রোকসানার নির্যাতনকারীরের বিরুদ্ধে স্মারক লিপি প্রদান

মো.মোরাদ শেখ,নড়াইলঃ ১০ বছরের শিশু রোকসানার নির্যাতনকারীদের প্রতিবাদে নড়াইল এনসিটিএফ গত ২৫/০৯/১৮ তারিখ দুপুর ১২ টায় জেলা প্রশাসক নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। নড়াইলের জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী এনসিটিএফ শিশুদের কে আশ্বাস্ত করেন “শিশু রোকসানার নির্যাতনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করা হবে’’ তিনি আরো বলেন শিশুদের অধিকার রক্ষায় তিনি সদা সচেষ্ট থাকবেন। এই বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও মত প্রকাশ করেন।

এনসিটিএফ এর পক্ষে স্বারকলিপি প্রদান করে শিশু সাংবাদিক জায়িদ খসরু, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য হায়ন কুমার সাহা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাবরিনা ইলা, সদস্য জান্নাতি, শিউলী খানম ও প্রান্ত দাস ও সাবেক সভাপতি রুদ্র দাস । এছাড়া মোঃ মোছাব্বির হোসেন মোরাদ চিত্রশিল্পী এম সবুজ সুলতান,আরচারি খেলোয়াড়, নাট্যশিল্পী ফারজিন আহম্মেদ, নড়াইল জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমান ও জেলা ভলান্টিয়ার  এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদে এনসিটিএফ’র গণ -শুনানি অনুষ্ঠিত

গত ১৮ সেপ্টেম্বর’১৮ মুটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং এনসিটিএফ ইউনিয়ন কমিটির আয়োজনে সুনিদিষ্ট শিশু বাজেট ও শিশু অধিকার পরিস্থিতি, সমাজ ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা, অভিযোগ ও সাড়া প্রদান ব্যবস্থা বাস্তবায়ন বিষয়ক গণ-শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত গণ-শুনানিতে শিশুরা মোট ৪টি ইস্যুর উপর  সাতটি সমস্যা এবং ৫টি সমস্যার বিপরীতে সুপারিশমালা তুলে ধরে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং বিনোদন বিষয়ের উপর শিশুরা গত ০৯ মাসে তাদের করা শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশ্ন রাখেন সবার সামনে। বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণের সমস্যা, শ্রেণি কক্ষের অপর্যাপ্ততা,  বিদ্যালয়ের প্রাচীরের সমস্যা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস, কম্পিউটার ল্যাব, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, কমিউনিটি ক্লিনিকের নানাবিধ সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা উঠে আসে গণ-শুনানিতে। সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় আয়োজিত উক্ত গণ-শুনানিতে মটমুড়া  ইউনিয়ন কমিটির সভাপতির সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাজাহান, প্যানেল চেয়ারম্যান, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী, সিবিউ সদস্যবৃন্দ, ইমরান চৌধুরী, ডেপুটি ম্যানেজার, সেভ দ্য চিলড্রেন, হাসান সিদ্দিক মিলন, সিনিয়র অফিসার, সেভ দ্য চিলড্রেন, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, সিআরপি, সেভ দ্র চিলড্রেন এবং পলাশীপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতির কর্মকর্তাবৃন্দ।

০৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন “গত বছর তোমরা যে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিলে সব কিছু সমাধান আমরা করে দিয়েছি। এবারো নতুন কিছু সমস্যা এসেছে । তোমারে জেনে খুশি হবে ইতিমধ্যে আমরা বাওট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর করার লক্ষ্যে ৯, ৮৫,০০০ টাকা বরাদ্ধের ব্যবস্থা করেছি। প্রাচীর তৈরি প্রক্রিয়া চলছে। ধীরে ধীরে সকল স্কুলে হবে। আমি নিজে বাওট সরকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাৎসরিকভাবে প্রাপ্ত ৪০,০০০ টাকা দিয়ে হাইব্রেঞ্চ, সিট ব্রেঞ্চ এবং দরজা জানালা মেরামত করেছি। আমি বলব আমাদের ইউপি সদস্যদের আপনারাও কিন্তু স্কুলগুলোর এই ফান্ডটিকে কাজ লাগাতে পারেন। যে সকল স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেই তাদের বলব শুধু ইউনিয়নের দিকে না চেয়ে আপনার উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানান। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিয়ে তাহলে কোন সমস্যা থাকবে না। যদি সেই ক্ষেত্রে ইউনিয়নের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় বলবেন আমরা করবো। আমি এনসিটিএফ কে বলব আমাদের ইউনিয়নে যদি কোথায় স্যানিটেশন এবং নিরাপদ পানির ব্যবস্থা না থাকে আমাকে সরাসরি নিয়ে যাবে। গোয়ালগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিকের নতুন ভবনের টেন্ডরের অপেক্ষায় আছে। টেন্ডার হলেই নতুন ভবন হবে। অন্যদিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোঃ শাজাহান বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কোন সমস্যাই থাকবে না। সকল সমস্যা সমাধান করা হবে।

কুড়িগ্রামে যুব ফোরামের সদস্যদের সাথে এনসিটিএফ এর ত্রৈমাসিক সভা

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় যুব ফোরামের সদস্যদের সাথে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) সদস্যদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় আরডিআরএস বাংলাদেশ বাস্তবায়িত বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলা হলরুমে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে সিডা।
সভায় বাল্যবিবাহ, উপজেলা ভিত্তিক কার্যক্রমের অগ্রগতি ও শিক্ষণীয় এবং শিশু নির্যাতন রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা করা হয়।
এতে কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও উলিপুর মিলে ৩টি উপজেলার মোট ১৫টি ইউনিয়নের ৩০জন যুব ফোরামের সদস্য এবং কুড়িগ্রাম জেলার এনসিটিএফ এর ৮জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আমিন আল পারভেজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার হাবিবুর রহমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর মনিটরিং স্পেশালিস্ট মো: নুরুল ইসলাম, বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস প্রকল্পের  কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা সমন্বয়কারী মমিন হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা বিবিএফজি প্রকল্পের অফিসার  রেজওয়ান সাতিল, বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহাবুবার রহমানও জেলা এনসিটিএফ এর উপদেষ্টা কে এম রেজওয়ানুল হক নুরনবী প্রমুখ।

২ দিন ব্যাপী শিশু সাংবাদিকতা, শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং এবং রিপোটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর এনসিটিএফ পাবনা জেলার আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী শিশু সাংবাদিকতা, শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং এবং রিপোটিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পাবনা কর্যালয়ে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে  এনসিটিএফ এর কার্যনির্বাহী কমিটির ১১ জন এবং ২ জন প্যানেল সদস্যসহ মোট ১৩ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। দুইদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে এনসিটিএফ, শিশু অধিকার, জীবন দক্ষতা, শিশু সাংবাদিকতা, সংবাদ লেখার নিয়ম, মূখপত্র প্রকাশে করনীয়, শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং, আইসিটি এবং রিপোটিং বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিআরপি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত। এ সময় কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও জেলা ভলান্টিয়ার উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ঘোষনা করেন মোঃ মাশফিক হাসান সামি, সভাপতি, এনসিটিএফ পাবনা।

বাগেরহাট এনসিটিএফ এর উদ্যোগে একটি শিশুবান্ধব প্লাটফর্ম গঠন

আব্দুল্লাহিল কাফি:

ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) বাগেরহাট জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলার সিভিল সোসাইটির অন্যতম সদস্য, যাদের সমাজে গ্রহনযোগ্যতা আছে, এরূপ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ২৫-০৯-২০১৮ তারিখ মঙ্গলবার একটি শিশুবান্ধব প্লাটফর্ম গঠন করা হয়। এনসিটিএফ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সিভিল সোসাইটি ও অন্যান্য সমমনা সংগঠনের সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং এনসিটিএফ সদস্যদের জেলা পর্যায়ে কাজ করতে যাতে কোন প্রকার সমস্যা না হয় তার জন্যই এই প্লাটফর্ম গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাগেরহাট ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগীতায় বাগেরহাট জেলা এনসিটিএফ কমিটি শিশু একাডেমী কার্যালয়ে শিশু বান্ধব প্লাটফর্ম গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মামুনুর রশিদ মহাদয়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব মোজাফফর হোসেন, শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ, বাগেরহাট-এর সভাপতি জনাব শেখ আজমল হোসেন, বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জনাব ডাঃ রিয়াদুজ্জামান, বাগেরহাট কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব রবীন্দ্রনাথ মূখার্জী এবং সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রথমেই এনসিটিএফ, এর কার্যক্রম, শিশু অধিকার, শিশু অধিকার সনদ, শিশু বন্ধু এবং তাদের করনীয় সম্পর্কে ধারনা দেন এনসিটিএফ বাগেরহাট জেলা কমটির সাধারন সম্পাদক সাদিয়া আফরিন রশ্নি। তাছাড়া সভায় সকল অতিথির পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন সিআরপি মোঃ মৃদূল। সভায় সভাপতি আব্দুল্লাহিল কাফি বাগেরহাট জেলা শিশু বান্ধব কমটির সদস্যদের নাম ঘোষনা করেন। শিশু বান্ধব কমিটির সভাপতি হিসেবে  নির্ধারিত হন জেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব অধ্যক্ষ মোজাফফর হোসেন এবং সম্পাদক হসেবে নির্ধারিত হন বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার জনাব ডাঃ রিয়াদুজ্জামান। কমিটির অন্য ৯ জন সদস্য হলেন-

১.জনাব এ্যড. রামকৃষ্ণ বসু – সভাপতি, রুদ্র নাট্য দল, বাগেরহাট।
২.জনাব লিয়াকত হোসেন-সভাপতি, চেম্বার অব কমার্স, বাগেরহাট।
৩.জনাব এ্যড. শরিফা খানম-চেয়ারম্যান, জাতীয় মহিলা সংস্থা, বাগেরহাট।
৪.জনাব আবুল হাশেম শিপন-কাউন্সিলর, বাগেরহাট পৌরসভা।
৫.জনাব সুজস কান্তি মন্ডল-প্রভাসক, বাগেরহাট।
৬.জনাব শেখ আজমল হোসেন-সভাপতি, শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘ,বা গেরহাট।
৭.জনাব ঝিমি মন্ডল-নির্বাহী পরিচালক, সুপ্তি মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, বাগেরহাট।
৮.মিসেস অনিতা রায়-নির্বাহী পরিচালক, কে এন কে এস, বাগেরহাট।
৯.জনাব আমাতুল হাফিজ-প্রধান শিক্ষক, হরিনখানা স.প্রা.বি. বাগেরহাট।

বাগেরহাট জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা (পদাধিকার বলে কমিটির সদস্য সচিব), এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির ১১জন সদস্য ও জেলা ভলান্টিয়ারের সাথে আলোচনা করে জেলার শিশু বন্ধুদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। উপস্থিত সকল শিশু বন্ধুরা জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে শিশু অধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলায় একটি শিশু বান্ধব পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে এনসিটিএফ জেলা কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সবশেষে সভার সভাপতি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

সম্পন্ন হলো মাদারীপুর এনসিটিএফ এর আল-জাবির হাই স্কুল পরিদর্শন

৪ ঠা সেপ্টেম্বর, এনসিটিএফ মাদারীপুর এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা আল-জাবির হাই স্কুল পরিদর্শন করে এবং তারা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীর সাথে এনসিটিএফ নিয়ে কথা বলে।

