এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক সভা

ফুয়াদ হাসান: বিশ্ব এখন প্রযুক্তি নির্ভর, রয়েছে সর্বত্রই প্রযুক্তির ছোয়া। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই প্রযুক্তির নানান মাধ্যম করেই চলেছে। মানব জীবনের কষ্টগুলোকে লাগব করে যোগাযোগের পথকে সহজ করার জন্য বর্তমানে যোগাযোগেও প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার মানব সমাজের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়াগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরই ভিত্তি গড়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়াগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফেসবুক, টুইটার, ভিবার, ওয়াটস্‌ এপ, ট্যাংগো ইত্যাদি। এসকল মাধ্যমগুলো ব্যবহারের ফলে মানুষের যোগাযোগ করার পথ সহজ হয়েছে, কমেছে যোগাযোগের ব্যয়। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝতে পেরে গত ২৯.৫.২০১৫ তারিখে তাদের কার্যালয়ে সামাজিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এক সভার আয়োজন করে। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যনির্বাহী জারিয়াতুল্লাহ খানম, ফুয়াদ হাসান, নাদিয়া নওরীন সারা, মাকসুদা চৌধুরী পলি, অজিত চন্দ্র বিশ্বাসসহ অন্যান্য সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে আলোচনার বিষয় ছিল বর্তমান সময়ের বহুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ওয়াট্‌স এপ”। এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে প্রথমদিকে শুধু ট্যাক্সট মেসেজ আদান প্রদান করা গেলেও এতে সর্বশেষ ফিচার হিসেবে কল করার অপশনটি যুক্ত হয়েছে। এপ্রিল মাসে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসােও সারা বিশ্বে সর্বমোট একটিভ “ওয়াট্‌স এপ” ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ মিলিয়ন যেখানে কিনা জানুয়ারি মাসে সর্বমোট একটিভ “ওয়াট্‌স এপ” ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭ মিলিয়ন।  দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে কিন্তু “ওয়াট্‌স এপ” এমন ব্যক্তির সংখ্যা নিতান্তই কম। বর্তমান সময়কার অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, সিম্বিয়ান, ব্লাকবেরি, উইন্ডোজ ৮ সহ প্রায় সকল ওপারেটিং সিস্টেমে “ওয়াট্‌স এপ” ব্যবহার করা যাচ্ছে। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া “ওয়াট্‌স এপ” এ কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয়, কিভাবে একজনকে বা গ্রুপে কিংবা  একাধিক জনকে এক সাথে মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ পাঠানো যায়, কিভাবে অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া ফাইল এবং কন্টাক্ট নাম্বার শেয়ার করা যায়, এপটি ব্যবহার করে কিভাবে কল করতে হয় তা নিয়ে ব্যবহারিক আলোচনা করে। সভা শেষে উপস্থিত সকল  সদস্যরা এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহরার করার প্রতি তাদের মত পোষণ করে এবং এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্যদের যোগাযোগের পথ সহজ করার স্বার্থে  এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামে “ওয়াট্‌স এপ”এ একটি গ্রুপ ওপেন করে।

বরিশালে এনসিটিএফের দুই দিন ব্যাপি আইসিটি ও ডকুমেন্টেশন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

জহির রায়হানঃ ন্যাশনাল চিলড্রেন’স্ টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) বরিশাল জোনের ২দিন ব্যাপি আইসিটি ও ডকুমেন্টেশন প্রশিক্ষণ ২৭-২৮ মে ২০১৫ ইং সম্পন্ন হয়েছে।

ম্যাস্-লাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি) এর আয়োজনে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় ৬৪ জেলাতে এনসিটিএফের আইসিটি এন্ড ডকুমেন্টেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণের বরিশাল জোন পর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে ।বরিশালের এনজিও ফোরাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ৪টি জেলার (ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর) প্রতি জেলা থেকে ২ জন করে এনসিটিএফ কার্যকরী কমিটির সদস্য এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে।

