গাজীরচট স্কুল এন্ড কলেজে এনসিটিএফ নির্বাচন

ফারজানা ইয়াসমিনঃ  গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার সাভারের গাজীরচট স্কুল এনসিটিএফ এর সকল সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রত্যক্ষ নির্বচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত হয়। ২০১৪ সাল থেকে গাজীরচট স্কুল এন্ড কলেজে আইসিটি এন্ড ইনোভেটিভ পার্টনারশিপ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের শুরুতে এনসিটিএফ এর সংবিধান অনুযায়ী অত্র স্কুলে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।

কমিটির অধিকাংশ সদস্য এস.এস.সি পরীক্ষার্থী হওয়ায় এনসিটিএফ এর কার্যক্রমে তারা নিয়মিতভাবে অংশগ্রহন করতে পারে না। এনসিটিএফ মাসিক সভায় নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সার্বক্ষনিক উপস্থিত ছিলেন গাজীরচট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও দুইজন সহকারী শিক্ষক। এনসিটিএফ কি, এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, বিগত এক বছরে স্কুল পর্যায়ে কি ধরণের কাজ বাস্তবায়ন করেছে তা মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন এনসিটিএফ  পুরাতন স্কুল কমিটি। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেন সিআরপি শাহেদ রূপম ও ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর কস্তরী বেগম।

নির্বাচন শেষে স্কুলটির অধ্যক্ষ কমিটির নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, এনসিটিএফ এর কার্যক্রম অত্যন্ত চমৎকার। তিনি নতুন কমিটির সদস্যদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার আহ্বান জানান। স্কুলের সার্বিক ওয়াশ ব্যবস্থা উন্নয়নে এনসিটিএফ এর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

NCTF raise concern for health facilities

NCTF members visited Government Mohamad Ali Hospital in Bogra on 2 December 2015. They submitted a written complain to Dr. Moammad Akbar, Director of Hospital, after their monitoring visit .Different problems including lack of bed, food and treatment by trainee nurse were the major problem identified through this visit. In addition unhygienic environment and more other irregularities observed in the children ward. The director promised NCTF to take the possible action to remove the problem.


বগুড়া সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করল এনসিটিএফ বগুড়া

০২ ডিসেম্বর বুধবার বগুড়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল পরিদর্শন করে ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) বগুড়া।হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এনসিটিএফ টিমের কাছে রোগীরা বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগের কথা তুলে ধরে।

শিশু ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত বেডের সংখ্যা মাত্র ২০। তারা অভিযোগ করেন শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে বেড পায় এমন রোগীর সংখ্যা খুবই কম। কমপক্ষে ১-২ দিন বারান্দায় কিংবা ওয়ার্ডের মেঝেতে থাকার পর বেড নিতে হয় তাদের।অদক্ষ শিক্ষানবিশ নার্সদের দিয়ে শিশুদের বিভিন্ন ইঞ্জেকশন থেকে শুরু করে ক্যানোলা সহ বিভিন্ন সেবা দেয়া হয়।ওয়ার্ডের ভিতরে বেডের আশেপাশে এবং বারান্দায় অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতসেঁতে অবস্থা দেখা যায়। ওয়ার্ডে ও বিভিন্ন বেডে বিড়ালের বিচরণ ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়।তারা অভিযোগ করেন রাতের খাবার বিকেল ৫টায় দেয়া হয় যা পরবর্তী সকালের দেয়া খাবারের সাথে ১৫ ঘন্টার ব্যবধান হয়ে যায়।

পরে এসব অভিযোগগুলো লিখিত আকারে হাসপাতালটির তত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোঃ আবরাব হোসেন এর কাছে তুলে ধরে এনসিটিএফ বগুড়ার সভাপতি জাওয়াদুল করিম জীসান।কিছু অভিযোগ শিকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান, এবং এনসিটিএফ এর এমন কাজকে সাধুবাদ জানান হাসপাতালটির তত্বাবধায়ক।

Children celebrated ‘Hand Washing Day’

Sixty students from thirty school at Savar were gathered in Gohail Bari High School on 19,October 2015  to celebrate ‘Hand Washing Day’. School children learn the right process of hand wash and hygiene process. The event aimed to raise awareness of hygiene among school students.


গোহাইলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে হাত ধোয়া দিবস উদযাপন

গত ১৯ শে অক্টোবর বেলা ১১টায় গোহাইলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এনসিটিএফ সদস্যরা “হাত ধোয়া দিবস” পালন করে। উক্ত হাত ধোয়া দিবসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রউফ, বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও VERC এর প্রতিনিধি শামিম আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন। শামিমা আরা বেগম সকলকে হাত ধোয়ার নিয়ম শিখিয়ে দেন। পরে প্রধান শিক্ষক হাত ধুয়ে ‘হাত ধোয়া দিবস’এর উদ্বোধন করেন। এসময় এনসিটিএফ সদস্যরা সকলকে পানি ঢেলে এবং সাবান সামনে এগিয়ে দিয়ে হাত ধোয়ায় সাহায্য করে।

গোহাইলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে নভেম্বর মাসের মাসিক মিটিং সম্পন্ন

গত ২২.১১.২০১৫ইং তারিখে গোহাইলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এনসিটিএফ সদস্যরা তাদের মাসিক মিটিং সম্পন্ন করেছে। তাদের মিটিং-এ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সদস্যবৃন্দ, উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সানোয়ার হোসেন, ঠঊজঈ এর প্রতিনিধি শামিমা আরা বেগম ও সেভ দ্যা চিলড্রেন এর সিআরপি মোছাঃ ফারজানা ইয়াসিমিন।
সভার আলোচ্য বিষয় ছিল:
১. কমিটির পুনর্গঠন।
২. দেয়ালিকা পুনঃপ্রস্তুত।
৩. সাধারণ সদস্য সংগ্রহ।
৪. ডাটা প্রেরণ।
৫. আগামী মাসের মাসিক মিটিং।

সিদ্ধান্তসমূহ:
১. কার্যনির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্য এস.এস.সি পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাদেরকে কো-অপ্ট করে সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সদস্য নেয়া হয়।
২. এনসিটিএফ-এর সদস্যদের তৈরিকৃত ‘দেয়ালিকা’ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেটি নভেম্বর মাসের মধ্যেই পুনঃ প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
৩. সাধারণ সদস্য সংগ্রহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
৪. প্রতি মাসের ১-৩ ও ১৫-১৭ তারিখের মধ্যে ডাটা পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
৫. ডিসেম্বর মাসের মিটিং আগামী ২০.১২.১৫ ইং তারিখের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় আর কোন বিষয় না থাকায় সভাপতি সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শেষ করেন।

বাল্য-বিবাহ বন্ধে জেলা প্রশাসকের নতুন কৌশল

হাসান মাহমুদঃ ”বাল্য-বিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ, ১৮ এর আগে বিয়ে নয় ২০ এর আগে সন্তান নয়’’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে গত ৩০ নভেম্বোর ২০১৫ তারিখে মেহেরপুর সদর উপজেলার কনফারেন্স কক্ষে হয়ে গেল ’’বাল্য-বিবাহ নিরোধকল্পে বিবাহ নিবন্ধক,ইমাম ও ধর্মীয় শিক্ষকগণের করনীয়’’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা। উক্ত সভায় প্রধান অথিতি হিসাবে ছিলেন, জনাব মোঃ শফিকুল অইসলাম, জেলা প্রশাসক,মেহেরপুর, বিশেষ অথিতি ছিলেন, জনাব মোঃ হেমায়েত হোসেন,উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার,মেহেরপুর এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ মঈনুল হাসান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেরপুর সদর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মেহেরপুর সদর, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধর্মীয় শিক্ষক,চেয়ারম্যান,কাজিগণ,এনজিও প্রতিনিধি এবং শিশু প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা এনসিটিএফ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, জনাব মোঃ লাল মিয়া,জনাব মোঃ হাসান মাহমুদ, সভাপতি মেহেরপুর সদর উপজেলা,জান্নাতুল ফেরদৌস লাকী,সহ সভাপতি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিনিধিদের বাল্য-বিবাহ বন্ধের পরামর্শ/সুপারিশের জন্য মুক্ত আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়। মুক্ত আলোচনায় কাজী,ইমাম,এনজিও প্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তা,চেয়ারম্যান এবং শিশুরা সকলে তাদের মুল্যবান মতামত/সুপারিশ/পরামর্শ তুলে ধরেন। যেমন, ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত বাল্য-বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি থাকবে, উল্লেক্ষ প্রতিটি কমিটিতে শিশু প্রতিনিধি হিসাবে এনসিটিএফ সদস্যদের অন্তভুক্ত করা হবে। উপস্থিত সকলের একটাই কথা যে কোনো মুল্যে মেহেরপুর জেলাকে বাল্য-বিবাহমুক্ত জেলা হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

