২৯ ই আগস্ট ২০১৭ সকাল ১০ টায় ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) মৌলভীবাজার, জেলা কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটির সদস্যবৃন্দ মৌলভীবাজার জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন।
এসময় তারা কর্তব্যরত ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল-বাকী স্যারের সাথে কথা বলে। ডা. আব্দুল্লাহ আল-বাকী স্যার জানান, মা ও শিশুদের জন্য ৫০ টি বেড রয়েছে যা গত বছর ২০ টি ছিল। এছাড়া এই হাসপাতালে নবজাতক শিশুদের জন্য একটি নিভীড় পরিচর্যা কেন্দ্র (ICU) রয়েছে। এখানে ২০ টি আসন আছে যেটি ইউনিসেফ এর সহযোগীতায় নির্মান করা হয়েছে যাতে নামমাত্র অর্থে উন্নত মানের চিকিৎসা দেয়া হয়। ICU খুবি পরিষ্কার পরিছন্ন ছিল। ডাঃ জানান মাঝে মাঝে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হয় ফলে তাদের হিমশিম খেতে হয়। রোগীর সংখ্যা বেশি হলে একই বিছানায় ২-৩ করে থাকতে দেয়া হয়। কিন্তু কোন শিশুকে ফ্লোরে রাখা হয় না। হাসপাতালে জায়গা সল্পতার কারনে এই সমস্যাগুলো হচ্ছে বলে ডাঃ জানান। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডটি যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে, তাছাড়া শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে কিছু খেলনা সামগ্রী ও টেলিভিশন।
চিকিৎসাধীন হালিমা আক্তার (২৪) সাথে কথা বলে জানা যায়, তার শিশুর বয়স ১ সাপ্তাহ ডাক্তার ওষুধপত্র দেয়া সহ নিয়মিত দেখাশুনা করছেন বলেও তিনি জানান। ডাঃ আরো জানান এই সময় নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। তাছাড়া নবজাতকের বিভিন্ন প্রকার রোগ বিরাজমান রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলায় ৭৫ টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে যেখানে সাধারণ রোগীরা পর্যপ্ত পরিমানে চিকিৎসা সেবা পাওয়ায় সদর হাসপাতালে রোগীর ভীড় একটু কমেছে। ডাঃ জানান “সীমিত সম্পদে সর্বোচ্চ সেবাদেনের প্রচেষ্টা” এই স্লোগান নিয়ে তারা কাজ করছেন। ভালো চিকিৎসা প্রদানের কারনে হাসপাতালের গাইনি বিভাগ বিভিন্ন পুরস্কার আর্জন করেছে।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন, ম্যাক বাংলাদেশ এর পরিচালক এস.এ হামিদ, শিশু একাডেমীর লাইব্রেয়িয়ান ফরিদ উদ্দীন, এনসিটিএফ মৌলভীবাজার জেলা ভলান্টিয়ার কামরুল ইসলাম, সবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী নাহিদ প্রমুখ।