কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. এর বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত এবংকুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. কে টিআইবি কুষ্টিয়ার আমন্ত্রণ

অদ্য ০৯ই জুন ২০১৫ বিকাল ৪.০০ টায় কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. এর বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় । বিশেষ সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল যে, টিআইবি কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে সেবাদানকারী এবং সেবা গ্রহীতার মধ্যে মতামত বিনীময় করা ।
এর মূল লক্ষ সদর হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা ও হাসপাতাল থেকে কোন কোন ধরনের সুবিধা পাচ্ছে এই বিষয় গুলো তুলে ধরা এবং সেবার মান বাড়ানো । উল্লেখ্য যে, কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. প্রতিমাসে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড মনিটরিং করে থাকে ।
এবং এন.সি.টি.এফ. এর শিশুরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড এর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা এবং সম্পর্কে অন্যান্যদের থেকে ভালো জানে ।
এর ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেন উল্লেখিত অনুষ্ঠানে এন.সি.টি.এফ. এর শিশুদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনুরোধ জানায় । এরই পরিপেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ. এর ৫ জন শিশুকে আমন্ত্রণ জানায় ।
 উল্লেখিত যে, এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি মুসাব্বির সহ কার্যনির্বাহী কমিটির কিছু সদস্য টিআইবির ইয়েস মেম্বার ।
 এবং কুষ্টিয়া জেলা এন.সি.টি.এফ.  এর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের অবর্জাভেশন রুমের সমস্যা সমাধানের জন্য অভিনন্দ জানায় টিআইবি এবং ভবিষতে বিভিন্ন শিশু বিষয়ক অনুষ্ঠানে এন.সি.টি.এফ.  কে সব সময় সাথে রাখবে বলে  টিআইবি কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নরসিংদীর শিশুদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুঃষ্ঠিত

11350364_1594301577517651_712818552_n

শিমুল আহমেদ তরঙ্গ: ত ৫্ই জুন  নরসিংদী তে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ” বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০১৫ ” উদযাপিত । গতকাল পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নরসিংদী’র জেলা প্রশাসন বর্ণাঢ্য র্যালী, অালোচনা সভা, শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে । অনুষ্ঠানের উদ্ভোদক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক  জনাব অাবু হেনা মোরশেদ জামান।

অনুষ্ঠান এর শুরুতে নরসিংদী’র বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিশুদের অংশগ্রহণে বর্নাঢ্য এক শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে নতুন শিল্পকলা একাডেমি’র সামনে গিয়ে শেষ হয়। এনসিটিএফ নরসিংদি কমিটি অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহন করে। এ সময় শিশুদের কচি কন্ঠে গাছ লাগানোর আহ্বানে মুখরিত হয়ে উঠে শহরের প্রধান প্রশাসনিক এলাকা।

এরপর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের   সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মোসাঃ সুরাইয়া বেগম । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বি.পি.এম পুলিশ সুপার জনাব অামেনা বেগম সহ আরো অনেক গন্য-মান্য ব্যাক্তিবর্গ ।  অনুষ্ঠানে ৩ টি বিভাগে অংকন প্রতিযোগিতায় প্রায় ২০ জন শিশুকে  ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এরপর ই ছিলো জেলা প্রশাসনের বিশেষ শিশু সাংস্কৃতিক সংগঠন ” বাধঁনহারার ” পরিবেশনায় নাটক “আমার বন্ধু গাছ”। আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এন.সি.টি.এফ নরসিংদী জেলার সভাপতি তাহুয়া লাভিব তুরা।

এনসিটিএফ পাবনা জেলার বার্ষিক সাধারন সভা ২০১৫ অনুষ্ঠিত

মঞ্চে আলোচনায় অতিথিরা

মঞ্চে আলোচনায় অতিথিরা

দলীয় কাজ

দলীয় কাজ

 

 

 

 

 

দলীয় কাজ

দলীয় কাজ

 