উক্ত প্রশিক্ষণে শিশুদের আইসিটি এন্ড ডকুমেন্টেশনের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আইসিটি প্রশিক্ষণে কম্পিউটার পরিচিতি ও ব্যবহার, ইন্টারনেট ও ব্যবহার, ইমেইল, সার্চ ইঞ্জিন, সোস্যাল মিডিয়া ও বাংলাদেশের ব্যাতিক্রমধর্মী শিশুতোষ ওয়েবপোর্টাল এনসিটিএফবিডিডটওআরজি এর ব্যবহারের উপর বাস্তব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের আইসিটি, মিডিয়া ও নলেজ ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজার শারমিন আফরোজা।উপস্থিত শিশুরা এনসিটিএফকে আ্ইসিটি প্ল্যাটফর্মে উন্নীত করতে তাদের প্রশিক্ষণকে যথাযথভাবে কার্যকর করবে বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরির অঙ্গীকার করে।

উক্ত প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও সহায়কের ভূমিকায় ছিলেন ম্যাস্-লাইন মিডিয়া সেন্টারের (এমএমসি) প্রকল্প কর্মকর্তা সাইফ মহদী, এনসিটিএফের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সজীব খন্দকার এবং এনসিটিএফের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক মিদুল ইসলাম মৃদুল।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল এনসিটিএফের জেলা স্বেচ্ছাসেবক আল আমিন জুয়েল।

এন.সি.টি.এফ নরসিংদী’র হাসপাতাল পরিদর্শন

10151213_1604161946527016_3748653448770042548_n

ছবি : বন্ধ করা দরজা ( লাল দাগের ভিতর) ;রোগিদের জটলা

10641202_1604161729860371_5977836899351129950_n

ছবি : হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাচ্ছে শিশু

 

 

 

 

 

 

 

 

শিমুল আহমেদ তরঙ্গ : গত ২৮মে  ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স ; এন.সি.টি.এফ নরসিংদী জেলা কমিটি তাদের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনের কাজ সম্পন্ন করে।  নরসিংদী জেলা এন.সি.টি.এফ এর সভাপতি  তাহুয়া লাভিব তুরা’র নেতৃত্বে জেলা কমিটির ১১জন সদস্য এই পরিদর্শনে অংশগ্রহণ করে  । কমিটির সদস্যদের সাথে ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন এর সি ওয়াই ভি জনাব উম্মে হাবিবা বর্ষা,  এন.সি.টি.এফ নরসিংদী জেলার ভলান্টিয়ার জনাব এ.কে.এম সেলিম এবং   সাথী আক্তার ।
এদিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ পরিদর্শনের সময় সেখানে কর্তব্যরত ইমারজেন্সি ওফিসার জনাব শামিমা ইয়াসমিন এর সাথে কথা হলে তিনি জনান , হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনই অনেক শিশুকে নিয়ে আসা হয়।  যাদের প্রধান সমস্যা থাকে ডায়রিয়া ।  এছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের হার ও বেড়ে চলেছে।
এইদিকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কক্ষের সামনে রোগিদের বিশাল বড় জটলা দেখা যায়। অভিযোগ উঠে যে এখানে প্রায় ৩ ঘন্টা যাবৎ অপেক্ষা করার পরও কর্তব্যরত ডাক্তার এর দেখা নেই , একজন ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছেন তা ও টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভঙ্গ করে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সেখানে গেল প্রথমে দালাল পথরোধ করে। পরে এন.সি.টি.এফ এর সাংবাদিক পরিচয় পাবার পর ঢোকা গেলে সেখানে অবস্থানরত চিকিৎসক নিজের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জনান এবং বলেন যে শিশু বিশেষজ্ঞ বাইরে গেছেন , এবং তিনিই চিকিৎসা দিচ্ছেন। সিরিয়াল ভঙ্গের ব্যাপারে অস্বিকার করে বলেন টিকেটের নম্বর অনুযায়ী রোগী ডাকা হচ্ছে ।
এদিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করা হয়। সেখানে কিছু বেড খালি থাকা সত্বেও অনেক রোগিদের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। যেখানে শিশুরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর মেঝেতে অবস্থান করছে। এ ব্যপারে কর্তব্যরত নার্স কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান যে এগুলো মেডিসিন বিভাগের বেড।  স্থান স্বল্পতার কারনে শিশুদের জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ড রাখা হয় নি। একই সাথে তাদেরকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।অতি দ্রুত  এ ব্যপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়াউচিৎ বলে তিনি মনে করেন।

শসা বিক্রি করে কেমনে ইজ্ঞিনিয়ার হমু….!!

