ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ৭ আগষ্ট, ২০১৭ খ্রি: সোমবার সকাল ১১.০০টায় শিশুর প্রতি চলমান সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষে এনসিটিএফ জেলা কমিটির সভাপতি সাফয়েত জামিল নওশান স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: আসাদুজ্জামান এর নিকট প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, সস্প্রতি আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং নির্যাতন। পত্র পত্রিকা খুললেই শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি সহিংসতার খবর আমরা প্রতি নিয়তই দেখতে পাচ্ছি। এসব নির্যাতনের খবর দেখে আমরা শিশুরা আতংকিত হয়ে পড়ছি। টাঙ্গাইলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার, ফুরিদপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা, ঢাকায় ৭ বছরের শিশু গণধর্ষণের শিকার, চাঁদপুরের ১৫ বছরের শিশুর আত্মহত্যা, বরিশালে ১৪ বছরের শিশু গণধর্ষণের শিকার, কুষ্টিয়ায় ১৩ বছরের শিশু গণধর্ষণের শিকার, এমনকি ঢাকায় মাত্র ৩ বছরের শিশু আর রাজবাড়ীতে শিশু শ্রেণীর শিশুও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ বর্বরতা মধ্য যুগকেও হার মানায়। বর্তমানে শিশু ধর্ষণের এসব ঘটনায় এনসিটিএফ শিশুরা অত্যন্ত ব্যাথিত, লজ্জিত ও মর্মাহত।
পর্যালোচনা করলে দেখা যায় পূর্বের তুলনায় বর্তমানে শিশুর প্রতি চলমান সহিংসতা ব্যপকমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও অপহরণের মতো ভয়াবহ ঘটনা প্রতিরোধে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরী বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সভাপতি সাফায়েত জামিল নওশান, জেলা কার্যনিবার্হী কমিটির ইমামুল ইসলাম ইফতি, সাকিব, ইমন, সূচি, লিজা, বৃষ্টি, তাফিম, প্রিথিলা, ইনাম প্রমূখ।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: আসাদুজ্জামান বলেন ‘‘এনসিটিএফ’র ৬৪ জেলায় একই দিনে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়, শিশুদের নিজেদের মাঝে আরো সচেতনতা তৈরি করা দরকার”।