গত ২৯ মে এনসিটিএফ পাবনা জেলার আয়োজনে বার্ষিক সাধারন সভা ২০১৪ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভায় ৫০ জন এনসিটিএফ সাধারণ সদস্য পাবনা এনসিটিএফ এর জন্য একটি বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এই সভায় এনসিটিএফ এর বেশ কিছু স্বউদ্দোগী কার্যক্রম পরিচালনার কথা উঠে আসে। দলগত ভাবে একটি  খসড়া কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার পর একটি চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাঃ মতিউর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পাবনা, সহকারী অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জাম্মান, শহীদ এম. মনসুর আলী কলেজ, পাবনা। সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন এনসিটিএফ পাবনা জেলার সভাপতি মোঃ রিয়াদ মাহফুজ। এছাড়া উক্ত সভায় এনসিটিএফ জেলা ভলান্টিয়ার এবং কেন্দ্রীয় ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত উপন্থিত ছিলেন।

এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক সভা

ফুয়াদ হাসান: বিশ্ব এখন প্রযুক্তি নির্ভর, রয়েছে সর্বত্রই প্রযুক্তির ছোয়া। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই প্রযুক্তির নানান মাধ্যম করেই চলেছে। মানব জীবনের কষ্টগুলোকে লাগব করে যোগাযোগের পথকে সহজ করার জন্য বর্তমানে যোগাযোগেও প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার মানব সমাজের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়াগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরই ভিত্তি গড়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়াগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফেসবুক, টুইটার, ভিবার, ওয়াটস্‌ এপ, ট্যাংগো ইত্যাদি। এসকল মাধ্যমগুলো ব্যবহারের ফলে মানুষের যোগাযোগ করার পথ সহজ হয়েছে, কমেছে যোগাযোগের ব্যয়। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝতে পেরে গত ২৯.৫.২০১৫ তারিখে তাদের কার্যালয়ে সামাজিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এক সভার আয়োজন করে। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যনির্বাহী জারিয়াতুল্লাহ খানম, ফুয়াদ হাসান, নাদিয়া নওরীন সারা, মাকসুদা চৌধুরী পলি, অজিত চন্দ্র বিশ্বাসসহ অন্যান্য সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে আলোচনার বিষয় ছিল বর্তমান সময়ের বহুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ওয়াট্‌স এপ”। এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে প্রথমদিকে শুধু ট্যাক্সট মেসেজ আদান প্রদান করা গেলেও এতে সর্বশেষ ফিচার হিসেবে কল করার অপশনটি যুক্ত হয়েছে। এপ্রিল মাসে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসােও সারা বিশ্বে সর্বমোট একটিভ “ওয়াট্‌স এপ” ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ মিলিয়ন যেখানে কিনা জানুয়ারি মাসে সর্বমোট একটিভ “ওয়াট্‌স এপ” ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭ মিলিয়ন।  দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে কিন্তু “ওয়াট্‌স এপ” এমন ব্যক্তির সংখ্যা নিতান্তই কম। বর্তমান সময়কার অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, সিম্বিয়ান, ব্লাকবেরি, উইন্ডোজ ৮ সহ প্রায় সকল ওপারেটিং সিস্টেমে “ওয়াট্‌স এপ” ব্যবহার করা যাচ্ছে। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া “ওয়াট্‌স এপ” এ কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয়, কিভাবে একজনকে বা গ্রুপে কিংবা  একাধিক জনকে এক সাথে মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়, কিভাবে অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া ফাইল এবং কন্টাক্ট নাম্বার শেয়ার করা যায়, এপটি ব্যবহার করে কিভাবে কল করতে হয় তা নিয়ে ব্যবহারিক আলোচনা করে। সভা শেষে উপস্থিত সকল  সদস্যরা এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহরার করার প্রতি তাদের মত পোষণ করে এবং এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যদের যোগাযোগের পথ সহজ করার স্বার্থে  এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামে “ওয়াট্‌স এপ”এ একটি গ্রুপ ওপেন করে।

এন.সি.টি.এফ নরসিংদী’র হাসপাতাল পরিদর্শন

10151213_1604161946527016_3748653448770042548_n

ছবি : বন্ধ করা দরজা ( লাল দাগের ভিতর) ;রোগিদের জটলা

10641202_1604161729860371_5977836899351129950_n

ছবি : হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাচ্ছে শিশু

 

