পথশিশুদের সাথে এনসিটিএফ নড়াইল এর ইফতার ও দোয়া মাহাফিল অনুষ্ঠিত

১৮ জুন ২০১৭ ইং নড়াইল এনসিটিএফ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। উক্ত  মাহফিলের আয়োজন করা হয়  জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় – নড়াইলে (শিশু একাডেমিতে)। মাহফিলে বিভিন্ন স্কুলের স্কুল কমিটির সদস্যরা অংশ গ্রহণ করে। এছাড়া ও কয়েক জন শিশু ইফতার মাহফিলে যোগদান করে। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলার সাবেক ডিস্ট্রিক ভলেন্টিয়ার লাকি, নড়াইল  সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা  নাহিদা আহম্মেদ, নড়াইল  জেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার জনাব ইউসুফ আলী ও নড়াইল জেলার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব ওয়ালিউর রহমান স্যার। এছাড়া নড়াইল জেলা  এনসিটিএফ কমিটির  সভাপতি রুদ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজিবুল ইসলাম সহ সকল সদস্য ও ডিভি মোসাঃ সানজিদা ইয়াসমিন পুতুল ও মোঃ মোছাব্বির হোসেন মোরাদ উপস্থিত ছিলেন।

পথশিশুদের সাথে এনসিটিএফ খুলনার ইফতার ও দোয়া মাহাফিল

১৫-০৬-২০১৭ইং তারিখ অনুষ্ঠিত হল, খুলনা এনসিটিএফ এর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন ড. মো: মোস্তাফিজুর রহমান (অধ্যাপক ও প্রধান ফার্মেসী বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)।  তিনি আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি আমাদের সকল কাজে সহযোগীতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন খুলনার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব আবুল আলম এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মিদুল ইসলাম মৃদুল। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন এনসিটিএফ খুলনার সভাপতি লিটন হাওলাদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিল কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্য এবং উপদেষ্টা।

সর্বোপরি দোয়া এবং সকলের মঙ্গলের কামনার মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত করা হয়।

নড়াইল জেলায় এনসিটিএফ এর নিজ উদ্যোগে বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

নড়াইল জেলা এনসিটিএফ এর আয়োজনে ১২ জুন ২০১৭ তারিখে নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মশালায় নড়াইল এনসিটিএফ এর জেলা কমিটির সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের স্কুল কমিটির সদস্য বৃন্দ অংশগ্রহণ করে। সর্ব মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কর্মশালা শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।

নিজের বিয়ে প্র‌তি‌রোধ কর‌লো ভোলার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা

গোপাল চন্দ্র দে; শিশু সাংবাদিক ভোলা ॥

বাল্য বিয়ে থেকে নিজেকে রক্ষা করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন ভোলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা আক্তার (১৩)। তিনি নিজেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তার বিয়ে ভেঙ্গে দেন । এ ঘটনায় পুরো শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফারজানা বলেন, আমার স্বপ্ন লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হবো। কিন্তু বাবা-মা জোর বিয়ে ঠিক করে দেয়, কিন্তু বিয়ে নয়, পড়ালেখা করতে চাই। তাই স্বপ্ন পূরন করতেই বিয়ে বন্ধ করার উদ্যোগ নেই। মঙ্গলবার (২৩ মে) ও বুধবার (২৪ মে) এ ঘটনা ঘটে।

দুরন্ত সাহসি ফারজানা আক্তার বলেন, তিনি সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কানাইনগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সিরাজ পঞ্চায়েতের মেয়ে ও ভোলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। নিয়মিত লেখাপড়া চলছিলো তার। খেলাধুলায় মেতে উঠতো সহপাঠিদের সাথে। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সে হাসি আনন্দ হারিয়ে গেল। ফারজানা জানায়, একদিন আমার মা জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছ থেকে শুনতে পাই চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু কার সাথে বিয়ে হলো, বর কে আমি তার কিছুই জানতাম না। 

এর প্রতিবাদ করতে চাইলে মা জান্নাতুল ফেরদৌস ও খালা রোকেয়া বেগম বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাতো। তাকে বিভিন্নভাবে স্কুলে আসতে বাধা সৃষ্টি করতো। যার ফলে বিদ্যালয়ে ফারজানা আক্তারের উপস্থিতি ছিলো কমে যায়।