এনসিটিএফ এর কাজ কি, এনসিটিএফ কিভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে পরে, আমারা কেন শিশু হয়ে ‍শিশুদের পাশে দাড়াবো, এসব ছিল আলোচনার মুল বিষয়।
উক্ত আলোচনায় শিক্ষার্থীরা এনসিটিএফ সর্ম্পকিত বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করে এবং তাদের মনযোগ ছিল লক্ষনীয়।
এনসিটিএফ সর্ম্পকে আলোচনা শেষে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখে। এমন সময় তাদের চোখে ধরা পরে শিক্ষকের করা শিক্ষার্থীদের সাথে কিছু অশ্লীল কথাবার্তা ও আচরণ, কিছু শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন ও দেখা যায়।

তবে বেশ কিছু ভালো দিক ছিল লক্ষণীয় তা হলো:

১। স্বাস্থ্য-সম্মত টয়লেটের ব্যাবস্থা আছে।
২। ক্লাস রুমের বা বেঞ্চের কোনো সমস্যা নেই।
৩। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ভালো ছিল।
৪। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ খুব ভালো এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
৫। প্রয়োজন অনুসারে বেশ কিছু রুম নির্মান হচ্ছে।

পরিদর্শন শেষে এনসিটিএফ মাদারীপুর এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে।

ফাহমিদা মেহবুবা নয়না, চাইল্ড পার্লামেন্ট (মেয়ে),
এনসিটিএফ, মাদারীপুর।

এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন

একটু বৃষ্টি হলে ডুবে যায় স্কুলের মাঠ তারপরও স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। গত ০১ সেপ্টেম্বর এনসিটিএফ ঠাঁকুরগাও জেলা স্কুলটি পরিদর্শনে গেলে উঠে আসা নানান সমস্যা। স্কুলের শিশুদের সাথে কথা বলে জানা যায় স্কুলের শ্রেণীকক্ষে নেই পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা, নেই খেলার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, মাঠে একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি, জানালা ভাঙ্গা, নেই সাইকেল রাখার নিদিষ্ট স্থান, শ্রেণী কক্ষে কথা বলেন শিক্ষকরা, মাঝে মধ্যে মারধর থেকেও রেহাই পায় না শিশুরা, রাস্তার পাশে স্কুলের অবস্থান এবং পিয়ন থাকা সর্তেও শিক্ষকদের অনেক ব্যক্তিগত কাজ শিশুদের দিয়ে করানো হয়, সহ নানান সমস্যার কথা বলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের মধ্যে ছিল কিছু সাফল্যের কথা। গত জুন মাসে এনসিটিএফ এর আয়োজনে শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের সাথে বড়দের জবাবদিহিতামূলক কর্মশালায় উঠে আসা সমস্যাগুলোর মধ্যে মেরামত করা হয়েছে, টয়লেটে পানির ট্যাপ সংস্কার এবং দেওয়া হয়েছে সাবান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় স্কুলের সমস্যাগুলো নিয়ে অন্য কোন শিক্ষক কথা বলতে চাননি। স্কুলের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতিকে ফোনে যোগযোগ করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের এই স্কুলটির সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কৃর্তপক্ষ এটায় প্রত্যাশা করছে এনসিটিএফ। পরিদর্শনকালে এনসিটিএফ জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলা ভলান্টিয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন।

এনসিটিএফ শরিয়তপুর এর পালং উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন

১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ন্যশনাল চিলড্রেন’স ট্রাস্কফোর্স-(এনসিটিএফ), শরীয়তপুর জেলা কমিটির নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম শরীয়তপুরের একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “পালং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়” পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে এনসিটিএফ সদস্যরা বিদ্যালয়ের প্রতিটা কক্ষ পরিদর্শন করে শিশুদের সাথে কথা বলে। কথা বলার মাধ্যমে উঠে আসে বিদ্যালয়ের অনেক গুলো ভালো দিক এগুলো হল –