 

 

 

 

 

 

 

শিমুল আহমেদ তরঙ্গ : গত ২৮মে  ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স ; এন.সি.টি.এফ নরসিংদী জেলা কমিটি তাদের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনের কাজ সম্পন্ন করে।  নরসিংদী জেলা এন.সি.টি.এফ এর সভাপতি  তাহুয়া লাভিব তুরা’র নেতৃত্বে জেলা কমিটির ১১জন সদস্য এই পরিদর্শনে অংশগ্রহণ করে  । কমিটির সদস্যদের সাথে ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর সি ওয়াই ভি জনাব উম্মে হাবিবা বর্ষা,  এন.সি.টি.এফ নরসিংদী জেলার ভলান্টিয়ার জনাব এ.কে.এম সেলিম এবং   সাথী আক্তার ।
এদিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ পরিদর্শনের সময় সেখানে কর্তব্যরত ইমারজেন্সি ওফিসার জনাব শামিমা ইয়াসমিন এর সাথে কথা হলে তিনি জনান , হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনই অনেক শিশুকে নিয়ে আসা হয়।  যাদের প্রধান সমস্যা থাকে ডায়রিয়া ।  এছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হার ও বেড়ে চলেছে।
এইদিকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কক্ষের সামনে রোগিদের বিশাল বড় জটলা দেখা যায়। অভিযোগ উঠে যে এখানে প্রায় ৩ ঘন্টা যাবৎ অপেক্ষা করার পরও কর্তব্যরত ডাক্তার এর দেখা নেই , একজন ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছেন তা ও টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভঙ্গ করে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সেখানে গেল প্রথমে দালাল পথরোধ করে। পরে এন.সি.টি.এফ এর সাংবাদিক পরিচয় পাবার পর ঢোকা গেলে সেখানে অবস্থানরত চিকিৎসক নিজের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জনান এবং বলেন যে শিশু বিশেষজ্ঞ বাইরে গেছেন , এবং তিনিই চিকিৎসা দিচ্ছেন। সিরিয়াল ভঙ্গের ব্যাপারে অস্বিকার করে বলেন টিকেটের নম্বর অনুযায়ী রোগী ডাকা হচ্ছে ।
এদিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করা হয়। সেখানে কিছু বেড খালি থাকা সত্বেও অনেক রোগিদের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। যেখানে শিশুরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর মেঝেতে অবস্থান করছে। এ ব্যপারে কর্তব্যরত নার্স কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান যে এগুলো মেডিসিন বিভাগের বেড।  স্থান স্বল্পতার কারনে শিশুদের জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ড রাখা হয় নি। একই সাথে তাদেরকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।অতি দ্রুত  এ ব্যপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়াউচিৎ বলে তিনি মনে করেন।

শসা বিক্রি করে কেমনে ইজ্ঞিনিয়ার হমু….!!

মুসাব্বির হোসেন(কুষ্টিয়া): গরীব বা ধনী হোক সবারই স্বপ্ন আছে । স্বপ্ন কখনো জাতি ভেদে হয় না । আর সবারই স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে । যে বয়সে লেখা পড়ার কথা ঠিক সে বয়সে আমাদের দেশে অনেক শিশুই তার পরিবারের জন্য জিবীকা নির্বাহ করার জন্য বিভিন্ন শ্রমে নিয়োজিত হয় ।

শ্রম যে রকমই হোক তারা চাই দুবেলা খেয়ে বাঁচতে । এইতো এনসিটিএফ এর খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে আইসিটি এন্ড ডকুমেন্টেশন ট্রেনিং থেকে ফেরার পথে ট্রেনে এই ধরনের এক শিশুর সাথে কথা হয় । দূর থেকে শোনা যায় “খিরা লইবেন খিরা” । শিশুটির নাম নাজমুল (১০) । খুলানার দৌলতপুরে রেলিগেট এলাকায় থাকে ।