পরিশেষে মাননীয় জেলা প্রশাসক,মেহেরপুর বলেন, ’’বাল্য-বিবাহ বন্ধে আমাদের ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়ের মত জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমি অচিরেই মেহেরপুর জেলাকে বাল্য-বিবাহ মুক্ত করতে চাই এবং প্রতিটি কমিটিকে শফথ বাক্য পাঠ করান হবে। আর আপনারা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন, তাহলে আমি আজ থেকে বাল্য-বিবাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করতে চায়। সবশেষে অনুষ্ঠানেরসভাপতি, মেহেরপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে শীর্ষক কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

Hygiene and Sanitation for all

To raising awareness among children about hygiene and sanitation National Children’s Task Force Chittagong displayed a drama at Chadgaun in Chittagong on 25 November 2015. In the drama they( NCTF ) put emphasis on wash hand, hygiene and sanitation to ensure good health for all.


                                         স্যানিটেশন নিয়ে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও নাটক পরিবেশন।

শাহরিয়ার তামিম সৌরভঃ  চট্টগ্রাম, ২৫ নভেম্বর “সকলের জন্য স্যানিটেশন, নিশ্চিত হউক উন্নত জীবন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্ণফুলী আরবান এডিপি এবং ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) চট্টগ্রাম জেলার যৌথ আয়োজনে স্যানিটেশন নিয়ে জনসচেতনতামূলক “আলোচনা সভা ও নাটক পরিবেশনা” গত ২৫ নভেম্বর বুধবার বিকালে নগরীর চান্দগাঁওয়ের কাজীরডিয়া এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্ণফুলী আরবান এডিপির প্রোগ্রাম অফিসার কৃষ্টপর খ্যুইয়ার সভাপতিত্বে মমতা ফিউরিফিকেশনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলী আকবর, জাহেদুল আলম(স্বল্পদৈর্ঘ চলচিত্রনির্মাতাও অভিনেতা), শাহরিয়ার তামিম সৌরভ(শিশু সাংসদ, এনসিটিএফ), জান্নাতুল ফেরদৌস মমি(শিশু গবেষক, এনিসিটিএফ), আইনুন নিশাত সিনান, এমদাদুল হক প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ উন্নত জীবন গড়তে সকলকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে শিশুদের ক্ষেত্রে। বেশীরভাগ শিশু অপরিষ্কার অবস্থায় থাকার কারণে শিশু অবস্থায় ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। তাই মায়েদের শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি যথেষ্ট নজর দিতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে এনসিটিএফ ৪নং ওয়ার্ড সদস্যরা স্যানিটেশন নিয়ে জনসচেতনতামূলক একটি নাটক পরিবেশন করে। যাতে ফুটে উঠে অসচেতনতা ও অপরিষ্কার থাকার ফলে শিশুদের স্বাস্থ্য ক্ষতির বিষয়টি। শিশুরা নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরে স্যানিটেশনের প্রয়োজনীয়তা। উঠে আসে বিশুদ্ধ পানি পান, টয়লেট থেকে আসার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়া, খাওয়ার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়া, থালা-বাসন ভালোভাবে পরিষ্কার করা, পরিষ্কার পানি ব্যবহার সহ বিভিন্ন বিষয়। সবশেষে শিশুদের দ্বারা পরিবেশিত একটি জারি গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

No More Corporal Punisment in School

“We need to encourage and motivate our children for education but not with physical punishment ” said Mr Devdash Vottacharia Additional Police Commissioner in a awareness raising discussion session on 22 November 2015. He also requested the parents to avoid the traditional belief of bookish education.Local organization’ INCIDIN Bangladesh’ organized a open discussion among children,youth, Government actors and Parents to stop Corporal Punishment at school level. In addition a study recommendation on corporal punishment presented by  Jakia Rehena Professor of Chittagong University .


