কুড়িগ্রাম জেলা এনসিটিএফ’র স্কুল কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আয়োজনে ০৯ মার্চ বুধবার বেলা ১১টায় কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে স্কুল কমিটি নির্বাচন করা হয়।
নির্বাচনে শাপলা আক্তারকে সভাপতি ও জেমিমা সাবরিনকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্কুল কমিটি নির্বাচনে বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজেরা বেগম, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক কাজি মইনুল আমিন ও মো: মোশারফ হোসেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ওয়াহিদুল রহমান চঞ্চল, এনসিটিএফ জেলা কমিটির সভাপতি কে এম রেজওয়ানুল হক নুরনবী, সহ-সভাপতি সংগ্রামী প্রীতি বাধঁন, সাধারণ সম্পাদক আতিয়া সানজিদা স্মৃতি, যুগ্ম সম্পাদক এবি এম শাহরিয়ার, শিশু গবেষক হাসানাত আলিমুন, শিশু সাংবাদিক তরিকুল ইমলাম স্বপ্ন ও লুবনা আফসারী, চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার সাদিক হোসেন রাহাদ, এনসিটিএফ এর জেলা ভলান্টিয়ার ফারজানা ইয়াসমিন ও মিঠুন দেব প্রমুখ। এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের এনসিটিএফ কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফিং করা হয়। নব নির্বাচিত এই কমিটি এখন থেকে শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা ও শিশু অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করবে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরির্দশন

৮ মার্চ, বুধবার, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরির্দশন এবং জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মশিউর রহমান ও সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ মোঃ এহসানুল ইসলাম এর সাথে শিশু চিকিৎসা বিষয়ে সাক্ষাৎকার করে ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) শরীয়তপুর। পরির্দশনের সময় এনসিটিএফ-শরীয়তপুরের সদস্যদের চোখে পরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, দরজাবিহীন শৌচাগার এবং অভিভাবকদের অন্যতম আভিযোগ “পর্যাপ্ত ঔষধ সরবারহ করা হয় না “।  শিশু ওয়ার্ডের পাশেই অবস্থিত শৌচাগার, যার অবস্থা খুবই শোচনীয়।  দুর্গন্ধযুক্ত এবং অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার শিশুদের জন্য খুবই অসাস্থ্যকর এবং এর ফলে শিশুদের সুস্থ হওয়ার চেয়ে পুনরায় সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন অভিভাবকেরা।
অধিকাংশ অভিভাবকদের অন্যতম অভিযোগ, ‘ডাক্তারদের দেখা পেতে গুনতে হয় বহু অপেক্ষার প্রহর। সকাল ১০টায় ওয়ার্ডে অবস্থিত রোগীদের দেখে যাওয়ার কথা থাকলেও ঠিক কখন যে তাদের ঘড়ির কাটায় ১০টা বাজবে তা বলা দুষ্কর।’
অভিভাবদের এই প্রশ্নের জবাবে ডাঃ শেখ মোঃ এহসানুল ইসলাম এনসিটিএফ-শরীয়তপুরকে জানান, ‘আমাদের এখানে ২জন শিশু বিষয়ক কন্সাল্টেন্ট থাকার কথা থাকলেও আছে ১ জন এবং সবসময় ১ জনের পক্ষে এত সময় মেনে চলাটা কষ্টের। এছাড়াও এখনে প্রয়োজনের তুলনায় কম ঔষধ সরবারহ হয় এবং সকল বিভাগের ডাক্তার নেই।’
টিকা দান কেন্দ্র পরির্দশন কালে দেখা যায় ঠিক ভিন্ন চিত্র। একটি কক্ষের একপাশে একটি মোটরবাইক পার্কিং করা, মেঝেতে অসংরক্ষিত অবস্থায় ছড়িয়ে আছে ব্যাবহারযোগ্য মুল্যবান সেলাইনগুলো, এবং সেই কক্ষের এককোনায় লেখা আছে ‘টিকা দান কেন্দ্র’।  এই বিষয়ে টিকা কেন্দ্রে কর্মরত কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, “প্রতিটি হাসপাতালের ন্যায় এই হাসপাতালের একটি  নির্দিষ্ট টিকা দান কেন্দ্র থাকলেও তা ব্যাবহার করা হচ্ছে অন্য কাজে এবং এই স্থানটিকে দেওয়া হয়েছে টিকা কেন্দ্র হিসেবে। এই কক্ষটি সত্যিকার অর্থেই শিশুকে টিকা দেবার জন্য যথাযথ উপযুক্ত নয়। প্রয়োজন আরও পরিষ্কার ও উন্নতমানের স্থান যা উক্ত রুমে নেই।”