নাজমুলকে স্কুলে যাওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলে সে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে । তার কাছ থেকে খিরা বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বলে স্কুলে যামু কি দিয়া । যাইতে অটো ভাড়া লাগে তাই এই ব্যাবসা করি । প্রতিদিন আমার এই খিরা বেইচা লাভ হয় ১৫০-২৫০ টাকার মত । এই লাভের টাকা দিয়ে  শিশুটি করে জানতে চাইলে বলে লাভের টাকা দিয়া স্কুলে যাই আর “মা”রে বাকি টাকা দিই । আর ঐ টাকা দিয়ে মা ঈদে জামা কপড় কিন্না দেয় ।

বড় হয়ে নাজমুল কি হতে চায় নাজমুলের কাছে জানতে চাইলে “আমি ইজ্ঞিনিয়ার হমু । গাড়ি বানামু” কিন্তু শসা বিক্রি করে কি ইজ্ঞিনিয়ার হওয়া যায় ? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় তোমাকে যদি কেউ লেখা পড়ার খরচ দেয় তাহলে কি তুমি পড়বে ? প্রতি উত্তরে শিশুটি বলে “কে দেবে আমার লেখা পড়ার খরচ” ।

আমাদের দেশে আমাদের সমাজে অনেক শিশুই আছে যারা লেখা পড়া করতে চায় দেখে অনেক বড় বড় স্বপ্ন কিন্তু আর্থিক অভাবেই ঐসব ইচ্ছা ঐসব স্বপ্ন স্বপ্নই থেকেই যায় ।

এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখপত্র প্রকাশ এবং পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ফুয়াদ হাসান: গত ২০ মে বুধবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলামের বিদায় উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা, তিতাস শিশু বার্তা “মা দিবস সংখ্যা”-এর প্রকাশনা এবং চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐ একই দিন বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত প্রতিযোগিতায় জেলার প্রায় আড়াই শতাধিক শিশু অংশ গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার)। এনসিটিএফ সভাপতি সায়েম খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা:বজলুর রহমান, লোকমান হোসেন এপিপি এবং চাইল্ড পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাইদা সানজিদা লোপা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) বদলি হয়ে এআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়াটারে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম মৌলভীবাজার বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে এই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশু সাংবাদিক মাকসুদা চৌধরী পলির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ শিশু পিয়া এবং চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার কানিজ খন্দকার চৈতি অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া নওরীন সারা বিদায়ী পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার)-এর হাতে ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ শাহরিয়ার বিদায়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম-এর হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়। অন্যদিকে ১০ই মে “আন্তর্জাতিক মা দিবস”-কে উপলক্ষ করে এনসিটিএফ তাদের তিতাস শিশু বার্তার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে তিতাস শিশু বার্তার এবারের সম্পাদক এবং এনসিটিএফ ব্যাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হাসান সকল অতিথিদের  হাতে এবারের সংখ্যাটি তুলে দিয়ে তিতাস শিশু বার্তা “মা দিবস সংখ্যা”-টির আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) মা দিবস-কে উপলক্ষ করে  এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের মুখপত্রটি প্রকাশ করায় তাদেরকে সাধুবাদ জানান। অল্প বয়সে শিশুরা মায়েদের  সম্মানার্থে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অতুলনীয়। তিনি আশ্বাস দেন যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় না থাকলেও তিনি সবসময় এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশুদের পাশে থাকবেন।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

নাটোর হাসপাতালের মডেল শিশু ওয়ার্ড

1526384_690651604396796_7925465524485031400_n

এনসিটিএফ নাটোর জেলা কমিটি গত ১৮ মে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শণে যায়। হাসপাতালের মডেল শিশু ওয়ার্ড আগের তুলনায় অনেক পরির্বতন হয়েছে। নেই আগের মত দূর্গন্ধ, হতে হয় না হয়রানীর শিকার, ঔষধ কিনতে হচ্ছে না বাইরে থেকে, প্রয়োজন মত ডাক্তার এবং তাদের সেবা মনের মত হওয়ায় খুশি অভিভাবকরা।

সব কিছুর ভেতরে ডা. আমিনুল ইসলাম রোগীদের নিজেস্ব চেম্বারে দাওয়াত দিয়ে বেড়াচ্ছেন। যা এনসিটিএফ এর নজর কারে। এই ব্যাপারে কৃর্তপক্ষকে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানানো হয়।

