কুড়িগ্রাম এনসিটিএফ এর বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও জেলা শিশু অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

০৮ ডিসেম্বর ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কুড়িগ্রাম জেলা কার্য-নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও জেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও Stop Child Marriage Project এর সহকারী প্রকল্প পরিচালক জনাব আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী এনসিটিএফ সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন। তিনি বলেন,“বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিবাহ নিরোধকল্পে বর-কনের জন্ম ও বয়স সংক্রান্ত অথেনিটিকেট তথ্য ব্যবহারে রেজিস্ট্রারগণকে প্রযুক্তিগত সহযোগীতা প্রদান করবে। *১৬১০০# ডায়াল করে বা ১৬১০০ তে এসএমএস করে বর-কনের বয়স যাচাই করতে হবে এবং তারপর কাজীগণ বিয়ে রেজিস্টার করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন ,কোথাও বাল্য বিয়ে বা কোনো প্রকার অনিয়ম ঘটলে আমাকে জানাতে পারেন অথবা ১৬১০০ তে ফোন করলে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।”শিশু অধিকার বাস্তবায়নে এনসিটিএফ এর সহায়ক ভূমিকা এবং শিশুদের পাশে নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ জেলা কমিটির সভাপতি কে এম রেজওয়ানুল হক নুরনবী, সহ-সভাপতি সংগ্রামী প্রীতি বাঁধন, সাধারন সম্পাদক আতিয়া সানজিদা স্মৃতি, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার সাদিক হোসেন রাহাদ, শিশু গবেষক লুবনা আফসারী, স্কুল কমিটির সদস্য সাদমান সালামুন,জেলা ভলান্টিয়ার মোফছেনা সুলতানা, ফারজানা ইয়াসমিন মৌসুমি প্রমুখ।

সম্পন্ন হল এনসিটিএফ কুমিল্লা জেলার আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ

ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কুমিল্লা জেলা সদস্যদের দুইদিন ব্যাপী আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা  প্রশিক্ষণ জেলা শিশু একাডেমির কার্যালয়ে  সম্পন্ন হয়। গত ১১-১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণটির উদ্ভোদন  করেন  জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব সোহেল হোসেন ভূঁইয়া । মোট ১৫ জন শিশুর অংশগ্রহনে প্রশিক্ষণটিতে শিশু অধিকার, সংবাদ, সাংবাদিকতা, নিউজলেটার প্রকাশনা, সংবাদ লেখার কৌশল এবং এনসিটিএফ এর আইসিটির ক্ষেত্র সমুহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থীরা সংবাদ লেখার ও নিউজলেটার সম্পাদনার ব্যবহারিক অনুশীলন করেন। দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক ও ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মমতাজুল ইসলাম রুমন। প্রশিক্ষণটি আয়োজনের সহোযোগী সংস্থা ছিল বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব সোহেল হোসেন ভুঁইয়া প্রশিক্ষণটির সফল সমাপ্তি করেন।

এনসিটিএফ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রায়েরবাজার এলাকার শিশু অধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক সংলাপ

এনসিটিএফ রায়েরবাজার কমিটির আয়োজনে এমএসএম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় ঢাকা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক পরিস্থিতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এনসিটিএফ সভাপতি আরিফুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, মাননীয় জেলা প্রশাসক, ঢাকা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ মজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), জনাব মোঃ সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঢাকা, জনাব রাশিদা বেগম, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বাংলাদশে শিশু একাডেমি, জেসমিন আক্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সোনিয়া ফারহানা রহমান, রিসার্স অফিসার (মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি), ডাঃ শামীমা আশরাফী সুইটি, মেডিকেল অফিসার (সিভিল সার্জন এর প্রতিনিধি), আবু জাফর মোহাম্মদ হোসেন, সিনিয়র অফিসার, সেভ দ্য চিলড্রেন, শায়লা সুলতানা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এমএসএস, আফরিন আক্তার, প্রোগ্রাম অফিসার, এমএসএস, এনসিটিএফ ঢাকা জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও এনসিটিএফ রায়েরবাজার কমিটির ২১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের আহত ও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শিশু ও অতিথিবৃন্দসহ সকলে এক মিনিট বিরতি পালন করে। উক্ত সংলাপে এনসিটিএফ রায়েরবাজার কমিটির সদস্যবৃন্দ ২০১৪ সনে কমিটি গঠনের পর থেকে তাদের সম্পাদিত কাজ ও অর্জন সমূহ তুলে ধরে। তাছাড়াও শিশুরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং এ এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান  পরিদর্শন এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের বরাবর তুলে ধরে। যেমন: মাধ্যমিক বিদ্যলয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফী নেয়া, বোর্ড এর বই এর জন্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেয়া, শিক্ষক কর্র্তৃক যৌন হয়রানী মূলক আচরণ করা, শারিরীক ও মানসিক শাস্তি প্রদান, এলাকায় যৌন হয়রানী (ইভ টিজিং), স্বাস্থ্যসেবা, বাল্যবিবাহ, জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে এর সমাধানের জন্য আমন্ত্রিত অতিথিবর্গের দৃস্টি আকর্ষণ করে। অতিথিবৃন্দ বলেন শিশুদের প্রত্যেকটি প্রশ্নই খুবই গুরুত্বপূর্ন। তারা সংশ্লিস্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে উল্লেখিত বিষয়ের সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করেন। এনসটিএফ শিশুদের উপস্থাপন কৌশল ও উত্থাপিত প্রশ্ন প্রসঙ্গে শিশুদের প্রশংসা করেন। শিশুরা যে শিশুদের অধিকার বিষয়ে সচেতন হয়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করেছে এর জন্য প্রশংসা করেন। তারা বলেন এই শিশুদের কাজ দেখে আমরা অভিভূত। তোমরা আগামীদিনে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। জনাব মোঃ সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঢাকা জেলা মহোদয় রায়েরবাজার এলাকায় যৌন হয়রানী (ইভ টিজিং), বাল্যবিবাহ, শিক্ষক কর্র্তৃক যৌন হয়রানী মূলক আচরণ করা সহ যে কোনো ধরণের শিশু অধিকার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তাকে জানাতে বলেন এবং তিনি তার মোবাইল নম্বর প্রদান করেন ও তাকে জানালে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। মোঃ শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বলেন তোমরা কাজ করো, সমস্যা হলে আমাদের জানাবে ঢাকা জেলা প্রশাসন তোমাদের পাশে থাকবে। জন্ম নিবন্ধন করতে টাকা লাগে এবিষয়ে প্রশ্নোত্তরে বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বা জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে রায়েরবাজার বস্তি এলাকার শিশুরা বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবে।