                                          স্কুল পর্যায়ে শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন সকলের বন্ধে সচেতনতা প্রয়োজন।

শাহরিয়ার তামিম সৌরভ: চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জনাব, দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, শিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে সকলের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে অভিবাবক ও শিক্ষাকদের যে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত তা হল কেবল শারীরিক শাস্তি দিয়ে কোনভাবে শিশুদের সংশোধন করা সম্ভব নয়। শাস্তি দিয়ে কোন বিষয়ই শিশুদের উপর চাপিয়ে দেয়া কারো কাম্য নয়। শাস্তি নয় মানসিক উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজে উৎসাহী করে তুলতে হবে।

গত ২২ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) চট্টগ্রাম জেলার সহযোগীতায় ইনসিডিন বাংলাদেশ এর আয়োজনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত “স্কুল পর্যায়ে শিশুদের শারীরিক শাস্তরি প্রতিরোধ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, শাস্তি নয় স্নহেরে মাধ্যমেই শিশুদের কাছে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করতে হবে। শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অভিবাবকদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা, পুস্তক নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা, জোর করে শিশুদের কাছ থেকে কোন বিষয় আদায় এর রীতি বন্ধ করতে হবে। বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক জনাব আব্দুর রহমান বলেন, মাদ্রসার প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পাঠদান ও তা আদায়ের ব্যাপারে শিক্ষকরা মহানবী (স:) আদর্শ শিক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলছেন। দি ডেইলি স্টার এর ব্যুরো ইনচার্জ দৈপায়ন বড়–য়া রনি বলেন, শিক্ষা মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে তাদের মধ্যে পাঠ্যভীতি দূর করতে হবে।

মুশফিকুর রহিমের সঞ্চালনায় ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এইচ.এ.এম মুশতাক আলী এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবিদা আজম (কাউন্সিলর, ৪ নং ওয়ার্ড), মোবাশ্বেরা বেগম (প্রধান শিক্ষিকা, কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) আবদুল রহমান (প্রভাষক, বায়তুশ শরাফ আর্দশ কামিল মাদ্রাসা), জি.এম.আব্দুর সালাম (জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা চট্টগ্রাম) দৈপায়ন বড়–য়া রনি (ব্যুরো ইনর্চায, দি ডেইলি ষ্টার), সহ এন.সি.টি এফ এর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উম্মে খাইরুন্নেছা, শাহরিয়ার তামিম সৌরভ, জান্নাতুল ফেরদৌস মমি, শাহ ইমরান, ফরিদা চৌধুরী হ্যাপি, শরীফুর কাদের রাকিব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুথ গ্রুপ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি উক্ত মতাবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাকিয়া রেহেনার নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষনার ফলাফল পর্যালচনা করা হয়।

এনসিটিএফ ময়মনসিংহ এর নভেম্বর মাসের মাসিক সভা অনুষ্টিত

মেহেদিঃ  আজ ২৬ নভেম্বর , এনসিটিএফ ময়মনসিংহ জেলার নভেম্বর মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৩ টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী,ময়মনসিংহস্থ এনসিটিএফ জেলা কার্যালয়ে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় জেলা কার্যকরী কমিটির সদস্যের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিটিএফ ময়মনসিংহ জেলা ভলান্টিয়ার ও  এনসিটিএফ এর কেন্দ্রীয় ভলান্টিয়ার শামীম আহমেদ ।