মুসাব্বির হোসেন(কুষ্টিয়া): গরীব বা ধনী হোক সবারই স্বপ্ন আছে । স্বপ্ন কখনো জাতি ভেদে হয় না । আর সবারই স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে । যে বয়সে লেখা পড়ার কথা ঠিক সে বয়সে আমাদের দেশে অনেক শিশুই তার পরিবারের জন্য জিবীকা নির্বাহ করার জন্য বিভিন্ন শ্রমে নিয়োজিত হয় ।

শ্রম যে রকমই হোক তারা চাই দুবেলা খেয়ে বাঁচতে । এইতো এনসিটিএফ এর খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে আইসিটি এন্ড ডকুমেন্টেশন ট্রেনিং থেকে ফেরার পথে ট্রেনে এই ধরনের এক শিশুর সাথে কথা হয় । দূর থেকে শোনা যায় “খিরা লইবেন খিরা” । শিশুটির নাম নাজমুল (১০) । খুলানার দৌলতপুরে রেলিগেট এলাকায় থাকে ।

নাজমুলকে স্কুলে যাওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলে সে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে । তার কাছ থেকে খিরা বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বলে স্কুলে যামু কি দিয়া । যাইতে অটো ভাড়া লাগে তাই এই ব্যাবসা করি । প্রতিদিন আমার এই খিরা বেইচা লাভ হয় ১৫০-২৫০ টাকার মত । এই লাভের টাকা দিয়ে  শিশুটি করে জানতে চাইলে বলে লাভের টাকা দিয়া স্কুলে যাই আর “মা”রে বাকি টাকা দিই । আর ঐ টাকা দিয়ে মা ঈদে জামা কপড় কিন্না দেয় ।

বড় হয়ে নাজমুল কি হতে চায় নাজমুলের কাছে জানতে চাইলে “আমি ইজ্ঞিনিয়ার হমু । গাড়ি বানামু” কিন্তু শসা বিক্রি করে কি ইজ্ঞিনিয়ার হওয়া যায় ? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় তোমাকে যদি কেউ লেখা পড়ার খরচ দেয় তাহলে কি তুমি পড়বে ? প্রতি উত্তরে শিশুটি বলে “কে দেবে আমার লেখা পড়ার খরচ” ।

আমাদের দেশে আমাদের সমাজে অনেক শিশুই আছে যারা লেখা পড়া করতে চায় দেখে অনেক বড় বড় স্বপ্ন কিন্তু আর্থিক অভাবেই ঐসব ইচ্ছা ঐসব স্বপ্ন স্বপ্নই থেকেই যায় ।

এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখপত্র প্রকাশ এবং পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ফুয়াদ হাসান: গত ২০ মে বুধবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলামের বিদায় উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা, তিতাস শিশু বার্তা “মা দিবস সংখ্যা”-এর প্রকাশনা এবং চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐ একই দিন বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত প্রতিযোগিতায় জেলার প্রায় আড়াই শতাধিক শিশু অংশ গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার)। এনসিটিএফ সভাপতি সায়েম খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ডা:বজলুর রহমান, লোকমান হোসেন এপিপি এবং চাইল্ড পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাইদা সানজিদা লোপা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) বদলি হয়ে এআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়াটারে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম মৌলভীবাজার বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে এই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশু সাংবাদিক মাকসুদা চৌধরী পলির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে এনসিটিএফ শিশু পিয়া এবং চাইল্ড পার্লামেন্ট মেম্বার কানিজ খন্দকার চৈতি অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া নওরীন সারা বিদায়ী পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার)-এর হাতে ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ শাহরিয়ার বিদায়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম-এর হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়। অন্যদিকে ১০ই মে “আন্তর্জাতিক মা দিবস”-কে উপলক্ষ করে এনসিটিএফ তাদের তিতাস শিশু বার্তার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে তিতাস শিশু বার্তার এবারের সম্পাদক এবং এনসিটিএফ ব্যাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হাসান সকল অতিথিদের  হাতে এবারের সংখ্যাটি তুলে দিয়ে তিতাস শিশু বার্তা “মা দিবস সংখ্যা”-টির আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান পিপিএম(বার) মা দিবস-কে উপলক্ষ করে  এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের মুখপত্রটি প্রকাশ করায় তাদেরকে সাধুবাদ জানান। অল্প বয়সে শিশুরা মায়েদের  সম্মানার্থে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অতুলনীয়। তিনি আশ্বাস দেন যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় না থাকলেও তিনি সবসময় এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশুদের পাশে থাকবেন।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা চিত্রাংকন ও সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

নাটোর হাসপাতালের মডেল শিশু ওয়ার্ড

1526384_690651604396796_7925465524485031400_n

এনসিটিএফ নাটোর জেলা কমিটি গত ১৮ মে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শণে যায়। হাসপাতালের মডেল শিশু ওয়ার্ড আগের তুলনায় অনেক পরির্বতন হয়েছে। নেই আগের মত দূর্গন্ধ, হতে হয় না হয়রানীর শিকার, ঔষধ কিনতে হচ্ছে না বাইরে থেকে, প্রয়োজন মত ডাক্তার এবং তাদের সেবা মনের মত হওয়ায় খুশি অভিভাবকরা।

সব কিছুর ভেতরে ডা. আমিনুল ইসলাম রোগীদের নিজেস্ব চেম্বারে দাওয়াত দিয়ে বেড়াচ্ছেন। যা এনসিটিএফ এর নজর কারে। এই ব্যাপারে কৃর্তপক্ষকে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানানো হয়।

এনসিটিএফ মাদারীপুরের মে মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত।

DSC_0767

ইমন হাসানঃ গত ১৭ মে এনসিটিএফ মাদারীপুরের মে মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি মুন্নি সভাটি পরিচালনা করেন। মাসিক সভার কয়েকটি  প্রধান আলোচিত বিষয় ছিলো শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন, শ্রমজীবী শিশুদের শিক্ষার ব্যাবস্থা, ইফটিজিং এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এর কাছে স্বারকলিপি প্রদান, শিশুগবেষকদের গল্প প্রেরন, বিদ্যালয়ে এনসিটিএফ এর পরিচিতি ও সদস্য সংগ্রহ ক্যাম্পেইন ইত্যদি। সকলের আলোচনায় ও মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে এনসিটিএফ মাদারীপুর কার্যনির্বাহী কমিটি।  জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং সেন্ট্রাল ইয়ুথ ভলান্টিয়ার মমতাজুল ইসলাম রুমন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর প্রতিমাসের ন্যায় হাসপাতাল মনিটরিং অনুষ্ঠিত এবং অন্যন্য সাফল্য।

গত ১১ ই এপ্রিল এনসিটিএফ কুষ্টিয়া জেলার কার্যনিবাহী কমিটির শিশু গবেষকের নেতৃত্বে সকাল ১০.৩০ টায় হাসপতাল মনিটরিং অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবারের সদর হাপসাতালের শিশু ওয়ার্ডের অবর্জাহভেশন রুমের চিত্র ছিলো অন্যান্য মাসের চেয়ে অনেক ভিন্ন। কারণ আগে শিশু ওয়ার্ডে অবর্জাহভেশন রুমে সবাই জুতা সেন্ডেল পড়ে প্রবেশ করতো। যার ফলে শিশুদের অনেক জিবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতো।

