গাইবান্ধা জেলা এনসিটিএফ সদস্যদের আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন
ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছে। ১৪ মার্চ সকালে এনসিটিএফ সদস্যরা এ পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করে। পরিদর্শনকালে শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে ১০ জন ও শিশু ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৫ জন রোগী ভর্তি ছিল।
পরিদর্শনেরর সময় এনসিটিএফ সদস্যরা শিশু ওয়ার্ডের প্রতিটি কক্ষে যান এবং রোগির স্বজনদের সাথে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা জানতে চান। এসময় তারা জানান হাসপাতালের নার্সরা রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ করে, অধিকাংশ ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয়। এছাড়া নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছনতা কাজ চালানো হয় না।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) নুরুজ্জামান আহম্মেদের সাথে কথা বলেনন হাসপাতালের লোকবলের সংকট আছে। তারপরও মাত্র চার জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী দ্বারা শিফট অনুযায়ী হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা হচ্ছে। তিনি অন্যান্য বিষয় গুলো বিবেচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ সভাপতি আশিকুর রহমান শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, শিশু গবেষক রায়হান হক রাফি, শিশু সাংবাদিক মেহেদী হাসান, রিফাত তাসনিয়া, সিপিএম রকিবুদ্দৌলা রনি, জান্নাতুল মাওয়া, জেলা ভলান্টিয়ার মারফিয়া সিলভী ও তাওহীদ তুষার।
গাইবান্ধা জেলা এনসিটিএফ সদস্যদের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন
বন্ধ হয়নি শারীরিক শাস্তি ও নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ব্যবহারঃ ১৫ মার্চ দুপুরে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা পরিদর্শন করে জেলা শহরের অদুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরকারি নির্দেশনা থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে এখনো বন্ধ হয়নি শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের শারিরীক শাস্তি প্রদান ও নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ব্যবহার। এমনই তথ্য পাওয়া গেছে গাইবান্ধায় এনসিটিএফ এর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে।
সেখানে এনসিটিএফ সদস্যরা প্রতিটি ক্লাসে গিয়ে সরাসরি শিশুদের সাথে কথা বলেন। তাদের সাফল্য ও সমস্যার কথা জানতে চাওয়া হয়। শারীরিক শাস্তির ব্যাপারে শিশুদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় দুষ্টামি ও পড়া না করলে শিক্ষকরা তাদের মারেন। পরিদর্শনের সময় বিদ্যালয়ের ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে সরকার নিষিদ্ধ গাইড বই পাওয়া যায়। তারা জানায় শিক্ষকরা তাদের সবার একটি জন্য একটি গাইড বই নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং নির্ধারিত দোকান হতে বই কেনার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়টিতে নির্ধারিত সময় শেষে বিকেলে আলাদাভাবে কোচিং ও করানো হয়। এর জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা ফিস দিতে হয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি গাইড বই ও শারিরীক শাস্তি প্রদানের কথা অস্বীকার করেন। তাকে শিক্ষার্থীদের কথা বললে তিনি কোচিং এর কথা বলেন যে হয়তো কোচিং এর শিক্ষক তাদের গাইড কিনতে বলেছেন। তবে অনুসন্ধানে পাওয়া যায় ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই কোচিং পরিচালনা করেন।
পরিদর্শনের প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়টিতে প্রায় ১০ দিন যাবৎ শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের টিফিন বিস্কুটের বরাদ্ব বন্ধ। বিদ্যালয়টিতে শিশুদের খেলাধুলা বা বিনোদনের জন্য দোলনা, ছিলকা নেই।
বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় এনসিটিএফ এর কার্যনির্বাহী সদস্যগণ ও জেলা ভলান্টিয়ার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গাইবান্ধায় এনসিটিএফ এর মার্চ মাসের মাসিক সভা সম্পন্ন
ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), গাইবান্ধা এর মার্চ মাসের মাসিক সভা সম্পন্ন হয়েছে। ১৫ মার্চ বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, গাইবান্ধা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এনসিটিএফ সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহ উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন প্রধান, জেলা ভলান্টিয়ার মোঃ তাওহীদ তুষার, মারফিয়া সিলভী।
সভায় উপস্থিত সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১. স্ব-উদ্যোগে বার্ষিক বনভোজন – ২০১৭। (২০/০৩/২০১৭ ইং) স্থানঃ উত্তরা গণভবন ও রাজবাড়ী, নাটোর।
২. এনসিটিএফ মুখপত্র ২৮ তম সংখ্যা প্রকাশনা।
৩. চরাঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতি যাচাই। (২৮/০৩/২০১৭ ইং)