পরিদর্শন শেষে ডাঃ শেখ মোঃ এহসানুল ইসলাম-তার বক্তব্যে বলেন, এই হাসপাতালে জনবলের অভাব, আধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রের অভাব এবং জনগণের অসচেতনতার পরও আমরা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার যথেষ্ট চেষ্টা করি। যদি উক্ত সমস্যাগুলো সমাধান করা হয় তাহলে আমরা আরও ভাল চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হব। এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি জনবল বৃদ্ধি এবং উন্নতকরণের বিষয়টি দ্রুত আমলে নেয় তাহলেই রোগীদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করা সক্ষম হবে।’

গত পরিদর্শনের পর এনসিটিএফ-শরীয়তপুর যে সকল সমস্যা সনাক্ত করে ছিলো উক্ত বছর পরিদর্শনকালে দেখা যায়  ৭০ভাগ সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। উক্ত উন্নতিকরনের প্রধান উদ্যোক্তা জেলা সিভিল সার্জন  ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান কে এনসিটিএফ-শরীয়তপুর এর পক্ষ থেকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানায় এনসিটিএফ -শরীয়তপুরের সদস্যরা।
ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান তার সাক্ষাৎকারে এনসিটিএফ শরীয়তপুরকে জানান, ‘নিজ উদ্যোগে সকল ডাক্তারদের অর্থায়নে সদর হাসপাতালে ১৬টি সিসি টিভি ক্যামেরা লাগাই, যাতে রোগীদের কোনো প্রকার সমস্যায় পড়তে না হয়। রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ত্রুটি রাখতে চাই না।  রোগীর খুশির জন্য চাকরীর শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যাবো।’

এনসিটিএফ কুমিল্লা জেলার বার্ষিক সাধারণ সভা ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

৬ই মার্চ সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী কুমিল্লা এর কার্যালয়ে জেলা এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক এনসিটিএফ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। সারাদিন ব্যাপী এই সভায় চারটি গ্রুপ হয়ে আগামী এক বছরের জন্য একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। দলগুলো থেকে প্রাপ্ত খসড়া পরিকল্পনা গুলো গ্রুপ ভিত্তিক উপস্থাপনের মধ্যেমে সকলের সম্মতিক্রমে একটি চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করে এনসিটিএফ কার্যনির্বাহি কমিটি। সভাব্য ১৭ টি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই বছর কাজ করবে এনসিটিএফ কুমিল্লা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব সোহেল আহমেদ ভূইয়া এবং  সভাপতিত্ত্ব করেন জেলা এনসিটিএফ সভাপতি জনাব শাহবাজ। এছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার জনাব মমতাজুল ইসলাম এবং অভিভাবক ও সাংবাদিকবৃন্দ।

এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও জেলার বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ে জেলা এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় জেলার ৪৫ জন এনসিটিএফ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। সারাদিন ব্যাপী এই সভায় পাঁচটি গ্রুপ হয়ে আগামী এক বছরের জন্য একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। পাঁচটি দল থেকে প্রাপ্ত খসড়া পরিকল্পনা গুলো গ্রুপ ভিত্তিক উপস্থাপনের মধ্যেমে সকলের সম্মতিক্রমে একটি চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করে এনসিটিএফ। মোট ২৫ টি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই বছর কাজ করবে এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও। উক্ত সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন জুসিয়া আফরোজ, সভাপতি, এনসিটিএফ ঠাকুরগাঁও। এছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার, জেলা ভলান্টিয়ার, অভিভাবক এবং সাংবাদিকবৃন্দ।

