir Liton will be present at the event as the special guests.
The CP is the advocacy wing of child rights organisation National Chilren Task Force (NCTF) which is working in participation of children from age 13 to 18 in 64 districts.
CP Speaker Meftahun Nahar said, “As a child rights advocacy platform, the CP has been placing different issues of children in their own voices since 2003.”
In association with development agency Plan International and Save the Children, the BSA has been supporting the children platform.

http://daily-sun.com/printversion/details/261725/14th-session-of-Child-Parliament-today

ভোলায় বাল্য বিবাহ নিরোধ দিবস ২০১৭ পালিত

গোপাল চন্দ্র দে, ভোলা

ভোলায় জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ভোলা ও ভোলা জেলা এনসিটিএফ এর আয়োজনে বাল্য বিবাহ নিরোধ দিবস ২০১৭ পালিত হয়েছে।

১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ভবনের সামনে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ভোলা, মহিলা বিষয়ক সংস্থা ভোলা, ব্র্যাক ভোলা।

পরে মানববন্ধন শেষে শিশু একাডেমী হলরুমে দিবসটি শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেবুনেছা, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আখতার হোসেন, ব্র্যাক ভোলা জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল আলম, এনসিটিএফ ভোলার জেলা সমন্ময়কারী আদিল হোসেন তপু, এনসিটিএফ ভোলার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল অপু, সম্পাদক শারমিন বর্ষা, যুগ্ম-সম্পাদক আশিকুর রহমান শান্ত, শিশু সাংবাদিক গোপাল চন্দ্র দে ও সানজিদা হোসেন এশা, এনসিটিএফ সদস্য ইসরাত জাহান চাঁদনী সহ অনান্য এনসিটিএফ সদস্য সহ আগত বিভিন্ন অতিথি ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

এসময় বক্তারা বলেন, ১৮ বছরের আগে কোন মেয়ে এবং ২১ বছরের আগে কোন ছেলেকে বিয়ে দেওয়াকে বাল্য বিবাহ বলে। বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক অভিশাপ। এর কোন সুফল নেই। কোন মেয়েকে বাল্য বিয়ে দেওয়ার অর্থ তার জীবন নষ্ট করে দওয়া। একটি অপূর্ণ বয়স্ক মায়ের কাছ থেকে যে সন্তান জন্ম নেয় সে অপুষ্ট হয়। তার মধ্যে থাকে প্রতিবন্ধকতা।

এসময় বক্তারা বলেন তাদের বা আশে পাশের কোন মেয়েকে যদি বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কারা হয় তবে তার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। কারো বাল্য বিয়ে হলে সরকারী ফ্রি হেল্পলাইন ১০৯ বা ইউনিসেফের হেল্পলাইন ১০৯৮ এ কল করে তথ্য প্রদান করলে ঐ বাল্য বিয়ে প্রশাসন বন্ধ করবে।

আজ বিকাল ৪টায় শিশু একাডেমী ভোলার আয়েজনে ও এনসিটিএফ ভোলার পরিবশনায় পথ নাটক “আর নয় বাল্য বিয়ে” অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আখতার হোসেন।

অনুষ্ঠিত হলো ১৪তম বিশেষ চাইল্ড পার্লামেন্ট

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমির লেকচার থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হলো ‘১৪তম চাইল্ড পার্লামেন্ট’ এর বিশেষ অধিবেশন। এবারের অধিবেশন এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘দুর্যোগ ও আমরা’।

এবারের অধিবেশন বাংলাদেশের ৩১ টি জেলার বন্যা কবলিত এলাকার নির্বাচিত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  অধিবেশনে শিশু সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকার শিশুদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।

অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জনাব অ্যাডভোকেট মোস্তাাফিজুর রহমান এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ. মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুক মিয়া, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজীর লিটন, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট এবং কোয়ালিটি বিষয়ক পরিচালক রিফাত বিন সাত্তার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌম্য ব্রত গুহ এবং হেড অব চাইল্ড রাইটস প্রটেকশন তানিয়া নুসরাত জামান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মোস্তাাফিজুর রহমান বলেন, আজকের যারা শিশু তারাই আগামির নের্তৃত্বে থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্য আয়ের ও ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হওয়া। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে কোন শিশুকেই উপেক্ষা করার অবকাশ নাই ।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন এবং সবারজন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সবই করবো। সকল শিশুকেই যথাযথ শিক্ষার সুযোগ প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। এইসব শিশুই দেশের নের্তৃত্বে থাকবে, তাদেরকে উন্নত রাষ্ট্রের উপযোগি করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বর্তূমান সরকার শিশুদের উরন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে থেকে প্রকল্প প্রস্তাব আসলে অর্থমন্ত্রণালয় অর্থায়নের সর্বাত্বক চেষ্টা করবে।

চাইল্ড পার্লামেন্টের স্পীকার মেফতাহুন নাহার জানান, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে আকস্মিক বন্যার ফলে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিশু পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করছে। আমরা চাইল্ড পার্লামেন্টের মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের কাছে দুর্যোগ প্রবন এলাকার শিক্ষাবোর্ডে জন্য ‘আলাদা শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য সূচীর দাবি তুলে ধরেছি।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সহযোগিতায় চাইল্ড পার্লামেন্টের ১৪তম বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।