এদিকে এই সমস্যার বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা এনসিটিএফ এর সভাপতি মুসাব্বির হোসেনের ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়াকে অবহিত করায় কুষ্টিয়ার জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেfinal-01-sobujbartaন এই বিষয়টি নজরে নিয়ে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট প্রেরণ করে উল্লেখিত সমস্যাটি সমাধান করে থাকেন। গতকাল হাসপাতাল মনিটরিং এর শেষে এন.সি.টি.এফ. এর শিশুরা ডাঃ জমির উদ্দিন ,(শিশু কনসালটেন্ট এবং বিভাগীয় প্রধান শিশু বিভাগ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ) সাক্ষাতকার করার সময় জানতে চাওয়া হয় যে, বর্তমানে আবহাওয়ার প্রবাহরে জন্য শিশুদের ওপর কিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে এ বিষয়ে তিনি বলেন বর্তমান আবহাওয়া শিশুদের জন্য খারাপ এর মূল কারণ হচ্ছে রোদ্রের তাপ বেশি যার ফলে শিশুরা জ্বর, এআরআই এর মত রোগে আক্রান্ত হতে পারে । এছাড়া তিনি আরও বলেন এই সময়ে ডায়রিয়ার মত খারাপ রোগেও আক্রান্ত হতে পারে ।

এই জন্য শিশুদের সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে এবং খাবারের সময় ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং পচা বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। আর এদিকে এআরআই রোগ সম্পর্কে ডাঃ জমির উদ্দিন বলেন শিশুদের ফিডার খাওয়ানো যাবে না এর ফলে শ্বাস কষ্ট হয় । এবং বুকের দুধ উঁচু করে খাওয়াতে হবে ।

আর এ সকল সমস্যা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অসুস্থ শিশুদের অসুস্থা বেড়ে যাওয়া সহ মৃত্যুর কারণ হতে পারে । আর অন্যদিকে সদর হাসপাতালের অবর্জাভেশন রুমটির বর্তমান চিত্রে আনার জন্য সাহায্য করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষতে শিশুদের নিয়ে আরো ভালো ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। এবং এন.সি.টি.এফ. কুষ্টিয়া জেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাথে এক সাক্ষাতকারে তারা বলেন আমরা সবার সহোযগীতা নিয়ে আরো ভালো কাজ করতে চাই । এবং কুষ্টিয়া জেলাকে শিশুবাদ্ধব জেলা হিসেবে দেখতে চাই ।

এই বিষয়ে পূর্বের নিউটি দেখুন

http://bit.ly/1Fk5Q4X

মেহেরপুরে গাংনীতে পৌরসভা এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

মঙ্গলবার ১২ই মে ২০১৫ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার পৌরসভা এনসিটিএফ কমিটির বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাথুলী ইউনিয়নে বর্তমানে এনসিটিএফ সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৪০ জন। এনসিটিএফ পৌরসভা কমিটির সাধারণ পরিষদের প্রায় ৫০ জন সদস্য । প্রথম পর্বে পৌরসভা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষনা করেন। দ্বিতীয় পর্বে এনসিটিএফ পৌরসভা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজকের এই পরিকল্পনা সভার সভাপতি হিসেবে শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করে এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এনসিটিএফ পৌরসভা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গত বছরের সফলতা সমূহসহ প্রতিবেদন পেশ করেন। পৌরসভা কমিটির শিশুরা ৪ দলে ভাগ হয়ে দলীয়ভাবে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তৈরী করে। দলীয় কাজ শেষে প্রত্যেক দল থেকে ১জন ছেলে ও ১জন মেয়ে যৌথভাবে দলগত কর্মপরিকল্পনা সমূহ উপস্থিত এনসিটিএফ এর সাধারণ পরিষদের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথি বর্গের সামনে উপস্থাপন করে ও এনসিটিএফ সদস্যরা যেসব কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা দরকার তার জন্য আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দের নিকট তা আহ্বান করে। প্রত্যেক দলের উপস্থাপন শেষে পৌরসভা পরিষদের পক্ষ থেকে পৌরসভা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ, প্রধান শিক্ষক বৃন্দ এনসিটিএফ এর কাজের জন্য তাদের অন্তর্ভূক্ত করায় এনসিটিএফ, সেভ দ্য চিলড্রেন ও পিএসকেএস কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এবং সুনির্দিষ্টভাবে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- পৌরসভার প্যানেল মেয়র এনসিটিএফ এর আয়োজনে পৌরসভা পর্যায়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন এর ঘোষনা দেন, এনসিটিএফ ২ জন সদস্যকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে অন্তর্ভূক্তিকরণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসে এনসিটিএফ এর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন, ৬ মাস অন্তর অন্তর পৌরসভা পরিষদের সাথে এনসিটিএফ এর সভার আয়োজন সহ এনসিটিএফ এর সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে ঘোষনা দেন। এছাড়া এনসিটিএফ সদস্যদের গৃহিত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন শেষে এর সময়োপযোগী ও শিশু বান্ধব এ কর্মসূচীর পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র জনাব শামসুদ্দীন শেখ। অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, পিএসকেএস এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর সুনীল কুমার রয়, পিএসকেএস এর ইউনিয়ন কোঅর্ডিনেটর গোলাম কিবরিয়া এবং ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন কেন্দ্রীয় ভলান্টিয়ার (এনসিটিএফ) মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা ভলান্টিয়ার মুক্তা, আশরাফুল, জসিম এবং ইসমতারা।