শেরপুর জেলা এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত

৬ই ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার এনসিটিএফ শেরপুর জেলা শাখার উদ্দোগে বার্ষিক কর্ম-পরিকল্পনা ও সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত উনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি জনাব দূর্জয় সরকার তীর্থ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে ছিলেন শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক জনাব ডা. মো: এ এম পারভেজ রহিম এবং বিশেষ অতিথী হিসেবে ছিলেন শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মো: রফিকুল ইসলাম গনি। পরবর্তিতে জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানের সূচনা ঘোষনা করেন। তারপর প্রথমেই এনসিটিএফ শেরপুর জেলা কার্যনির্বাহী সদস্যরা তাদের পূর্ববর্তী বছরের কর্মকান্ড গুলো সকলের মাঝে তুলে ধরেন এবং পরবর্তিতে সকলের মতামত অনুযায়ী বার্ষিক সাধান সভার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
যেমন:
১. প্রতি মাসে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন।
২. প্রতি মাসে জেলা শিশু সদন পরিদর্শন।
৩. পথশিশুদের নিয়ে বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলার আয়োজন করা।
৪. এনসিটিএফ এর সদস্য বাড়ানোর জন্য স্কুলে স্কুলে ক্যাম্পেইন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা জনা মো: আসলাম খান, সেভ দ্য চিলড্রেনের ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মো: মমতাজুল ইসলাম রুমন। এনসিটিএফ শেরপুর জেলার উপদেষ্টা জনাব মো: আবুল কালাম আজাদ, এনসিটিএফ শেরপুর জেলার সাধারন সম্পাদক অরিত্র্য চন্দ্র ঝলক, শিশু সাংবাদিক রজত সাহা অন্তু, শিশু গবেষক দিগন্ত সাহা সহ এনসিটিএফ শেরপুর জেলা শাখার সকল কার্যনির্বাহী সদস্য বৃন্দ।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতের সুন্দর লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করল এনসিটিএফ রংপুর

21-02-2017 সকাল ১০ টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এনসিটিএফ রংপুরের আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে হাতের সুন্দর লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর ইয়ুথ গ্রুপের সুবিধাবঞ্চিত স্কুলের ৩০ জন শিশু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী শিশু ছাড়াও সকল শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করে এনসিটিএফ। এই সময় ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) রংপুর এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, জেলা ভলান্টিয়ার এবং ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৬ জানুয়ারী শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) বৃহত্তর তবলছড়ি ক্লাবের উদ্যেগে “শিশু অধিকার বাস্তবায়ন করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি” এই স্লোগানটি নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, মাননীয় সদস্য, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুঞ্জমনি ত্রিপুরা, সাবেক সাধারন সম্পাদক, ত্রিপুরা কল্যান ফাউন্ডেশন, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, তরুন সমাজসেবক মো. নজরল ইসলাম, মো. ইসহাক তালুকদার, সাধারন সম্পাদক, রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব রাঙ্গামাটি, ইমরান উদ্দীন, পরিচালক, ইয়ুথ, ছালেহ আহমদ, সভাপতি এনসিটিএফ রাঙ্গামাটি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, মো. রবিউল ইসলাম নাঈম, আহবায়ক, এনসিটিএফ বৃহত্তর তবলছড়ি ক্লাব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. ইকবাল হোসেন, জেলা ভলান্টিয়ার এনসিটিএফ রাঙ্গামাটি।

অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকার বছরের প্রথম দিন বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিছে। আজ এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ সরকারি উদ্যেগের পাশাপাশি একটি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। তাই বক্তারা এনসিটিএফ এর এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং তারা সবসময় এনসিটিএফ এর এরুপ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা সভার পর বৃহত্তর তবলছড়ি ক্লাবের সদস্যদের পরিচিতি পর্ব শুরু হয় এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

নড়াইল শিশু একাডেমিতে সফল ভাবে অনুষ্ঠিত হল আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ

নড়াইলে ১৯ ও ২১  ডিসেম্বর সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জেলা এনসিটিএফ কর্তৃক আয়োজিত এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর সহযোগিতায় আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা সম্পর্কিত দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা। ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমান । কর্মশালায় ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃদুল ইসলাম মিদুল, সেন্টার ইউথ ভলেন্টিয়ার সেভ দ্য চিলড্রেন। কর্মশালায় আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা, শিশু অধিকার, সংবাদ, সাংবাদিকতা, নিউজলেটার প্রকাশনা, সংবাদ লেখার কৌশল এবং এনসিটিএফ এর আইসিটির ক্ষেত্র সমূহ ও  শিশু সাংবাদিকতার নানা দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

