বন্ধ হয়নি শারীরিক শাস্তি ও নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ব্যবহারঃ ১৫ মার্চ দুপুরে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) গাইবান্ধা জেলা কমিটির সদস্যরা পরিদর্শন করে জেলা শহরের অদুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরকারি নির্দেশনা থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে এখনো বন্ধ হয়নি শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের শারিরীক শাস্তি প্রদান ও নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ব্যবহার। এমনই তথ্য পাওয়া গেছে গাইবান্ধায় এনসিটিএফ এর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে।
সেখানে এনসিটিএফ সদস্যরা প্রতিটি ক্লাসে গিয়ে সরাসরি শিশুদের সাথে কথা বলেন। তাদের সাফল্য ও সমস্যার কথা জানতে চাওয়া হয়। শারীরিক শাস্তির ব্যাপারে শিশুদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় দুষ্টামি ও পড়া না করলে শিক্ষকরা তাদের মারেন। পরিদর্শনের সময় বিদ্যালয়ের ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে সরকার নিষিদ্ধ গাইড বই পাওয়া যায়। তারা জানায় শিক্ষকরা তাদের সবার একটি জন্য একটি গাইড বই নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং নির্ধারিত দোকান হতে বই কেনার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়টিতে নির্ধারিত সময় শেষে বিকেলে আলাদাভাবে কোচিং ও করানো হয়। এর জন্য শিক্ষার্থীদের আলাদা ফিস দিতে হয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি গাইড বই ও শারিরীক শাস্তি প্রদানের কথা অস্বীকার করেন। তাকে শিক্ষার্থীদের কথা বললে তিনি কোচিং এর কথা বলেন যে হয়তো কোচিং এর শিক্ষক তাদের গাইড কিনতে বলেছেন। তবে অনুসন্ধানে পাওয়া যায় ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই কোচিং পরিচালনা করেন।
পরিদর্শনের প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়টিতে প্রায় ১০ দিন যাবৎ শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের টিফিন বিস্কুটের বরাদ্ব বন্ধ। বিদ্যালয়টিতে শিশুদের খেলাধুলা বা বিনোদনের জন্য দোলনা, ছিলকা নেই।
বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় এনসিটিএফ এর কার্যনির্বাহী সদস্যগণ ও জেলা ভলান্টিয়ার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।