এনসিটিএফ মাদারীপুরের মে মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

DSC_0767

ইমন হাসানঃ গত ১৭ মে এনসিটিএফ মাদারীপুরের মে মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি মুন্নি সভাটি পরিচালনা করেন। মাসিক সভার কয়েকটি  প্রধান আলোচিত বিষয় ছিলো শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন, শ্রমজীবী শিশুদের শিক্ষার ব্যাবস্থা, ইফটিজিং এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এর কাছে স্বারকলিপি প্রদান, শিশুগবেষকদের গল্প প্রেরন, বিদ্যালয়ে এনসিটিএফ এর পরিচিতি ও সদস্য সংগ্রহ ক্যাম্পেইন ইত্যদি। সকলের আলোচনায় ও মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে এনসিটিএফ মাদারীপুর কার্যনির্বাহী কমিটি।  জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মমতাজুল ইসলাম রুমন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর প্রতিমাসের ন্যায় হাসপাতাল মনিটরিং অনুষ্ঠিত এবং অন্যন্য সাফল্য।

গত ১১ ই এপ্রিল এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলার কার্যনিবাহী কমিটির শিশু গবেষকের নেতৃত্বে সকাল ১০.৩০ টায় হাসপতাল মনিটরিং অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবারের সদর হাপসাতালের শিশু ওয়ার্ডের অবর্জাহভেশন রুমের চিত্র ছিলো অন্যান্য মাসের চেয়ে অনেক ভিন্ন। কারণ আগে শিশু ওয়ার্ডে অবর্জাহভেশন রুমে সবাই জুতা সেন্ডেল পড়ে প্রবেশ করতো। যার ফলে শিশুদের অনেক জিবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতো।

এদিকে এই সমস্যার বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেনের ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়াকে অবহিত করায় কুষ্টিয়ার জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেfinal-01-sobujbartaন এই বিষয়টি নজরে নিয়ে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট প্রেরণ করে উল্লেখিত সমস্যাটি সমাধান করে থাকেন। গতকাল হাসপাতাল মনিটরিং এর শেষে এন.সি.টি.এফ. এর শিশুরা ডাঃ জমির উদ্দিন ,(শিশু কনসালটেন্ট এবং বিভাগীয় প্রধান শিশু বিভাগ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ) সাক্ষাতকার করার সময় জানতে চাওয়া হয় যে, বর্তমানে আবহাওয়ার প্রবাহরে জন্য শিশুদের ওপর কিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে এ বিষয়ে তিনি বলেন বর্তমান আবহাওয়া শিশুদের জন্য খারাপ এর মূল কারণ হচ্ছে রোদ্রের তাপ বেশি যার ফলে শিশুরা জ্বর, এআরআই এর মত রোগে আক্রান্ত হতে পারে । এছাড়া তিনি আরও বলেন এই সময়ে ডায়রিয়ার মত খারাপ রোগেও আক্রান্ত হতে পারে ।

এই জন্য শিশুদের সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে এবং খাবারের সময় ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং পচা বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। আর এদিকে এআরআই রোগ সম্পর্কে ডাঃ জমির উদ্দিন বলেন শিশুদের ফিডার খাওয়ানো যাবে না এর ফলে শ্বাস কষ্ট হয় । এবং বুকের দুধ উঁচু করে খাওয়াতে হবে ।

আর এ সকল সমস্যা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অসুস্থ শিশুদের অসুস্থা বেড়ে যাওয়া সহ মৃত্যুর কারণ হতে পারে । আর অন্যদিকে সদর হাসপাতালের অবর্জাভেশন রুমটির বর্তমান চিত্রে আনার জন্য সাহায্য করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষতে শিশুদের নিয়ে আরো ভালো ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। এবং এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়া জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাথে এক সাক্ষাতকারে তারা বলেন আমরা সবার সহোযগীতা নিয়ে আরো ভালো কাজ করতে চাই । এবং কুষ্টিয়া জেলাকে শিশুবাদ্ধব জেলা হিসেবে দেখতে চাই ।

এই বিষয়ে পূর্বের নিউটি দেখুন

http://bit.ly/1Fk5Q4X