এ অবস্থায়  মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে ফারজানার মা তাকে বলে, রাতে তোর জামাই আমাদের বাড়িতে আসবে। কথাটি শুনে ফারজানা আতঙ্কে উঠে। জামাই আসা উপলক্ষে বাজার সদাই করা হয়। কাউকে কিছু না বলে ফারজানা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ওই দিন সকালে ভোলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে বিষয়টি শিক্ষকদেরকে জানায়। সবকিছু শুনে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শরমিন জাহান শ্যামলী, এনসিটিএফ ডিস্টিক ভলান্টিয়ার এবং বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সহসভাপতি আদিল হোসেন তপুকে জানান। আদিল হোসেন তপু সংগঠনের অন্যান্য লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে যান। এই বিয়ে বন্ধ করার জন্য ফারজানা আক্তার জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি চিঠি লেখে। পরে এনসিটিএফ এবং বাল্য বিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সহায়তায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ওই ছাত্রী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুব্রত কুমার সিকদারকে বিষয়টি জানান। তিনি এডিএম মোঃ আবদুল হালিমকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেন।

পরে এডিএমএর আদেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি ফোর্স সহ ওই ছাত্রীর বাড়ীতে যান। বাড়িতে গিয়ে ফারজানার পিতাকে না পেয়ে মা জান্নাতুল ফেরদৌসকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে এসে বাল্য বিয়ে সম্পর্কে তাকে বুঝানো হয় এবং ১৮ বছরের আগে বিয়ে পড়াবে না এই মর্মে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (২৪ মে) ফারজানার পিতা মোঃ সিরাজ পঞ্চায়াতকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। পরে জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন তাকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন। সিরাজ পঞ্চায়েত তার ভুল বুঝতে পারেন এবং ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দিবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।

এসময় জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন ও স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মাহামুদুর রহমান ওই ছাত্রীর লেখাপড়ার জন্য ফারজানার হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম উদ্দিন ইউনিসেফের সহায়তা ও কোস্ট্র ট্রাস্টের বাস্তবায়নে ইসিএম প্রকল্প থেকে ফারজানা আক্তারের লেখাপড়ার জন্য শিশু সুরক্ষা বৃত্তি দেওয়ার আশ্বাস দেন।

এনসিটিএফ কিশোরগঞ্জ জেলার মে মাসের মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত

০৮-০৫-১৭ ইং রোজ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কিশোরগঞ্জ এনসিটিএফ এর মে মাসের মাসিক মিটিং। মিটিংয়ে কিশোরগঞ্জ এনসিটিএফ এর সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ের মূল বিষয় ছিল কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল এর শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন। মিটিংয়ে পরিদর্শনের তারিখ ঠিক করা হল।

এনসিটিএফ রাঙামাটির উদ্যোগে অর্ধশত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

০৫-০৫-১৭ইং শুক্রবার বিকেলে রাঙামাটি শিশু একাডেমী মিলনায়তনে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), রাঙামাটির উদ্যোগে “শিশু গড়বে সোনার দেশ, পায় যদি সে পরিবেশ” স্লোগানকে সামনে রেখে অর্ধশত সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এনসিটিএফ’র জেলা ভলান্টিয়ার মো. ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় সভাপতি ছালেহ আহমদ এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ এর আজীবন সদস্য মো. নজরুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, এনসিটিএফ সারা বাংলাদেশে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহযোগিতা করার মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ বিণির্মানে কাজ করছে এনসিটিএফ। তিনি আরো বলেন, এনসিটিএফ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে সমাজের এই জনগোষ্ঠিকে মুল ধারার সাথে একই কাতারে নিয়ে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এনসিটিএফ রংপুর এর প্রয়োজনে সহযোগিতা করবে প্রশাসন

২৫ এপ্রিল এনসিটিএফ রংপুর জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি জেলায় সদ‌্য আসা সুযোগ‌্য জেলা প্রশাসক এর সাথে সৌজন‌্য সাক্ষাৎ করতে যায়। এই সময় কমিটির সকল সদস‌্যদের সাথে পরিচিত হন তিনি। এছাড়া এনসিটিএফ এর লক্ষ‌্য, উদ্দেশ‌্য এবং রংপুর জেলার কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবগত করা হয়। এনসিটিএফ এর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন রংপুর জেলা প্রশাসক জনাব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান । শিশুদের স্বার্থে এনসিটিএফ এর প্রয়োজনে যেকোন সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।  সদ‌্য আসা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় এনসিটিএফ রংপুর। এই সময় জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি ছাড়াও সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মো: মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত এবং  জেলা এনসিটিএফ ভলান্টিয়ার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৬ জানুয়ারী শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) বৃহত্তর তবলছড়ি ক্লাবের উদ্যেগে “শিশু অধিকার বাস্তবায়ন করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি” এই স্লোগানটি নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, মাননীয় সদস্য, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুঞ্জমনি ত্রিপুরা, সাবেক সাধারন সম্পাদক, ত্রিপুরা কল্যান ফাউন্ডেশন, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, তরুন সমাজসেবক মো. নজরল ইসলাম, মো. ইসহাক তালুকদার, সাধারন সম্পাদক, রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব রাঙ্গামাটি, ইমরান উদ্দীন, পরিচালক, ইয়ুথ, ছালেহ আহমদ, সভাপতি এনসিটিএফ রাঙ্গামাটি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, মো. রবিউল ইসলাম নাঈম, আহবায়ক, এনসিটিএফ বৃহত্তর তবলছড়ি ক্লাব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. ইকবাল হোসেন, জেলা ভলান্টিয়ার এনসিটিএফ রাঙ্গামাটি।

অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকার বছরের প্রথম দিন বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিছে। আজ এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ সরকারি উদ্যেগের পাশাপাশি একটি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। তাই বক্তারা এনসিটিএফ এর এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং তারা সবসময় এনসিটিএফ এর এরুপ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা সভার পর বৃহত্তর তবলছড়ি ক্লাবের সদস্যদের পরিচিতি পর্ব শুরু হয় এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

নড়াইল শিশু একাডেমিতে সফল ভাবে অনুষ্ঠিত হল আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ

নড়াইলে ১৯ ও ২১  ডিসেম্বর সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জেলা এনসিটিএফ কর্তৃক আয়োজিত এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সহযোগিতায় আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা সম্পর্কিত দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমান । কর্মশালায় ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃদুল ইসলাম মিদুল, সেন্টার ইউথ ভলেন্টিয়ার সেভ দ্য চিলড্রেন। কর্মশালায় আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা, শিশু অধিকার, সংবাদ, সাংবাদিকতা, নিউজলেটার প্রকাশনা, সংবাদ লেখার কৌশল এবং এনসিটিএফ এর আইসিটির ক্ষেত্র সমূহ ও  শিশু সাংবাদিকতার নানা দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

খুলনা জেলার দায়িত্ব বাহকগণের সাথে শিশুদের অধিকার বিষয়ক মুখোমুখি সংলাপ অনুষ্ঠিত

স্কুলের সামনে বখাটে ছেলেদের উৎপাত, স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব থাকলেও নাই সঠিক ব্যবহার, স্কুলে অস্খাস্থ্যকর বাথরুম এমন কিছু সমস্যা নিয়ে ১৭.১২.২০১৬ তারিখ মুক্ত আলোচনার  আয়োজন করেছিল খুলনা এনসিটিএফ। মুখোমুখি অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি খুলনা জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ গিয়াস উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রসাসক, (শিক্ষা ও আইসিটি), খুলনা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এ. এন .এম ওয়াসিম ফিরোজ (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার), খুলনা।  জেলা শিক্ষা অফিসার , খুলনা। জনাব ফেরদৌস ওয়াহিদ, সহকারী কমিশনার, খুলনা। জনাব মোঃ আবুল আলম জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, খুলনা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এইচ এম লিটন হাওলাদার, সভাপতি, এনসিটিএফ, খুলনা । অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মিদুল ইসলাম মৃদুল। অনুষ্ঠানে শিশুরা ‍স্কুল পর্যায়ে সমসাময়িক‍ সমস্যাগুলো অথিতিদের সামনে তুলে ধরেন এবং এর প্রতিকারের উপায় জানতে চায়। অতিথিরা ধৈর্য সহকারে সকল প্রশ্ন শোনেন এবং প্রতিকারের উপায় শিশুদের  মাঝে তুলে ধরেন। এছাড়াও তারা আশ্বাস প্রদান করেন যে – এ সমস্যাগুলো   প্রতিকারে তারা দ্রুত পদক্ষেপ  গ্রহন করবেন। এছাড়াও আলোচনা করা হয় মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ কে অন্তরভূক্ত করা হবে। খুলনা এনসিটিএফ এর প্রস্তবনায় জেলা প্রশাসন হতে তাৎক্ষনিক 01778377577  নাম্বার প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আশ্বস প্রদান করা হয় যে এই নাম্বারে ফোন করলে তাৎক্ষনিক ভাবে সমস্যার সমাধান করা হবে। আলোচনা শেষে এইচ.এস.সি পরিক্ষায় ভাল রেজাল্ট করার জন্য খুলনা এনসিটিএফের সৌজন্যে খুলনা এনসিটিএফের ৫ সদস্যকে ক্রেস প্রদান করেন  অনুষ্ঠানে আমন্ত্রীত অতিথিরা।