আজকের সভায় এনসিটিএফ ময়মনসিংহ   জেলার নিউজলেটার এর পরবর্তী সংখ্যা প্রকাশ করার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।এছড়াও এনসিটিএফ এর বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সভা  এবং নতুন কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের ব্যাপরে আলোচনা করার পাশাপাশি প্রেস কনফারেন্স এর দিন ধার্য করা হয়।  সভায় এনসিটিএফ ময়মনসিংহ  জেলার সভাপতি শামস আল জাফির এর   সভাপতিত্বে বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ।

Monthly meeting of NCTF Nilphamari

National Children’s Task Force completed their monthly meeting of November.In the meeting they discussed about the publication of their magazine name “Khochi Hater Sristri”( Child Magzine) .In addition they make a work plan to collect writings from children.


এনসিটিএফ নীলফামারী’র নভেম্বর মাসের মাসিক সভা অনুসঠিত

সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি মোজাহিদুল হাসান । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ রাকিব, সাদ, মেরাজ, রোদেলা, সুরভী, উৎসব, অর্থী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন জেলা ভলেন্টিয়ার রোজী এবং সিওয়াইভি কেশব রায়। উক্ত সভায়, নীলফামারী এনসিটিএফ এর খবরপত্র ‘কচি হাতের সৃস্টি’ -২০১৫ সংখ্যা প্রকাশ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আগামী ২০ নভেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ‘কচি হাতের সৃস্টি’তে লেখা প্রকাশের জন্য লেখা জমা নেওয়া হবে, এমনটা সীদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

School Campaign for mass awareness

With an aim to raise awareness ,National Children’s Task Force organized  a school campaign with the support of District Information Officer at Kolokakoli Secondary School in Khustia on 28 November 2015. A video documentary and quiz competition reached to the children with the message of child marriage effect.


এনসিটিএফ কুষ্টিয়ার বাল্য বিবাহ রোধে স্কুল ক্যাম্পেইন ও কুইজ প্রতিযোগিতা                            

সাজিদ হাসাস(কুষ্টিয়া): গত ২৪ নভেম্বর, ২০১৫ কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ কমিটি কলকাকোলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে বাল্য বিবাহ রোধে প্রামান্য চলচিত্র কুষ্টিয়া জেলা তথ্য অফিসের সাহায্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করে । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার সিনিয়র তথ্য অফিসার জনাব তৌহিদুজ্জামান, আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মখলেছুর রহমান ও কলকাকোলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চিত্রাঙ্কন শিক্ষক জনাব জাফর আহমদ । প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন এর পর অতিথিবৃন্দ বাল্য বিবাহ রোধে কিছু উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন ।

ছাত্র-ছাত্রীদের চলচিত্র দেখানোimg_1667Sobujbarta শেষে বাল্য বিবাহ রোধের উপর বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়, প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় । কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি মো: মুসাব্বির হোসেন শিশু অধিকার, বাল্য বিবাহ ও এনসিটিএফ নিয়ে একটি ডিজিটাল প্রেজেন্টেশন প্রদর্শন করেন । এছাড়াও কুষ্টিয়া জেলা কমিটির বিভিন্ন কার্যক্রম ও সফলতা সমূহ উপস্থাপন করেন ।

img_1705Sobujbartaকুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ ২০১২ সাল থেকে চালু কৃত বাল্য বিবাহ বন্ধে হট-লাইন নাম্বার ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া হয় । এ অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফর এর উদ্দেশ্য হল, বাল্য বিবাহের চলচিত্র দেখিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সমাজকে বাল্য বিবাহ রোধে সচেতন করা । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলো এনসিটিএফ জেলা কমিটির সভাপতি মো: মুসাব্বির হোসেন, সাধারন সম্পাদক মো: আরিফুল ইসলাম, সাংগাঠনিক সাম্পাদক মো: আজমাইন মাহাম্মুদ,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নিগার সুলতানা, কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর শিশু সাংবাদিক এবং খুলনা বিভাগীয় প্রধান মো: সাজিদ হাসান(সৃষ্টি)। এ অনুষ্ঠানে সকল প্রকার সহযোগিতা করে থাকে কুষ্টিয়া জেলা তথ্য অফিস।