রংপুর এনসিটিএফ এর ফেব্রুয়ারী মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), রংপুর এর ফেব্রুয়ারী মাসের মাসিক সভা সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর রংপুর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সহ উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ইমরান আলী মিঞা, সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, জেলা ভলান্টিয়ার এবং ইয়ুথ গ্রুপের প্রতিনিধি। সভায় উপস্থিত সদস্যগণের মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টা থেকে বার্ষিক সাধারণ সভা, কর্মপরিকল্পনা অনুষ্ঠান-২০১৭ অনুষ্ঠিত হবে। ২১ ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে এনসিটিএফ। অনিয়মিত কার্যনির্বাহী সদস্য ০১টি পদ পরিবর্তন এবং আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে এনসিটিএফ মুখপত্র ২৮ এবং ২৯ তম সংখ্যা প্রকাশনা করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কর্মপরিকল্পনা সভায় ১৫ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর অংশগ্রহণ বিষয়ে ইয়ুথ গ্রুপ এবং জেলা শিশু পরিবার এর সাথে যোগাযোগ করার বিষয়ে সভায় সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনুষ্ঠিত হলো এনসিটিএফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর বার্ষিক পরিকল্পনা ও সাধারন সভা-২০১৭
“সব শিশুকে সঙ্গে নিয়ে বদলে দেবো এ পৃথিবী” স্লোগান নিয়ে ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এনসিটিএফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ও সাধারন সভা। এনসিটিএফ এর ৩০ জন সাধারন সদস্য এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করে। দলগতভাবে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি করা হয় এক বছরের কর্মপরিকল্পনা। কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করে কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং শিশু সংসদ সদস্য সুমনা আনাম কনা। এছাড়া অতিথিগন কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে তাঁদের মতামত জানান এবং আরো কিছু পদক্ষেপ নেবার পরামর্শ দেন। কমিটির সদস্যরা এবারের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করবার আশাবাদ ব্যক্ত করে। সভায় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মাজহারুল ইসলাম তরু, অ্যাডভোকেট ইয়াসমিন সুলতানা, মুক্ত মহাদল স্কাউট গ্রুপের পরিচালক জনাব মুশফিকুর রহমান, জনাব শাহ আলম, জনাব মুহিত কুমার দাঁ, সাংবাদিক মেহেদী হাসান এবং জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মো শফিকুল আলম। সারাদিন ব্যাপী আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন বিজন ঘোষ, সভাপতি, এনসিটিএফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ। কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে চলতি বছরের গৃহীত কার্যক্রম গ্রহণ করে এনসিটিএফ।
মুন্সিগঞ্জ এনসিটিএফ এর শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠিত
শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠান ২০১৭ মুন্সিগঞ্জ জেলা এনসটিএফ কমিটির উদ্যোগে ২১ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলা সদর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপ অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সুরাইয়া জাহান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতে ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মনিরা মাহি, স্বাস্থ অফিসার জনাব ইকবাল হোসেন, সদর থানা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজ রহমান, পরিকল্পনা অফিসার আব্দুল সাত্তার, সমাজ সেবা অফিসার জনাব আইয়ুব আলী এবং জেলা প্রেস ক্লাব সেক্রেটারি জনাব কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা এনসিটিএফ সভাপতি সজীব আহমেদ এবং সভাপতিত্ব করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব জেসমিন আরা বেগম। দুইটি পর্বে বিভক্ত সংলাপ আলোচনার প্রথম পর্বে শিশুরা জেলা শিশু অধিকার পরিস্থিতি কয়েকটি বিশেষ পর্যবেক্ষণ নিয়ে অতিথিদের প্রশ্ন ও পরামর্শ দেন যার মধ্যে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনের সাথে শিশুদের সরাসরি তথ্য ও আইনি সহায়তা প্রাপ্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্য রোধ, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার নির্মুল করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গতি রোধক নির্মান, শিশুদের যথাযথ স্বাস্থসেবা সুনিশ্চিত করা, শিশু নির্যাতনের ফলে সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জ জেলার ঘটে যাওয়া শিশু আহত হওয়ার ঘটনা সহ শিশু অধিকার সচেতনতা বিষয়ক সাংবাদিকদের ভূমিকা। উপরক্তো প্রশ্নের আলোকে অতিথি গন যথাসাধ্য দায়িত্ব পালনের প্রতুশ্রুতি দেন। প্রধান অতিথি এনসিটিএফ কে শিশু অধিকার লংঘনের যে কোন তথ্য প্রশাসনকে প্রদান করা মাত্রই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। সফল আলোচনা শেষে সংলাপ অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি করেন এনসিটিএফ সভাপতি সজীব আহমেদ।