১। ওখানে স্বাস্থ্য-সম্মত বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা আছে।
২। স্বাস্থ্য-সম্মত টয়লেটের ব্যাবস্থা আছে।
৩। ক্লাস রুমের বা বেঞ্চের কোনো সমস্যা নেই।
৪। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ভালো ছিল।
৫। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা খুবই ভালো।
৬। শিক্ষক সংকট।
৭। বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ভাল তবে পরিচ্ছন্নতার অভাব।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ এনসিটিএফ এর বিশেষ টিম ঘুরে দেখে। পরিদর্শন শেষে শিশুরা অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে। তিনি এনসিটিএফ টিম কে উৎসাহিত করেন এবং বলেন শিশু রাই পারে শিশুদের অধিকার অর্জন করতে যদি আমরা শিশুদের পাশে থাকি। তবে তিনি আরো বলেন এনসিটিএফ পাশে তিনি সব সময় থাকবেন।

পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি ও সেন্টাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য ও জেলা ভলান্টিয়ার।

জামালপুর এনসিটিএফ এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

১৯ আগষ্ট ২০১৮ তারিখে জামালপুর জেলা এনসিটিএফ এর মাসিক সভা জেলা শিশু একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়। এই মাসিক সভায় স্মারকলিপি প্রদান, স্কুল কমিটি গঠন, সদস্য কো-অপ্ট, পত্রিকা প্রকাশ ও সদস্য সংগ্রহ নিয়ে আলোচনা হয়। উক্ত সভায় কমিটির সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সপ্না সুলতানা, কেন্দ্রীয় ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সুলতান ফাইজুল আহমেদ অরুপ, এনসিটিএফ জেলা কমিটির ভলান্টিয়ার নাফিস।
আলোচনা শেষে সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাসিক সভার সমাপ্ত ঘোষনা করেন।

এনসিটিএফ গাইবান্ধা এর হাসপাতাল পরিদর্শন

এনসিটিএফ ডেস্কঃ শিশু অধিকার পরিস্থিতি মনিটরিংকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স(এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়মিত হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড মনিটরিং ও পরিদর্শনের পর দাবির প্রেক্ষিতে শিশু ওয়ার্ডের টয়লেট সংস্কার ও বহিঃ বিভাগে শিশু রোগীর অপেক্ষার স্থানে ফ্যান লাগিয়েছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও হচ্ছে নিয়মিত।
গত ৩০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শনে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
পরিদর্শনকালে শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডের ২৬ টি বেডের বিপরীতে ১৩ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। যাদের অধিকাংশই শিশুই ছিলো জ্বরে আক্রান্ত।
পরিদর্শনের সময় রোগীর স্বজনেরা জানান হাসপাতালের পরিবেশ ও কর্মচারীদের ব্যবহার আগের তুলনায় ভালো হয়েছে। তারা পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহের দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাসপাতালের  তত্বাবধায়ক ডা. অমল চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা হাসপাতালের অবস্থা উন্নয়নে কাজ করছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেস্টায় পূর্বের অবস্থা হতে কিছুটা উন্নতি করেছি। নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে, এতে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত হাসপাতাল মনিটরিং এর জন্য তিনি এনসিটিএফ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হাসান পলক, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য মেহেদী হাসান, সদস্য বিদ্রোহ সরকার ও জেলা ভলান্টিয়ার শ্রাবনী রহমান।
উল্লেখ্য যে, গত জুলাই মাসে এনসিটিএফ এর হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় রোগীর স্বজনরা জানান,  শিশু ওয়ার্ডের টয়লেটের সামনে পানি জমে থাকে যার কারনে ঠিকভাবে টয়লেট ব্যবহার করতে পারছেন না। পরে বহিঃ বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীদের অপেক্ষার স্থানে কোন ফ্যান না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান স্বজনেরা।