খুলনা জেলার দায়িত্ব বাহকগণের সাথে শিশুদের অধিকার বিষয়ক মুখোমুখি সংলাপ অনুষ্ঠিত

স্কুলের সামনে বখাটে ছেলেদের উৎপাত, স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব থাকলেও নাই সঠিক ব্যবহার, স্কুলে অস্খাস্থ্যকর বাথরুম এমন কিছু সমস্যা নিয়ে ১৭.১২.২০১৬ তারিখ মুক্ত আলোচনার  আয়োজন করেছিল খুলনা এনসিটিএফ। মুখোমুখি অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি খুলনা জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ গিয়াস উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রসাসক, (শিক্ষা ও আইসিটি), খুলনা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এ. এন .এম ওয়াসিম ফিরোজ (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার), খুলনা।  জেলা শিক্ষা অফিসার , খুলনা। জনাব ফেরদৌস ওয়াহিদ, সহকারী কমিশনার, খুলনা। জনাব মোঃ আবুল আলম জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, খুলনা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এইচ এম লিটন হাওলাদার, সভাপতি, এনসিটিএফ, খুলনা । অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মিদুল ইসলাম মৃদুল। অনুষ্ঠানে শিশুরা ‍স্কুল পর্যায়ে সমসাময়িক‍ সমস্যাগুলো অথিতিদের সামনে তুলে ধরেন এবং এর প্রতিকারের উপায় জানতে চায়। অতিথিরা ধৈর্য সহকারে সকল প্রশ্ন শোনেন এবং প্রতিকারের উপায় শিশুদের  মাঝে তুলে ধরেন। এছাড়াও তারা আশ্বাস প্রদান করেন যে – এ সমস্যাগুলো   প্রতিকারে তারা দ্রুত পদক্ষেপ  গ্রহন করবেন। এছাড়াও আলোচনা করা হয় মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ কে অন্তরভূক্ত করা হবে। খুলনা এনসিটিএফ এর প্রস্তবনায় জেলা প্রশাসন হতে তাৎক্ষনিক 01778377577  নাম্বার প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আশ্বস প্রদান করা হয় যে এই নাম্বারে ফোন করলে তাৎক্ষনিক ভাবে সমস্যার সমাধান করা হবে। আলোচনা শেষে এইচ.এস.সি পরিক্ষায় ভাল রেজাল্ট করার জন্য খুলনা এনসিটিএফের সৌজন্যে খুলনা এনসিটিএফের ৫ সদস্যকে ক্রেস প্রদান করেন  অনুষ্ঠানে আমন্ত্রীত অতিথিরা।

এনসিটিএফ শেরপুর জেলায় আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর, শেরপুর জেলা কার্যালয়ে ন‌্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) শেরপুর এর আয়োজনে দুই দিনব‌্যাপি জেলা পর্যায়ে আইসিটি ভিত্তিক শিশু সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শেরপুর জেলার সর্বস্তরের শিশুদের উপর সুষ্ঠ মনিটরিং ও সংবাদ লিখা এবং জেলার মূখপত্র প্রকাশ করার লক্ষে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে এনসিটিএফ শেরপুর জেলার কার্যনির্বাহী ও সাধারণ সদস্য হিসেবে ১৫ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। প্রশিক্ষণের মাধ‌্যমে শিশুরা সাংবাদিকতার নানা কার্যকর দিক, সংবাদ লিখার প্রক্রিয়া, ওয়েব সাইটে আইসিটি ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ, নিউজলেটার প্রকাশ ইত্যাদি সম্পর্কে সুষ্ঠ ধারণা লাভ করে। প্রশিক্ষণ শেষে এনসিটিএফ শেরপুর জেলা কমিটি আগামী নিউজলেটার প্রকাশের যাবতীয় কার্যক্রমের সূচনা করে। পরিশেষে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: আসলাম খান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মমতাজুল ইসলাম রুমন ।