মেহেরপুরে গাংনীতে কাথুলী ইউনিয়ন এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

রবিবার ১০ই মে ২০১৫ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ন এনসিটিএফ কমিটির বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাথুলী ইউনিয়নে বর্তমানে এনসিটিএফ সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৪০ জন। এনসিটিএফ ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ পরিষদের প্রায় ৫০ জন সদস্য ও সিসিজি এর পক্ষ থেকে ২ জন সদস্য উপস্থিত হয়। প্রথম পর্বে কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষনা করেন। দ্বিতীয় পর্বে এনসিটিএফ ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজকের এই পরিকল্পনা সভার সভাপতি হিসেবে শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করে এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এনসিটিএফ কাথুলী ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গত বছরের সফলতা সমূহসহ প্রতিবেদন পেশ করেন। ইউনিয়ন কমিটির শিশুরা ৪ দলে ভাগ হয়ে দলীয়ভাবে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তৈরী করে। দলীয় কাজ শেষে প্রত্যেক দল থেকে ১জন ছেলে ও ১জন মেয়ে যৌথভাবে দলগত কর্মপরিকল্পনা সমূহ উপস্থিত এনসিটিএফ এর সাধারণ পরিষদের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথি বর্গের সামনে উপস্থাপন করে ও এনসিটিএফ সদস্যরা যেসব কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা দরকার তার জন্য আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দের নিকট তা আহ্বান করে। প্রত্যেক দলের উপস্থাপন শেষে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ, প্রধান শিক্ষক বৃন্দ এনসিটিএফ এর কাজের জন্য তাদের অন্তর্ভূক্ত করায় এনসিটিএফ, সেভ দ্য চিলড্রেন ও পিএসকেএস কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এবং সুনির্দিষ্টভাবে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনসিটিএফ এর আয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন এর ঘোষনা দেন, এনসিটিএফ ২ জন সদস্যকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে অন্তর্ভূক্তিকরণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসে এনসিটিএফ এর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন, ৬ মাস অন্তর অন্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাথে এনসিটিএফ এর সভার আয়োজন সহ এনসিটিএফ এর সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে ঘোষনা দেন। এছাড়া এনসিটিএফ সদস্যদের গৃহিত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন শেষে এর সময়োপযোগী ও শিশু বান্ধব এ কর্মসূচীর পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব বাবুল হোসেন। অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, সিসিজি সদস্য, পিএসকেএস এর ইউনিয়ন কোঅর্ডিনেটর গোলাম কিবরিয়া এবং ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর সাঈদ হাসান। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন কেন্দ্রীয় ভলান্টিয়ার (এনসিটিএফ) মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা ভলান্টিয়ার মুক্তা এবং ইসমতারা।