এনসিটিএফ রংপুর জেলার শিশু সাংবাদিকতা এবং আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১২ এবং ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শিশু একাডেমী রংপুর কার্যালয়ে ন‌্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) রংপুর এর আয়োজনে দুই দিনব‌্যাপি জেলা পর্যায়ে শিশু সাংবাদিকতা এবং আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পর্যায়ে এনসিটিএফ এর কাজকে আরো গতিশীল করতে এবং এনসিটিএফ এর নিজস্ব মূখপত্র প্রকাশ করার লক্ষে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সাধারণ সদস‌্য নিয়ে ২০ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। প্রশিক্ষণের মাধ‌্যমে শিশুরা সাংবাদিকতার নানা বিষয়, সংবাদ তৈরি, শিশু সাংবাদিকতা, আইসিটির সাথে সাংবাদিকতা এবং নিউজলেটার প্রকাশ করার কৌশল সম্পর্কে জানতে পারে। প্রশিক্ষণ শেষে এনসিটিএফ রংপুর জেলা আগামীতে প্রকাশ হওয়া দুটি মূখপত্র প্রকাশের লক্ষ‌্যে কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করে।

খুলনা এনসিটিএফ এর বিশেষ সভা

১১-১২-২০১৬ তারিখে খুলনা এনসিটিএফ এর এক বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। আগামী ১৭-১২-২০১৬ তে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতির উপর জরিপকৃত সমস্যার সমাধানে একটি মত বিনিময় সভা। আয়োজনের প্রস্তুতিমুলক সভায় এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এইচ এম লিটন হাওলাদার। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব আবুল আলম, জনাব আবু জাফর মোহাম্মদ হোসেন সিনিয়র অফিসার, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং জনাব মিদুল ইসলাম মৃদুল ইয়ুথ ভলেন্টিয়ার, সেভ দ্য চিলড্রেন।

এনসিটিএফ ঢাকা জেলা কমিটির মতবিনিময় সভা

০৮.১২.১৬ তারিখ বিকাল ৩ ঘটিকায় SOS যুব পল্লী এর শিশুদের সাথে এনসিটিএফ ঢাকা জেলা কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় এনসিটিএফ সম্পর্কে শিশুদের ধারণা দেয়ার পাশাপাশি শিশুদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা শাখার শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব রাশিদা বেগম, এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি জুয়েল আরমান, শিশু সাংবাদিক (ছেলে) মোঃ জাহিদ হোসেন; শিশু সাংবাদিক (মেয়ে) শিলা আক্তার সুমি, শিশু গবেষক হাসান, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য (ছেলে) জুম্মান, চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্য (মেয়ে) আজমিরা।

লক্ষীপুর জেলা এনসিটিএফ এর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শিশু অধিকার, সুরক্ষা, জীবন দক্ষতা এবং এনসিটিএফ অপারেশন বিষয়ক ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো লক্ষীপুর শিশু একাডেমী তে। প্রশিক্ষণে লক্ষীপুর এনসিটিএফ এর কার্যনির্বাহী কমিটির এবং সাধারণ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে শিশুদের শিশু অধিকার, শিশু সুরক্ষা, এনসিটিএফ অপারেশন, নিউজলেটার প্রকাশণা, আইসিটি এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহার বন্ধে প্রশিক্ষণ এবং দলগত কাজ অনুষ্টিত হয়। প্রশিক্ষণের উদ্বোধণ করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর কেন্দ্রীয় ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার জাহিদ আল মামুন।

এনসিটিএফ মুন্সিগঞ্জ জেলায় আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) মুন্সিগঞ্জ জেলা সদস্যদের দুইদিন ব্যাপী আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ জেলা শিশু একাডেমির কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়। গত ৯-১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণটির উদ্বোধন করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব জেসমিন আরা। মোট ১৫ জন শিশুর অংশগ্রহনে প্রশিক্ষণটিতে শিশু অধিকার, সাংবাদিকতা, নিউজলেটার প্রকাশনা, সংবাদ লেখার কৌশল এবং এনসিটিএফ এর আইসিটি ক্ষেত্র সমুহ ইত্যদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থীরা সংবাদ লেখার ও নিউজলেটার সম্পাদনার ব্যবহারিক অনুশীলন করেন। দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক ও ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মমতাজুল ইসলাম রুমন সফল সমাপ্তি করেন।

কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর হাসপাতাল মনিটরিং

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স, কুষ্টিয়া জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা নভেম্বর মাসের আলোচ্য সূচী অনুযায়ী কুষ্টিয়া সরকারী সদর হাসপাতাল মনিটরিং এ আসেন ১১ই নভেম্বর ২০১৬ইং। মনিটরিং করার সময় দেখা যায় অসুস্থ্য  শিশুদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশুই ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ওয়ার্ডে  পরিদর্শনকৃত ডাক্তার বলেন সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য এসময় শিশুদের জ্বর ঠান্ডা লাগে। এছাড়া শিশুর অভিভাবকরা বলেন হাসপাতালে চিকিৎসা ভালো পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু হাসপাতালের পরিবেশগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আরো ভালো হওয়া দরকার। হাসপাতালের বাথরুমগুলো ব্যবহার করার মতো নাই। এ বিষয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে কথা বললে, বলেন লোকবল কম থাকার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতাল মনিটরিং এ উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স, কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি আজমাইন মাহমুদ শুভ্র, সাধারণ সম্পাদক যুথিকা রানী দাস, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার হৃদয় আহমেদ সুজন, শিশু সাংবাদিক নিয়ামত আলী,  শিশু গবেষক শাহারিয়ার রহমান ও জেরিন তাবাস্সুম এশা কার্যনির্বাহী সদস্য তানজির রহমান এবং জেলা ভলান্টিয়ার মো: শাকিল ইসলাম।

ভোলায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে (মাঝের চর) উপকূলের শিশুরা

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ১নং ইউনিয়ন মদনপুরে দারিদ্রতার অভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।জরিয়ে পড়ছে বিভিন্ন ঝুকিপূর্ন কাজে। যে বয়সে শিশুদের বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা সেই বয়সে স্কুল গামী শিশুরা যাচ্ছে নদীতে মাছ ধরতে, মাঠে মাঠে গরু-ছাগল চড়াতে কেই বা সহযেগীতা করছে বাবা মায়ের কাজে এরা বাবা, ভাই অথবা অন্য কারো সাথে নৌকায় করে মাছ ধরতে যায়। ১-২ দিন পর ১০০-২০০ টাকা পায়। ফলে পরিবারের আর্থিক অভাব-অনটন কিছুটা কমিয়ে এনেছে এ সকল শিশুরা।

দৌলতখান উপজেলার ১নং ইউনিয়ন যাকে লোকে মাঝের চর নামে চিনে। ঐ চরে ৬-৭ হাজার লোকের বসতী । স্কুলগামী শিশুদের সংখ্যা প্রায় ১০০০-১২০০ শতাধিক। বসতীদের জীবিকা উপার্জনের প্রধান মাধ্যম মৎস্য শিকার ও চাষাবাদ করা। বর্ষার মৌসুমে তাদের চলাচলের এক মাত্র বহন নৌকা। পরিবারের অভাবে-অনটনের কারনে উপার্জনের তাগিদে তাদের জীবন জরিয়ে যাচ্ছে ঝুকিপূর্ন কাজে। ফলে ঐ চরে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। যদি ও ঐ চর টি তে ৮টি প্রাইমারী স্কুল ও ১টি নিম্ম মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু সে সকল স্কুলের কোনটিতে আবার শিক্ষক সংকট আবার কোনটিতে শিক্ষকদের অবহেলা এমত অবস্থায় চরের শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে পড়াশোনা থেকে।

একই এলাকার কামাল মাঝি বলেন আমাগো অভাবের সংসার আমি কী ভাবে আমার পোলাপাইনেরে পড়ামু। তাছলিমা বেগম বলেন আমার পেলাডারে স্কুলে দিছিলাম কিন্তু কয় দিন পরই পোলার বাপে পোলারে নৌকায় লইয়া যায়। ইব্রাহীমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান এই চরের প্রায় সব শিশুরাই কোন না কোন কাজ জড়িয়ে পড়েছে অভাবের তাড়নায়।